বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাংলা সৌশাল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনসে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমি টেকটিউনার রিদম দত্ত
ইন্টারনেট এর কিছু বেসিক ধারণা যা একেবারে না জানলেই নয়।বিশেষ করে যারা নতুন ব্যবহারকারি তারা মধ্যে প্রশ্ন জাগে আইপি এড্রেস কি,ম্যাক এড্রেস কি,ডোমেইন কি সার্ভার কি ক্লায়েন্ট কি ইত্যাদি।আজকের টিউনটি মূলত নতুন দের বিশেষ ভাবে কাজে লাগবে বলে আমি মনে করি, আমি গুগল,উইকিপিডিয়া,ইউটিউব ইত্যাদি থেকে তথ্য গুলো সংগ্রহ করেছি এবং সহজ বাংলায় বিভিন্ন উদাহরণ এর মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করেছি আশা করি প্রত্যেকের ভালো লাগবে। টিউনটি অনেক বড় তাই বানান ভুল থাকতে পারে আশা করছি এগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকের টিউন এ আমি আপনাদের সাথে যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো নিচে নিম্নে দেয়া হল :
ইন্টারনেট হল একটি সংযোগ ব্যবস্থার মত,ইন্টারনেট হচ্ছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন ( কম্পিউটার,ল্যাপটপ,মোবাইল ফোন বা স্মাট ফোন) কে একসাথে সংযুক্ত করার জন্য একটা সিস্টেম যার মাধ্যমে বিভিন্ন ইনফরমেশন আদান প্রধান করা যায়। নিচের ছবিটা দেখে আমরা বুঝতে পারি যে,প্রত্যেকে প্রত্যেকের সাথে সংযুক্ত বা Connected অনেকটা জাল এর মত।
চলুন আপনাদের একটা ডিফরেন্ট উদাহরন দেখায়
ওপরের ছবিটিতে আমরা অনেক গুলো বিল্ডিং দেখতে পারছি,আমরা যদি এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিং এ যেতে চায় সেক্ষেত্রে আমরা কিন্ত যেতে পারবো না,কারন বিল্ডিং গুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত না,এক বিল্ডিং থেকে অণ্য যেতে আমাদের একটি সিস্টেম করতে হবে সে সিস্টেমটির নাম হল রাস্তা,আমরা যদি বিল্ডিং গুলোর মাঝে রাস্তা তৈরি করি তাহলে খুব সহজে আমরা এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিং এ যেতে পারবো। নিচের ছবিটি দেখলে আরও ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।
তার ম্যানে আমরা এখন বলতে পারবো বিল্ডিং গুলো পরস্পর এর সাথে সংযুক্ত বা Contented, ইন্টারনেট হল এই রকম সংযোগ ব্যবস্থার মত।
এখন আমরা যদি এই খানে নতুন একটি বিল্ডিং তৈরি করি,তাহলে কি আমরা বলতে পারবো যে বিল্ডিংটি অন্য বিল্ডিং এর সাথে সংযুক্ত কিনা,উত্তর হবে না তার কারন বিল্ডিংটির সাথে রাস্তা নেই, এই বিল্ডিং এর কোন মানুষ এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিং এ যেতে পারবে না, বিল্ডিংটি অনেকটা বিছিন্ন নেটওয়ার্ক এর মত তাকে যদি নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত করতে হয় তাহলে তার বিল্ডিং এর সামনে একটি রাস্তা বসাতে হবে।
নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন,এখন আমরা বলতে পারি নতুন তৈরি করা বিল্ডিংটি অন্য বিল্ডিং বা একই নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত বা Connected,তো ইন্টারনেট হচ্ছে অনেক টা এই রকম।
আমরা যদি টেলিফোন এর উদাহরণ দেই তাহলে বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝতে পারবো। যদিও এখন স্মাট ফোন এর যুগ চলে এসেছে সবায় স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছি,এর পরে ও লেন ফোন এর ব্যবহার কিন্ত এখনও কমে যায় নি। নিচের ছবিটি ভালো ভাবে খেয়াল করুন।
ওপরের ছবিটি দেখে আমরা বুঝতে পারছি যে প্রতিটি লেন ফোন পরস্পর এর সাথে তার দিয়ে সংযুক্ত বা Connected আমরা যেকোনো ফোন থেকে যে কোন ফোন এ যোগাযোগ করতে পারবো।
এখন যদি আমি মার্কেট থেকে নতুন একটি ফোন কিনে নিয়ে আসি আমি কি সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারবো ? উত্তর হবে না তার কারন আমাকে এই নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হতে হবে তার দিয়ে। নিচের ছবি গুলো লক্ষ্য করুন
এখন আমরা বলতে পারি যে নিচের ফোনটি উপরের নেটওয়ার্ক এ সংযুক্ত বা Connected
এখন কিন্তু আমরা যে কোন ফোন এ যোগাযোগ করতে পারবো,তো ইন্টারনেট হছে এই একম সংযোগ ব্যবস্থার মত,যার সাথে যুক্ত হলে আমরা বিভিন্ন কম্পিউটার এ তথ্য আধান প্রধান করতে পারব।
ইন্টারনেট এর সূচনা হয়েছে ১৯৫০ সাল থেকে,তখন শুধুমাত্র সামরিক কাজে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে ও যোগাযোগ এর জন্য ব্যবহার করা হত ইন্টারনেট।
অনেককিছুর মতোই ইন্টারনেটের জম্মও সাবেক দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্ব থেকে।ষাটের দশকে আমেরিকা ও রাশিয়া যখন পরস্পরের প্রতিদ্ধন্দ্বিতায় লিপ্ত তখন ইন্টারনেটের ধারনাটির জম্ম নেয় আমেরিকান প্রতিরক্ষা বাহিনীর নীতিনির্ধারকদের মাথায়।১৯৬০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকান প্রতিরক্ষা দপ্তরের অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রোজেক্ট এজেন্সি (ARPA)ইন্টারনেট নিয়ে কাজ শুরু করে।আমেরিকান প্রতিরক্ষা দপ্তরের উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম গড়ে তোলা যা যুদ্ধকালিন সময়ে রাশিয়ার আক্রমণে বিধবস্ত হবে না। এ লক্ষ্য নিয়েই গড়ে উঠে প্রথম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ARPA NET। এরপর বিজ্ঞানী ও গবেষকরা বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ ও তথ্য আদান প্রধানের উদ্দেশ্য ইন্টারনেট গড়ে তুললেন। এইটি করতে গিয়ে তাদেরকে কিছু নতুন প্রোটোকল (Protocol)তৈরি করতে হলো।অর্থাৎ একটা কম্পিউটার আরেকটা কম্পিউটার এর সাথে তথ্য আদান প্রধান করবে কিভাবে,কি হবে তাদের ভাষা তা নির্ধারণ করে দিতে হলো প্রটোকলের মাধ্যমে।এসব নিয়ম বা প্রটোকলের ওপর ভিওি করেই গড়ে উঠেছে এ যুগের ইন্টারনেট।
*** অনেকে ওয়েব ও ইন্টারনেটকে এক মনে করেন,আসলে ওয়েব হলো ইন্টারনেট এর একটা অংশ মাত্র ***
ধরুন আপনি সংবাদপত্র অফিসে ফোন করলেন,সবাদপত্র আপনার প্রশ্নের উত্তর দিল।এখানে আপনি হলেন ক্লায়েণ্ট আর সংবাদপত্র হল সার্ভার। অথবা আমরা যদি বিল্ডিং এর উদাহরণটি দেয়। তাহলে খেয়াল করুন আমরা প্রথম বিল্ডিংটিকে আমরা ধরে নিলাম সংবাদপত্রের অফিস। শেষের বিল্ডিংটি আমার। আমি সংবাদ পত্রের অফিস এ ফোন দিয়ে একটি নিউসপেপার পাঠানের জন্য অনুরোধ পাঠালাম,সে আমাকে নিউজ পেপারটি পাঠালেন। এইখানে আমি রিকুয়েস্ট করেছি সুতারাংআমি হলাম ক্লায়েন্ট,আর সবাদপত্রের অফিস হল সার্ভার।
একটি কম্পিউটার অন্য একটি কম্পিউটার এ যদি তথ্য আদান প্রধান করে তখন যে কম্পিউটার থেকে তথ্য যাচ্ছে তাকে আমরা সার্ভার বলি,আর যে কম্পিউটার তথ্য দেখছে সে হল ক্লায়েন্ট।
চলুন আমরা একটু বিস্তারিত সংজ্ঞায় যায়।
ওপরের ছবিটিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি ১টি সার্ভার কম্পিউটার ও ৪ টি ক্লায়েন্ট কম্পিউটার।সার্ভার কম্পিউটার এর কাছে টেকটিউনস নামক একটি ওয়েব সাইট আছে,ক্লায়েন্ট কম্পিউটার গুলো সেই সার্ভার এর কাছে রিকুয়েস্ট করেছে যে তোমার কাছে যে ওয়েব সাইটটি আছে সেটি আমাদের দেখতে দাও।এর পর সার্ভার কি করবে সেই ওয়েব সাইটকে একটি নিদিষ্ট ফরমেট এ কনভার্ট করে ক্লায়েন্ট কম্পিউটার এর কাছে উপস্থাপন করবে।এবং ক্লায়েন্ট কম্পিউটার গুলো সেই ওয়েব সাইটটি দেখতে পারবে।
১.সার্ভার এর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ওয়েব সাইট হোস্ট করা। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
একটা সার্ভার এ শুধু একটি ওয়েব সাইট থাকে না একাধিক ওয়েব সাইট বা ডকোমেন্ট থাকে।এবং প্রতিটি ওয়েব সাইট শুধু টেক্সট থাকবে এমনটি নয়,অডিও, ভিডিও,ছবি ইত্যাদি থাকে এবং প্রতিটি ওয়েব সাইট লিংক দ্বারা একে অন্যের সাথে সংযুক্ত,অর্থাৎ একটি ওয়েব সাইট এ ক্লিক করলে আরেকটি ওয়েব পেজ এ চলে যাবে, বিষয়টি অনেকটা জালের মত একে অপরের সাথে সংযুক্ত,একটা ওয়েব সাইট তৈরি হয় অনেক গুলো লিংক দ্বারা।এ অসংখ্য ওয়েব সাইট এর ফাইল সার্ভার কম্পিউটার এর হার্ডডিস্ক এ সেভ করা থাকে। এইটিকে বলে ওয়েব সাইট হোস্ট করা।
২.রিকুয়েস্ট হ্যান্ডেল করা
পূর্বে বলেছিলাম সার্ভার কম্পিউটার এ অনেক গুলো ওয়েব সাইট হোস্ট করা থাকে,এবং ক্লায়েণ্ট কম্পিউটার গুলো তাদের কাছে ওয়েবসাইট গুলো দেখার জন্য অনুরোধ করে। সার্ভার কম্পিউটার এ শুধুমাত্র একটি ওয়েব সাইট হোস্ট করা থাকে না একাধিক ওয়েব সাইট হোস্ট করা থাকে। ক্লায়েন্ট কম্পিউটার গুলোর কাছ থেকে অসখ্য ওয়েব সাইট এর রিকুয়েস্ট আসে,এক এক একটি ক্লায়েণ্ট কম্পিউটার এক এক একটি ওয়েবসাইট এর জন্য অনুরোধ করে থাকেন এবং সার্ভার তা প্রোসেসিং করে,কোন কম্পিউটার তাঁর কাছে কোন ওয়েবসাইটটি চাইল তা সে একটা একটা করে প্রোসেসিং করে, এবং ক্লায়েন্ট এর কাছে তা উপস্থাপন করে এ কাজটিকে বলা হয় রিকুয়েস্ট হ্যান্ডেলইং।
৩.একটি নিদিষ্ট ডকুমেন্ট বা হাইপার টেক্সট পেজটি ক্লায়েন্ট এর সামনে উপস্থাপন করা।
আমরা যদি নিজেদের ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থেকে কোন ওয়েব সাইট দেখতে চায় তখন আমরা সে ওয়েব সাইটটি যে ওয়েব সার্ভার এ স্টোর বা হোস্ট করা আছে সেখানে রিকুয়েস্ট পাঠায় এবং সার্ভার নির্দিষ্ট ফরম্যাট এ সে ওয়েব সাইটটি আমাদের দেখায়।
আমরা কিভাবে ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থেকে রিকুয়েস্ট টা পাঠায়?
আমরা আমাদের ক্লায়েন্ট পিসি থেকে ওয়েব ওয়েব সার্ভার এ রিকুয়েস্ট পাঠানোর জন্য কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করি তাঁর নাম হল ওয়েব ব্রাউজার।
ওয়েব ব্রাউজার এ থাকে একটি অ্যাড্রেস বার এই অ্যাড্রেস বার এ আমরা ওয়েব সাইট এর ঠিকানা লিখি এই অ্যাড্রেস বারটিকে URL বা Uniform Resource Locator বলে।
চলুন আমরা ক্লায়েন্ট পিসি থেকে ওয়েব সার্ভারে রিকুয়েস্ট পাঠায়
আমি আমার কম্পিউটার থেকে ওয়েব ব্রাউজার প্রবেশ করে http://www.techtunes.io এই ওয়েব সাইটটি দেখতে চাচ্ছি এখন আমাদের যে ওয়েব ব্রাউজার http://www.techtunes.io এর সার্ভার এর কাছে রিকুয়েস্ট পাঠাবে এর পর টেকটিউনসের সার্ভার থেকে যখন সেই নিদিষ্ট ফর্মেট এর ওয়েবসাইট টা ব্রাউজার কে দিবে তখন ব্রাউজার সে ওয়েব সাইটা আমাদের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবে।
গুগল ক্রম,মজিলা ফায়ারফক্স,সাফারি,অপেরা,ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইত্যাদি।
চলুন কিছু ওয়েব সার্ভার এর হার্ডওয়্যার গুলোর সাথে পরিচিত হয়ঃ
এইটি হচ্ছে আইবিএম ফ্যামিলির জেড সিরিজ এর সার্ভার
আইবিএম জেড সিরিস ৮০০
নিচেরটি হল ব্লেড সিরিজ এর সার্ভার
একটি সার্ভার রুম এ অনেক গুলো সার্ভার মেশিন রাখা হয় আর এই রুম গুলকে ডেটা স্টোর সেন্টার ও বলা হয়ে থাকে। একটি ডেটা সেন্টার বা সার্ভার রুম এ ১০ টা ১৫ সার্ভার থেকে ১০০০,২০০০ সার্ভার মেশিন থাকে।গুগল,মাইক্রোসফট এর মত কোম্পানিতে ১০ লক্ষ এর ও বেশি সার্ভার মেশিন আছে।
নিচের ছবিটিতে আমরা কিছু তাক দেখতে পাচ্ছি এই তাক গুলোর ভিতরে অনেক গুলো করে সার্ভার মেশিন থাকে এইটি হচ্ছে CERN ল্যাব এর ডাটা স্টোর সেন্টার।
আমি পূর্বে আপনাদের বিশ্বের প্রথম ওয়েব সাইট এর জনক টিম বানারসলি সাথে পরিচয় করিয়েছিলাম,তিনি এই খানে কাজ করতেন।
আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে যেকোন কম্পিউটার কি সার্ভার মেশিন বানানো যায়??
হ্যাঁ টিম বাসারসলি যখন প্রথম ওয়েব সাইট তৈরি করেছিল,তখন সে সাধারন একটি কম্পিউটার দিয়ে ওয়েব সাইট তৈরি করেছিলেন যা আজকের যেকোনো স্মার্ট,কম্পিউটারটির নাম ছিল নেক্সট কম্পিউটার,রেম ছিল ৮ মেগাবাইট,প্রসেসর ২৫ মেগা হার্জ,হার্ডডিস্ক ২৫৬ মেগাবাইট।
তো এ বোঝা গেল আমরা ও আমাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটারটিকে সার্ভার বানাতে পারি তার জন্য আমাদের কম্পিউটার এ সার্ভার সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে।কয়েকটি সার্ভার সফটওয়্যার এর নাম হলঃ Apache HTTP Server,Internet information services,Nginx,Google WEb Server,wamp ইত্যাদি।
আপনাদের যদি আরও জানার ইচ্ছা থাকে, গুগল,ইউটিউব,উইকিপিডিয়া তে সার্চ করলে আরও অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
নেটওয়ার্ক এ সংযুক্ত কম্পিউটার ও ল্যাপটপে যে এড্রেস ব্যবহার করা হয় তাকে আইপি এড্রেস বলে। আইপি এড্রেস এই কথাটির সম্পূর্ণ আর্থ হল ইন্টারনেট প্রটোকল এড্রেস (IP Address=Internet Protocol Address)
আমরা যদি আবার সে বিল্ডিং উদাহরণ টি দি,তাহলে আরও ভালো বুঝতে পারবো
তো ওপরের বাড়ী গুলো পরস্পরের সাথে নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক এ রাস্তা দিয়ে সংযুক্ত আছে। এ সংযোগ ও নেটওয়ার্ক এর মধ্যে আমরা নির্দিষ্ট বিল্ডিংটি কিভাবে খুজে পায়? সে বিল্ডিংটির একটা
ঠিকানা থাকে এ ঠিকানা দেখে আমরা বুজবো যে এই টা সে নিদিষ্ট বিল্ডিং।
আমরা যদি টেলিফোন নাম্বার এর কথা চিন্তা করি এইখানে অনেক গুলো লেন ফোন এবং সবগুলো একে ওপরের সাথে তার দিয়ে সংযুক্ত।এখন আমি যদি একটি নির্দিষ্ট ফোন ত্থেকে নির্দিষ্ট ফোনে যোগাযোগ করতে চায় তাহলে একটা নাম্বার বা একটি ঠিকানা জানতে হবে।
তো আইপি এড্রেস হচ্ছে এই রকম একটা ব্যাপার একটা ঠিকানা।আমি পূর্বে বলেছিলাম অসংখ্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন সবাই ইন্টারনেট এ সংযুক্ত এখন আমি যদি একটি নিদিষ্ট কম্পিউটার খুজে পেতে চায় বা একটি নির্দিষ্ট কম্পিউটার থেকে নির্দিষ্ট কম্পিউটার এ তথ্য আদান - প্রদান করতে চায় তাহলে সেটা খুজে পেতে একটি ঠিকানা লাগবে এই ঠিকানা টাকে আমরা বলব আইপি এড্রেস।
চলুন দেখি আইপি এড্রেসটি দেখতে কেমন
আইপি এড্রেস এর চারটি অংশ থাকে যা আমরা ওপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছি এবং প্রত্যেকটি ডট চীর্ণ দিয়ে আলাদা করা থাকে,এই অংশ গুলোর মধ্যে গানিতিক সংখ্যা থাকে যার মান হতে হয় ০ থেকে ২৫৫ ভিতর যেকোন একটা সংখ্যা
আপনার কম্পিউটারে আপনি যে ইথারনেট বেসড (ল্যান) কানেকশন ব্যবহার করে থাকেন সেই কানেকশনটির একটি নিম্নস্তরের সাধারণ কম্পোনেন্ট হচ্ছে এই ম্যাক এড্রেস।
ম্যাক অ্যাড্রেস’ এর পূর্নরূপ হচ্ছে Media Access Control Address ইথারনেট বেসড (ল্যান) কার্ডের মতই ওয়াইফাই কার্ড, ব্লুটুথ ডঙ্গেল, ওয়াইম্যাক্স কার্ড ইত্যাদি ডিভাইসের অবশ্যই একটি করে অনন্য বা ইউনিক ম্যাক অ্যাড্রেস থেকে থাকে। এমনকি আপনি যে স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন সেখানেও আপনার স্মার্টফোনের ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই ইউনিটের আলাদা ম্যাক অ্যাড্রেস রয়েছে।
সমগ্র বিশ্বের এরকম বিভিন্ন ডিভাইসের সংখ্যা যেহেতু অগণিত তাই ম্যাক অ্যাড্রেস ১২ ডিজিটের হেক্সাডেসিমাল নাম্বার হয় এবং তা জোড়ায় জোড়ায় কোলন দিয়ে আলাদা করে লেখা হয়। যেমন ওপরের ছবিতে ম্যাক অ্যাড্রেস এর উদাহরণ দেয়া হল। প্রতিটা ডিভাইস প্রস্তুতকারক কোম্পানি তাদের কোম্পানির আইডি, ডিভাইস এর কোডনেম ইত্যাদি অনুসারে ম্যাক তৈরী করে থাকে।
আইপি অ্যাড্রেস এবং ম্যাক অ্যাড্রেস এর মধ্যে পার্থক্যঃ
আইপি এড্রেস হচ্ছে কোন কম্পিউটারের অ্যাড্রেস বা ঠিকানা যার মাধ্যমে আমরা একটি নির্দিষ্ট কম্পিউটারকে চিনতে পারি। যেমন, এটাকে আমরা আমাদের ফোন নাম্বারের সাথেও তুলনা করতে পারি।
ম্যাক এড্রেসের প্রথম অর্ধেক অংশ দ্বারা বুঝায় ডিভাইসটি কোন মডেলবা ব্রান্ডের আর বাকী অর্ধেক অংশটি হচ্ছে ঐ ডিভাইসটি অনন্য বা unique নাম্বার। এটাকে মোবাইলের IMEI বা গাড়ির VIN নাম্বারের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
***অনেকে বলতে পারেন মজিলা ফায়ারফক্স এ প্রবেশ করে যে কোন ওয়েব সাইট এর অ্যাড্রেস লিখলেই তো ওয়েব সাইটটি আমাদের সামনে প্রদর্শিত হয় এতো কিছু জানার কোন প্রয়োজন আছে, এই টিউনটি করার একটি মাত্র উদেশ্য তা হল একটি ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে,কিভাবে একটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ইউজার এর কাছে তথ্য আদান- প্রদান করে ইত্যাদি আপনাদের জানানো। জেনে রাখুন হয়ত এখন কাজে না লাগলে ভবিষ্যৎ এ কাজে আসতে পারে।***
ধন্যবাদ সবাইকে টিউনটি পড়ার জন্য।
আমি রিদম দত্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 270 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
হাই আমি রিদম , জানি না তেমন কিছু তবে যা জানি তা সবার মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি,টেকনোলজি কে অনেক ভালোবাসি টেকনোলজি ছাড়া এক সেকেন্ড ও চলতে পারি না।বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি আর্ট ওয়েব ইউ আই ইউএক্স ডিজাইন ও ওয়েব প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করছি।
A great overview about Internet as like Information and technology text book.
Overall nice expression.
Thanks a lot 🙂