কাউকে কোন প্রশ্ন করলে যদি চটপট উত্তর দিতে পারে তবে তাকে বুদ্ধিমান বলা হয় । বিতর্কে অংশগ্রহণ করে যে সুন্দর ভাবে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে সেও বুদ্ধিমান । যে গৃহবধু চমৎকার রান্না করতে পারে, সুন্দর ভাবে আপ্যায়ন করতে পারে সে বুদ্ধিমতী। অতএব ' কাজেই ' বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায় । এখন প্রশ্ন হল বুদ্ধি কি ?
বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে বুদ্ধির সংজ্ঞা দিয়েছেন -
যে যত তাড়াতাড়ি শিখতে পারে সে ততবেশি বুদ্ধিমান । প্রকৃতি পরিবেশের সাথে খাপখাইয়ে চলার জন্য, আমাদের জীবনে সমস্ত রকম ক্রিয়াকর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এবং সমস্ত সমস্যা সমাধান করে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বুদ্ধি আমাদের বড় হাতিয়ার ।
আমরা বলি অমুকের বুদ্ধি বেশি অমুকের বুদ্ধি কম । কিন্তু আমরা কিভাবে বুদ্ধি পরিমাপ করি ? আমরা তাদের কাজকর্ম ও আচরণ পর্যবেক্ষন করে তাদের বুদ্ধি পরিমাপ করি । এই বুদ্ধির পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য ফরাসী মনোবিজ্ঞানী আলফ্রেড-বিঁনে একটি বুদ্ধি অভিক্ষা তৈরি করেন । তাকে সহায়তা করেন ড. সিমন । তার এ অভীক্ষা বিঁনে - সিমন অভিক্ষা নামে পরিচিত । এতে ৩ থেকে ১৫ বৎসর বয়সের ছেলেমেয়েদের উপযোগী প্রত্যেক বয়সের জন্য ৩০ টি করে প্রশ্ন বা সমস্যা সহজ থেকে কঠিন এভাবে ক্রমানুসারে সাজিয়ে তৈরি করা হয়। স্মরণ শক্তি, কল্পনা শক্তি, যুক্তি প্রদান, তুলনা করা, বিচার করা, সম্বন্ধ নির্ণয় করা, সংখ্যা ব্যবহার করা ইত্যাদি মানসিক প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে এ অভিক্ষা তৈরি করা হয়েছিল । ১৯০৫ সালে এটি প্রকাশিত হয় । পরবর্তীতে আমেরিকার স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এ অভিক্ষার উন্নতি করা হয় এবং স্টানফোর্ড - বিঁনে অভিক্ষা নামে পরিচিত হয় ।
১৯১৬ খ্রীস্টাব্দে স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এল, এম, টারম্যান সর্ব প্রথম বুদ্ধি পরিমাপের গাণিতিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন এবং বুদ্ধাংক (Intelligence Quotient বা I.Q) শব্ধটি ব্যবহার করেন । যে কোন ব্যক্তির বুদ্ধি পরিমাপের জন্য বুদ্ধাংক ব্যবহার করা হয় ।
বুদ্ধাংক হলো মানসিক বয়স ও প্রকৃত বয়সের অনুপাত । মানসিক বয়সকে প্রকৃত বয়স দিয়ে ভাগ করে ১০০ দ্বারা গুণ করলে বুদ্ধাংক পাওয়া যায় ।
সূত্রটি হল -
বুদ্ধাংক (I.Q) = (মানসিক বয়স /প্রকৃত বয়স) * ১০০
এখানে ১০০ দ্বারা গুণ করা হয় ভগ্নারংশ এড়ানোর জন্য এবং ১০০ কে ধ্রুবক হিসেবে ধরা হয় ।
মানসিক বয়স বলতে বুঝায় বিশেষ বয়সের জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নমালা তৈরি করা হয় এবং কেউ যদি সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পরে তবে তার মানসিক বয়স হবে তত । যেমন - ৫ বৎসর বয়সের শিশু ৫ বৎসরের জন্য নির্দিষ্ট প্রশ্নমালার উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারে হবে তার মানসিক বয়স হবে ৫ । যদি সে ৬ বৎসর বয়সের জন্য প্রশ্নমালার সঠিক উত্তর দিতে পারে তবে তার মানসিক বয়স হবে ৬। যদি সে ৫ বৎসর বয়সের জন্য প্রশ্নমালাটির উত্তর দিতে না পারে এবং ৪ বৎসর বয়সের জন্য প্রণীত প্রশ্নমালার উত্তর দিতে পারে তাহলে তার মানসিক বয়স হবে ৪ যদিও তার জন্মগত বয়স ৫ বৎসর।
জন্ম থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দিন পর্যন্ত বয়সকে প্রকৃত বয়স বলে ।
বর্তমানে বুদ্ধাংক নির্ণয়ের পদ্ধতির অনেক উন্নতি সাধান করা হয়েছে এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে বুদ্ধাংক নির্ণয় (I.Q Test) করা হয়।
বুদ্ধাংকের মাণ অনুযায়ী মানুষকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয় । যেমন -
আরও দেখুন ইউনিভার্সাল জিনিয়াস
এখানে মোট ৩৮ টি প্রশ্ন আছে । প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় ২০ সেকেন্ড এবং মোট সময় ১৩ মিনিট । এই সময়ের মধ্যে আপনি প্রশ্নগুলোর উত্তর সিলেক্ট করে whats my IQ তে ক্লিক করুন । আপনার আই.কিউ মান কত তা জানতে পারবেন ।
আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।
অনেকদিন পর একটি তথ্যবহুল টিউন পেলাম………..ধন্যবাদ না দিয়ে স্বার্থপরের মত বলব এরকম টিউন আরও আরও চাই……..