সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং মোবারকবাদ জানিয়ে এডভান্স কম্পিউটার অপারেটিং এর সিম্বোলিক লিংক কিংবা সিমলিংক শীর্ষক টিউনটি শুরু করছি।
কম্পিউটারে সাবলিল এবং সুন্দর ভাবে কাজ করার পূর্ব শর্ত হলো কম্পিউটারে সবকিছু সুন্দর ভাবে অর্গানাইজড থাকা। কাজের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হয় যেন মার্ফির সূত্রের মাঝে আটকা না পড়তে হয়। জনাব মার্ফির মতে যখন যা কিছু প্রয়োজন তখন সেটাকে পাওয়া যাবে না। প্রয়োজন শেষ হলেই দেখা যাবে সেটা চোখের সামনে পড়ে আছে। কম্পিউটারে কাজের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টাতে মাঝে মাঝেই আমাদের ভুগতে হয়। আমরা জানি দুটি বিন্দুর মাঝে সংযোগকারী সরল রেখায় হলো তাদের মধ্যকার সর্বনিম্ন দুরত্ব।
এই রেখা ছাড়া আপনি যেদিকেই যাবেন আপনার সময় এবং শ্রম দুটোরই অপচয় হবে। ঠিক তেমনি কম্পিউটারে কাজের জন্য রয়েছে কিছু সুনির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড। কিছু আলাদা ফিচার যেগুলো ব্যবহার করলে আপনি খুব সহজেই সঠিক কাজটি সঠিকভাবে করতে পারবেন। এর বায়রে গেলে আপনার সময় এবং শ্রমের অপচয় সুনিশ্চিত।
আজ আমরা এরকই একটি বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো। আজকের আলোচনার বিষয় সিম্বোলিক লিংক বা সিমলিংক। আমার বিশ্বাস অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছেই আজকের বিষয়টা সম্পূর্ণ নতুন মনে হবে। কারন এর আগে টেকটিউনসে কেউ এ বিষয়ে লিখেনি। যাহোক, চলুন মূল আলোচনায় ফিরে আসা যাক।
সিম্বোলিক লিংক (Symbolic Link) হলো একটি এডভান্স শর্টকাট মেথোড যাকে আমরা সংক্ষেপে সিমলিংক (Symlink) বলবো। সাধারনত আমরা কোন ফাইল বা ফোল্ডার সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য শর্টকাট ব্যবহার করে থাকি। সেখানে ক্লিক করা মাত্র মেইন ফাইল বা ফোল্ডার ওপেন হয়। কিন্তু সিম্বোলিক লিংক হলো এমন একটা প্রসেস যেখানে কম্পিউটারের যেকোন স্থানের ফাইল বা ফোল্ডারকে আপনি অন্য কোন জায়গায় আসল ফাইল বা ফোল্ডারের মতো ব্যবহার করতে পারবেন। জানিনা বুঝতে পারছেন কিনা, তবে টিউনের শেষ পর্যন্ত পড়লে সব কিছু আপনার জন্য পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সিম্বোলিক লিংকের অনেকগুলো প্রকারভেদ থাকলেও তাদের মধ্যে দুই ধরনের সিম্বোলিক লিংক অন্যতম। একটা হলো সফট সিম্বোলিক লিংক এবং অন্যটা হলো হার্ড সিম্বোলিক লিংক।
আজকের টিউনে আরও অগ্রসর হওয়ার আগে চলুন জেনে নেই কেন আমাদের সিম্বোলিক লিংক ব্যবহার করতে হবে। অথবা আজকের টিউনের মুল উদ্দেশ্য কী?
সিম্বোলিক লিংক ব্যবহার করার জন্য অনেক কারন আপনি আজকের পর থেকে খুঁজে পাবেন। আমাদের সামনে অনেক বিষয় অজানা থাকার কারনে আমরা সেগুলোর অভাব বুঝিনা। আজ যখন বিষয়টা সম্পর্কে পরিপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন তখন এটার অনেক ব্যবহার নিজে নিজেই বের করে ফেলতে পারবেন। চলুন নিচের উদাহরণগুলো থেকে একটু ধারনা নেওয়ার চেষ্টা করি, কোন কোন পরিস্থিতিতে সিম্বোলিক লিংক ব্যবহার করতে হবে।
কম্পিউটারের কমান্ড সিস্টেম ব্যবহার করে আপনি সিম্বোলিংক লিংক তৈরী করতে পারবেন। কিন্তু সেটা খুব সহজ কোন বিষয় নয়। অনেকটা ঝামেলা হয় এই কাজটি করতে গিয়ে। তবে ঝামেলা এড়িয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে দেওয়ায় আমার প্রধান কাজ। সহজ পদ্ধতি থাকতে আমরা কখনোই কঠিনের দিকে যাবো না। তবে এই সহজ পদ্ধতির জন্য আপনাদের কম্পিউটারে দুটো জিনিস থাকতে হবে। প্রথমটা Visual Studio 2005 Redistributable এবং দ্বিতীয়টা Link Shell Extension। নিচের ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করে আপনার কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম এবং তাদের বিট অনুযায়ী Visual Studio 2005 Redistributable এবং Link Shell Extension ডাউনলোড করে নিন।
সিম্বোলিক লিংক তৈরী করার জন্য প্রয়োজনীয় ফাইল ডাউনলোড | ||
---|---|---|
Windows XP, 7, 8, 10 (x86) | Visual Studio 2005 Red(2.6MB) | Link Shell Extension(3.57MB) |
Windows XP, 7, 8, 10 (x64) | Visual Studio 2005 Red(3.0MB) | Link Shell Extension(3.83MB) |
সিম্বোলিক লিংক তৈরী করার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা এবং কিছু সতর্কতা রয়েছে। আমি না বললেও আপনারা কখনো এগুলোর কারনে সমস্যায় পড়বেন না। তবুও টিউন থেকে যাতে পূর্নাঙ্গ জ্ঞান আহরন করতে পারেন এজন্য নিচের পয়েন্টগুলো এক নজরে দেখে নিন।
তবে যাই হোক, সিম্বোলিক লিংক এর ব্যবহার পদ্ধতি খুব সহজ এবং বাস্তব জীবনে খুব প্রয়োজনীয়। কারন একটা পিসি যদি একাধিক মানুষ ব্যবহার করে তাহলে দেখা যায় একই কন্টেন্ট একাধিক ব্যক্তির ফোল্ডারে থাকে। ফলে জায়গার ব্যাপক অপচয় হয়। এক্ষেত্রে সিম্বোলিক লিংক ব্যবহার করে এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যেতে পারে। সিম্বোলিক লিংক সম্পর্কে আমি সামান্য কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। যাদের মন এতে তৃপ্ত হতে পারেনি তারা এখানে ক্লিক করে সিম্বোলিক লিংক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।
টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।
-
আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ
আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।
ভাই ঠিক বুঝলাম না !?? এমনকি “কি বুঝলাম না” সেটাও বুঝি নাই ! 🙁 :p