শিরোনাম দেখে হয়ত অনেকে চমকে উঠবেন । কিন্তু এটাই বাস্তব কথা । তবে চলুন দেখি আসল বাস্তব টা কী -
আমরা শ্বাস গ্রহণের সময় বায়ুর সাথে অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং এ অক্সিজেন ফুসফুসে প্রবেশ করে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোষের অভ্যন্তরস্থ রক্তের সংস্পর্শে আসে এবং রক্তের হিমোগ্লোবিনের সাথে বিক্রিয়া করে অক্সি-হিমোগ্লোবিন তৈরি করে যা বিভিন্ন ধমনী ও উপ-ধমনী দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশের জৈব কোষের সংস্পর্শে এসে দহণ ক্রিয়া সংঘটিত করে । এ দহণ ক্রিয়ার ফলে দেহাভ্যন্তরে তাপ উপন্ন হয় এবং ঐ তাপ প্রাণী দেহের উষ্ণতা বজায় রাখে । শরীরে শক্তি উৎপন্ন করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে যা প্রশ্বাসের মাধ্যমে বের হয়ে যায় । গাছপালা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ক্লোরোফিলের সাহায্যে নিজেদের খাদ্য তৈরি করে এবং উপজাত হিসেবে অক্সিজেন ত্যাগ করে যা প্রাণীকূল শ্বাসের সাথে গ্রহণ করে ।
কিন্তু শ্বাসের সাথে আমরা বায়ুর যে অক্সিজেন গ্রহণ করি তা বিশুদ্ধ নয় । বায়ুর মধ্যে অক্সিজেন ছাড়াও আরও কিছু গ্যাস থাকে । এর মধ্যে নাইট্রোজেন গ্যাস অন্যতম । বায়ুর ৫ ভাগের ৪ ভাগ হল নাইট্রোজেন আর অক্সিজেন হল মাত্র ১ ভাগ । প্রাণীকূল শ্বাসের সময় যে অক্সিজেন গ্রহণ করে তার সাথে নাইট্রোজেন মিশ্রিত থাকে । নিস্ক্রিয় প্রকৃতির এই নাইট্রেজেন গ্যাস বায়ুস্থ অধিক সক্রিয় অক্সিজেন গ্যাসের দহণ ক্রিয়াকে মৃদু করে ফলে দেহের অভ্যন্তরস্থ দহনক্রিয়া সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে এবং পরিমিত গতিতে সম্পন্ন হয় ।
শ্বাসের সাথে যদি আমরা শুধু অক্সিজেন গ্রহণ করতাম তবে প্রাণীদেহের অভ্যন্তরে দহন ক্রিয়া এত দ্রুত সম্পন্ন হইত যে, উহাতে অত্যাধিক তাপ শক্তি উৎপন্ন হইত এবং দেহ যন্ত্র বিনষ্ট হয়ে যেত । ফলে প্রাণীর অস্তিত্ত্ব লোপ পেত ।
আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।
ধন্যবাদ….জানলাম.. 🙂