তথ্য-প্রযুক্তির
অশনি সংকেত শোনাচ্ছে। p-o-r-n-o-graphy,
হ্যাকিং, ফিসিং, অস্ত্র
প্রদর্শনী, ড্রাগ ইত্যাদি
বিভিন্ন কারণে ইন্টারনেট এখন শিশু-কিশোরদের জন্য সবচেয়েঅনিরাপদ প্রযুক্তি। শিশুর কোমল মস্তিস্ক
সহজেই বিকৃত করতে পারে এপ্রযুক্তি।
শিশু-কিশোরদের অবাধ যৌনাচরণ, ড্রাগ এ্যাডিকশন, ক্রিমিনাল এ্যাকটিভিটি – এসব কিছুর জন্য অনেকটাই দায়ী বর্তমান
ইন্টারনেট। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটেহয়ত আমার এ দাবীটা এখনই সবাই মেনে নিতে
পারবেন না। হয়ত বলবেন, ইন্টারনেটেরচেয়ে হলিউড আর
বলিউডের প্রভাব কম কীসে? কিন্তু
বিশ্বের অন্যান্য দেশেরপরিসংখ্যান এটাই বলে যে, যত দ্রুত এ দেশে ইন্টারনেট ছড়িয়ে যাবে, তত দ্রুতএটি বলিউড-হলিউডের চেয়ে বেশি ভয়ংকর ও
ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।ইন্টারনেটের ভালো দিক অবশ্যই আছে। কিন্তু শিশু-কিশোরের সে সব
ভালোদিকগুলোতে
আটকে রাখা খুব কঠিন ব্যাপার। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড়ব্যবসায়িক ইন্ডাস্ট্রি হলো P-o-r-n
ইন্ডাস্ট্রি। সার্চ ইঞ্জিনসহ সব বড় বড়জনপ্রিয় সাইটই p-o-r-n ইন্ডাস্ট্রিকে সাথে
নিয়ে কাজ করে।
তথ্য-প্রযুক্তির অব্যাহত উৎকর্ষতা পুরো
বিশ্বটাকে আমাদের মুঠোয় পুরেদিয়েছে। পড়াশোনা, গবেষণা,
ব্যবসা-বাণিজ্য, ধর্ম-কর্ম সব চলে ইন্টারনেটে।আলো আসার আশায় তাই
আমরা ইন্টারনেট তুলে দিচ্ছি আমাদের কোমলমতিশিশু-কিশোরদের হাতে। সাইবার ক্যাফে গড়ে
তুলছি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েফ্রি ইন্টারনেট
এ্যাক্সেস দিচ্ছি। জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছি একটিতথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর আগামী প্রজন্মের।
কিন্তু সম্প্রতি সাইবার ক্রাইম
রিপোর্টগুলো আমাদের সোনালী স্বপ্নের আশুভঙ্গনের অশনি সংকেত শোনাচ্ছে।
p-o-r-n-graphy, হ্যাকিং, ফিসিং, অস্ত্রপ্রদর্শনী, ড্রাগ
ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ইন্টারনেট এখন শিশু-কিশোরদের জন্যসবচেয়ে অনিরাপদ প্রযুক্তি। শিশুর কোমল
মস্তিস্ক সহজেই বিকৃত করতে পারে এপ্রযুক্তি।
শিশু-কিশোরদের অবাধ যৌনাচরণ, ড্রাগ এ্যাডিকশন, ক্রিমিনাল এ্যাকটিভিটি – এসব কিছুর জন্য অনেকটাই দায়ী বর্তমান
ইন্টারনেট। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটেহয়ত আমার এ দাবীটা এখনই সবাই মেনে নিতে
পারবেন না। হয়ত বলবেন, ইন্টারনেটেরচেয়ে হলিউড আর
বলিউডের প্রভাব কম কীসে? কিন্তু
বিশ্বের অন্যান্য দেশেরপরিসংখ্যান এটাই বলে যে, যত দ্রুত এ দেশে ইন্টারনেট ছড়িয়ে যাবে, তত দ্রুতএটি বলিউড-হলিউডের চেয়ে বেশি ভয়ংকর ও
ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।
ইন্টারনেটের ভালো দিক অবশ্যই আছে।
কিন্তু শিশু-কিশোরের সে সব ভালোদিকগুলোতে আটকে রাখা খুব কঠিন ব্যাপার। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম
বড়ব্যবসায়িক
ইন্ডাস্ট্রি হলো p-o-r-n ইন্ডাস্ট্রি। সার্চ ইঞ্জিনসহ সব বড় বড়জনপ্রিয় সাইটই p-o-r-n
ইন্ডাস্ট্রিকে সাথে নিয়ে কাজ করে।
সব মিলিয়ে শিশু-কিশোরদের হাতে ইন্টারনেট
তুলে দিতে একজন অভিভাবক হিসেবেসবসময়ই আমাদের আতঙ্কিত থাকতে হয়। আর সে জন্যই আজকের এই সফটওয়্যার
রিভিউ।
এই সফটওয়ারটি দিয়ে ব্যক্তিগত কম্পিউটার
বা এক নেটওয়ার্কভুক্ত একাধিককম্পিউটারে ইন্টারনেট এ্যাক্সেসে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা সম্ভব।
সফটওয়্যারটিরএকাধিক
শক্তিশালী অপশন সে নিয়ন্ত্রণকে আরো সুচারুরূপে আরোপ করতে সাহায্যকরে।
নিম্নে ধাপে ধাপে সফটওয়ারটির ডাউনলোড,
ইন্সটলেশন ও ব্যবহারবিধি সচিত্র তুলে
ধরা হলো। আশা করি অনেকে উপকৃত হবেন।
ক.লিংক :http://www1.k9webprotection.com/
এই সাইটে গিয়ে ডান পাশে ‘Download
k9 protection today for free’ তে
ক্লিক করুন।
খ.এরপর যে পেইজ আসবে,
সেখানে নাম ও ই-মেইল লিখুন।
গ.এরপর আপনার ই-মেইল ক্লায়েন্ট খুলুন। তাতে একটি
ই-মেইল পাবেন।
— এরপর সফটওয়্যারটি ডাউনলোড হবে।
চ.ইন্সটলেশন
শুরু করার পর নিম্নের চিত্রের মতো লাইসেন্স চাওয়া হবে। সেখানে ই-মেইলে পাওয়া
পাসওয়ার্ডটি লিখে দিন।
ক.ডেস্কটপ
থেকে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন। আপনার ওয়েব ব্রাউজারে নিম্নের চিত্রের মতো তা ওপেন
হবে।
গ.সেটাপে High, Default, Moderate, Minimal, Monitor ও Custom আছে। প্রথম চারটি চার লেভেলের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। আর চতুর্থটি কোনোনিয়ন্ত্রণ আরোপ করে না, তবে সব রকম ওয়েব এ্যাক্সেস মনিটর করে। যা পরেরিপোর্টে দেখা যায়।
ছ.বাঁ
পাশ থেকে ‘Blocking Effects’ ক্লিক
করে আরো কিছু অপশন নির্বাচন করতে পারেন। ‘Bark when blocked’ ক্লিক করলে কোনো সাইট ব্লক করার সময়
আওয়াজ হবে। ফলে আপনি অন্যরুমে থাকলেও আওয়াজ শুনে বুঝতে পারবেন যে আপনার শিশু কোনো ব্লকড
সাইট দেখতেচাচ্ছিল।
আবার ‘Show admin options’ এ ক্লিক করলে কোনোসাইট ব্লক করার পর
তাতে কিছু ‘এ্যাডমিন অপশন’
দেখানো হবে। যেমন, পাসওয়ার্ডদেয়া সাপেক্ষে সাময়িকভাবে সাইটটি ওপেন
করা ইত্যাদি। বাই ডিফল্ট অপশনটা টিকদেয়া থাকে, না চাইলে টিক উঠিয়ে দিতে হবে।
‘Enable Time out’ এ টিক দিলে একটা
নির্দিষ্টসময়ে
নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্লক সাইট খোলার চেষ্টা করা হলে একটা নির্দিষ্টসময়ের জন্য সম্পূর্ণ
ভাবে ইন্টারনেট এ্যাক্সেস ব্লক করা থাকবে। যেমন ১০মিনিটে কেউ ১০টি ব্লক সাইট খোলার চেষ্টা
করলো, তাহলে পরবর্তী আধ
ঘন্টা সবরকম
ইন্টারনেট এ্যাক্সেস ব্লক করা থাকবে। নির্দিষ্ট সময়, ব্লক সাইট সংখ্যা, এ্যাক্সেস
বন্ধ রাখার সময় ইত্যাদি নিচে থেকে ঠিক করে নেয়া যাবে।
জ.বাঁ
পাশ থেকে ‘URL keywords’ এ
ক্লিক করে সাইট ব্লককরার জন্য আরো কিছু কী ওয়ার্ড বা শব্দ যোগ করা যাবে। যেমন,
আপনি চাচ্ছেন ‘love’ সংক্রান্ত সকল সাইট ব্লক করতে। ‘ক্যাটাগরী ব্লক’ অপশনে আপনি এইক্যাটাগরী ব্লক করেছেন, কিন্তু এতে কিছু বাংলা সাইট এখনো আনব্লক
থেকেযাচ্ছে।
তাহলে আপনি এখানে সেসব শব্দ যোগ করে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরুপ আপনি
‘joubon’ লিখলে এ নামে যত সাইট থাকবে, বা এই কী ওয়ার্ডযুক্ত যত সাইটথাকবে, সব ব্লক হয়ে যাবে।
ঝ.বাঁ পাশ থেকে ‘Advanced’ এ ক্লিক করে আরো কিছু অপশনমডিফাই
করতে পারেন। ‘Force
safe search’ ও ‘block
unsafe search’ ব্যবহারকরে আপনি সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে সেফ সার্চ রেজাল্ট
দেখাতে বাধ্য করতে পারেন।ফলে
আপনার শিশু সার্চ ইঞ্জিনে কোনো অনুচিত শব্দ লিখে সার্চ করলেও সার্চইঞ্জিন তাকে নিষিদ্ধ রেজাল্ট দেখাবে না। ‘Filter
secure traffic’ ব্যবহারকরে https সিকিউর কানেকশনের ট্রাফিকেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যাবে। এটা টিকদিয়ে রাখাই ভালো।
পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হলে দোয়ার আবেদন রইল।আমার id.......facebookইচ্ছে হলে আমার ব্লগে একবার ঢু মারতে পারেন।
আমি rayhan095। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 64 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকটিউনসের পক্ষ থেকে প্রথম টিউনে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।আপনার টিউনটা খুব সুন্দর হয়েছে।আশাকরি পরবর্তীতে আরো সুন্দর সুন্দর টিউন আমাদের উপহার দেবেন।ভাল থাকবেন।