আজকাল নারী আর আগেকার মতো রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ নেই, অনেকদিন আগেই তার পা পড়েছে বাইরের জগতে, সুযোগ হয়েছে নিজেকে মেলে ধরার, আরো বিকশিত করার। আজ নারী মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে, প্লেন আকাশে ওড়াচ্ছে, ডাক্তারিতেও তারা আছে, নানা ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের তারা যুক্ত, এছাড়াও স্কুলে ও কলেজে শিক্ষকতায় তারা নিজেদেরকে নিয়োজিত করেছে; ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের অনেক মেডেল আছে। পৃথিবীর নানা দেশে বিভিন্ন পরীক্ষায় নারীদের ফলাফল পুরুষদের চেয়ে ভালো হচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমান সমাজে নারীর অবদান আজ আর একেবারেই সীমাবদ্ধ নেই কোনো কিছুতে। না, আমার আজকের বিষয় নারীর গুণগান গাওয়া একেবারেই নয়। অন্যান্য সবকিছুর পাশাপাশি ইন্টারনেটেও নারীর বিচরণ বেড়েছে। সামান্য দেরীতে হলেও আজ আর অনেক বাঁধাই নেই। নিচের এই সংখ্যাগুলি দেখিয়ে দিচ্ছে ইন্টারনেটে সোসিয়্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে পুরুষদের চাইতে নারীদের সংখ্যা বেশি।
উপরের সংখ্যাগুলির মধ্যে দিয়েই দেখা যাচ্ছে যে কেবলমাত্র digg.com বাদে অন্যান্য সমস্ত সোসিয়্যাল ওয়েবে নারীদের আনাগোনা বেশি। যেখানে বেশি নেই, সেখানে সমান সমান। কম একেবারেই নয়। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী ব্যাবহারকারীরা আছেন Bebo.com ওয়েবসাইটে। এইটুকু জানা যাচ্ছে যে ইন্টারনেটেও মহিলারা আজকাল যথেষ্ট উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে এসে সোসিয়্যাল ওয়েবে যোগ দিচ্ছেন।
তবে, এর বাইরে নারীদের সংখ্যা আরো বেশি আছে। অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটে জানতে পারলাম যে ব্লগ ওয়েবসাইটগুলিতে নারীদের আনাগোনা বেশি, ট্যুইটার ওয়েবসাইটে কম। সেই সংখ্যায় জানা যাচ্ছে যে নারীরা ব্লগিং করছেন বেশি, ট্যুইট করছেন কম, অনেক কম। নিজেকে এই স্থানে নিয়ে চিন্তা করলেই বুঝতে পারছি যে সংখ্যাটা ভুল নয়। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বলতে পারি যে আমি ব্লগ লেখায় বেশি আগ্রহ অনুভব করি, ট্যুইট করায় নয়। সেইসজন্য আমার যারা ট্যুইটার ফলোয়ার আছেন তারা আমার উপডেট বেশি দেখতে পান না। সত্যি বলতে কি, আমি ১৪০ অক্ষরে নিজেকে বোঝাতেই পারবোনা। এবং, অর্দ্ধেক কথা জানানোর চেয়ে ব্লগে লেখাই ভালো, যারা আমাকে ফলো করতে চান তারা আমার ব্লগকেই ফলো করবেন, আমার ট্যুইটার একাউন্টে নয়।
[বর্তমানে আমি যেসব ব্লগে লিখি তা হল - আকাশপ্রদীপ (ওয়ার্ডপ্রেস/এখানে যা মনে আসে তাই লিখতে থাকি); বাংলা হ্যাকস্ (এডমিন আমাকে অনুরোধ করেছিলেন কয়েকটি লেখা দিতে); গানের ব্লগ Touching Tunes (ব্লগস্পট/এখানে শুধুই আমার পছন্দের গান আছে, এখানে পাবেন না পুরো সিনেমা কিম্বা এলবাম), এছাড়াও অন্যান্য অনেকগুলি ইংরাজী ব্লগে এটা সেটা লিখি। অথচ আমার ট্যুইটার একাউন্ট ফাঁকাই থাকে, তেমন আপডেট হয়না, আপডেট বলতে ট্যুইটারফিড দিয়ে ব্লগের শিরোনাম অটোম্যাটিক আপডেট হয় ট্যুইটারে। এছাড়া উপরে যে ট্রেন্ড দেখছেন, সেই অনুযায়ী আমারও কিছু সোসিয়্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে একাউন্ট আছে। সবগুলি অল্পস্বল্প নেড়েচেড়ে দেখি]
এই সুযোগে একটি মজার তথ্য আপনাদের সাথে শ্যেয়ার করি - ট্যুইটারের যিনি কর্ণধার, তার স্ত্রী সন্তান প্রসবের সময়ে লেবার রুম থেকে তার অনুভূতির কথা নাকি ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন। খবরটা শুনে আমি বুঝতে পারিনি যে তিনি ট্যুইটারকে পছন্দ করেন, নাকি তার স্বামী ওই সাইটের কর্ণধার বলেই তিনি এই কাজ করলেন। আপনাদের কি মনে হয়?
আমি রিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 96 টি টিউন ও 362 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জীবনের সব ভুল, যদি ফুল হয়ে যায়... জীবনের সব কালো, যদি আলো হয়ে যায়...
Thanks for your knowledge sharing.
Quite aggressive. Go ahead, if possible try to be creative.
Thanks again.