ব্লগ এবং ট্রাফিক [পর্ব-৪] :: গুগল এডসেন্স নিয়ে কতিপয় টিপস

গুগল এডসেন্স বিষয়ক কিছু টিপস। এগুলোর অনেক কিছুই মনে হতে পারে প্রচলিত ধারনার উলটো। আমি প্রচলিত ধারনা প্রকাশ না করে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে টিপস গুলো দিচ্ছি। কারো কাজে আসলে ভালো লাগবে।

গুগল এডসেন্স একাউন্ট প্রাপ্তিঃ

গুগল এডসেন্সের একাউন্ট পাওয়া নাকী কঠিন হয়ে পড়েছে। আমি নিজে এডসেন্স শুরুর সময় থেকে এটা শুনে আসছি। তখন জিন্নাতুল হাসানের ব্লগে পড়েছি। টেকটিউনসে পড়েছি। সামু সহ আরো অনেক ব্যাক্তিগত ব্লগে অনেকে লিখেছেন এডসেন্স নিয়ে।

প্রথম পড়ার পর মনে হল এগুলো তো সোজা ব্যাপার। ব্লগস্পটে ব্লগ খুললাম। খুলে এডসেন্সে এপ্লাই। কিন্তু রিপ্লাই আসল নট এপ্রুভড।

তাই আমারো প্রথম দিকে ধারনা বেশ পাকা পোক্ত ছিল এডসেন্স একাউন্ট পাওয়া টু টাফ।

আরো কিছুদিন পড়ার পর বুঝলাম একটা ভালো সাইট বানাতে হবে। এটাই মুল কথা। ডোমেইন কিনলাম। সাইট বানালাম। ইতিমধ্যে লেখার কিছু বিষয় পেয়েছি। ১৫/২০ টা পোস্ট দিলাম। সাইটের বয়স তিন চারমাস হওয়ার পর এডসেন্সে এপ্লাই করলাম। এপ্রুভ হল।

এডসেন্স একাউন্ট পাওয়াটা কঠিন কিছু না। প্রফেশনাল একটি সাইট বানাতে হবে এটাই মুল ব্যাপার।

এডসেন্স একাউন্ট পাওয়ার জন্যঃ

১। একটি সাইট বানাতে হবে প্রফেশনাল লুক দিয়ে। মানে সাইটের কালার যেন ক্যাটক্যাটা লাল, ডিজাইন এবরো থেবরো না হয়।

২। সাইটের মেনু বারে কন্টাক্ট পেজ, প্রাইভেসি পলিসি পেজ এগুলো যোগ করতে হবে। অনেকে বলবেন কন্টাক্ট পেজ, প্রাইভেসি পেজ ছাড়া এডসেন্স একাউন্ট পাইছেন। পাইছেন ভালো কথা। অনেক সময় পাওয়া যায়। কিন্তু সাইটের সৌন্দর্যের জন্য এগুলো দরকার। এর মাধ্যমে প্রথম দেখাতেই লোকে মনে করবে আপনার সাইটের মান ভালো।

৩।টার্মস এন্ড কন্ডিশন পেজ ও যোগ করে দিতে পারেন।

৪। আপনার সাইটে ভালো মানের কন্টেন্ট যোগ করুন প্রথমে। ভালো মানের বলায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি নিশ্চিত আপনি মোটামোটি মানের ব্লগার হলেও ভালো মানের কন্টেন্ট দিনে একটা লেখতে পারবেন।

সময় নিয়ে লিখুন। দরকার হলে এক সপ্তাহ সার্চ করে ডাটা সংগ্রহ করে বিশাল পোস্ট দিন।

কপি করবেন না। এডাল্ট কিছু লিখবেন না। এমনকী এডাল্ট কোন ছবিও না। এগুলোর ব্যাপারে গুগল হার্ড।

কিওয়ার্ড যদি বেশী দিয়ে দেন তাহলেও গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করে না।

৫। কন্টেন্ট যোগ করার পর সেগুলো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট(ফেসবুক,টুইটার,পিন্টারেস্ট,রেডিট) এ শেয়ার করুন।

৬। ফ্রি প্রেস রিলিজ সাইট গুলো তে প্রেস রিলিজ সাবমিট করুন।

৭। বিভিন্ন ইংলিশ ফোরামে সক্রিয় অংশগ্রহন করুন। সিগনেচারে লিংক ব্যবহার করুন।

৬।সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইট গুলোতে নিউজ সাবমিট করুন।

এ কাজ গুলো করতে করতে সাইটে ২/৩ মাস হয়ে যাবে। আশা করি আপনি গুগল পেজ রেংক ও পেয়ে যেতে পারেন।

২/৩ মাস পর গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করুন। খুব তারাতারি রিপ্লাই পাবেন। রিপ্লাই এ তারা সাইটের কোন কিছু চেঞ্জ করতে বলতে পারে। যেমন, বলতে পারে আপনার সাইটে এডাল্ট কন্টেন্ট আছে। তখন কোন পোস্টে ছবিও যদি ব্যবহার করেন তাহলে ডিলিট করে তারাতারি মেইলের রিপ্লাই দিবেন।

আশা করি এডসেন্স একাউন্ট পেয়ে যাবেন। একাউন্ট পেয়ে গেলে এড বসাবেন।

এড বসানোর পর আরেক ঝামেলায় পড়েন নতুন পাবলিশার রা। এডে কোন ক্লিক পড়ে না। সারাদিনে একটাও না। এমনকী সপ্তাহেও না!

তখন আপনার মনে হবে এতদিন যা শুনেছেন সব ফালতু।

কিন্তু আসলে ক্লিক নির্ভর করে ট্রাফিকের উপর প্রধানত। আপনি এডসেন্স পাওয়ার পরই শেষ না। সাইট কে ডেভেলপ করতে হবে। বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি সাইট বানাতে হবে। আমি নিশ্চিত এই লেখা যারা পড়ছেন তাদের অনেকের সেই যোগ্যতা আছে।

আমি প্রথমে গুগল এডসেন্স নিয়ে কাজ করার কোন সাহস পাই নি টেক পোস্ট গুলো পড়ে। হঠাৎ একদিন পড়ি ডাম্ব লিটল ম্যান ব্লগের অউনার এর একটা পোস্ট। সে বলছিল কীভাবে ব্লগারে হোস্ট করে অন্যতম পপুলার একটা সাইট সে বানিয়েছে। সে কিছুই জানত না, এমনকী সে নাকী মাত্র দুয়েকটা কমেন্ট করেছে অন্যান্য ব্লগে। শুধুমাত্র কন্টেন্টের জোরেই সাইট উঠে এসেছে। এই লেখা পড়ার পর বুঝতে পারি সম্ভব সব কিছুই।

আর টেক পোস্ট যারা লিখেন তাদের সব কথা শুনলে ভুল করবেন। আপনি কাজ করতে গিয়েই দেখতে পাবেন নিজের নিয়ম বানিয়ে ফেলেছেন। ওটাতেই চলুন।

আর সাইটের ডিজাইন এড প্লেসমেন্ট এগুলো নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যান। কিছু কিছু ভুল করতেই হবে। ভুল না করে শেখা যায় না।

এড কোড বসানো নিয়ে কিছু কথাঃ

১। এডসেন্স এড ৩০০ ইন্টু ২৫০ কোড পোস্টের হেডলাইনের উপরে বসালে ভালো হয়।

২। পোস্টের মাঝে ৩৩৬ ইন্টু ২৮০ সাইজের এড।

৩। পোস্টের মাঝে লিংক এড ইউনিট গুলো ও ভালো কাজ় করে।

৪। সাইড বারে লম্বা চওড়া এড গুলো ১৬০ ইন্টু ৬০০।

৫। সাদা কালারের সাইটে আমি দেখেছি ক্লিক কম পড়ে। এর চেয়ে কালো কালারের সাইটে বেশী পড়ে।

৬। এডের কালার সাইটের সাথে মিলিয়ে দিতে পারেন। তবে আমার ক্ষেত্রে এসব কাজ করে নি। এই ব্যাপারটা কাজ করবে যখন আপনার ব্লগের ভিজিটর রা ইনেক্সপেরিয়েন্সড হবে। যেমন গানের সাইট,গেমিং সাইট, স্ট্রিমিং সাইট ইত্যাদিতে।

৭। দেখতে অসুন্দর লাগলে বেশী এড না রাখা ভালো। সুন্দর যাতে দেখায় এরকম এড প্লেসমেন্ট বেটার।

পোস্ট শেষ আজ। আশা করছি কারো উপকারে লাগবে। ধন্যবাদ।

Level 0

আমি মুরাদ ইচ্ছামানুষ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 85 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

ব্লগার।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

My adsense approved only 28th days. No need to more and more rules for adsense. Just 10+ post & clean site. Follow google webmaster guideline. It is anough to get easily adsense. Mind it adsense for you, You are not for Adsense……….Thank You

http://www.scienceeducationblog.com/

Level New

http://shafkatworld.blogspot.com/ আমার এই ব্লগ এর কি কি পরিবর্তন করা প্রয়োজন ? মাস ছয়েক আগে আমি এই ব্লগ টা ওপেন করি এর পর প্রায় ১০-১২ টা পোস্ট করা হয় অতি উত্তেজনায় এডসেন্স এ আবেদন করি এবং রিজেকটেড হই. এরপর ব্লগ্গিং এ বসা হয় নাহ ১ প্রতি সপ্তাহে যদি একটি করে ভালো এবং ইনফরমেটিভ পোস্ট করি তবে গড়ে দৈনিক কত জন ভিজিটর পেতে পারি ? ২.আমি কি আবার এই ব্লগ থেকে আবার আডসেন্স এপলাই করে এপপ্রভ পারি ?

যে যাই কিছু বলুক না কেন, গুগল এডসেন্স এর কোন বিকল্প নাই। যদি না সাইট টা তে খুব বেশি ভিসিতর না থাকে। আর সাইট এ ভিজিতর আনা কত কথিন কাজ সাইট এডমিন রা ভাল করে জানে।

Level 0

If you need 100% Pure Approval Adsense account you can buy from me 🙂

Level 0

If any one need 100% Pure Approval adsense account . You can buy approve addsense account 🙂

Level 0

আমি একটি সাইট বানিয়েছি। অনেক কষ্ট করে। বেশ কিছু পোস্ট করেছি। এডসেন্স এর জন্য এপ্লাইও করেছিলাম। কেন হলোনা ! কেউ বলতে পারেন। আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন। http://www.productbank.net

ভাই আমাকে একটু হেল্প করেন,আমি যদি TV Actors দের নিয়া কাজ করি তাইলে কি ভাল ফলাফল পাব????
দয়া করে আর কোন বিষয় নিয়া কাজ করলে ভাল হয় এটাও একটু জানায়েন।

প্রিয় টিউনার,

আপনার টিউনটি টেকটিউনস চেইন টিউন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিনন্দন আপনাকে!

টেকটিউনসে চেইন টিউন কীভাবে প্রক্রিয়া হয় তা জানতে টেকটিউনস সজিপ্র এর https://www.techtunes.io/faq “চেইন টিউন” অংশ দেখুন।

নিয়মিত চেইন টিউন করুন। এখন থেকে আপনার নতুন করা চেইন টিউন গুলো টেকটিউনস থেকে চেইন এ যুক্ত করা হবে। চেইন টিউনে যুক্ত হবার ফলে চেইনের প্রতিটি পর্ব একসাথে থাকবে।

চেইনে নতুন পর্ব যুক্ত হলে তা টেকটিউনসের প্রথম পাতায় দেখা যাবে এবং “সকল চেইন টিউনস” https://www.techtunes.io/chain-tunes/ পাতায় চেইন টিউনটি যুক্ত হবে।

নিয়মিত চেইন টিউন করে নতুন নতুন টিউন আপনার চেইনে যুক্ত করুন এবং অসম্পূর্ণ না রেখে আপনার চেইন টিউনে নিয়মিত পূর্ণাঙ্গ রূপ দিন।

মেতে থাকুন প্রযুক্তির সুরে আর নিয়মিত করুন চেইন টিউন!