যে ভাবে পাওয়ার এসে পৌছয় আপনার সাধের কম্পিউটার এ

 কেমন আছেন সবাই? আজ অনেকদিন পর আবার লিখছি,
বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের এক মুহুত চলে না
দশ মিনিট পাওয়ার কাট হলেই যেন হাপিয়ে  উঠি। কিন্তু কখনো ভেবে দেখি কি এতো পাওয়ার আসে কোথা থেকে? কি ভাবেই বা আসে? আবার মাঝে মাঝেমাঝে ই বা চলে জায় কোথায়? এই সব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজকের পোস্ট।
ফিজিক্স বলে অনেক পদ্ধতি তেই বিদ্যুৎ শক্তি উতপন্ন করা সম্ভব। কিন্তু তাদের মদ্ধে সবথেকে এফিসিয়েন্ট পদ্ধতি হল তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ এর মাধ্যমে তইরি বিদ্যুৎ। কথায় কিথায় চলে এল জেনারেটর এর কথা। এই যন্ত্র টির মূলনীতি সেই আবেশ।
এটাকে কোনোভাবে ঘোরাতে পারলেই হল।ব্যাস বিদ্যুৎ শক্তি তইরি। এবার সুধু প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করলেই হল। আপনার পিসি চালু।ব্যাপারটা শুনতে এত সহজ লাগলেও আসলে কিন্তু এত সাদামাটা না।
এখন এই জেনারেটর ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ বানানোর জন্য বসে আছে পাওয়ার প্ল্যান্ট। হাত দিয়ে তো আর টারবাইন ঘুরানো সম্ভব না। তাই এরা ব্যবহার করে শক্তির প্রাকৃতিক উতস কে। কেউ ব্যবহার করে কয়লা,কেউ প্রাকৃতিক গ্যাস, কেউ পরমাণু শক্তি। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ সবথেকে বেসি প্রচলিত। কয়লা পুড়িয়ে তাপ, সেই তাপ জল কে পরিণত করে বাস্পে, সেই বাস্পের চাপেই ঘোরে টারবাইন এর চাকা। বেশিরভাগ প্লান্ট এ জেনারেটর ভোল্টেজ তইরি করে কিলো ভোল্ট রেঞ্জে।
এইবার ঘটে একটা বিশেষ ঘটনা। থিওরি বলে কোনো পরিবাহীর মধ্যে বিদ্যুৎ অপচয় তার মধ্যে দিয়ে জাওয়া কারেন্টের বরগের সমানুপাতিক।  তার মানে কারেন্ট যত বেশি হবে লশ ও তত বেসি হবে। অপচয় কেইবা করতে চায়? কিন্তু এদিকে প্রয়োজনিয় পাওয়ার তো পাঠাতেই হবে। তা হলে উপায় কি?
আমরা জানি টোটাল পাওয়ার হল ভোল্টেজ আর কারেন্ট এর গুনফল।তাই মোট পাওয়ার ঠিক রাখতে ভোল্টেজ বাড়িয়ে কারেন্ট কমিয়ে দিলেই হয়। হয় তো ভালোকথা, কিন্তু সেটা করা হবে কি ভাবে। এখন দরকার পড়ে ট্রান্সফরমার এর। এটা জেনারেটরে তইরি কিলোভোল্ট কে পরিনত করে কয়েকশো মেগাভোল্টে। এরপর লম্বা ট্রান্সমিশন লাইন ধরে বিদ্যুৎ এর যাত্রা শুরু।
এরপর আসে পাওয়ার গ্রিড। বিভিন্ন প্ল্যান্ট এর সব লাইন গিয়ে জমা হয় এখানে।এখানেই ঠিক হয় কে যাবে কোনদিকে। আবার যাত্রা শুরু।
এরপর গিয়ে থামে আবার সাবস্টেশনে। এখানে আবার বিদ্যুৎ কে মেগাভোল্ট রেঞ্জ থেকে নামিয়ে আনা হয় কিলোভোল্ট এ। এরপর চলে জায় ডিস্ট্রিবিউশন সেকশনে। এখানে প্রয়োজন অনুযায়ী ৪৪০ ভোল্ট এ ভোল্টেজ নামিয়ে আনা হয়। এতদূর অবধি পাওয়ার আসে থ্রি ফেজ সিস্টেমে। ছোটোখাটো কলকারখানা গুলো চলে ৪৪০ ভোল্টে।কিন্তু আমাদের বাড়ির সাপ্লাই হল ২২০ ভোল্ট। ছোট ছোট পোল ট্রান্সফরমার দিয়ে থ্রি ফেজ ৪৪০ ভোল্ট কে নামিয়ে আনা হয় ২২০ ভোল্টে। এর তিনটে ফেজ দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাই করা হয় তিনটে এলাকায়। তাই একই ট্রান্সফরমার দিয়ে সাপ্লাই হলেও একটি এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও অন্যটিতে নাও থাকতে পারে।
 বিদ্যুত তো আপনার বাড়িতে পৌছে গেল।  কিন্তু আপনার পিসি সরাসরি ২২০ ভল্ট এসি  তে চলে না। একটি বিশেষ যন্ত্র যাকে বলে সুইচ মোড পাওয়ার সাপ্লাই।
  ইটা ২২০ ভল্ট কে প্রয়োজন মত ডিসি  ভোল্টেজ এ পরিনত করে।  এখান থেকে ক্যাবল দিয়ে পিসির বিভিন্ন অংশে পাওয়ার সেওয়া হয়।  তাহলে একটা পিসি চালাতে কত পরিশ্রম করতে হয় কত মানুস কে ভাবতেই অবাক লাগে।
পারলে  আসতে পারেন আমার ব্লগ

Level 0

আমি অভিজিত মাইতি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 16 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Wow Nice informative tune ! Carry on 🙂

ধন্যবাদ

ভালো লাগলো

You talk about reality. Good

দারুণ তথ্যবহুল পোস্ট । আচ্ছা ভাই ভোল্ট এর কমবেশি আর কারেন্ট এর কমবেশির মধ্যে পার্থক্য কি ?