একশান একশান ডাইরেক্ট একশান !!! আমাদের দাবী মানতে হবে ! ১ জিবি ১০০ টাকায় নেট দিতে হবে ।

একশান একশান ডাইরেক্ট একশান !!! আমাদের দাবী মানতে হবে !!! এবার জ্বলবে আগুন মোবাইলে !!!! আন্দোলনে যোগ দিন আমাদেরকে সহযোগিতা করুন । সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য কামনা করছি ......

স্থান: আপনার মোবাইল
সময়: রবিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা।
কি করতে হবে : রবিবার ১০টা-১টা গনহারে পরিচিতজনদের মিসড কল দেয়া
কারন এবং এতে কি লাভ : নীচের লেখা দ্রষ্টব্য।

ভুমিকা -
২০০৬ সালে গ্রামীনফোন বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা EDGE শুরু করার আগ পর্যন্ত ডায়াল আপ কানেকশনই মূল ভরসা ছিলো । VSAT এর মাধ্যমে এতদিন দিয়ে যাওয়া ধীরগতির ইন্টারনেট সার্ভিস কিছুটা গতি পায় ২০০৬ সালে , যখন বাংলাদেশ যুক্ত হলো ISCC(International Submarine Cable Consortium) এর SEA-ME-WE-4 কেবলে । ব্যান্ডউইডথের দামও তখন ছিলো অবিশ্বাস্য রকমের বেশী – প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম ছিলো ৮০০০০ হাজার টাকা,ইন্টারনেট তখনো তরুনদের হাতে সহজলভ্য হয় নি, গনমানুষের কাছেও না । ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম কমিয়ে দেন ২৭০০০ টাকায় । এর পরপরই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার । ইন্টারনেট সার্ভিস তৃনমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেবার প্রত্যাশায় তারা এক এক ধাপে ব্যান্ডউইডথের দাম কমানো শুরু করে । ২৭০০০ টাকা থেকে তারা ২০০৯ সালে প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম কমিয়ে আনে ১৮০০০ টাকায়, পরবর্তীতে ২০১২ সালে আবারো কমিয়ে আনে ৮০০০ টাকায় । একইসাথে পরবর্তীতে প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম ৮০০০ থেকে ৫০০০ টাকায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে BTRC .

কেন দাম কমাচ্ছে ?
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট সার্ভিস তৃনমূলে পৌঁছে দেয়ার কথা সরকার বলছে । একইসাথে সরকার জানাচ্ছে বাংলাদেশ SEA-ME-WE-4 সাবমেরিন কেবলে যুক্ত থেকে ৪৪.৬ গিগাবিট ব্যান্ডউইডথ পেলেও ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ১৫ গিগাবিট ব্যান্ডউইডথ । তাছাড়া ২০১৩ সালের জুনে আরো ৯৬ গিগাবিট ব্যান্ডউইডথ যুক্ত হতে যাচ্ছে । এই বিশাল পরিমানের ব্যান্ডউইডথ যেন অব্যবহৃত না থাকে, সেই জন্য এবং আই এস পি (ISP) ও মোবাইল অপারেটরদের চাপে সরকার দাম কমিয়েছে ।

এই কমদামে বিক্রি করা ব্যান্ডউইডথের সুফল কি আমরা পাচ্ছি ?

না । আপনাদের মনে থাকার কথা , ২০০৬ সালে EDGE সার্ভিস চালু করা গ্রামীনফোনের ইন্টারনেট খরচ এখনো সেই আগেরমতই আছে । ২০০৯ সালের ১ জিবি ইন্টারনেটের প্যাকেজের দাম এখনো ৩৫০ টাকাই আছে ।এর মাঝে সরকার ঠিকই দুই দফায় দাম কমালেও তারা কমায় নি । একই কথা খাটে বাংলালিংক,এয়ারটেল,রবি সহ অন্যান্য অপারেটরদের ক্ষেত্রেও ।

সবাই .০২ কিলোবাইট / পয়সা হিশাবে আমাদের কাছ থেকে ইন্টারনেটের চার্জ নিচ্ছে । আপনারা খেয়াল করুন, প্রতি ১০ মেগাবাইট ইন্টারনেটের প্যাকেজ এয়ারটেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ১০ টাকা (ভ্যাট ছাড়া)পড়বে , অথচ একই কোম্পানী ভারতে (টুজি নেটওয়ার্কে) ১০ রুপীতে (বাংলাদেশী ১৪.৮০ পয়সা) ১২৫ মেগাবাইট ইন্টারনেট দিচ্ছে ! একইভাবে বাংলাদেশের গ্রামীনফোনের মূল কোম্পানি টেলিনরের ভারতীয় অংশ ইউনিনর ৯ রুপিতে (বাংলাদেশি ১৩.৩০ পয়সা) ৬০ মেগাবাইট ইন্টারনেট দিচ্ছে ! বাংলালিঙ্কও চালাচ্ছে ১০ মেগাবাইট ১০ টাকার প্যাকেজ, রবিও সেই একই ডাকাতি চালিয়ে যাচ্ছে । এভাবেই সরকার দাম কমিয়ে গেলেও আমজনতা কোনো রেহাই তো পাচ্ছেই না, বরঙ অন্য দেশের তুলনায় আমাদের কাছ থেকে দামও বেশী রাখা হচ্ছে ।

শুধু ইন্টারনেটের খরচই বেশি ?
না । আমরা এত উচ্চমুল্যে ইন্টারনেটের নামে যা কিনছি আমাদের কষ্টার্জিত পয়সায়,তার স্পীড নিয়ে কে সন্তুষ্ট ? গ্রামীনফোনের এভারেজ স্পীড থাকে ১০-১৯ কেবিপিএস , বাংলালিংকের অবস্থা আরো খারাপ । রবি কি দিচ্ছে তা কেউই বলতে পারছেনা , এয়ারটেলও তার ব্যতিক্রম নয় । অথচ টু-জি কানেকশনের স্পীড ৩৮৪ কিলোবিট পার সেকেন্ড পর্যন্ত হতে পারে, আমরা টাকা দিয়ে কতটুকু পাচ্ছি ? একইসাথে প্রতিদিন বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর দিনে-রাতে গাদাগাদা স্প্যাম ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে ।

কখনো ‘ভালো মুসলিম পাত্রীর খবর’ জানাতে (বাংলালিংক) , কখনো ‘আমি রেশমা,বন্ধু হতে ডায়াল করো **** নাম্বারে’ (এয়ারটেল) ইত্যাদি বিব্রতকর ম্যাসেজ । তাছাড়া সরকার ১০ সেকেন্ড পালস রেট নির্ধারন করে দেয়ার পর কল ড্রপের ( হুট করে কানেকশন কেটে যাওয়া ) পরিমান বেড়ে গেছে ! দরকারে কাস্টোমার কেয়ারে ফোন দিতে হলেও টাকা কাটছে, অথচ বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালের আগস্টে সব টেলিকম কোম্পানীকে নির্দেশ দিয়েছিলো- ১২১ নাম্বারে টোল ফ্রি রাখতে,অর্থাত এই নাম্বারে ফোন করা হলেও যেন টাকা কাটা না হয় । সেই নির্দেশও কি এরা মেনেছে ? বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে টিভি-পত্রিকা ছেয়ে ফেলার দিকে এদের যত মনোযোগ , ঠিক ততই অনীহা ইউজারদের সুবিধা দেখার ক্ষেত্রে ।

কি করতে চাচ্ছি -

আমরা অফলাইনের শান্তিপ্রিয় মানববন্ধনে বিশ্বাস রাখতে পারছি না । যারা এভাবে দিনের পর দিন লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে, তারা আমাদের শান্তিপূর্ন মানববন্ধনে কান দেবে – এটা আশা করা যায় না । সুতরাং আগ্রাসী ভুমিকা নিতেই হয় । তাই আমরা ঠিক করেছি , নির্দিষ্ট একটি তারিখে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা সবাই মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যস্ত রাখবো , কিন্তু এক পয়সাও খরচ করবো না ।
আর সেই উপায় হলো মিসড কল ।

একটি নির্দিষ্ট তারিখে পিক আওয়ারে আমরা সবাই যদি গনহারে পরিচিতজনদের মিসড কল দেয়া শুরু করি , তবে মোবাইল অপারেটরদের বি টি এস ব্যস্ত থাকবে ঠিকই,কিন্তু যেহেতু আমাদের কারও কোনো খরচ করতে হচ্ছে না, তাই আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না । যা ক্ষতি হবার হবে কোম্পানীর,কারন সেই সময় আমরা তাদের নেটয়ার্ক ব্যবহার করেছি ঠিকই কিন্তু কোন টাকা দিচ্ছিনা! আমরা অনেক মানুষ যদি একত্রিত হতে পারি,তবে কোম্পানীর ক্ষতিটা নেহায়েত কম না । যদি ৫০০০ হাজার মানুষ ইভেন্টে যোগ দিন এবং প্রত্যেকে তিনঘন্টায় মাত্র ২০ টা মিসড কল করেন , তিনঘন্টায় ১ লাখ মিসড কল হচ্ছে , যেগুলোর অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলো ঠিকই – কিন্তু কোনো ইনকাম করলো না,বরঞ্চ তাদের সেলুলার ট্র্যাফিক বিজি করে রাখছে ! তাছাড়া এই সংখ্যা যদি আরো বিশাল হয়,তবে আমাদের দাবীর প্রতি তাদের কর্নপাত করতেই হবে । আমরা জানি , এই সংখ্যাটা ২০০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে , ক্ষতিটা আক্ষরিক অর্থেই বেশি হবে ।

জয়েন আস !
- যেহেতু সরকার খরচ কমিয়েছে,সুতরাং যৌক্তিকভাবেই কম খরচে ইন্টারনেট সার্ভিস চাই ।
- স্প্যাম ম্যাসেজের অবসান চাই ।
- ভালো নেটওয়ার্ক চাই ।
-
সম্পূর্ন অনলাইনে এই প্রতিবাদ, এর জন্য আপনার রাস্তায় থাকা দরকার নেই । আপনি আপনার বাসায় বসেই,অফিসে থেকেই অথবা যাত্রা পথেও আমাদের সাথে সংযুক্ত হতে পারেন । আপনি সিলেট থাকতে পারেন , আপনি ঢাকায় থাকতে পারেন , আপনি ভোলায় থাকতে পারেন – কিন্তু আপনি একইসাথে বাকি সবার সাথে এই অভিনব প্রতিবাদে অংশ নিতে পারেন । আপনি অফলাইনে বা অনলাইনে আপনার বন্ধুদের সাথে কথা বলুন , সবাইকে জানান - আমরা এইভাবে আর ডাকাতি দেখতে পারি না । সবাইকে জানান,এবার আমরা তাদের গাঁট কাটবো । সবাই বোঝান – অপারেটরদের না ভোগালে তারা আমাদের কথা শুনছে না । সবাইকে বলুন – প্রিন্ট মিডিয়া বিজ্ঞাপনের টাকা উপার্জন করে অপারেটরদের কাছে জিম্মি ,আমাদের ভোগান্তির কথা কখনোই ছাপাবেনা, তারা আমাদের পক্ষে অপারেটরদের উচ্চমূল্যের ইন্টারনেট নিয়ে কখনোই বলবে না ।
আমরা ফেসবুককেই বেছে নিয়েছি সবার সাথে একত্রিত হবার স্থান হিসেবে , এখান থেকেই শুরু হবে সেই প্রতিবাদের ভাষার..... যা অপারেটরদের বাধ্য করবে সার্ভিস চার্জ কমাতে ।

শুধু নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট কয়েকটি ঘন্টা আপনি মিসড কল করে যান, ২০...৩০...৫০ টি ।যত বেশি মিসডকল করবেন, আমাদের কাছে অপারেটরদের মাথা নত করার সম্ভাবনা ততই বাড়বে ।

পরবতিতে আরো আসছে

সৌজন্যেঃ http://www.facebook.com/events/146961248792279/

Level 0

আমি kaif hasan। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 81 টি টিউন ও 265 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

amar mone hoi t t er tulonay bangladesh a fb user beshi. so ai post ke fb er maddhome choriye dile valo response pawa jabe. onumoti dile amio apnake help korte pari by copy from tt and paste to fb

    Level 0

    @rakib7845: ভাই সবার ফেসবুক আইডি তে এই লেখা পেস্ট করে দিন এটা আমাদের আন্দোলনের সুচনা

CHALIA JAN SATHA ASE.

ভাই দারুন লিখেছেন। অনেক ভাল লাগল, মিস কলতো দিবই আমি দুইটা ফোন ইউজ করি একটা থেকে আর একটায় কল দিয়ে বিজি কইরা রাখমু। আমি স্বরাষ্ট মন্ত্রী না, যদি এক ঘন্টা মোবাইল বিজি থাকে তাতে কোন ক্ষতি হবে না। তাই সকল বন্ধুদের বলব সকলে এই মহতী উদ্যগে অংশ গ্রহন করার জন্য।

চালিয়ে যান সাথে আছি। আমাদের এই আন্দলন সরকার চাইলেই পুলিশ দিয়ে ছত্রভঙ্গ করতে পারবো না।

Level 0

প্রতিটা সামাজিক যোগাযোগের সাইট এ এই ধরনের লেখা পোস্ট করে সবাই – কে সচেতন করলেই আশা করি কাজ হবে।

সাথে আছি। ধন্যবাদ।

Level 0

আমি প্রস্তুত ভাই। 🙂

Level 0

ভাই চালিয়ে যান।

Level 0

Thanks a lot

Level 0

vai comment na kory parlam na,chaliye jan…………..amar 3 ta phone100 kory miss call dibo.r 1 ta onurodh 1 ta manobbondon er dak din dhakay jara asi sobai cesta korbo jaty uposthit takty pari.emon 1 ta din thik korun jaty job holder ra o takty pary.so Friday or Saturday deky din thik kory andoloner dak din……amra jubokra 1 takly amader kew kisu korty parby na……………………(english word a lekar jonno dukkito)

Level 0

আমাদের দাবী মানতে হবে
আসসালামু আলাইকুম,
আপনাদেরকে বলছি আপনারা যে দাবী করেছেন তা গ্রামীন ফোন ও অনন্য অপারেটররা মেনে নিবে না কারন তারা যদি তা মেনে নেয় তাহলে তাদের অনেক তি হয়ে যাবে। আসুন আমরা আরেকটা চিন্তা করি কেমন আমরা এই দিন রবিবার সকাল ১০- ১ টা পর্যন্ত মোবাইলে কাউকে কল না । গ্রামীন ফোন ও অনন্য অপারেটরদের ফ্রী সার্ভিসগুলি ব্যাবহার করে তাদের নেটওয়ার্ক ব্যাস্ত রাখি। কিভাবে জানেন গ্রামীন ফোন = *১১১# চেপে আবার কেটে দিবেন।
এবাবে রবির= *১৪০#
এয়ারটেল= *১২১#

এগুলি করলে তাদের নেটওয়ার্কের অনেক সম্যসা হবে।
http://www.monohardinetwork.blogspot.com/

Level 0

আমি আপনাদের সাথেই আছি । আমার মনে হয় টেকটিউন , ফেসবুকের সাথে সাথে পত্র পত্রিকায় লেখা উচিত । এতে অপারেটরদের টনক নড়বে ।

Level 0

( আপনার উপায় টা ভাল কিন্তু )

আমার মনে হয় না এতে তেমন কোন লাভ হবে ৤ পাশাপাশি আরেকটা কাজ করা যেতে পারে …. . . যদি কোন উপায় থাকে তাহলে BTRC আর সরকার কে ইমেইল পাঠিয়ে আমাদের দাবি যানানো উচিত

kiccu luv hobe naa; mathe namete hobe

যেদিকে তাকাই-শুধু পরিবর্তনের হাওয়া। আমি শুভ পরিবর্তন
গুলোর কথা বলছি।
আমাদের ছোট্ট এ দেশটির অনেক কিছুই বদলেছে, আবার
প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়ে গেছে।
ইন্টারনেট ইউসেজ এর মুল্য ৫/৬ বছর আগে যা ছিল এখন ও তাই
আছে। আগে পার কিলো বাইট দুই পয়সা ছিল, এখনো তাই।
এক জিবি ৩৫০টাকা ছিল, এখনো তাই।
ভাবা যায়!
কিছু কিছু প্যাকেজের মুল্য কমেছে কিন্তু তা আশানুরুপ নয়। অতীতের কথা বাদ দিলাম। তখন ব্যান্ডউইথের মুল্য অনেক
বেশি ছিল।
কিন্তু এখন তো আগের অবস্থা নেই। সরকার দফায়-দফায়
ব্যান্ডউইথের মুল্য কমিয়ে ৮০০০টাকাতে এনেছে। তারপরেও
আমরা ভোক্তারা এর সুফল ভোগ করতে পারছিনা।
এটা গেল সার্ভিস প্রোভাইডারদের ভোক্তাদের বাশ দেবার কথা।
এবার আসুন দেখি সরকারের নীতি নির্ধারক মহল কি করছে।
২০১২ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ
ক্যাপাসিটি ১৬৪ (আরেক সূত্রমতে ২০০) জিবিপিএস/সেকেন্ড।
এর মধ্যে মাত্র ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ আমরা সবাই
মিলে ব্যবহার করি। তবে আসল কথা হল, আমাদের ব্যান্ডউইথ
ক্যাপাসিটি বর্তমানে কত আছে এবং কত ব্যান্ডউইথ পড়ে আছে,
কেউই এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিচ্ছেনা।
প্রশ্ন জাগেনা- বাকি ব্যান্ডউইথ তাহলে গেল কোথায়?
সরকারের নীতি নির্ধারকদের কথা অনুযায়ী এই ২৬গিগাবাইট
ব্যান্ডউইথ বাদে বাকি ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ রাখা হয়! ব্যান্ডউইথ সোনা নাকি জমি যে রিজার্ভ অবস্থায়
ফেলে রেখে দিলে এর মুল্য
বা চাহিদা বাড়বে অথবা ইন্টারনেট ইউজারদের কোন
উপকারে আসবে!
মুল্য যতই কমানো হোক, প্রায় ৮০% ব্যান্ডউইথ
ফেলে রাখলে সেটা দেশের কোন উপকারে আসবে? প্রয়োজন হলে ব্যান্ডউইথের দাম আরো কমিয়ে সম্পুর্ন
ব্যান্ডউইথ সকল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মধ্যে বন্টন
করে দেওয়া হোক। কারন কয়েক শ কোটি টাকার ব্যান্ডউইথ
ফেলে রেখে তো কোন উপকারে আসছেনা! ভাবছেন কি গর্দভ সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের
লোকগুলো! ভুলেও তা ভাবতে যাবেন না।
ওরা আপনার আমার চাইতে অনেক অনেক বুদ্ধিমান এবং নিজের
আখের গোছাতে সচেষ্ট।
বিভিন্ন সূত্রমতে, কিছু প্রভাবশালী মহল সরকারের উঁচু
পর্যায়ের কিছু অফিসিয়ালের সাথে যোগসাজশ করে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি বিজনেস চালাচ্ছে।
যে কারনে আমরা টাকা দিয়ে কলা কিনছি ঠিকই কিন্তু
কপালে কলার খোসা ছাড়া আর কিছুই জুটছেনা।
অথচ আমাদের যে ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে বলা হচ্ছে সেই
ব্যান্ডউইথ গুলো সঠিকভাবে এ্যালোকেট
করলে এবং যে টাকা আমরা ইন্টারনেট ইউজের জন্য ব্যয় করি, তাতে আমাদের কমপক্ষে ৭থেকে ৮গুণ বেশি স্পীড পাবার কথা।
তথ্যগুলো আপনারা আমার থেকে অনেক ভাল জানেন,
ব্লগে বা ফেসবুকেও কম লেখালেখি হল না।
কথা সেটা নয়। কথা হল আর কতকাল এভাবে চুপ থাকব আমরা?
আর কতকাল নিজেদের পশ্চাৎদেশ সার্ভিস প্রোভাইডার আর
সরকারের নীতি নির্ধারকদের দিকে মেলে বসে থাকব?? পশ্চাৎদেশে আর কত বাশমারা খেলে আপনাদের ঘুম ভাঙ্গবে???
ব্লগে/ফেবুতে তো অনেক লাফালাফি হল, মাঠে নামার সময়
কি এখনো হয়নি?
ফেসবুক/ব্লগে প্রতিবাদ করে আমাদের দ্বায়িত্ব শেষ
মনে না করি।
যদি সৎ উপার্জনের টাকায় ইন্টারনেট ইউজ করে থাকেন, তাহলে আসুন এবার পথে নামি।
ব্লগে/ফেবুতে অনেক বড় বড় ব্লগার/লেখক/সেলিব্রিটি আছেন,
যাদের একটি ডাকে হাজার হাজার মানুষ আসবে।
তাদের কেউ একজন কি এই বিষয়ে স্ট্যান্ড নিতে পারেন না?
কাউকে না কাউকে দ্বায়িত্ব নিতে হবেই।
কেউ একজন স্ট্যান্ড না নিলে এরা সারাজীবন ধরে আমাদের টাকা ভ্যাম্পায়ারের মত চুষেই খাবে। *আপডেটঃ আমরা শাহবাগ/বিটিসিএল কার্যালয় অথবা কোন
টিভি চ্যানেলের সামনে মানব বন্ধন করার মাধ্যমে সবার
দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করব।
আমি জানি শুধু মানব বন্ধনে কোন কাজ হবেনা,
তবে প্রাইমারি স্টেপ হিসাবে এটার বিকল্প কিছু দেখছিনা। মিডিয়া কাভারেজ হিসাবে আমরা ইটিভি কে পাশে পাচ্ছি ইনশাল্লাহ। কয়েকটা পত্রিকার সাথেও
কথা হচ্ছে।
ওরা এটা নিয়ে নিউজ করবে এবং মানব বন্ধনের দিন
রিপোর্টার পাঠাবে।
তবে তার জন্য আপনাদের হেল্প দরকার।
ওরা একটা প্রেস নোট চেয়েছে। কতটুকু ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে, কতটুকু ইউজ হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়
গুলো নিয়ে একটা ডিটেইল রিপোর্ট ও চেয়েছে।
প্রেস নোট কিভাবে লিখতে হয় সে সম্পর্কে আমার কোন
আইডিয়া নেই।
আর কিছু না পারেন, অন্তত এই উপকার টুকু করেন। কবে-কিভাবে আমরা রাস্তায় নামতে পারি, সরকার
কে আমাদের পাওনা ব্যান্ডউইথ দেবার
কথা কিভাবে বলতে পারি আইডিয়া দিন। সবাই আরেকটিবার জাগুন! মেসেজ টি সবার কাছে পৌছে দিন।

https://m.facebook.com/note.php?note_id=512224828800874&refid=17&_ft_=fbid.512224828800874

আমি ও প্রস্তুত ভাই। বাধঁন – আপনার সাথে আমি ও একমত। যারা ২টা মোবাইল ব্যবহার করে – তারা অন্যকে মিসড কল দেবার দরকার হবেনা। নিজেই ২টা কোম্পানীর নেটওয়ার্ক ব্যস্ত রাখতে পারেন।

Level 0

J0til agea jan

Level 0

আমরা আছি……..

ভাই আমরা যা এ করি মোবাইল কোম্পানিরা কখনো এতা মানবে না কারন তারা বাইরের দেশের কোম্পানি । আমাদের দেশে আসার উদ্দেশ্য ব্যবসা । টেলিটক হলে কিছু করা যেত। তাও চালায় যান । পাশে আসি।

Level 0

robibar ami asi apnader sathe.

আমি প্রস্তুত ভাই।

সুন্দর হয়েছে
সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় কম্পিউটার সহ প্রযুক্তির সব ধরনের টিপস এবং ট্রিকস http://www.sothikvabna.blogspot.com

Level 0

আমার স্পীড দেখবেন??
airtel- http://www.youtube.com/watch?v=9ZbRFqjtB-g
bsnl- http://www.youtube.com/watch?v=rTcxBMFM-3g
মতামত জানান।

Level 2

I am with u too.

I am ready for action from Chandpur……