দেখা জায় কুরবাণী করা পশুর গোশত অন্যান্য সময়ের তুলনায় স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু হয় । তার একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছি । জানিনা তা আপনাদের কতটুকু সন্তুষ্ট করবে। তারপরও দেখুন ও ব্যাখ্যাটা কেমন হল মন্তব্য করুন ।
যখন পশুকে যবেহ করা হয় তখন তখন রক্ত প্রবাহিত হয় । আর রক্তের মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড, বিষাক্ত বিপাকীয় পদার্থ, টক্সিন ও রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থাকতে পারে । খাদ্যে এসব পদার্থ থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । এছাড়া প্রবাহিত রক্ত ও এর মধ্যকার উপাদানসমূহ অপসারণ করা হলে তা গোশতকে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যউপযোগী করে থাকে ।
যবেহ করার পর পশুর মাংস কুঞ্চন হতে থাকে । কারণ মস্তিষ্ক অক্সিজেন চায় বলে মাংস কুঞ্চিত হয়ে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পূর্ণ রক্ত পাঠাতে চেষ্টা করে । এইসব কুঞ্চনের ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশের রক্ত শিরা থেকে বের করা সম্ভব হয় যা প্রবাহিত রক্তে মিশে হৃদপিন্ডে যায় এবং সেখান থেকে মস্তিষ্কে পাঠাতে চেষ্টা করে । কিন্তু গলার বড় বড় রক্তবাহী ধমনি কেটে যাওয়ার ফলে সেই রক্ত আর মস্তিষ্কে পৌছায় না । তখন প্রাণী বেহুস হয়ে যায় । মাংস কুঞ্চন হলেই বুঝা যায় প্রাণী বেহুস হয়ে গেছে । যেহেতু রক্তক্ষরণ হয় বলে প্রাণী বেহুস হয়ে যায় । তাই জবেহ করা প্রাণী রক্তক্ষরণে কোন ব্যাথ্যা অনুভব করে না । এই মাংস কুঞ্চনের ফলে রক্ত বের হয়ে যায় সাথে ক্ষতিকর পদার্থ । ফলে উন্নতমানের, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর গোশত পাওয়া যায় ।
প্রাণীর জবেহ করার পর প্রানীর মাংস কুঞ্চন হতে দেওয়া হলে সব প্রবাহিত রক্ত বের হয়ে যেতে পারে। এজন্যই মহানবী (সা) এর স্পস্ট নির্দেশ এই যে, যবেহ করার পর প্রাণী সম্পূর্নরূপে স্থির না হওয়া পর্যন্ত যেন চামড়া ছাড়াতে শুরু না করে ।
যেহেতু কুরবানীর সময় সকল ধমীর্য় নিয়ম কানুন সঠিক ভাবে পালন করে পশু যবেহ করা হয় সেহেতু কুরবানীর পশুর গোশত এত সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত হয় ।
কুরবাণীর সময় ছাড়া অন্য সময় সকল নিয়ম সঠিকভাবে পালন করা হয় না । অর্থাৎ পশু যবেহ করার পর গোশত ব্যবসায়ীরা কুঞ্চন বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে চামড়া ছাড়ানোর কাজ করেনা কারন এতে তাদের কিছুসময় অপেক্ষা করতে হয় । তাই তারা অল্প সময়ে চামড়া ছাড়ানোর কাজ শুরু করার জন্য যবেহ করার সাথে সাথেই পশুর মেরুদন্ডের ভিতরের স্পাইনাল কর্ড ছুরি দিয়ে কেটে দেয় । ফলে আর মাংস কুঞ্চন হয়না । এতে করে প্রবাহিত রক্তের সাথে ক্ষতিকর পদার্থ বের হতে পারেনা । ফলে তখনকার গোশত এত স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু হয়না ।
আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।
Welcome Back স্যার ।অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে খুব খুশি হলাম।।
যত যাই বলেন,কোরবানির ঈদ এ কোরবানির গোশত তে আল্লাহ তায়ালার বিশেষ রহমত থাকে।তাইতো গোশত এত সুস্বাদু হয়।এছারা কোরবানির গোশত খেলে এলার্জি,একজিমা এর কোন ঝামেলা হয়না।আমি নিজে এলার্জির রূগী।এত কোরবানীর মাংস খেলাম কিছুই হলোনা।কিন্তু অন্য সময় মাংস খেলে খবর হয়ে যায়।
আপনার টিউনের জন্য ধন্যবাদ।অনেক কিছু জানতে পারলাম।