অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলা ফেসবুকের কতোটা জানেন?

ফেসবুক বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বাধিক ব্যবহৃত একটি সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট। স্কুলের পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় ও বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট রাখতে, নতুন বন্ধু জোটাতে, বিভিন্ন নেটওয়ার্কিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে, সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে ইত্যাদি কাজে ফেসবুকের কোনো জুড়ি নেই। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ১৯ বছর বয়সী মার্ক জুকারবার্গ ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুকের অভিষেক ঘটান। ফেব্রুয়ারিতেই হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করেন। বর্তমানে ফেসবুকের রয়েছে ১৪০ মিলিয়নেরও (১৪ কোটি) বেশি ব্যবহারকারী। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ফেসবুকের গত বছরের মাসিক ক্রমবৃদ্ধি ১১৮%। এছাড়া ফেসবুক নিয়ে হলিউডে সম্প্রতি হাই-বাজেটের একটি মুভিও নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। ২০০৯ সালেই হলিউড প্রডাকশন থেকে মুভিটির কাহিনী জানানো হতে পারে।

বিখ্যাত এ সেবাটি ব্যবহার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হলেও ফেসবুক ব্যবহার করা কতোটা নিরাপদ, একবার ভেবে দেখেছেন কি? মনে হতে পারে, এতো বড় একটি সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কোনো গলদ তো থাকতেই পারে না। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ব্যবসা করছে ফেসবুক? তারচেয়েও মজার ব্যাপার হলো, আপনিই আপনার নিজের অজান্তে তাদের অনুমতি দিচ্ছেন আপনার তথ্য নিয়ে ব্যবসা করার। রেজিস্ট্রেশনের সময় টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস এবং প্রাইভেসি পলিসির সঙ্গে একমত পোষণ করা মানেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর ফেসবুকের হস্তক্ষেপের অধিকার সমর্থন করা।
আসুন বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত এ সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট সম্পর্কে এমন কিছু চমকপ্রদ তথ্য জেনে নিই যা জানলে ফেসবুক ব্যবহার করা কেন শুরু করলেন, এ আফসোস করতে পারেন অনেকেই।

ফেসবুক ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে আপনার ব্রাউজারে বেশ কিছু কুকি জমা হচ্ছে। এসব কুকি ফেসবুকই আপনার ব্রাউজারে জমা করছে। এসব কুকি আপনার ব্রাউজার ব্যবহার করে অন্যান্য ওয়েবসাইট ব্যবহার করার সময় আপনার ফেসবুক একাউন্টকে আইডেন্টিফাই করে দেয়। আপনি যদি ব্রাউজারে কুকি ডিজঅ্যাবল করে রাখেন, তাহলে আপনি ফেসবুকে ঢুকতেই পারবেন না।

১০ বিলিয়নেরও বেশি সংখ্যক ছবি রয়েছে ফেসবুকে, যা আপনার মতোই সাধারণ ব্যবহারকারী কর্তৃক আপলোডকৃত। অর্থাৎ ফেসবুক শুধু সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটই নয়, বরং বিশ্বের এক নাম্বার ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইটই বটে! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফেসবুকের প্রাইভেসি পলিসি মতে, ব্যবহারকারী ছবি আপলোডের মাধ্যমে ছবির সব অধিকার ফেসবুককে দিয়ে দিচ্ছেন। অর্থাৎ ফেসবুক আপনার ছবি নিয়ে যা ইচ্ছা তা করতে পারবে।
আপনি কি জানেন, ফেসবুক আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং ফেসবুকে আপনার কর্মকা- সব সংরক্ষণ করে? এমনকি আপনি যদি আপনার একাউন্ট ডিলিটও করে ফেলেন, তবুও ফেসবুকের কাছে আপনার সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।

ফেসবুকের বর্তমানে নিযুক্ত ব্যারিস্টার টেড আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) সাবেক অ্যাটর্নি ছিলেন। বলা বাহুল্য, তিনি সিআইএর ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ অভিযানে প্রাইভেসি ইস্যু নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটিতে বিখ্যাত ছিলেন। অর্থাৎ ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির কাজে নিয়োজিত আছেন একজন বিখ্যাত সিআইএ অ্যাটর্নি।

৪০টি বড় ধরনের ওয়েবসাইটে আপনার কর্মকা-ের ব্যাপারে অবগত আছে ফেসবুক, যাদের সঙ্গে ফেসবুকের পার্টনারশিপ আছে। সেসব ৪০টি সাইটের কোনোটা না কোনোটা হয়তো আপনি ব্যবহার করেন। ব্যবহারের সময় সেসব সাইট আপনার ফেসবুক একাউন্টকে আইডেন্টিফাই করে ফেসবুক কর্তৃক আপনার ব্রাউজারে জমা করা কুকির মাধ্যমে।

ফেসবুকের মালিক মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুককে বিক্রি করার একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রস্তাবে ফেসবুকের দাম ৯৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। ফেসবুক যদি বিক্রি করা হয়, তাহলে ক্রেতার কাছে ফেসবুকের সব ব্যবহারকারীর সব ব্যক্তিগত তথ্যও হস্তান্তর হয়ে যাবে। এমনকি যাদের একাউন্ট ডিলিট করা হয়েছে বা যারা ইচ্ছা করেই ফেসবুক ত্যাগ করেছেন, তাদের তথ্যও! এর মানে হচ্ছে এই যে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যা একবার ফেসবুকে দেয়া হয়েছে, এগুলোকে শেষ করার কোনো উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে আপনি একবার ফেসবুকে প্রবেশ করেছেন তো আপনি ফেসবুকে অমর হয়ে থাকবেন!

ফেসবুক ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তাদের কোম্পানির ১.৬ শতাংশ স্টেক মাইক্রোসফটের কাছে ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করতে সম্মত হয়। অর্থাৎ এক্সক্লুসিভ থার্ড পার্টি কোম্পানি হয়েও মাইক্রোসফট ফেসবুকের সব প্রোফাইলের যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্যাদি পেয়ে যাবে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ ব্যবহারকারীই বিশ্বের সবচেয়ে অল্পবয়সী বিলিওনেয়ার বা শতকোটিপতি (১.৫ বিলিয়ন ডলারের অধিকারী)!

সাইবার স্পেসে ব্যক্তিগত তথ্যাদি অত্যন্ত মূল্যবান এবং এসব গোপন রাখা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ফেসবুকে দেয়া প্রত্যেকটি গোপনীয় ও ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুক আজীবন সংরক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির অধিকারও সংরক্ষণ করে।

আপনি কি কখনো লক্ষ্য করেছেন, ফেসবুক ব্যবহারের সময় পাশে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলো আপনার পছন্দের সঙ্গে মিলে যায়? ফেসবুকের একটি বিশেষ প্রক্রিয়া সাইবার স্পেসে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত কার্যক্রম প্রত্যক্ষ ও বিশ্লেষণ করে যাতে ব্যক্তিগত তথ্যগুলোকে আরো মূল্যবান করে তোলা যায়। অর্থাৎ, ফেসবুকের একটি গোপন চোখ সব সময়ই আপনার একান্ত ব্যক্তিগত কার্যক্রমের ওপর নজর রেখে চলেছে!প্রণীত আইন অনুসারে, আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন, সে দেশে ফেসবুকের কোনো কার্যালয় না থাকলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারেন না। কারণ, আপনার কোনো অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না।
তুমুল বিতর্কের পর ফেসবুকের প্রধান মার্ক স্বীকার করেন, ফেসবুক থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে। এমনকি মুছে দেয়া প্রোফাইলের ব্যবহারকারীর তথ্যও ফেসবুক সংগ্রহ ও সংরক্ষণ অব্যাহত রাখে।

ফেসবুক তৈরিতে মার্ক হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অন্য ছাত্রদের আইডিয়া চুরি করেছেন, এমন একটি দাবি এবং এ নিয়ে আইনি জটিলতাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ফেসবুক ২০০৮ সালের জুনে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে রাজি হয়, এ টাকার পরিমাণ কখনো প্রকাশ করা হয়নি।
আপনি যদি আপনার নাম, ই-মেইল ঠিকানা, ঠিকানা ইত্যাদি পরিবর্তনও করে ফেলেন, তবুও ফেসবুকের ‘ফ্রেন্ড ফাইন্ডার’ অপশনে আপনার সব পুরনো তথ্যাদির রেকর্ড সংরক্ষিত থাকে।

আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে আপনার মোবাইল নাম্বার ‘টাইপ করা’ মোবাইল স্প্যামিং বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
গত বছর ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রায় ১ হাজার ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ব্যান করা হয়েছে। ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশনগুলো পুরোপুরিই সাধারণ ব্যবহারকারীদের দ্বারা তৈরি এবং এগুলো ব্যবহার করা মোটেই নিরাপদ নয়। সুতরাং, ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন এবং ব্যক্তিগত তথ্যাদি দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

সম্প্রতি ফেসবুকের নতুন সংস্করণ উন্মুক্ত হয়েছে। কিন্তু বেশকিছু কারণে ৭০ লাখেরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী নতুন ফেসবুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা আপত্তি জানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি গ্রুপগুলোতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন।

এফবিআইয়ের পরামর্শমতে, গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত লোকজনের (যেমন পুলিশ অফিসার) উচিত ফেসবুক থেকে ব্যক্তিগত তথ্যাদি মুছে ফেলা। কারণ, ফেসবুক থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার খুব সহজেই করা সম্ভব এবং এমনটা হয়ে থাকে।

ফেসবুক দাবি করে, তাদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রয়েছে। কিন্তু এমআইটির (ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলোজি) দুজন ছাত্র স্বয়ংক্রিয় বা অটোমেটেড স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ৭০ হাজারেরও বেশি ফেসবুক প্রোফাইল ডাউনলোড করতে সক্ষম হয়েছিল। এতে বোঝা যায়, ফেসবুকের দাবি সঠিক নয় এবং ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুকে প্রকাশ করা বা দেয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

ফেসবুকের একটি বড় সংখ্যক প্রোফাইলই পেশাদার জালিয়াতদের দ্বারা তৈরি। এসব প্রোফাইলের মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষকে বন্ধুত্বের আবেদন পাঠায় এবং আবেদন গৃহীত হওয়ার পর প্রোফাইলে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়। তাই অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার আগে দশবার চিন্তা করুন!

৪ হাজারেরও বেশি বন্ধু আছে এমন ফেসবুক একাউন্টগুলো প্রায়ই কোনো প্রকার কারণ দর্শানো বা কারণ ব্যাখ্যা করা ছাড়াই বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ফেসবুকের টার্ম অফ এগ্রিমেন্টে কিছু উল্লেখ করা নেই।

ফেসবুক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আপনি বৈশ্বিক সাইবার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন! কেননা আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি ফেসবুকের অন্যান্য পার্টনারদের কাছে ট্রান্সফার করা হচ্ছে, যাদের ব্যাপারে আপনার হয়তো কোনো ধারণাই নেই।

সম্প্রতি ফেসবুক বেশকিছু ভয়াবহ ভাইরাস শনাক্ত করেছে, যা ব্যবহারকারীকে বিনামূল্যে ভিডিওর কথা বলে আক্রমণ করে। অতএব, ফেসবুকে প্রাপ্ত কোনো লিংকে ক্লিক করার সময় সতর্ক থাকুন। ক্লিক না করাই নিরাপদ থাকার শ্রেষ্ঠ উপায়।

ফেসবুক থেকে প্রায়ই চুক্তিপত্রের নীতিমালা লঙ্ঘনের নামে ছবি মুছে দেয়া হয়ে থাকে। তবে এসব ছবি চুক্তিপত্রের ঠিক কোন ধরনের লঙ্ঘনের কারণে মুছে দেয়া হয়েছে, তা কখনোই ব্যবহারকারীকে জানানো হয় না। অর্থাৎ ফেসবুকে আপনার ছবি অকারণেই ডিলিট বা অপব্যবহারের শিকার হতে পারে।

ফেসবুক বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও এটি ব্যবহার যে সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, তা কিন্তু ফেসবুক নিজেই উল্লেখ করে রেখেছে তাদের টার্মস অফ এগ্রিমেন্ট এবং প্রাইভেসি পলিসিতে। কিন্তু সাধারণত কোথাও রেজিস্ট্রেশনের সময় ব্যবহারকারীরা এগ্রিমেন্টের সঙ্গে একমত পোষণ করে রেজিস্ট্রেশন করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ব্যবহারকারী জানেনই না সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নীতিমালা কী বা গোপনীয়তার নীতি কী। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তারই পরিণাম ভোগ করতে হবে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য পাচার হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে। সুতরাং, ফেসবুকে কোনোক্রমেই ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়। অন্যথায় আপনার তথ্য নিয়ে ব্যবসা চালাতে থাকবে ‘জনপ্রিয়’ ও‘বিশ্ববিখ্যাত’ এই নেটওয়ার্কটি।

প্রথম প্রকাশ দৈনিক যায়যায়দিন

Level 0

আমি মো. আমিনুল ইসলাম সজীব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 201 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

দরকারী টিউন। সবার জানা থাকা দরকার। আর একান্তই প্রয়োজন না হলে এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার বিরূদ্ধে আমি। যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে নিজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে নেয়াই উত্তম। এখনকার সময়ে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরী করা আহামরি কোন ব্যাপার নয়। এ ধরনের ফ্রড সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো পরিহার করাই বেটার।

সজীব ভাই আপনি একটা দরকারি টিউন করেছেন।এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।সত্যিকথা বলতে কি সজীব ভাই এখন আমাদের অনেক কিছু চিন্তা করার সময় এসেছে।চিন্তা-ভাবনা করেই আমাদেরকে সামনে এগয়ে যেতে হবে।ধন্যবাদ।

এজন্যেই আমি কোন ব্যাক্তিগত তথ্য অনলাইনে দেইনা!