হ্যালো,
কালকের টিউনে আমি মোটামুটি একটা ধারনা দিয়েছি। আজ একটু খুটিনাটি নিয়ে লিখতেই বসলাম।
আগের টিউন পড়া না থাকলে এটার আগা মাথা কিছুই বুঝবেন না, সো আগে এটা ইন্টারনেট থেকেই আয় করুন। (শিমুল ভাই, তুমিও ??? ) পড়ে আসেন।
তো শুরু করা যাক।
আমাদের বেসিক কাজ হলো, একটা সাইটের মাধ্যমে কোন প্রডাক্ট ভোক্তার কাছে পৌছে দেয়া। আই মিন, একেবারে তার সামনে, তার ডেক্সটপ বা মোবাইলের স্ক্রিনে একটা দোকান তৈরী করা। কাজ টা খুব কঠিন কিছু না। আগের টিউনে আমি ধারনা দিয়েছি।
আচ্ছা, শুরুতেই দরকার একটা ওয়েবসাইট। দেখতে সুন্দর, ফাস্ট সব রকম ডিভাইস দিয়েই লোড হবে, ব্লা ব্লা ব্লা। এটা আপনার ডেভেলপার এর চিন্তা। আমি আপনার চিন্তা নিয়ে বলি।
শুরুতেই আপনাকে চিন্তা করতে হবে প্রোডাক্ট সম্পর্কে। কি ধরনের প্রোডাক্ট আপনি আপনার সাইটে বিক্রি করবেন, আর তা আপনার ভিজিটর বা কাস্টমার কিনবে তার উপর নির্ভর করে আপনি সফল হবেন কিনা।
এখন শুরুতেই আপনি নিজেকে জিগেস করেন। আপনি যেখানে ব্যাবসা করবেন, সেখান কার কারা ইন্টারনেটে বেশী একটিভ।
ঢাকা,চিটাগং মত যায়গায় দেখা যায়, অফিস ফেরত লোক টাও নেটে সময় দেন, বাট ছোট শহরগুলোতে সাধারনত আপনার আমার বয়সী বা এর কাছাকাছি বয়সের মানুষ ই নেটে বেশী। সো আমাদের বিজনেস হবে তাদের সাথে।
বয়সের কথা চিন্তা করলে, আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি, ১৫ – ২৮ বছরের ইন্টারনেট ইউজার ই বেশী।সো, আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে সোনার জুয়েলারী বিক্রি করতে যাবেন, সাথে সাথে খাবেন ধরা, কারন মানুষ এটা অনলাইনে কিনবে না। কিনলেও আপনার শহরের পোলাপান খাবে না এই প্রোডাক্ট। সো তাদের দিতে হবে তারা যেটা চায়।
হতে পারে মানিব্যাগ, হাতের ব্রেসলেট,লাইটার বা টিশার্ট। তারা এগুলো দোকানে যেয়েই কিনে অভ্যস্ত, কিন্তু আপনার কাছে একটু কম দামে পাইলে, আর আপনার ব্যাবহার (এই “ব্যাবহার” শব্দ টা নিয়ে পরে লিখছি ) ভালো হইলে, আপনার থেকে একজন দুজন করে কিনবেই। আস্তে আস্তে তাদের মুখ থেকেই আপনার মার্কেটিং হয়ে যাবে।
আর হ্যা, আপনার সাইট এ যদি সেইরকম মানের জিনিষ পাওয়া যায়, তাইলে তো আইফোন !!!
দোস্ত, কই থেকে কিনলি ?? অমুক সাইট থেকে, এটা বলতে যখন কেউ গর্ব বোধ করবে, তখন আপনারে থামানো নোকিয়ার,সিম্ফনী মত কম্পানী যেমন আইফোন এর বাজার খাইতে পারে নাই, তেমন হবে।আপনাকে থামায় কে ???
সো এমন কোন প্রডাক্ট সিলেক্ট করেন, যা আপনার শহরের নেট ব্যাবহারকারী রা খাবে।এটা এমনকি, মোবাইলের কার্ড ও হতে পারে। আপনার সাইটে কেউ টাকা রিচার্জ করে রাখলো। সে চাইলে গেঞ্জি কিনবে, মাঝরাতে তার ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে আপনার সাইট থেকে এসে রিচার্জ করে নেবে।চাইলে তার গার্লফ্রেন্ড এর গিফট টাও আপনার সাইট থেকে কিনবে।
পয়েন্ট নাম্বার টু, আগের টিউনে
writerbuddha ভাইয়া একটা প্রশ্ন করেছিলেন, সেটার এনসার।
হ্যা, প্রডাক্টের জন্য আপনাকে নিজের পকেটে কিছু টাকা তো রাখতে হবে। বাট টাকা দিবে আপনার কাস্টমার। ধরেন, আপনার সাইটে আপনি টি শার্ট বিক্রি করেন। আপনার লিঙ্ক থাকবে একটি টি শার্ট দোকানের সাথে। আপনি তাদের বিভিন্ন গেঞ্জির,শার্টের ছবি একটা নাম্বার দিয়ে আপনার সাইটে দিয়ে রাখলেন। কেউ যখন কিনতে চাইবে, আপনি জানলেন অমুক নাম্বার শার্ট টা আপনার অমুক কাস্টমার চাইতেছেন। দোকানে যেয়ে নিয়ে দিয়ে আসেন না ভাই। টি শার্ট টার দোকানে যা দাম, আপনার সাইট থেকে কাস্টমার পাইলে দোকানী আপনাকে ৫০ টাকা কমে দেবে। সেখান থেকে আপনি ৪০ টাকা কমেই বিক্রি করেন, আই মিন দাম ৪০০ টাকা হইলে আপনাকে ৩৫০ টাকায় দেবে, আপনি সেটারে ৩৯০ টাকায় বিক্রি করেন। আপনার শার্ট টা দিয়ে আসতে ১০ টাকা খরচ হইলেও আপনার লাভ কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। দিনে ১০ টা ডেলিভারী দিয়ে ১০০ টাকা উপার্যন করতে আগ্রহী, এমন অনেক কে আপনি চেনেন, তাই না ?? টাকা টা আপনি ক্রেতার থেকে নেন, তারপরে দোকানে দিয়ে আসেন, পরিচিত দোকান হইলে, আর আপনার থেকে বিক্রি হইলে, সে না করে নাই, আমার কোন ক্লায়েন্টের প্রডাক্ট সাপ্লায়ার এ পর্যন্ত না করে নাই।
আর মজার ব্যাপার হলো, যেহেতু এখানে দাম দর করার কোন উপায় নাই, সো লস কাকে বলে, সেটা আপনি অতি জলদি ই ভুলে যাবেন। আপনাকে সুধু নিজের সাইটের মার্কেটিং এর দিকে খেয়াল রাখা লাগবে।
আজ এ পর্যন্ত। পোস্ট এর আগে ফাজলামি ডট কম এ প্রকাশিত। আমার টেক টিউন্স আপডেট পাবেন, আমার ফেসবুক আইডী তে, ধন্যবাদ
আমি শিমুল শাহরিয়ার। Founder, WebSea Internet Solutions, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 90 টি টিউন ও 497 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ব্র্যান্ড কনসাল্টেন্ট, ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার/ডিজাইনার। আমাকে পাওয়া যাবে @ https://ShimulShahriar.com
ভালো লিখেছেন,ধন্যবাদ।