মনে করুন আপনাকে কেউ বলে দিলো আপনি চাইলে সপ্তাহে মাত্র ৪ ঘন্টা কাজ করে সফল হতে পারবেন, আপনি কি কথাগুলো বিষাস করবেন ?
Timothy Ferriss তার লেখা The 4 Hour Work Week বইটিতে এই কথাই বলেছেন। এই বইটিতে উনি শুধু এটাই বলেননি যেঃ এরকম কোন হওয়া সম্ভব, তার সাথে সাথে উনি এটাও বলেছেন এইটা কিভাবে সম্ভব। তাহলে এখন আমরা জানতে চেস্টা করবো এরকম কোন হওয়া সম্ভব আর তারপর আমার Fiverr এর Journey রিলেট করেন এইটা বোঝানোর চেস্টা করবো এইটা কি করে সম্ভব।
একটি ইউটুব চ্যানেল নিয়ে কথা বলছি মনে করুন আপনার একটি ইউটুব চ্যানেল রয়েছে যাতে প্রতিদিন ২ হাজার ভিউ আশে। এবার আপনি যদি প্রতিদিন বেশি বেশি করে ভিডিও আপলোড করেন এবং আপনার চ্যানেল এর ভিউ প্রতিদিন ১ লাখ হয় তাহলে প্রতি মাশে ৩০ লাখ। এবার প্রতি লাখে যদি ৫০ ডলার আয় হয় তাহলে মাশে আপনার টোটাল আয় হবে ৫০*৩০= ১৫০০ ডলার যা বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখের একটু বেশি। ভাই আমি মনে করি বাংলাদেশে ১ লাখ টাকা বড়লোক হওয়ার জন্য অনেক, কারন যার নেই তার কাছে যদি ১০০০ টাকা থাকে তাহলে সেও নিজেকে অনেক ধনি মনে করেন তাহলে ১ লাখ থাকলে কোন করবেন না ? The 4 Hour Work Week এই বইটি জিনি লিখেছেন তিনি বলেন - ১ লাখ টাকা যারা প্রথমে আয় করেন তাঁদেরকে New Rich বলেন। এখন কথা হচ্ছে New Rich এবং Old Rich এর মদ্ধে পার্থক্য কি ?
ওল্ড রিচ হচ্ছে তারা যারা সকাল ৯ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করেন। তারা নিজের ইচ্ছে মতো কোথাও বেশিদিন থাকতে পারেন না যেমনঃ ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া আর সবচেয়ে মঝার বিষয় হচ্ছে প্রেমিকা রাখা যায়না, কারন তাঁদেরকে প্রচুর পরিমান সময় দিতে হয়। সময় না দিলে আবার মনে করে তার প্রতি আপনি কেয়ারিং না। আরে আমি মঝা করছিলাম। কিন্তু আমি যা বুঝাতে চেয়েছি সেটা হচ্ছে আপনার কিছু Important কাজ আপনি চাইলেই করতে পারেন না। যারা ৯ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করেন তাদের একটি যায়গায় থেকে কাজ করতে হয়।
নিউ রিচ যারা তারা পৃথিবীর যেখানে ইচ্ছা যতোদিন ইচ্ছেকরে তারা থাকতে পারেন। আর যেখানে সেখানে বোসে তারা তাদের কাজগুলো সাড়তে পারেন আর সবচেয়ে বড় বেপার এতে তাদের আর্থিক কোন প্রকার সমস্যা দেখা দেয় না। আপনার আশে পাশের বেশিরভাগ সফল মানুষগুলোকে দেখুন তারা কিন্তু নিউ রিচ এর মদ্ধে পরেন।
এখন আপনি নিজেই চিন্তা করুন আপনি কোন ধররেন লাইফ লিট করবেন, ওল্ড রিচ নাকি নিউ রিচ ?
আজকাল অনেক রকমের রাস্তা রয়েছে অনলাইন থেকে আয় করার, আর তার মদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত Entrepreneurship আপনি একটি প্রডাক্ট তৈরি করুন আর টা অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করুন। আপনি যতো বেশি আপনার প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে আপনার সমাজে Values প্রোভাইড করতে পারবেন আপনার প্রোডাক্টটি ততো বেশি বিক্রি হবে। তার মানে আপনি সবার আগে একটি ভালো প্রোডাক্ট তৈরি করুন যা আসলে মানুষের প্রতিদিন চলার পথে কাজে লাগে। যেমন জুস, এমনিতে বাংলাদেশের বেশীরভাগ যায়গায় ভালো মানের জুস না পাওয়া গেলেও- সব যায়গায় কিন্তু লেবুর জুস পাওয়া যায়, মাত্র ৫ টাকা প্রতি গ্লাস - এইটা কিন্তু অনেক Values প্রোভাইড করে, গরমের মদ্ধে রাস্তাঘাটে চলার সময় আমরা কিন্তু প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি। তাই এমন কিছু নিয়ে কাজ করতে হবে যা সবার জীবনের একটি Values প্রোভাইড করে।
তারপর আপনার দরকার দুইটি জিনিস আর তা হচ্ছেঃ
এইবার আমি আমার Fiverr journey এর সাথে রিলেট করে বললো এই দুইটি জিনিস আমি কিভাবে Apply করেছিলাম।
আমি জখন ফাইভার একাউন্ট করেছিলাম তখনি মনে হচ্ছিলো কাল মনে হয় নিউ রিচ হইয়ে যাবো, কিন্তু আসলে সেটা হইনি আমি ব্যথ। আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। সবার কতো ভালো সেল, লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছে কিন্তু আমি একদিনে মাত্র ৫ ডলার কামাতে পারলাম না। হঠাথ মনে পরলো আরে আমিতো গিগ তৈরি করিনি তাহলে সেল কিভাবে আসবে ? (আমি কিন্তু এমনটা করি নাই কিন্তু সবাই এমনটাই করে)। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি মানুষ কিছু করার আগে টাকার হিসাব করেন। কিন্তু আমি মনেকরি আপনি কিছু করার আগে এইটা নিয়ে চিন্তা করুন আপনি কিভাবে করবেন এবং অন্যরা কিভাবে করছে আর কিভাবে করবো। নিজেকে যোগ্য করুন, টাকা আপনার পিছনে আসবে (Dialogue Copy Form 3 Fatra-Polapain)।
আমি প্রতিদিন গিগ মার্কেটিং এর জন্য অনেক রকমের সময় নস্ট করতাম সোশিয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে।
আমি একটি কথা অনলাইন থেকে জানতে পেড়েছিলাম যেঃ ৮০% সফলতা আশে ২০% কাজ থেকে। কথাটি মানতে অনেক কস্ট হয়েছিলো। কিন্তু আসলে এমনটাই হয়। আর তাই আমি খুঝতে শুরু করলাম সেই ২০% কাজটি কি যা আমাকে ৮০% সফলতা উপহার করবে। সেই ২০% কাজটি হচ্ছে আমার কাজের Portfolio, আমি মার্কেটিং করছিলাম ঠিকি কিন্তু আমার Portfolio ছিলো না, তাহলে মার্কেটিং করে কি লাভ। তারপর খুবতারাতারি আমার Portfolio Ready করি আর এখনঃ আমার যায়গা থেকে আমি অনেক ভালো আছি।
এবার হচ্ছে OUTSOURCING। যেখানে আমি মার্কেটিং এর জন্য ১২ ঘন্টা সময় নস্ট করতাম আর তাই আমি কোনো Portfolio বানাতে পারতাম না। তখনি আমি ভাবলাম এমন কাউকে খুজে নিতে হবে আমি যে কাজটুকু করতে পারছি না তাকে দিয়ে করানোর জন্য। তবে হ্যা এই ক্ষেত্রে শঠিক মানুষকে খুঁজে নিতে হবে। আমি নিয়েছিলাম আমার ছোট ভাইকে। আমার ছোট ভাই কম্পিটার চালাতে অনেক ভালোবাসে মনে হয় কম্পিউটার না হেলিকাপটার চালাচ্ছে। আমার ঘরে একটি কম্পিটার ছিলো র্যাম ছাড়া আমি খুব তারাহুরা করে র্যাম লাগিয়ে পিসিটি দার করাই। আর মার্কেটিং বা লিংক শেয়ার আমার ভাইকে দিয়ে দেই আর আমার কাজ Portfolio করা সেটা আমি করে ফেলি। সত্যি করে বললে এখন আমি প্রতিদিন ৪-৬ ঘন্টা কাজ করি। কারন ফাইভারে যে অর্ডার গুলো আশে তা আমি করি আর মার্কেটিং বা গিগ লিংক শেয়ার করার কাজ গুলো আমার ভাই করেন।
যদি আপনি আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে নিচে দেওয়া লিংক থেকে বইটি ডাউনলোড করতে পারেন। ফ্রি দিচ্ছি। অ্যামাজনে কিন্তু টাকা দিতে কিনতে হয়। 😀
আমি জানি আমি এতোবড়ো হয়ে যাইনি যে আপনাদের গ্যান দিবো কিন্তু আমার লিখতে অনেক ভালো লাগে আর তাই আমি এই বইটি থেকে যা শিখতে পেরেছি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আমি ফাইভার সহ আরো বেশ কিছু যাইগায় কাজ করি, আমার জন্য দেওয়ার করবোন। যদি এই লেখাটি কারো কাছে খারাপ লাগে তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আর আপনি আমাকে মটিবেট করার জন্য এই ব্লগে একটি টিউমেন্ট করে জানান আপনার কেমন লেগেছে। আপনি আমার সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে পারেন আর ভালো ভালো কিছু পাওয়ার জন্য।
আমি Erfan Noyon। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।