স্বরণকালের শ্রেষ্ঠ বিড়াল-নাচ দেখে আপনি ও নাচতে চেষ্টা করুন, একটি বিশ্ময়কর ওয়েবসাইট

আস্-সালামু আলাইকুম। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড এর মধ্যেকার ম্যাচটি দারুণভাবে উপভোগ করেছেন।

প্রথমে আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম কে অভিনন্দন জানাই আমাদেরকে এরকম একটি অবিশ্বাস্য বিজয় এনে দেওয়ার জন্য।

আইডিয়া টা আসলে “বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড” ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যমেই সুত্রপাত হয়েছিল। আমরা অনেক বন্ধু মিলে খেলা উপভোগ করছিলাম। আমি এবং আমার আরো দুজন বন্ধু- বাংলাদেশ এই ম্যাচে বিজয়ী হবে এরকম একটি মন্তব্য করি। পাশাপাশি একথা শোনার পর আমাদের বাকি ছয়জন বন্ধু আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তারা বলে এই ম্যাচ অবশ্যই নিউজিল্যান্ড জিতবে, বাংলাদেশ জিততে পারবে না। এরপর শুরু হল বাজি ধরা। তারা ম্যাচের রেজাল্ট নিয়ে আমাদের সাথে বাজিতে অংশ নেয়।

বাংলাদেশের দ্রুত তিন উইকেট পতনের কারনে তাদের মাঝে বেশ উৎসাহের সূচনা দেখা দেয়। তারপর মুশফিক-নাঈম জুটির কারনে তাদেরকে অনেকটা সময় বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। অবশেষে বাংলাদেশের কাঙ্খিত স্কোর না হওয়ায় তাদের মাঝে আবারো আশার আলো ফিরে এসেছিল। তবে খেলার পুরো অংশে আমাদের এবং তাদের মধ্যে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।

আমাদের মেজাজ হট করার জন্য তারা বিভিন্ন আকার-ইঙ্গিত ও শারিরীক দৃষ্টিভাব দেখানো শুরু করল। আমরা এমনিতেই সংখ্যায় কম, মাত্র তিনজন। আর ওদিকে তারা ছয়জনই আমাদের বিপক্ষে। যাইহোক, নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নামার পর বেশ কিছুটা স্বস্তি বোধ করছিলাম। কেননা বৃষ্টির আগেই তাদের মূল্যবান তিন-তিনটি উইকেটের পতন ঘটে। দলীয় ৮২ রানের মধ্যেই শুরু হয় বৃষ্টি।

বৃষ্টির পর প্রথম ওভারের খেলা দেখেই আমাদের বিপক্ষের বন্ধুরা বেশ উত্তেজিত হয়ে পরে। কেউ কেউ লাফালাফি শুরু করে দেয়। এরপর আমরা ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির স্কোর পর্দায় দেখতে পেয়ে তো পুরাই ফিট হবার মত অবস্থা। কেননা ম্যাক-কালামের মত একজন ব্যাটসম্যান ও যে তখনো নিউজিল্যান্ডের স্টকে রয়ে গিয়েছিল। যাইহোক দ্বিতীয় ওভার শুরু হল, এবং শেষ ও হল। সাথে সাথে আমাদের বিপক্ষের বন্ধুরা নাচতে শুরু করল। আমরা তিন বন্ধু তখন বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলাম, সত্যিই তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। এরকম অবস্থায় তৃতীয় ওভারের খেলাও শেষ হল। পাশাপাশি নিজেদের অবস্থা এমন হল যে, শ্বাস নিতেও তখন কষ্ট হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল যে পরযাপ্ত পরিমানে অক্সিযেন যেন আশেপাশ থেকে পাচ্ছিলাম না। ওদিকে বিপক্ষের বন্ধুরা ইচ্চেমত নাচতে শুরু করল, আর সাথে এত চিল্লা-ফাল্লা করছিল যে কানের পর্দা ফাটিয়া যাইবার মত অবস্থা দেখা দিয়েছিল।

যাইহোক, আশাহত আমরা তিন বন্ধু ব্যর্থ হয়ে দাড়িয়ে গেলাম, কি লজ্জাকর অবস্থা। রুবেল আসল বল করতে। হঠাৎ ঠিক চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলেই নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ উইকেটের পতন হল, আর সাথে সাথেই আমার বিপক্ষের বন্ধুদের নাচও অনেকটা স্তিমিত হয়ে আসল। কেননা মূল্যবান একটি উইকেটের পতন হয়েছিল।

যাইহোক, পরের বল দেখার জন্য বেশ উৎসাহ বোধ করছিলাম। বলটি করার সাথে সাথে উইকেট পরতে দেখে ভীষন জোরে চিৎকার শুরু করলাম। ততক্ষনে আমাদের বিপক্ষের বন্ধুদের নাচ ও বন্ধ হয়ে গেল।

বেশ আনন্দের সাথে ক্রিকেট খেলা উপভোগ করতে লাগলাম। কেননা দুটি বলেই দুটি উইকেটের পতন ঘটেছিল। যাইহোক, রুবেল তার পরের বল করল এবং সাথে সাথেই হ্যাট্রিক হয়ে গেল!! দেখে তো আমাদের বেহুশ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। কেননা ম্যাচের এই নাটকীয় পরিবর্তন যে নিজের চোখে দেখে বিস্বাস ই হচ্ছিল না।

অপরদিকে আমাদের বিপক্ষের বন্ধুরা তো এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তারা তখন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমরা তিনজন বন্ধু মিলে বেশ আনন্দ শুরু করে দিলাম, ওদিকে তারাও ম্যাচের আশা ছাড়েনি। বেশ বিতর্ক চলছিল। তারপর ম্যাচ যখন বাংলাদেশ জিতে নিল আমদের মাঝে বেশ আনন্দ দেখা দিয়েছিল সত্যিই তা বোঝাতে পারব না। ওদিকে আমাদের বিপক্ষের বন্ধুদের চেহারার অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল যে, সত্যি বলতে- চোর ধরা পরলে যেরকম অবস্থা হয় ঠিক সেই রকম অবস্থা !!

যাইহোক, আমরা আমাদের বিপক্ষের বন্ধুদের মেজাজ টা পুরোপুরি বিগড়ে দিতে উক্ত ওয়েব সাইট টি-তে প্রবেশ করলাম। পাশাপাশি কম্পিউটার স্পিকারের পুরো ভলিউম বাড়িয়ে দিয়ে বিড়াল নাচ দেখা শুরু করলাম আর সাথে সাথে নাচতেও লাগলাম॥ আমাদের বিপক্ষের বন্ধুদের অবস্থা এমন হয়েছিল যে, আরেকটু হলে প্রায় তারা কান্নাই করে দিত। লজ্জায় তাদের মাথা নিচু হয়ে গিয়েছিল। সেই মূহুর্তে আমাদের মাঝে আরো বিজয়ী উল্লাসিত দর্শক হাজির হতে লাগল। শুরু হয়ে গেল বিড়াল নাচ প্রতিযোগিতা, সবাই নাচতে লাগলো আর ওদিকে আমার বিপক্ষের পরজিত বন্ধুরা পালানোর পথও খুজে পেলনা। কেননা সবাই তাদের কে ঘিরে রেখে আনন্দ করতে লাগল।।

“আসুন নিজের দেশকে ভালো বাসতে শিখি”

বিশ্ববিখ্যাত বিড়াল নাচের ওয়েবসাইটের লিংক-

বিড়াল নাচ

আপনি ইচ্ছে করলে বিড়ালটির মাথার অংশে যেকোনো ছবি এড করতে পারবেন। আমি আমাদের পরাজিত বন্ধুদের ছবির মাথার অংশটি সিলেক্ট করে সেসময় বেশ মজা করেছিলাম।

ছবি এড করার জন্য পেজের বাম অংশের উপরের লিখাটি তে ক্লিক করুন। তারপর খালি বক্সের ডান পাশের লিখাটিতে ক্লিক করে ছবির লোকেশন দেখিয়ে দিন। এবার এর নিচে থাকা লিখাটি তে ক্লিক করুন।

এবার ছবিটিকে ড্রাগ করে মাথার অংশটি সিলেক্ট করে দিন। এবং নিচের ডান পাশ্বের লিখাটিতে ক্লিক করুন। এবার মাঝখান যেকোন লেখা সিলেক্ট করে ড্রেস পরিবর্তন করুন। আপনারা উক্ত সাইট টি কিছুক্ষণ ব্রাউজ করলে সব কিছুই বুঝতে পারবেন।

[বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনি যদি নাচতে নাও জানেন তবুও আপনার উঠোন বাকা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। হাঃ.. হাঃ.. হাঃ..]

আশা করি পোষ্ট টি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজ এ পর্যন্ত। সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ্ হাফেজ।

অনেক গুরত্বপূর্ণ তথ্যসহ ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজির সকল সমস্যার সমাধানে, ITsolution page এগিয়ে এসেছে আপনার-ই সহযোগিতার লক্ষ্যে। আপনার প্রশ্নটি পেজে প্রদানের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে যেকোন জটিল সমস্যার সহজ সমাধান নিন। ITsolution page

Level 0

আমি Shariful Islam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 50 টি টিউন ও 157 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

NZ will be whitewash………….