ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব(WWW)
ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বিভিন্ন ডকুমেন্ট আক্সেস করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যোগাযোগ করা যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে।
ইন্টারনেটের ইতিহাসঃ
১৯৬৯ সালে ইন্টারনেট আবিষ্কার হয় প্রতিরক্ষা বাহানি দ্বার।
১৯৮০ সালের মধ্য ভাগে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় শুধু সুপার কম্পিউটারের মধ্যে। তখনও বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয় নি।
১৯৯০ সালের দিকে ইন্টারনেটের বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয়।
ইন্টারনেটের আজ এবং কালঃ
প্রতি মাসে প্রায় ১০০০০০ সংখ্যক নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হয়। আমেরিকার ৫০% এর বেশি পরিবার অনলাইনে থাকে। আমেরিকায় ইন্টারনেটের বেড়ে ওঠা(২০০০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত)।
ইন্টারনেটের মূল সেবা সমূহঃ
ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডাব্লিউ(WWW)
ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডাব্লিউ এর পূর্ণ রূপ হল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব(WWW=World Wide Web)হল। ১৯৯৩ সালে টিম বারনারস লি(Tim-Berners Lee)ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আবিষ্কার করেন। বিভিন্ন ডকুমেন্ট পড়ার জন্য একটি ব্রাউজার প্রয়োজন।ডকুমেন্টগুলো একটি ওয়েব সার্ভারে
ই-মেইল(E-mail)
ই-মেইল এর পূর্ণ রূপ হল ইলেক্ট্রনিক মেইল(E-mail= Electronic mail)। ই-মেইলের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ ডকুমেন্ট পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পাঠানো যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে।ই-মেইলের মাধ্যমে চ্যাট করা যায়।
জিমেইল, ইয়াহু, হট মেইল ই-মেইল সেবা দিয়ে থাকে।
এফটিপি(FTP)
এফটিপি এর পূর্ণ রূপ হল ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল(FTP=File Transfer Protocol)।এর মাধমে ফাইল আদান প্রদান করা যায়।
চ্যাট(Chat)
ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে চ্যাট করা যায়।
যেমনঃ ফেসবুক, স্কাইপি, গুগলটক ইত্যাদি।
ইন্টারনেট ব্যাবহারঃ
আইএসপি(ISP)
আইএসপি এর পূর্ণ রূপ হল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার(ISP=Internet Service Provider)। আইএসপি হল ইন্টারনেট সরবরাহকারী কোম্পানি।
ডায়েলআপ(Dialup)
ডায়েলআপের মানে হল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সাথে যুক্ত হওয়া। এটি একটু ধীর সংযোগ।
হাই স্পিড আক্সেসঃ
হাই স্পিড আক্সেস হল কোন বিশেষ লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সাথে যুক্ত হওয়া। এটি ডায়েলআপের তুলনায় অধিক(২-২৫ গুন) দ্রুত গতি সম্পন্ন সংযোগ।
ইন্টারনেটের টুকিটাকিঃ
ওয়েবসাইটঃ
ওয়েবসাইট হল ডকুমেন্টের সমষ্টি। ডকুমেন্টগুলো হল ওয়েবপেজ। পেজগুলোকে ওয়েবে প্রকাশ করা হয়।
এইচটিএমএলঃ
এইচটিএমএল এর পূর্ণ রূপ হল হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ(HTML= Hypertext Markup Language)। এইচটিএমএল এর মাধ্যমে ওয়েবপেজ তৈরি এবং ডিজাইন করা হয়। ট্যাগের মাঝখানে কনটেন্ট থাকে। <ট্যাগ>কনটেন্ট<ট্যাগ>(<tag>content</tag>)
ব্রাউজারঃ
ব্রাউজারের মাধ্যমে এইচটিএমএলকে পড়া ও অনুবাদ করা হয়। ব্রাউজার ওয়েবের কনটেন্ট প্রদর্শন করে।
যেমনঃ গুগলক্রোম,অপেরা,সাফারি,মজিলা ফায়ার ফক্স ইত্যাদি হল ব্রাউজার।
ইউআরএলঃ
ইউআরএল এর পূর্ণ রূপ হল উনিফরম রিসোর্স লোকেটর (URL=Uniform Resource Locator) । এটি হল ওয়েবপেজের ঠিকানা। যেমনঃ http://www.google.com.bd একটি ইউআরএল
সার্চ ইঞ্জিনঃ
সার্চ ইঞ্জিন হল যার মাধ্যমে আমরা ওয়েবে কোন কিছু সার্চ করতে পারি।
যেমনঃ গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি হল জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন।
আমি মুঃ মশিউর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Bachelor of Science in Computer Science and Engineering