রাজধানী ঢাকার সুপ্রাচীন স্থাপত্য ও পুরাতন ভবনগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত আহসান মজ্ঞিল। নবাব আবদুল গণি ১৮৭২ সালে এখানে একটি বিশাল ভবন নিমাণ করেন এবং তার প্রিয় পুত্র আহসান উল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন আহসান উল্লাহ মজ্ঞিল। কিন্তু ভবনটি আহসান মজ্ঞিল নামেই ব্যাপক পরিচিতি পায়। আহসান মজ্ঞিল ভবনটি অত্যন্ত মনোরম এবং বিশেষ কারুকায ও অপূব নকশায় তৈরি। কিন্তু কালের বিবতনে ভবনটি তার জৌলুস হারিয়ে ফেলে। ঐতিহাসিক এ ভবনটির ভগ্নদশা দেখে তৎকালীন সরকার ১৯৮৫ সালে একে জাদুঘরে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অতঃপর ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবনটির সংস্কার করে ১৯৯২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনের মধ্য দিয়ে একে জাদুঘরে পরিণত করা হয়।
বতমান বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১১ কি.মি. উত্তরে করতোয়া নদীর তীর ঘেষে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় অবস্থিত। মৌয ও গুপ্ত রাজবংশের প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে মহাস্থানগড়ের উৎপত্তি হয়। মহাস্থানগড়ের আয়তন দৈঘ্যে ৫০০০ ফুট এবং প্রস্থে ৪৫০০ ফুট। এখানে মৌয ও গুপ্তযুগের সভ্যতার বহু প্রাচীন নিদশন পাওয়া গেছে। মহাস্থানগড় দুগের ধ্বংসাবশেষের আয়তন প্রায় ৭৮ বগ কি.মি.। এখানে রয়েছে প্রাচীনকালের তৈরি একটি ভাঙা দুগ। এর ভেতরে ৪ মিটার দীঘ ও ১ মিটার প্রস্থ একটি পাথর এবং মৌযযুগের শীলালিপি পাওয়া গেছে। মহাস্থানগড়ের নামকরণ নিয়েও রয়েছে বিপত্তি। কেউ কেউ বলেন, মহাস্নান থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে মহাস্থানগড়, আবার কারো মতে মস্তানগড় থেকে নামকরণ হয়েছে। বিখ্যাত শাহ সুলতান বলখী মাহীসাওয়ার ক্ষত্রীয় নরপতি পশুরামকে পরাজিত করে এখানে ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন করেন। তার মাজারটি মহাস্থানের দক্ষিণপূব কোণে অবস্থিত।
বতমান নারায়ণগজ্ঞ জেলার এক ছায়া ঢাকা অঞ্চলের নাম প্রাচীন সোনারগাঁও। ঢাকা থেকে প্রায় ২৩ কি.মি. দূরে ৬৫ কি.মি. দীঘ এবং ৩২ কি.মি. প্রস্থ নিয়ে অবস্থিত এই সোনারগাঁও। সোনারগাঁও এর অপর নাম সুবণগ্রাম । সোনারগাঁও ছিল বাংলার স্বাধীন শাসক ঈশা খাঁর রাজধানী। ঈশা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত এই সোনারগাঁওয়ে বতমানে একটি লোকশিল্প জাদুঘর রয়েছে।
কুমিল্লা জেলার অদূরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান হল ময়নামতি। মধ্যযুগে বৌদ্ধ রাজত্বের রাজধানী ছিল এই স্থানটি। ঐতিহাসিকদের মতে, রাজা মানিকচন্দ্রের স্ত্রী রাণী ময়নামতির নামানুসারে এই অনুচ্চ পাহাড়ী এলাকার নাম রাখা হয় ময়নামতি। কুমিল্লা জেলার অধিকাংশ প্রত্মতাত্ত্বিক নিদশনাদি এখানে অবস্থিত। শালবন বিহার, আনন্দবিহার প্রভৃতি দেশের বৃহত্তম ধ্বংসাবশেষ ময়নামতিতে অবস্থিত। এসব বৌদ্ধবিহারে প্রাচীন বৌদ্ধসভ্যতার বহু নিদশনাদি পাওয়া গেছে। ১৯৫৫ সালে এখানে যখন খনন কায শুরু হয় তখন এসব নিদেশনের সন্ধান পাওয়া যায়। বৌদ্ধ ধম ছাড়াও এখানে জৈন ও হিন্দু দেবদেবীর মূতিও পাওয়া গেছে। এছাড়া এখানকার আবিষ্কৃত প্রত্মতাত্ত্বিক নিদশন সংরক্ষণের জন্য একটি জাদুঘরও স্থাপিত হয়েছে। বতমানে ময়নামতিতে একটি সেনানিবাস রয়েছে। যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের একটি যুদ্ধঘাটি হিসেবে ব্যবহূত হয়েছিল। ময়নামতি ছাড়া এটি লালমাই ও হিলটিয়া নামে পরিচিত।
আমি মোহাম্মদ রকিবুল হায়দার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 77 টি টিউন ও 206 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
www.downloadzone3.tk
মোহাম্মদ রকিবুল হায়দার ভাই কিছু মনে করবেন না আর বাংলাদেশকে নিয়ে আপাতত এখন টিউন কইরেন না । দেখতেই তো পারছেন যে বাংলাদেশকে নিয়ে কয়টি টিউন ৩০০ বার পড়া হয়েছে । আর আপনি একটু কষ্ট করে নতুন নতুন জিনিষ নিয়ে টিউন করুন কারন অনেকগুলো টিউন না করে ১ টা টিউন করুন করার মত । দেখবেন আপনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকবেন । যেমনটি প্রায় সকল টপটিউনারগনেরই মূলনীতি। আশা করি আপনি এগুলো উপদেশ বা খারাপ কিছু হিসেবে নিবেন না । বরং ছোট ভাই হিসেবে আপনাকে জনপ্রিয় করার পরামর্শ । আর একটা জিনিষ আপনি খেয়াল করুন সেটা হল আমাদের টেকটিউনসের পাঠক এবং টিউনারগন খুবই ট্যলেন্ট । আর জনপ্রিয় হতে হলে সব সময় একটি জিনিষ খেয়াল রাখবেন এমন টিউন করবেন যেটা অন্ত্যত ২০০ বার পড়া হয় । তাহলে আশা করি আপনি সফল হতে পারবেন ।