বর্তমানে এই ইন্টারনেট এর যুগে আমরা সবাই কম বেশি ইন্টারনেট এর উপর নির্ভরশীল। এই ক্ষেত্রে নিরাপত্তা খুবই একটি গুরত্তপূর্ণ বিষয়। আমি আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ১০ টি উপায় বের করেছি। আমি বিশ্বাস করি আপনি যদি এই ১০ টি উপায় মনে রাখেন তাহলে আপনি ইন্টারনেট এ নিরাপদ থাকতে পারবেন।
বর্তমানে সামজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলো ইন্টারনেট কে নিয়ন্ত্রন করছে। এই গুলো অবশ্যই আপনার বন্ধু ও পরিবারের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে গুরত্তপুরন ভুমিকা পালন করতেছে। কিন্তু আপনি যখন আপনার wall এ অথবা আপনার বন্ধুর wall এ পোস্ট করতেছেন, তখন কি আপনি খেয়াল করছেন যে আপনি যেটি পোস্ট করছেন সেটির দ্বারা কারও ক্ষতি হচ্ছে কিনা। অবশ্যই পোস্ট করার পূর্বে ভালভাবে খেয়াল করবেন।
অধিকাংশ কোম্পানীর আজ জনসাধারনের কাছ থেকে তাদের বার্তা পেতে অনলাইন বিজ্ঞাপন অবলম্বন করছে। দুর্ভাগ্যবশত, অনেক বিজ্ঞাপন আছে যেগুলো আসলে কোন বিজ্ঞাপন না এগুলো হল একধরনের ফাঁদ। তাদের উপর ক্লিক করা হলে আপনি একটি সাইবার আক্রমণের শিকার হতে পারেন। তাই বুঝে শুনে click করতে হবে.
মানুষের সবচেয়ে বড় ভুল, তা হল তারা তাদের নিরাপত্তা সফ্টওয়্যার up to date রাখেনা। কারন একটি সাইবার আক্রমণের ক্ষেত্রে; একটি ফায়ারওয়াল কোন বহিরাগতকে আপনার কম্পিউটারে যেমনি প্রবেশ করতে দেয়না, তেমনি একটি স্পাইওয়্যার অননুমোদিত প্রোগ্রাম ইনস্টলেশন প্রতিহত করে।
আপনি যদি কোন website থেকে কোন কিছু ক্রয় করেন আপনার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে, তাহলে খেয়াল রাখুন আপনার ক্রেডিট কার্ড এর বিবরণ ভুল হাতে যেন না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। চকচকে ক্রয় বাটন ক্লিক করার আগে, ওয়েবসাইটের একটি ভাল খ্যাতি আছে কি না তা ভালভাবে যাছাই করুন।
আপনি যদি কোন পাবলিক ফোরামে পোষ্ট করেন, তাহলে যতটা সম্ভব নিজেকে বেনামী করতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজন ছাড়া অপ্রয়োজনে আপনার কোন picture দিয়ে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করবেন না। কারন এতে কিছুটা হলেও আপনি অনিরাপত্তার সম্মুখিন হতে পারেন।
যে কোনো পরিস্থিতিতে আপনার অফিসের ইমেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য একটি পাবলিক ওয়েবসাইটে ব্যবহার করবেন না। আপনি এর মাধ্যমে শুধু একজন অপরিচিত বাক্তিকে আপনার তথ্য দিচ্ছেন না সেইসাথে আপনি আপনার ব্যবসাকে এক ঝুকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন। আপনার একটু ভুলের কারনে আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে।
এখন বেশীরভাগ ওয়েবসাইটে অন্তত আপনার নাম এবং ইমেইল ঠিকানা দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এই ক্ষেত্রে যে কোন ওয়েবসাইটে আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিতে যাবেন না, কারন আপনার ইমেইল এ একটি নিউজলেটার প্রয়োজন নাও হতে পারে, শুধুমাত্র যে ওয়েবসাইট এর তথ্য আপনার প্রয়োজন হবে শুধু সেখানেই sign up করবেন।
মনে হতে পারে এটা তো কখনও হতে পারে না, কিন্ত এটাই id hacking এর মুল কারন। আপনি আপনার নিজের নিরাপত্তার জন্য দায়ী, এবং কাওকে passward বলার মানে হচ্ছে যে আপনি তাকে request করতেছেন আপনার id hack করার জন্য।
আপনি আপনার বন্ধু এবং পরিবারকে শেখান যে কিভাবে তারা ইন্টারনেট এ নিরাপদ থাকতে পারেন। আপনার একটু সচেতেনতায় পারে একজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
এইরকম আরও টিপস পেতে ঘুরে আসতে পারেন আমার ENGLISH blog TECH SITE BD. আপনাদের গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি আমার ব্লগ সম্পর্কে।
ফেসবুকে আমি।
আমি Shojib। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 24 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
খুব ভালো লাগলো । ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা টিউনের জন্য ।