তাহলে শুরু করা যাক। আজ আলোচনা হবে সার্ভার, ইন্টারনেট রিসোর্স বা সার্ভিসেস এর উপর
বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক সার্ভার:
১.ফাইল সার্ভার(File Server):
এধরনের সার্ভার ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী বা ক্লায়েন্টদের ফাইল শেয়ার বা ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়।
২.প্রিন্ট সার্ভার(Print Server):
প্রিন্ট সার্ভার মুলত কোন নেটওয়ার্কে একটি একক প্রিন্টার বা কতগুলো পিন্টারের গ্রুপকে কন্ট্রোল করে থাকে।
৩.অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার(Application Server):
এ ধরনের সার্ভার নেটওয়ার্কের অতিরিক্ত কম্পিউটিং ক্ষমতা ও অত্যান্ত দামি সফটওয়ার ক্লায়েন্ট পিসিকে ব্যবহার করার সুযোগ করে দেয়।অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার মূল প্রোগ্রামটি তার শক্তিশালী মেশিনে চালিয়ে দেয় এবং ক্লায়েন্ট পিসির বোঝা অনেকখানি হালকা হয়ে যায়।ধরাযাক অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার এ মাইএসকিউএল চালু আছে এবং কোন ক্লায়েন্ট তার ডাটাবেজ থেকে একটি বিশেষ রেকর্ড খুজেবের করার কমান্ড পাঠায় তবে সিক্যুয়ল সার্ভার ডাটাবেজ ঘেটে সেই রেকর্ড টি মুর্হুতের ভেতর বের করে দেয়।এছাড়া এ অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে কোন কোম্পানি তার সফটওয়ার লাইসেন্সিং খরচ কমাতে পারে।
৪.মেসেজ সার্ভার (Massage Server): মেসেজ সার্ভার সাহায্যে ডেটা গ্রাফিক্স,অডিও,ভিডিও,টেক্স এবং বাইনারী আকারে নেটওয়ার্কে চলাচল কারতে পারি।
*ইলেকট্রনিক মেইল বা ই-মেইল(Electronic Mail)
*ওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশন(Working Application)
*অবজেক্ট অরিয়েন্টেড অ্যাপ্লিকেশন(Object Oriented Application)
*ডাইরেক্টরি সার্ভিসেস (Directory Application)
৫.ডেটাবেজ সার্ভার(Database Server):
নেটওয়ার্কে ডেটাবেজ সার্ভার অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রকৃতির পিসি বা ওয়ার্কস্টেশনকে শক্তিশালী ডেটাবেজ ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়।
৬.ই-মেইল সার্ভার(E-mail Server):
ই-মেইল সার্ভার নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট থেকে প্রাপ্ত মেসেজসমূহ জমা করে এবং তা প্রয়োজনে অন্য সার্ভার বা ক্লায়েন্ট প্রান্তে ট্রান্সফার করে।
৭.ওয়েব সার্ভার (web Server):
ওয়েব পেজ বা ওয়েব সাইট যে সার্ভার এ সংরক্ষিত থাকে তাকে ওয়েব সার্ভার বলে।
ইন্টারনেট রিসোর্সেস এবং সার্ভিসেস (Internet Resources and Services):
ইন্টারনেট রিসোর্স বা সার্ভিসেস পরিধি এখন বেশ বিস্তৃত। এর এক একটি সার্ভিসের ধরন বা বৈশিষ্ট্য একেক রকম। ইন্টারনেট থেকে আপনার চাহিদামতো সার্ভিসটি গ্রহন করতে পারেন প্রয়োজনীয় সফটওয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে।
ইন্টারনেট রিসোর্স বা সার্ভিসেস গুলো হল:
১.ই-মেইল সার্ভিস (E-mail):
ই-মেইল কি তা হয়তো সবাই জানেন তাই আর বললাম না।ই-মেইলের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রম ব্যবহার করতে হবে যেমন: ইডোরা(Edora),মাইক্রোসফট আউটলুক(Microsoft Outlook)ইত্যাদি।এছাড়া আপনি ওয়েব পোর্টাল জিমেইল(Gmail),ইয়াহু(Yahoo),হটমেইল(Hotmail),রিডিফ(Rediff) ইত্যাদি ব্যবহার করেও ই-মেইল আদান প্রদান করতে পারেন।
২.ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW-World Wide Web):
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কে অনেকে ওয়েব নামেও অভিহিত করে থাকে।একটি অনেক বড় সিস্টেম যা অনেকগুলো সার্ভার নিয়ে গঠিত তাকে আমরা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বলে থাকি।
3.ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন (Web Search Engine):
আপনি কোন তথ্য জানতে চাচ্ছেন এবং যদি জানেন ওই তথ্যের সংশ্লিষ্ট ওয়েব পেইজ কোনটি তাহলে খুব সহজেই ওয়েব ব্রাউজারে নির্দিষ্ট করে দিতে পারছেন ওয়েব পেইজের ঠিকানা।কিন্তু আপনি যদি ওই তথ্যের জন্য কোন নির্দিষ্ট ঠিকানা না জানেন তাহলে আপনি কি করেন?Google মামার হেল্প নেন তাই না?এই Google মামাই হচ্ছে ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন (Web Search Engine)।এই রকম বিশ্বে অনেক ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন (Web Search Engine)আছে।এই সার্চ ইঞ্জিন গুলোর কাজ বিভিন্ন ওয়েব পেজ বা সাইট এর তথ্য গুলোর লিষ্ট নিজের মেমরিতে রাখা যখন কারো প্রয়োজন হবে ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন মধ্যমে সার্চ করবে এবং ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন তা ট্রেস করে বের করে দিবে।
4.গোফার (Gopher):
গোফার এই নাম টি হইতো অনেকের কাছে নতুন।যাইহোক গোফার সিস্টেম হচ্ছে অনেকটা ওয়েবের মতো।এই সিস্টেমে এক জন ইউজার কোনো নির্দিষ্ট গোফার সার্ভারে সংযুক্ত হয়ে প্রয়াজনীয় তথ্য ডাইনলোড করতে পারে।গোফারে যে সকল তথ্য গুলো পাওয়া যায় তাকে গোফারস্পেস বলে।গোফারের সাথে ওয়েবের পার্থক্য হচ্ছে এখানে তথ্য সংগঠন বা বিন্যাসের ধরন ভিন্ন।(আরো অনেক আলোচনা আছে দয়া করে নেট এর Gopher System লিখে সার্চ দিলে আনেক কিছু জানতে পারবেন করণ এটি একটি বিশাদ আলোচনা)
5.এফটিপি বা ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল (FTP-File Transfer Protocol):
ইন্টারনেটে এফটিপি বা ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল এমন একটি সার্ভিস যা ব্যবহার করে আপনি ফাইল এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে কপি করতে পারেন।ফাইল কপি করার জন্য এফটিপি ব্যবহার করা হবে যখন দু’টি কম্পিউটারই ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকবে।ফাইলকপি শুরুর পূর্বের কাজ হচ্ছে স্থানীয় লোকাল কম্পিউটারের ইউজারকে দূরবর্তী বা রিমোট কম্পিউটারে লগইন করা।আপনি লগইন না করেও ফাইল কপি করতে পারেন।এ ক্ষেত্রে আমরা Userid , Anonymous, Guest Account হোল্ডার হিসাবে ফাইল কপি/আপলোড/ডাউলোড করতে পারি।
6.টেলনেট (Telnet):
টেলনেট হচ্ছে এমন একটি সার্ভিস যার সাহায্যে আপনি দূরবর্তী অবস্থানের কোন কম্টিউটারে লগইন করতে পারবেন এবং এর থেকে রিসোর্স ব্যবহার করতে পারেন।দূরবর্তী কম্টিউটারে সংযোগ স্থাপনের জন্য আপনাকে একটি টেলনেট ক্লায়েন্ট প্রোগ্রামের সহায়তা নিতে হবে।টেলনেট স্থানীয় বা লোকাল কম্পিউটারটিকে টার্মিনাল এবং দুরবর্তী অবস্থানের যে কম্পিউটারের সাথে আপনি সংযোগ স্থাপন করবেন তাকে হোস্টের সাথে তুলনা করতে পারেন।
7.কথা বলার সুবিধা এবং কনফারেন্সিং (Talk Facilities and Conferencing):
ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনি বাস্তব সময়ে অন্যান ইউজারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।এ যোগাযোগ হতে পারে মেসেজ বা বার্তা(অডিও,ভিডিও)।
৮.ইন্টারনেট রিলে চ্যাট বা আইআরসি (Internet Realay Chat or IRC):
এটি এক ধরনের পাবলিক টক ফ্যাসিলিটি।এ ফ্যাসিলিটি যে কোন ইউজার ব্যবহার করতে পারে।আইআরসি-তে আলাচনা বা খথাবর্তা সম্পূর্ন পাবলিক ,এখানে আলাপচারিতার গোপনীতা নিশ্চিত করা যায় না।তাই কারো সাথে প্রাইভেট আলাপ আলাচনা জন্য আপনাকে বিশেষ ক্লায়েন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে হবে।ইন্টারনেট এ ধরনের সুবিধা এখন অনেক উন্নত ও এগুলো ব্যবহার করাও বেশ সহজ।
ইন্টারনেট যা যা নিয়ে গঠিত আগামী পোষ্টে আলোচনা করা হবে…….
আমার পোষ্ট ভালো লাগলে জানাবেন এবং ভুল হলে ক্ষমা করেন।আজ এই পর্যন্তই পরে আবার অনেক কিছু নিয়ে হাজির হবো ।সবাই ভালো থাকেন আল্লাহ্ হাফেজ।
সময় থাকলে এই পেজ এ একটা লাইক দিয়েন:
আমি রাজিব বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 67 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজী ভালোবাসি তাই টেকটিউনস্ এ বারবার আসি...... http://itv24.co/
Thank You… 🙂