উইন্ডোজ স্মার্ট ফোল্ডার বৃত্তান্ত :: স্মার্ট ফোল্ডার কী, কেন এবং কীভাবে ব্যবহার করতে হয়?

Level 7
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা
————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি এডভান্স কম্পিউটার অপারেটিং এ স্মার্ট ফোল্ডারের ভুমিকা এবং এর ব্যবহার পদ্ধতি নিয়ে আমার আজকের টিউন।

 ➡ কম্পিউটার যন্ত্রটি তৈরীই করা হয়েছিলো মানুষের কাজকে সহজ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কম্পিউটারে কাজ করতে যদি আমাদের অহেতুক সময়ক্ষেপন হয় তাহলে সেটা আবিষ্কারকের জন্য এবং ব্যবহারকারীদের জন্য চরম লজ্জাজনক। কম্পিউটারে কাজের দ্রুততা বৃদ্ধির জন্য আমি ইতিমধ্যে অসংখ্য টিউন করেছি। সেই প্রথম টিউন থেকে আজ পর্যন্ত যতো টিউন করেছি তাতে আমার একটা উদ্দেশ্য সব সময় ধ্রুব থাকতো। আর সেটা হলো আমার টিউনগুলো থেকে টিউজিটরগন যেন সরাসরি উপকৃত হয়। আজ পর্যন্ত আমার জ্ঞাতসারে তার কোন ব্যতিক্রম করিনি। আজও তার অন্যথা হবে না আশা করি। আজ আমরা জানবো কম্পিউটারের স্মার্ট ফোল্ডার সম্পর্কে। টিউন শেষে আপনাদের কম্পিউটার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলোকে ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। টিউনের বিষয়বস্তু অত্যধিক সরল হলেও উইন্ডোজের এই ডিফল্ট সিস্টেম সম্পর্কে ৯৫-৯৯ ভাগ কম্পিউটার ব্যবহারকারী (বাংলাদেশী) এখনো অজ্ঞাত আছে। তো চলুন তাহলে আপনাদের এই অজ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে একটু অবগত করি।

উইন্ডোজ স্মার্ট ফোল্ডার – এডভান্স কম্পিউটার সার্চ মেথড

স্মার্ট ফোল্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত বলার আগে আপনাদের একটি বিষয়ে ভুল ধারনা ভাঙ্গানো জরুরী মনে করছি। নাহলে আবার একটু পরে আমাকে গালি দেওয়া শুরু করবেন। ফেসবুকে যে হারে প্রত্যেকদিন পাবলিকে অকারনে (মনে হয় টেকটিউনসে লেখালেখিটাই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে) গালি দিয়ে ইনবক্স ভরিয়ে ফেলে তাতে এখানে এই ভয় টুকু হতেই পারে। কথায় আছে যার ছেলে কুমিরে খায় সে সামান্য ঢেকি দেখলেও ভয় পায়। যাহোক, যা বলছিলাম- স্মার্ট ফোল্ডার নামটিতে ফোল্ডার কথাটি থাকলেও স্মার্ট ফোল্ডার আসলে কোন ফোল্ডার নয়। এটি একটি এডভান্স সার্চ টুলবার। এটা মূলত ফোল্ডারের মতোই কাজ করে, তাই এর নামকরণ করা হয়েছে স্মার্ট ফোল্ডার। অনেক বেশি পরিমাণ ফাইল ফোল্ডার সমৃদ্ধ কম্পিউটারে একই জাতীয় ফাইল ফোল্ডারগুলোকে খুঁজার জন্যই এই স্মার্ট ফোল্ডার ব্যবহার হয়ে থাকে।

টিউজিটরদের মুখের ভাবভঙ্গি এতো দুর থেকে দেখতে না পারলেও ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে বুঝতে পারছি কেউ বিষয়টি পরিষ্কার বুঝতে পারেননি। তবে চলুন উদাহরণ দিয়ে বুঝানো যাক। আপনার কম্পিউটারে নিশ্চয় অসংখ্য ডকুমেন্ট (.doc, .docx, .pdf, .xml ইত্যাদি), মিডিয়া ফাইল (.mp3, .mkv, .avi ইত্যাদি) এবং ফটোগ্রাফ (.png, jpeg, psd) আছে? এখন ধরুন, আপনার কম্পিউটারের সবগুলো মিডিয়া ফাইলকে এক জায়গায় দেখতে চাচ্ছেন। যদিও তারা বিভিন্ন ড্রাইভে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তারপরেও আপনি চান তাদেরকে এক নজর এক সাথে দেখতে। খেয়ালি মনের বাসনা যাকে বলে আরকি! এখন তাহলে কী করবেন? এক্ষেত্রে স্মার্ট ফোল্ডার আপনাকে সাহায্য করবে। মানে হলো স্মার্টফোল্ডার একই জাতীয় ফাইলগুলোকে একই সাথে একই স্মার্ট ফোল্ডারে রাখবে। যদিও তারা ভিন্ন ভিন্ন ড্রাইভে অবস্থান করছে তবুও তারা আপনার সামনে এক সাথে এসে হাজির হবে। এখনো না বুঝে থাকলে টিউনের পরবর্তি অংশে বিষয়টা আরও খানিকটা বুঝতে পারবেন।

উইন্ডোজ স্মার্ট ফোল্ডার – কীভাবে তৈরী করতে হয়

উইন্ডোজ এর বর্তমানে প্রচলিত প্রায় সবগুলো ভার্সনেই এই স্মার্ট ফোল্ডার অপশনটি রয়েছে। আমি আজকের টিউনে উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮/৮.১ এবং উইন্ডোজ ১০ এ স্মার্ট ফোল্ডার তৈরীর পদ্ধতি বর্ণনা করবো। তবে আমি যেহেতু উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করি তাই উইন্ডোজ ৭ দিয়েই শুরু করলাম। একই পদ্ধতি সবগুলো উইন্ডোজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও উইন্ডোজ ভার্সনগুলোর ইউজার ইন্টারফেইসের পার্থক্যের কারনে স্মার্টফোল্ডার অপশনটি ভিন্ন জায়গায় থাকবে। মনে করুন, আমি চাচ্ছি আমার কম্পিউটারে যতো .mkv ফরমেটের ভিডিও আছে সেগুলোকে এক ক্লিকে এক জায়গায় খুঁজে বের করতে। এ অবস্থায় দেখা যাক স্মার্ট ফোল্ডার কীভাবে আমাকে সাহায্য করে। এই পদ্ধতি জানলে আপনি একই ভাবে অন্য ফরমেটগুলোর ক্ষেত্রেও তা ব্যবহার করতে পারবেন।

  • প্রথমে উইন্ডোজ এক্সপ্লোরের ডানপাশে উপরের দিকের কোণায় থাকা সার্চ অপশনে আপনি যে ফাইলগুলোকে এক সাথে রাখার জন্য স্মার্ট ফোল্ডার বানাবেন তার ফরমেট লিখুন। যেমন আমি MKV ফাইল ফরমেট এর জন্য .mkv লিখেছি। আপনি যদি ফরমেট এর আগে ডট(.) না দেন তাহলে mkv শব্দটি আছে এমন ফোল্ডারও লিস্টে চলে আসবে।

  • উপরের চিত্রটিতে নিশ্চয় খেয়াল করেছেন যে, mkv ফরমেট এর সবগুলো ফাইল লিস্টে চলে এসেছে। এবার ঐ চিত্রটিতেই চিহ্নিত করা Save Search অপশনে ক্লিক করুন। অপশনটিতে ক্লিক করা মাত্রই ফরমেটটি সেইভ করার জন্য নিচের মতো অপশন চলে আসবে। কোন চিন্তা ভাবনা না করে যেভাবে আছে সেভাবেই সার্চ রেজাল্টটি সেইভ করে রাখুন।

  • এই সেইভ করা সার্চ ফলাফলটিই হলো আপনার কাঙ্কিত স্মার্ট ফোল্ডার। যেটা সংরক্ষিত থাকবে উইন্ডোজের বামপাশের সাইড বারের ফেভারিট অপশনে। খুঁজে না পেলে নিচের চিত্রটি দেখুন। আশা করি আপনার কাঙ্খিত স্মার্ট ফোল্ডারটি খুঁজে পেয়েছেন।

উইন্ডোজের অন্য ভার্সনে স্মার্ট ফোল্ডার তৈরীর পদ্ধতি

যারা উইন্ডোজ সেভেন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন তারা তো খুব সহজেই স্মার্ট ফোল্ডার তৈরী করা শিখে গেলেন। এবার যারা উইন্ডোজ ৮ কিংবা উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন তাদের শেখার পালা। তবে সেইভ করার পদ্ধতি একই রকম। তাই আমি শুধু সেইভ সার্চ অপশনটি সম্পর্কে বলবো।

উইন্ডোজ ৮/ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেমে স্মার্ট ফোল্ডার তৈরী

  • উইন্ডোজ ৮/ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেমে স্মার্ট ফোল্ডার তৈরীর জন্য উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারের সার্চ বারে যথারীতি কাঙ্খিত ফরমেটটি লিখুন। এবং উইন্ডোজ রিবন থেকে নিচের চিত্রের মতো করে Save Search অপশনে ক্লিক করে ফলাফলটি সেইভ করে রাখুন। তারপর বামপাশের সাইড বারের ফেভারিট মেনুতে দেখলেই খুঁজে পাবেন আপনার কাঙ্খিত স্মার্ট ফোল্ডার।

উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে স্মার্ট ফোল্ডার তৈরী

  • উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে স্মার্ট ফোল্ডার তৈরীর জন্য উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারের সার্চ বারে যথারীতি কাঙ্খিত ফরমেটটি লিখুন। এবং উইন্ডোজ রিবন থেকে নিচের চিত্রের মতো করে Save Search অপশনে ক্লিক করে ফলাফলটি সেইভ করে রাখুন। তারপর বামপাশের সাইড বারের ফেভারিট মেনুতে দেখলেই খুঁজে পাবেন আপনার কাঙ্খিত স্মার্ট ফোল্ডার।

স্মার্ট ফোল্ডারের সুবিধা সমূহঃ

  • স্মার্ট ফোল্ডার একই জাতীয় ফাইল এবং ফোল্ডারগুলোকে এক সাথে রাখবে।
  • স্মার্ট ফোল্ডার অনেক বেশি বড় স্টোরেজ সম্পন্ন পিসিতে আপনার কাঙ্খিত ফাইল দ্রুত খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
  • তাছাড়া সার্চ রেজাল্টকে তাড়াতাড়ি প্রদর্শন করবে।
  • সর্বোপরি স্মার্টফোল্ডার কম্পিউটার অপারেটিং এ সময়ক্ষেপনকে রোধ করবে।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর টিউনটিকে মৌলিক মনে হলে এবং নির্বাচিত টিউন হওয়ার উপযুক্ত মনে হলে নির্বাচিত টিউন মনোনয়ন দিতে ভুলে যাবে না যেন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ

➡ ইমেইলে আমার সকল টিউনের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুনঃ টেকটিউনস » সানিম মাহবীর ফাহাদ 🙄

FB PageProfileTwitterLinkedInGPlusSubscriptionMail

Level 7

আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

টিউমেন্ট অপশন বন্ধ রেখেছিলেন কেন? এ কিসের অভিমান? অবশেষে টিউন প্রকাশের পর ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট পরে টিউমেন্ট করার সুযোগ পেলাম। আপনার টিউন বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই। বরাবরের মতোই একই রকম। তবে টেকটিউনসে নিয়মিত হবেন বলে আশা করি। কারন আপনাদের টিউনের জন্যই তো পথচেয়ে থাকা। শুভ রাত্রি 🙂

*** বিষয়টা সহজ হলেও আগে জানতাম না। সুন্দর টিউনের জন্য ধইন্যার বস্তা 😛 প্রিয়তে রেখে দিলাম ভবিষ্যতের জন্য।

    এই সুযোগে তো প্রথম টিউমেন্ট করার সুযোগ পেলেন! আমারও সর্ব প্রথমে আপনার টিউমেন্ট দেখে ভালো লাগলো। এমনিতেই টিউমেন্ট অপশন বন্ধ রাখছিলাম। পরে আবার টিউজিটরদের সমস্যার কথা ভেবে খুলে দিলাম 🙂

    ➡ আপনাদের নতুন কিছু জানাতে পারাটাই তো টিউনারের কাজ। সেটা বাস্তবায়িত হলেই টিউনের প্রকৃত স্বার্থকতা। টেকটিউনসের পাশেই থাকবেন আশা করি।

nice tune. keep it up.

খুবই ভালো, ধন্যবাদ সানিম মাহবীর ফাহাদ ভাই।

thanks for the info.. Age jantam na.

thanks for ur tutorial

Level 0

অসম্ভব কাজের টিউন , আপনাকে ধন্যবাদ 🙂

আপনার টিউন বরাবর ই ভালো লাগে। এটাও খুব ভালো লাগলো। ব্যাপারটা খুব ইজি বাট জানা ছিলো না। প্রিয়তে রেখে দিলাম…আরো টিউন চাই আপনার কাছে থেকে।

    টিউনটি কষ্ট করে পড়ে টিউমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ রফিক ভাই। টেকটিউনসের পাশেই থাকুন।

ফাহাদ ভাই 😀

টিউমেন্ট অফশন বন্ধ রাখছিলেন কেন 🙁 !

যান 🙂 .. আপনার সাথে কথা নাই 😀

    মাঝে মাঝে কিছু অপশন বন্ধ রাখতে হয়। সেটা খেয়াল করেছেন দেখে ভালো লাগলো। পাশে থাকবেন সব সময়।

এত সুন্দর একটা ফিচার জানতাম না ভেবে নিজের লজ্জা লাগছে যে । থাঙ্কস ফর অ্যা নাইস টিউন ।

    আরে ব্যাপার না। এখন তো জানতে পারলেন। পরের বার কেউ যদি এরকম টিউন করে তখন আর লজ্জা লাগবে না।

ফালতু পোষ্ট টে টি টি ভরে যাওয়ায় আজ অনেক দিন পর ভিজিট করলাম। আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো ,লেখাটাও বেশ কাজের, যদিও এই কাজে আমি এভরিথিং নামে একটা সফটওয়ার ব্যবহার করি। অনুরোধ থাকলো সাইট টা কে বাচিয়ে রাখুন। ভালো থাকবেন

    আামিও এভারিথিং ব্যবহার করি। তবে সব কিছুর বিকল্প জেনে রাখা ভালো। কারন পিসিতে সব সময় এভরিথিং থাকবেই এমনটা তো আর ভাবা যায় না।

    সুন্দর টিউমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ অভিজিত মাইতি ভাই 🙂

টিউনে চোখ বোলানোর পর মনে মনে বেশ হেসেছি…..কী পরিমান হেসেছি বলে বোঝাতে পারব না- কারণ অামার অফিসিয়াল সফটওয়্যারটায় একটা গুরুত্বপূর্ণ অপশন অাছে যেটার কাজ এরকমই, অথচ এতদিন ঘরের জানালাতেই অপশনটাতে কোনদিন ক্লিকাইও নাই (১০-এ চোখে পড়েছে কিন্তু ঐ যে বিনা কারণে ক্লিকটাও করিনি :mrgreen: )

হুম তবে জানালার সার্চটা মাঝে মাঝে মেজাজ বিগড়ে গেলে ব্যবহার করতেই হয় 🙁

টিউনের জন্য ধইন্যা 🙂

    দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
    একটি ধানের শীষের উপরে, একটি শিশির বিন্দু!

    মাঝে মাঝে এরকম হয়! তবে এক ঢিলে দুই পাখি মরেছে জেনে ভালো লাগছে। টিউমেন্টের জন্য ধইন্যা 🙂

      আপনিওতো দেখতেছি নিওফাইট নিটোল ভাইয়ের মত মতই কবি হয়ে গেছেন। যাই হোক, নিটোল ভাইকে দেওয়া রিপ্লাইটা যথাযথ হয়েছে এবং অবশ্যই আমার খুব ভাল লেগেছে।

      আর টিউন কেমন লেগেছে সেটা নাহয় অব্যক্তই থেকে গেলো।

        তবে সত্যি বলতে কী- মাঝে মধ্যে ধানের শীষের এক-অাধটু শিশির বিন্দু অজানা থাকাটাও খুব খারাপ না…….কেননা যখন এটা সত্যিই অাবিস্কার করতে পারা যায় তখন খুঁজে পাবার যে অপার্থিব শান্তি অার নিজের ওপর কিঞ্চিত যে বিশ্বাসটুকু জমা হয়, তা দিয়েই অারো শ’খানেক সবুজের ক্ষেত পাড়ি দেয়া সম্ভব- না কি? 😉

        চলতে থাকা দরকার…..ফিরে অাসার জন্য হলেও 🙂

        আমি কবি হইলাম কেমনে ব্রাদার? আমি তো প্রয়োজনের তাগিদে সেই ছোটবেলায় পড়া কবিতার কিছু অংশ আউড়ালাম মাত্র!

        যাহোক, সুন্দর টিউমেন্টের জন্য ধইন্যা 🙂

ফাহাদ ভাই আপনি ভিডিও কি প্ল্যেয়ার ব্যাবহার করেন?

দারুন হয়েছে।