পোষ্টের টাইটেল দেখে হয়তো বুঝতে পেরেছেন আজকের টপিক। হ্যাঁ আজকে আলোচনা করবো কিছু সুপারন্যাচারাল বিষয় নিয়ে। কথাগুলো বিশ্বাস করবেন কি করবেননা সেটা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।
এই পৃথিবীতে মানুষের কৌতূহলের কোন কমতি নেই। ঠিক তেমনি মানুষের কৌতূহলের একটি বিষয় হল মৃতমানুষের আত্নাকে আহব্বানের প্রক্রিয়া। আবার বলছি কথাগুলো বিশ্বাস করবেন কি করবেননা সেটা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার তবে কথাগুলো নেহাত ভুয়া কথা নয়, এর সাথে বাস্তবেরও যথেষ্টতা রয়েছে।
সত্যিকথা আসলে প্ল্যনচেট বলতে কোনো শব্দ নেই,এটা ইন্ডিয়া থেকে কোনো ভাবে আমাদের দেশে আমদানী হয়েছে যেটা আমিও আগে খুব শুনতাম। তবে প্ল্যনচেট এর বদলে রিয়েল ডিমনিক বা শয়তান পূজারী সমাজে কি শব্দ ব্যবহার করা হয় চলুন জেনে নেইঃ
Channeling - এটা ভেরী ক্লোজলি আপনার প্ল্যনচেট এর সাথে Interchangeable যার মানে আত্নার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা (Clairaudience - আত্নার কথা শুনতে পারা Clairgustance - আত্নার স্বাদ নিতে পারা Clairsentience - আত্নাকে ফিল করতে পারা Clairvoyance - এবং আত্নাকে দেখতে পারা)। এগুলো প্রত্যেকটাই এক একটা শক্তি বলতে পারেন। এবার আপনি যদি আসলেই আত্না ডাকতে চান বা কথা বলতে বা আত্নার সান্নিধ্য লাভ করতে চান তাহলে সায়েন্টিফিক উপায়ে আপনি যেটা ট্রাই করতে পারেন সেটা হলো EVP এটা হলো হোয়াইট নয়েস ধরার জন্য অর্থাৎ আত্না ব্যকগ্রাউন্ডে কোনো ড়্যন্ডম নয়েজ করলে এটা সেই নয়েজ ডিটেক্ট করবে এমনকি সেটাকে স্পিচেও পরিণত করতে পারে EMF ইলেক্ট্রো-ম্যগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর যেটা আত্নার অবস্থায় নির্ণয়ে সাহায্য করবে। এছাড়াও মোশন ধরার জন্য আছে হাইটেক মোশন ডিটেক্টর। ইনভায়রনমেন্টাল চেইনজ ধরার জন্য আরো অনেক যন্ত্রপাতির মধ্যে আছে রেড সেলোফান, থার্মাল ইমেজিং স্কোপস, স্মল উইন্ডকাইমস, ইনফ্রারেড থার্মাল ডিটেক্টর এবং ইত্যাদি.. ভাববেন না এগুলো সস্তা দামী জিনিশ যা গুলিস্থান গেলেন আর কিনলেন!! ভাই আত্না ধরতেও লাখ লাখ ডলার খরচ করা লাগে আজকাল.. সুতরাং আগে নিজের আত্নার কথা চিন্তা করে দেখুন সইতে পারবেন কিনা.. ইদানীং যদিও বাংলাদেশের ভূত-এফ.এম নামক এক অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে গোস্ট হান্টিং শো লনচ করার কথা বলা হচ্ছে, সেখাণেও এসব প্রযুক্তির কিছুটা ব্যবহার দেখতে পারেন।
এই গেলো এই শতাব্দীর হাইটেক পদ্ধতি। এবার চলুন বহু পেছনে চলে যাই আত্না ডাকাডাকির আরেকটি প্রচলিত পদ্ধতি Ouija বোর্ড সম্পর্কে জানার জন্য। এই টকিং বোর্ডের আবির্ভাব ঘটেছিলো রোমান / গ্রীক শাসন আমলে তবে এতটুকু শিওর যে এটা যীশুর জন্মেরও অনেক আগে। ইভেনচুয়ালী যীশু আসার পর এই বোর্ড ক্রিশ্চিয়ানিটির জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। যেখানে মানুষ জনকে পুনরায় জীবিত করার ক্ষমতা যীশুর ছিলো সেখানে এই টকিং বোর্ডের ক্ষমতা ব্যবহার করে অনেকেই যীশুর উপর নেতাগিরি করতে চেয়েছিলো। যাই হোক এই কনফ্লিক্ট থেকে আস্তে আস্তে যখন ব্ল্যক এবং আধুনিক ডিমনিক সমাজে এর প্রচলন বেড়ে যায় তখন এটিকে অনেক দেশেই সাময়িকভাবে ব্যন করা হয়। এবং এখনও এটাকে রিলিজিয়াস কাল্ট হিসেবেই ধরা হয়। এর কার্যকরীতা ডিপেন্ড করে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নিয়মে এই বোর্ডের ব্যবহার প্রচলিত আছে। তবে বেইসিকলি বলতে গেলে দুইটা সার্কেল থাকে এই বোর্ডে প্রথম সার্কেলে 'A' থেকে 'Z' পর্যন্ত লেটার থাকে এবং দ্বীতিয় সার্কেলে ১ থেকে নয় পর্যন্ত সংখ্যা থাকে। প্রথম সার্কেলের সব লেটার আত্নার 'হ্যাঁ' রিপ্লায়ের সাথে সম্পৃক্ত যেখানে দ্বীতিয় সার্কেলের সব নাম্বার 'না' রিপ্লায়ের সাথে সম্পৃক্ত। কথাবার্তা শেষে যদি আত্নাকে আপনার সামনে ভিসিবল করতে পারেন সেটা হবে Materialisation আবার আত্না চলে গেলে সেটা হবে Dematerialise। এছাড়াও আত্নাকে আরেকজনের উপর ভর করেও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। তবে সেটা বড়ই রিস্কি। কোনো ভাবে খারাপ আত্না হলে ডিমনিক পসেশনের স্বীকার হবে তখন আবার এক্সরসিজম নিয়ে দৌড়াদৌড়ি। সুতরাং বুঝে শুনে!!
তারপর ও যদি করতে চান তবে প্লানচেটে বসে যেভাবে আত্মা ডাকবেনঃ
প্লানচেটে এই কাজ করার জন্য একাধিক মানুষ বোর্ডটির চারপাশ ঘিরে রাখতে হবে। আর লাভ আকৃতির যে একটা কাঠের টুকরা আছে তাতে সবার হাত রাখতে হবে। এবার চোখ খুলে ধ্যান করতে থাকুন আর বলুনঃ এই ঘরে কোনো শুভ শক্তি আছে? থাকলে সাড়া দিন। দেখবেন ঐ (লাভ) চিহ্নটি গিয়ে নিজে নিজে বসবে YES ঘরটির উপর। অর্থাৎ, একটা শুভ বা অশুভ আত্মা এই ঘরে আছে যে কিনা ঐ ‘লাভ’ চিহ্নটিকে YES ঘরে নিয়ে গেল। এখন মনে করুন আপনাদের সাথে আপনাদে এক বন্ধুও এই লাভ চিহ্নটিতে হাত রেখেছে যার নাম হলো ‘গলু’। গলু’র দাদা ১৯৪২ সালে গাড়ি দূর্ঘটনায় নিহত হয়ে গেছে। এখন আপনারা সবাই গলু’র দাদার সঙ্গে কথা বলতে চান। সবাই মিলে ডাকুনঃ আপনি কি গলুর দাদা? গলুর দাদা হলে সাড়া দিন। আবার দেখবেন আপনাদের হাতের নিচে থাকা ‘লাভ’ চিহ্নটি YES ঘরে চলে গেছে। তার মানে হ্যাঁ গলুর দাদা আছে। এখন আপনারা প্রশ্ন করুনঃ আপনি কি সুখি? এই প্রশ্নের উত্তরও দিবে একইভাবে YES। এখন ধরুন গলুর দাদার নাম ‘কলু’। তাহলে আত্মার প্রতি আরো বিশ্বাসী হওয়ার জন্য আপনারা প্রশ্ন করতে পারেনঃ আপনার নাম কী? দেখবেন আপনার হাতের নিচের ‘লাভ’ চিহ্নটি ধীরে ধীরে প্রথমে K তারপর O তারপর L আর তারপর U ঘরে যাবে। অর্থাৎ কলুর দাদার আত্মা সত্যিই এখানে আছে যার নাম KOLU। এখন জিজ্ঞাস করুনঃ আপনি কবে মারা গিয়েছেন? উত্তর পেয়ে যাবেন একই ভাবে। 1942 সালে। পরীক্ষাগুলো যদি আপনারা করে ফেলেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি প্রেতাত্মা সম্পর্কে বিশ্বাস স্থাপন করতে শুরু করবেন। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন সত্যিই প্রেতাত্মা (কলুর দাদা) এই ঘরে ছিল তাহলে আরেকটা পরীক্ষা করুন। আপনাদের মধ্যে একজন প্লানচেটের ‘লাভ’ চিহ্ন থেকে হাত সরিয়ে ফেলুন (গলু ছাড়া) এবং যে হাত সরিয়েছেন তিনি ছাড়া সবার চোখ বন্ধ করে দিন। এবার আগের মতো একই প্রশ্ন করুন। যিনি হাত সরিয়ে ফেলেছেন তিনি পরীক্ষা করুন আত্মারা কি আগের মতো ঠিক উত্তর দিচ্ছে? দেখতে পাবেন চোখ বন্ধ অবস্থায় আত্মারা একটি ঠিক উত্তরও দিতে পারেনি। তার মানে কি চোখ বন্ধ করার সাথে সাথে আত্মারাও সবকিছু ভুলে গেল? এর উত্তর দু’টি। একটি হলো ‘আত্মারা চোখ বন্ধ করলে কাজ করেনা’ আর আরেকটি হলো ‘আত্মা সেখানে ছিলইনা’। কিন্তু একসাথে দুইটা উত্তর কীভাবে সঠিক হবে? এদের দু’টির মধ্য থেকে একটিকেই বেছে নিতে হবে যুক্তি দিয়ে। আর আমার মতে সঠিক উত্তর হলো ‘আত্মা সেখানে ছিলইনা’। এখন প্রশ্ন হলো এতক্ষন আত্মা এতোগুলো প্রশ্নের উত্তর দিল তবুও কীভাবে আত্মাতে অবিশ্বাস করবো? কিন্তু এটা হলো আপনার মস্তিষ্কের ধোঁকা!!! তাহলে কেন এমন হলোঃ উপরের ঘটনা থেকে দেখা যাচ্ছে চোখ খোলা অবস্থায় আত্মা সঠিক উত্তর দিয়েছে কিন্তু বন্ধ অবস্থায় দিতে পারেনি। এর কারণ হলো আমাদের মস্তিষ্কের ‘ইডিয়মোটর ইফেক্ট’। গলু যখন চোখ খোলা রেখে তার দাদাকে প্রশ্ন করলোঃ আপনি কি ভালো আছেন? আপনার নাম কী? আপনি কবে মারা গিয়েছেন? তখন গলুর অবচেতন মনের ইচ্ছা ছিল যে সব কিছুর যেন একটা আশানুরূপ উত্তর পায়। আর ঘটলোও তাই। এর কারণ গলুর চোখ যখন খোলা ছিল তখন সে জানত কোথায় YES কোথায় KOLU কোথায় 1942 শব্দগুলো আছে। ফলে তার অবচেতন মন তথ্য পাঠালো সব উত্তর যেন ‘হ্যাঁ বা আশানুরূপ’ হয়। অর্থাৎ, গলুর অবচেতন মন চেয়েছিল সে দেখতে চায় সঠিক ফলাফল এবং হলোও তাই। অবচেতন মনের তথ্য পেয়ে গলুর মস্তিষ্কের মধ্য বাম পাশের একটি অংশে তৈরী হলো ‘ইডিয়মোটর ইফেক্ট’। ইডিয়মোটর ইফেক্টের ফলে গলুর শিরা ধমনি গুলো সেভাবে নড়তে লাগল যেভাবে গলুর অবচেতন মন চেয়েছিল। কিন্তু যখন তার চোখ বন্ধ করে দেওয়া হলো তখন ‘ইডিয়মোটর ইফেক্ট’ ঠিকই কাজ করেছিল কিন্তু গলু কিছু দেখতে না পাওয়ায় ‘ইডিয়মোটর ইফেক্ট’ ঠিক জায়গায় শিরা ধমনি নিতে পারেনি তাই তখন গলু আশানুরূপ ফল পায়নি। আর গলুর সাথে যারা লাভ চিহ্নটি ধরেছিল তাদের ভরসা ছিল গলুর উপর। তাই তাদের উপর ‘ইডিয়মোটর ইফেক্ট’ এর প্রভাব পড়েনি। অর্থাৎ, যারা প্লানচেটে বিশ্বাস করেন তারা চোখ বন্ধ করে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আসলে ভূত-প্রেত সবই আমাদের মস্তিষ্কের তৈরী। বাস্তবতার সাথে এর মিল নেই। তবে যারা ঘন ঘন ভূত-প্রেত বা অদ্ভুত জিনিস দেখেন তবে আপনারা স্কিজোফ্রেনিয়া রোগে ভুগছেন।
বিঃদ্রঃ উপরের আলোচনা মুলত ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা বিজ্ঞানের ভিত্তিতে আলোচিত। এর সাথে বাস্তবের কোন প্রকার মিল থাকার সম্ভাবনা খুব একটা নেই।
আমি সালমান খান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 74 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
MAGIC এর কিছু হাতের খেলা, আবার কিছু সত্যই তবে সেটা জ্বীনদের সাহায্য নিয়ে করা হয়ে থাকে। মানুষের মাঝে অনেক মানুষই মস্তিস্কের রোগে ভোগে, আবার অনেকেই জাবীনদের দাবারা প্ররোচিত হয়। যেমন, বলা হয়ে থাকে রাগের মাথায় মানুষ খুন করে থাকে। তো রাগ তো কোন রোগ নয়, অথচ এর কারনে মানুষের হিতাহিত জ্ঞানও থাকে না কেন? কারন শয়তান একে প্রভাভিত করে। তবে সবাই প্রভাবিত হয় না। এটা মানুষের মানষিক শক্তির উপর নির্ভর করে। আপনি যেভাবে গলুর গল্প দিয়ে ব্যাপারটাকে সিম্পল করে দিলেন ব্যাপারটা এত সিম্পলি হয় না। যেমন, আমাদের দেশেই সিলেটে একটা মোড় আছে, যেখানে প্রায়ই মানুষ দুইটা মোড় দেখতে পায়, অথচ সেখানে একটাই মোড়, আর দৃষ্টিভ্রমের ফলে না থাকা মোড়ে গাড়ি উঠিয়ে দেয়ায় এক্সিডেন্ট হয়। একজন, দুজন সবাই মস্তিস্ষের সমস্যায় থাকতে পারেনা। আর এই এক্সিডেন্টের তদন্ত আমার বাবাই করেছিলেন। ড্রাইভার বলেছিল , সে দুটো রাস্তা দেখতে পেয়ে বুঝতে না পেরে ভুলটায় চালিয়ে দেয়। আর ইঠক একই জায়গায় আরো অনেকবার একই ঘটনা ঘটেছে। এটার কোন সায়েন্টিফিক ব্যাখা তেমন দাড়ায় না।
@masud rana: ধন্যবাদ। আসলে এই পৃথিবীতে এখনো অনেক কিছুই আছে যা বিজ্ঞানের গবেষণার উরধে। আসলে সৃষ্টিকর্তার রহস্য ভেদ করা তো আর এতো সহজ নয়। আমি শুধু একটা বিষয় সম্পর্কে সাধারন মানুষের ধারনা আর একটু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।
@একেএম রেজাউল করিম: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগে বৈজ্ঞানিক মত আওড়াবে না তো কি করবে?
আর ‘রুহু’?????? হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ ২০১০ সালেই ডঃ ক্রেগ ভেন্টর তার ল্যাবরেটরি তে মৃত ব্যাকটেরিয়াতে জীবন প্রদান করে কৃত্রিম জীবনের সূত্রপাত করেন যেটা প্রাণের জন্য তথাকথিত “রুহু/আত্মা” এসবের প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ন বিলুপ্ত করে দিয়েছে। তার ল্যাবরেটরিতে মৃত ব্যাক্টেরিয়াতে নতুন জীবন দেয়ার জন্য তাকে কোন রুহু খুজে আনতে হয়নি।
খুবই কষ্ট হল বুঝতে। তবে আমার মনে হয় আপনি ভুত-টুত বিশ্বাস করেন না। যাই হোক যদি কখনো সামনা সামনি হন তবে বুঝবেন আপনার স্কিজোফ্রেনিয়া আছে নাকি ভুত সত্যি আছে। ভুত আসলে নেই বলে আমিও বিশ্বাস করি। তবে জীনকেই আমরা ভুত বলে থাকি। আর জীন তো অবশ্যই আছে।
@FA Shopnil: জিন আর ভুত সম্পুর্ন আলাদা প্রোডাক্ট। জিন হল আল্লাহ তালার তৈরি একটি বুদ্ধিমান জাতি (মানে বুদ্ধিমত্তা সম্পন্য যেমন মানুষ)। আর ভুত হল এক প্রকার কাল্পনিক চরিত্র যা মানুষের মৃত্যুর পর সিস্টেমেকলি আজব (বা হাস্যকর) প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে। পৃথিবীতে আসে। ধরে ধরে মানুষ কপ কপ করে খেয়ে ফেলে।
@জামান: আরে ভাইজান কি কন জিন অর্থ মানুষ হবে কেল্লা। আমি বললাম জিন একটা বুদ্ধিমত্তা সম্পন্য জাতি। অনেকটা মনুষ্যের যেমন বুদ্ধিমত্তা থাকে সেরকম। আর বুদ্ধিমানের কিন্তু অনেক প্যারামিটার আছে। এবং মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং জিনের বুদ্ধিমত্তা অনেকটা কাছাকাছি অবস্থান করে। সেটা বলেছি। আর আপনে বললেন মানুষ হল জিন বা জিন হল মানুষ। যাই হোক মাথার উপর দিয়ে পাস করলো।
প্রথম টিউন হিসাবে খারাপ হয়নি। কিভাবে এটা করা হয় সে বিষয়টাও জানলাম আর সেই সাথে পেছনের মানষিক সমস্যা 😛 টাও জানলাম। এগুলো জানার প্রয়োজন আছে। এখনো অনেকেই সেই প্রাচীন ধ্যান ধারনা নিয়েই বসে আছে।
MAGIC এর কিছু হাতের খেলা, আবার কিছু সত্যই তবে সেটা জ্বীনদের সাহায্য নিয়ে করা হয়ে থাকে। মানুষের মাঝে অনেক মানুষই মস্তিস্কের রোগে ভোগে, আবার অনেকেই জাবীনদের দাবারা প্ররোচিত হয়। যেমন, বলা হয়ে থাকে রাগের মাথায় মানুষ খুন করে থাকে। তো রাগ তো কোন রোগ নয়, অথচ এর কারনে মানুষের হিতাহিত জ্ঞানও থাকে না কেন? কারন শয়তান একে প্রভাভিত করে। তবে সবাই প্রভাবিত হয় না। এটা মানুষের মানষিক শক্তির উপর নির্ভর করে।
আপনি যেভাবে গলুর গল্প দিয়ে ব্যাপারটাকে সিম্পল করে দিলেন ব্যাপারটা এত সিম্পলি হয় না। যেমন, আমাদের দেশেই সিলেটে একটা মোড় আছে, যেখানে প্রায়ই মানুষ দুইটা মোড় দেখতে পায়, অথচ সেখানে একটাই মোড়, আর দৃষ্টিভ্রমের ফলে না থাকা মোড়ে গাড়ি উঠিয়ে দেয়ায় এক্সিডেন্ট হয়। একজন, দুজন সবাই মস্তিস্ষের সমস্যায় থাকতে পারেনা। আর এই এক্সিডেন্টের তদন্ত আমার বাবাই করেছিলেন। ড্রাইভার বলেছিল , সে দুটো রাস্তা দেখতে পেয়ে বুঝতে না পেরে ভুলটায় চালিয়ে দেয়। আর ইঠক একই জায়গায় আরো অনেকবার একই ঘটনা ঘটেছে। এটার কোন সায়েন্টিফিক ব্যাখা তেমন দাড়ায় না।