এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে,
অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে অবশেষে, বাংলাদেশ “ডিজিটাল বাংলাদেশে” রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। আমরা জানি বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটের কোন বিকল্প নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন ছিল, সেটা হল উন্নত গতির ইন্টারনেট। যা আমরা ইতিমদ্ধেই পেয়ে গেছি।
এতদিন আমরা কম গতিসম্পন্ন ইন্টারনেটের কারনে অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে পিছিয়ে ছিলাম। ফলে আমাদের দেশের ফ্রিলান্সাররা ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে অবহেলিত হত। আমরা আশা করছি, এখন থেকে আমার দেশের ফ্রিল্যান্সাররাও দেখিয়ে দেবে যে, আমরাও পারি।
সকল ফ্রিল্যান্সারদেরকে বলছি, আপনাদের দাবি ছিল দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা। আশা করি আপনারা সবাই তা পেয়ে গেছেন। তাই এখন থেকে বেশি বেশি কাজ করে দেশকে উন্নত করার চেস্টা করুন। বাংলাদেশের অনেক প্রতিভাবান ফ্রিল্যান্সার আছেন, যারা বিশ্বের সেরা ফ্রিল্যান্সারদের কাতারে আছেন। তারা অনেকটা পিছিয়ে ছিল শুধুমাত্র ইন্টারনেটের গতির কারনে। আশা করি আগামি ৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের সেরা ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে প্রথম ১০ জন বাংলাদেশ থেকেই নির্বাচিত হবেন।
ফ্রিল্যান্সারদেরকে আবারো বলছি, আপনাদের কোন সমস্যা বা অসুবিধা হলে সরাসরি আমাকে বলবেন। আপনাদের সকল সমস্যা সমাধানের সর্বাত্মক চেষ্টা আমি করব। আপনারা দেশের ভবিষ্যৎ। আপনারাই একদিন দেশকে অনেক উপরে নিয়ে যাবেন।
সকল ফ্রিল্যান্সারদেরকে বলব, আপনারা আমার সাথে থাকুন আমি আপনাদের সাথে থাকব। গত ৫ বছরে আমি আপনাদের সকল সমস্যা সম্পর্কে ভেবেছি এবং যথেষ্ট পরিমানে সমাধানের চেষ্টা করেছি। আমাকে আগামি নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাদের সাহায্য করার সুযোগ দিবেন। এই প্রত্যাশায় -
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা
গতরাতে স্বপ্নে দেখলাম এক ফ্রিল্যান্সার সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্য দিচ্ছেন। অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ঘুম ভাঙ্গতেই দেখলাম যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার কিছু কথা,
হে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি কি দেশের কথা একটুও ভাববেন না? গত ৪ বৎসর তো অনেক খেয়েছেন, শেষ বৎসরটা অন্তত আমাদের কথা ভাবুন। আমরা আপনার কি ক্ষতি করেছি?
আমাদের দোষ কি এটাই যে, ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনার আমলা মহলে যেতে হয় না। আমাদের দোষ কি এটাই যে, আমাদের রক্ত ঘামান টাকা থেকে আপনাকে কিছু দিতে হয় না। আমরা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারি, এটাই কি আমাদের দোষ?
আমরা প্রতি বৎসর শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছি, এটা কি আমাদের অপরাধ? আমরা বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে একটি ভালো পজিশনে নিয়ে আসছি, এটা কি আমাদের ভুল?
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলতে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের একটি সুনাম আছে। সেটা কি আপনি জানেন? অবশ্য আপনার জানার কথাও না। আপনি শুধু জানেন ইন্টারনেটের প্রয়োজনই শুধুমাত্র VOIP এর জন্য।
ফ্রিল্যান্স মারকেটপ্লেসের ওয়ার্কারদের মধ্যে ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে। তারপরও আমরা আমাদের কাজের দক্ষতা দেখিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। কিন্তু এখন আপনি এটা কি করলেন?
আপনি কি জানেন? অনেক ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টের দেশে স্যাটেল হবার অফার পায়। তারা যায় না, কেন জানেন? কারন তারা দেশকে ভালোবাসে। তারা দেশকে অনেক উপরে নিয়ে যেতে চায়। আর আপনি নিচ থেকে টেনে ধরেন। আপনি কি দেশকে একটুও ভালবাসেন না?
আপনি কি জানেন যে, আপনার এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ কতখানি পিছিয়ে যাবে? ক্লায়েন্টদেরকে এবার আর আটকিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের সময়ের মূল্য না থাকতে পারে, কিন্তু তাদের সময়ের মূল্য আছে। আমি জানি এটা আপনার পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব না। আমাদের দিকে আপনার ফিরে তাকানোর সময় নেই। আসলে আপনারও সময়ের মূল্য আছে। অযথা আমাদের দিকে তাকিয়ে সময় নষ্ট করার মানুশ আপনি না।
হে আমাদের নেতা,
আপনি কি জানেন , কারা ফ্রিল্যান্সিং করে? যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছাত্র এবং বেকার যুবক। আপনার এই সিদ্ধান্তে ছাত্ররা যখন কলেজ/ভার্সিটির খরছ দিতে পারবেনা তখন কি আপনি তাদের কথা শুনবেন? আপনার এই সিদ্ধান্তে বেকার যুবকরা ফিরে যাবে আবার পূর্বের বেকারদের মত নেশার জগতে।
আমাদের আশা অনেক উপরে আর আপনার চিন্তা ১৯৯২ সাল। আমরা এমনিতে অনেক পিছিয়ে আছি, তার উপর আপনি লাথি দিয়ে আরও পিছিয়ে দিলেন।
আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিব বুঝতে পারছিনা। ইন্টারনেটের রক্তচোষা দাম হওয়া সত্ত্বেও এতদিন আমরা চুপ করে ছিলাম। এবার আপনি আমাদের জাগিয়ে তুললেন। আপনি কি জানেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত স্বল্প মুল্যে কত দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে? আপনার তো জানার কথা। আপনি তো ভারতকে সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসেবে জানেন। তাহলে এটুকু আপনার মাথায় আসেনা যে, তারা কি দিচ্ছে আর আমি কি দিচ্ছি।
এই কি আপনার ডিজিটাল বাংলাদেশের নমুনা? অনেক আশা নিয়ে আপনাকে নির্বাচিত করে ছিলাম। মনে একটা স্বপ্ন ছিল যে, সবাইকে বলব আমি ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিক। কিন্তু কিছুই পেলাম না।
জানি আমার কথাগুলি আপনার কাছ পর্যন্ত পৌঁছাবেনা, তারপরও বলছি আমরাও সংখ্যায় কম না। তাছাড়া আমরা বাঙালি। আপনি নিশ্চই বাঙালি যুবকদের ইচ্ছাশক্তি সম্পর্কে জানেন।
ফ্রিল্যান্সার ভাইদের বলছি,
এভাবে অনলাইনে তর্ক করে দাবি আদায় করা যাবে না। আমাদের এক হতে হবে। জানি অনেক কষ্ট হবে, তারপরও তো এভাবে বসে থাকা যায় না। আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা দিয়ে নিশ্চয়ই আপনার বাবার অনেকটা সাহায্য হয়। তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং ছাড়া আপনারই ভালো লাগবে না। আমি নিশ্চিত আমরা সবাই এক হলে নিশ্চয়ই আমাদের দাবি পুরন করতে সক্ষম হব।
আশা করি খুব শীঘ্রই আন্দোলনের ডাক পাবো। আল্লাহ হাফেজ।
পূর্বে প্রকাশিতঃ টুডে ব্লগিং :: নতুন দিনের মিছিল
আমি অবুঝ বাঙালী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 161 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
বাংলাদেশের প্রধান মুরগী শেখ হাছিনার ডিজিটাল বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে ইন্টারনেটে আপলোড স্পীড ২৫% করার পদক্ষেপ গ্রহন করলেন । এর আগে বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ ঘোষণা করে দেশকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন । আমরা আশাবাদি খুব শিঘ্রয় প্রধান মুরগী ইন্টারনেটে আপলোড স্পীড ০ ও ডাউনলোড স্পীড ০ করার ঘোষণা দিবেন । তারও কিছুদিন পর বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহার করা বন্ধ ঘোষণা দিবেন । তা নাহলে প্রধান মুরগীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন কিভাবে …!!!!!! ???????
ধিক্কার জানাই প্রধান মুরগীর এ সিদ্ধান্তকে……