১।একটা ওয়েবসাইট ২।তুমুল জনপ্রিয়তা ৩।হাজার ডলার আয়
এই তিনটি স্বপ্ন বহু মানুষের থাকে। প্রথমটি যদিও সবার নাগালের মধ্যে কারন এখন ৩৫০টাকা থেকে ৮০০ টাকা দিয়েই একটা ওয়েবসাইটের মালিক হওয়া যায়। কিন্তু ২য় টি অনেকেরি স্বপ্ন হয়ে থাকে । আর তৃতীয় টি ত বহুদূরের পথ। কারন টাকা কামাতে হলে প্রথমে দরকার জনপ্রিয়তা। কিন্তু একটি ওয়েবসাইটকে ভিজিটর এর নিকট জনপ্রিয় করে তোলাটা যে কত কষ্টকর তা একজন ওয়েবমাষ্টার বলতে পারবেন। অনেক ওয়েবমাষ্টার আছেন যারা এসইও করে সাইটকে সার্চে ভাল অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেন কিন্তু ভিজিটররা সাইটে একবার প্রবেশ করলে আর দ্বিতীয়বার আসতে চায় না কারন ভিজিটর সাইটটিকে তার জন্য হেল্পফুল হিসেবে পায় নি।
তাই আজ আমি কিছু টিপস শেয়ার যেগুলো আপনাকে ভিজিটর বান্ধব ওয়েবসাইট তৈরিতে সাহায্য করবে এবং ভিজিটরকে আপনার ওয়েবসাইটটিকে বার বার ভিসিট করতে সাহায্য করবে
১। ওয়েবসাইটটিকে যথাসম্ভব সাধারন কিন্তু সুন্দর করার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন আপনার ওয়েবসাইটটিকে অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে ভিন্ন করতে। চেষ্টা করুন নিজে ক্রিয়েটিভ হতে এবং ক্রিয়েটিভ ও ইউনিক কিছু করার চেষ্টা করুন।
২। ওয়েবসাইটের দুপাশে অযথা উইজেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ধরুন আপনার সাইটে ক্রিকেট লাইভ স্কোর দেখার উইজেট ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। অথচ এ উইজেটটি ব্যবহার এ আপনার কোন লাভ হবে না কারন লাইভ ক্রিকেট স্কোর দেখার বহু বড় বড় ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর সার্ভিস যথেস্ট ভাল এবং ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইট থেকে অন্য বড় ওয়েবসাইটগুলোতেই স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করবে। তাছাড়া এইসব উইজেট ব্যবহার করার ফলে সাইট লোড নিতে দেরি হয়। তাই এইসব উইজেট ব্যবহার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩।ওয়েবসাইটের সাইডবার এ গুরুত্তপূর্ন উইজেট যেমন ব্লগিং সাইটে ক্যাটাগরি,পপুলার পোস্ট,রিসেন্ট পোস্ট, ইত্ত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার কন্টেন্ট ডাওনলোড ওয়েবসাইটে মোস্ট ডাওনলোডেড,নিউ ডাওনলোডস ইত্যাদি উইজেট ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪।প্রতিটি উইজেট এর নিচে , প্রতিটি পোস্ট এর নিচে এড ব্যবহার থেকে বিরত থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কারন বেশি বেশি এডস ব্যবহার এর ফলে ভিজিটর বিরক্ত হতে পারে। এড ব্যবহার করতে পারেন একটি নির্দিষ্ট জায়গায়, যেখানে এডস ব্যবহার করলে সাইটের সৌন্দর্য নষ্ট হবে না।
৫। সাইটের মেনু বার এর নিচে একটি স্মার্ট সার্চ বক্স রাখা যেতে পারে অথবা যেখানে রাখলে ভিজিটর এর চোখে পরবে সেখানে রাখা যেতে পারে।
৬। সাইটে কখনোই পিটিসি জাতীয় url শর্টনার ব্যবহার না করাটা ভাল। ব্যবহার করলে সাময়ীক কিছু টাকা হয়ত উপার্জন করতে পারবেন কিন্তু অনেক ভিজিটর আপনি হারাবেন।
৭।ব্লগিং সাইটে কখোনই অন্য ওয়েবসাইট থেকে কপি করে পোস্ট করবেন না। কারন এর ফলে “আম ও যাবে ছালা ও যাবে” মানে ভিজিটর ও হারাবেন এবং গুগল থেকেও ব্যান খাবেন। ওয়েবসাইটে মানসম্মত কন্টেন্ট রাখার চেষ্টা করুন। কারন একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের প্রথম শর্ত হল ইউনিক এবং মানসম্মত কন্টেন্ট।
৮। কন্টেন্ট ডাওনলোড সাইটের ক্ষেত্রে দরকারি অথবা যেসব কন্টেন্ট গুলোর প্রতি ভিজিটররা আকৃষ্ট সেগূলো সাইটের হোমপেজ
এ রাখতে পারেন
৯।সাইটের জন্য একটি সুন্দর মোবাইল ভার্সন রাখার চেষ্টা করুন কারন বর্তমানে আস্তে আস্তে সেলফোন ব্যবহারকারী বৃদ্ধি
পাচ্ছে
১০। সাইট যাতে সহজে লোড নেয় এমনভাবে তৈ্রি করার চেষ্টা করুন। কারন সাইট দেরীতে লোড নেওয়া অবশ্যই বিরক্তিকর ভিসিটরের ফিডব্যাক নেবার চেষ্টা করুন।
সর্বোপরি একজন ভিসিটিরের দৃষ্টি নিয়ে আপনার সাইটটি তৈ্রি করার চেষ্টা করুন।আমার চেয়ে বহু এক্সপার্ট এখানে আছেন। যদি আমার পোস্ট এ কোন ধরনের ত্রুটি থাকে তবে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
পোষ্টটি সর্ব প্রথমটেকস্পেট ব্লগেপ্রকাশিত।
চাইলে ঘুরে আসতে পারেন আমার ব্লগথেকে
আমি জিএমশুভ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 96 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি জিএমশুভ। পড়ালেখার পাশাপাশি লেখা লেখি করছি। ভালবাসি টেকনোলজিকে। নেট ব্রাউজ করা আর বই পড়া আমার প্রধান সখ।আর ভালবাসি নতুন কিছু জানতে এবং অন্যকে জানাতে। ফেসবুকে আমি: http://facebook.com/gms.me
ভালো লিখেছেন , চালিয়ে যান ।