স্যামসাং গ্যালাক্সি Vs আইফোনঃ যে ১০ টি কাজ স্যামসাং গ্যালাক্সি করতে পারে কিন্তু আইফোন সেটা এখন পর্যন্ত করতে অক্ষম।

হ্যালো টিউনার, টিউডার, টিউজেটর কেমন আসেন সবাই। খারাপ না থাকার কথা। আমি যেমন নিজেকে সবসময় টেক আপডেট রাখতে নিজেকে ভালোবাসি, আপনারা এর ব্যতিক্রম না আমি জানি। যেকারণে একদম নতুন টপিকস নিয়ে আমি আজকে আপনাদের মাঝে। আমি নিজেও অবাক হয়েছি বিষয়গুলা জেনে, সাথে মজাও কম পাই নাই। আপনারাও পাবেন আশা করি। তাহলে আসুন টিউনে চলে যায়।

গ্যালাক্সি এস ৬ এবং গ্যালাক্সি এস ৬ Edge  নাকি আইফোন কোনটা নিবেন আপনি। আসলে দিধায় পড়ি আমরা প্রতিনিয়ত। কিন্তু আইফোনকে টেক্কা দিতে নতুন কিছু ফিচার নিয়ে আসছে স্যামসাং। সর্বোপরি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে। নতুন নতুন অনেক ফিচারের সাথে এই লেটেস্ট ফোনে চেষ্টা করছে লুকিং এবং কোয়ালিটিও চেঞ্জ করার। ফিঙ্গার প্রিন্টও স্যামসাং এর নতুন সংযোজন। স্যামসাং এর আগের ফোন যা পারে নাই ঠিক সেই রকমই কিছু ফিচার নিয়ে আসছে এই স্যামসাং ফোন যার অনেক কিছুই হয়তো আপনি আইফোনে পাবেন না। ঠিক এরকমই কিছু অজানাতা টপিকস নিয়ে সাজানো হয়েছে আমার আজকের এই আয়োজনে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৬ এবং গ্যালাক্সি এস ৬ Edge নাকি টাইম মেশিন খেতাবও পেয়ে গেছে জন-সমাগমে। কি ভিন্নতা এই টাইম মেশিনে?!

স্যামসাং বনাম আইফোন

 ভিন্নতা এবং আরও কিছু অজানা ১০ টি কাজ যা স্যামসাং এ পাবেন কিন্তু আইফোনে পাবেন না-

১) পে সিস্টেমঃ

গ্যালাক্সি এস ৬ এবং গ্যালাক্সি এস ৬ Edge  এ আপনি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো অনলাইন ষ্টোরে “স্যামসাং পে” এর মাধ্যমে পে করতে পারবেন।

স্যামসাং পে

যেখানে আপনি আইফোনে শুধুমাত্র অ্যাপেল পে এর শুধু কমিউনিকেশনের পাশে টার্মিনাল গুলোতে কাজ করে।

অ্যাপেল পে

২) তাঁরহীন চার্জারঃ

স্যামসাং এর  এই ফোনটি আপনি তারহীন একটা চার্জিং প্যাডের মাধ্যমে প্লাগ-ইন করা ছাড়ায় চার্জ করতে পারবেন।

তাঁরহীন চার্জার

যেখানে অ্যাপেলের আইফোন আপনি প্লাগ ছাড়া চার্জ করতে পারবেন।

আইফোন চার্জ

৩) সুপার চার্জঃ

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৬ এবং গ্যালাক্সি এস ৬ Edge  সুপার কুইকলি চার্জ

সুপার কুইকলি চার্জ করবে স্যামসাং

হবে। স্যামসাং বলে এটা ১০ মিনিট চার্জ হলেই এটা ৪ ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করতে পারবেন।

অ্যাপেল চার্জ

যেখানে আইফোন এতো দ্রুত চার্জ করতে কখনো সম্ভব নই।

৪) কালার কম্বিনেশনঃ

গ্যালাক্সি এস ৬ Edge  এর মাধ্যমে স্পেসেফিক কালার কন্টাক্ট দিতে পারবেন। এটা আপনার কল অনুসারে ভিন্ন কালার দিবে।

স্যামসাং এ দারুণ কালার কম্বিনেশন

যেখানে এই ধরণের কোন ফিচার আইফোনে নাই।

আইফোনের কালার কম্বিনেশন পাবেন না

৫) ক্যামেরা অ্যাপঃ

আপনি গ্যালাক্সি এস ৬ এবং গ্যালাক্সি এস ৬ Edge  এ হোম বাটন ২ ক্লিক করেই ক্যামেরাতে যেতে পারবেন।

হোম বাটন ২ ক্লিক করেই ক্যামেরা

যেখানে আপনাকে আইফোনে ক্যামেরা অ্যাপ অথবা লক স্ক্রিনে ক্যামেরা আইকোনে  ক্লিকের মাধ্যমে ক্যামেরা ওপেন করতে হবে।

আইফোনে যেটা পাবেন না

৬) ক্যামেরা ফোকাস লাইটঃ

স্যামসাং এর এই ফোনে ক্যামেরা মুভিং ক্যাপাসিটি থাকায় ফোকাস খুব ভালো ভাবে ক্যাপচার করতে পারবে।

ক্যামেরা ফোকাস লাইট

কিন্তু এটি আইফোন করতে পারবে না, যদিও নতুন কিছু অ্যাপ আইফোন iOS 8 এ যোগ করছে।

ফোকাস স্যামসাং এর মতো পাবেন না

৭) রিফ্রেস সিস্টেমঃ

স্যামসাং এর এই নতুন ফোনে স্মার্ট ক্লিন আপ অ্যাপ যোগ হয়েছে যা এক ক্লিকে ফোনকে ক্লিক করতে পারবে।

স্মার্ট ক্লিন অ্যাপ

Checker, claim এর মতো কিছু থার্ড পার্টি অ্যাপ থাকলেও আইফোন এটা খুব ভালোভাবে করতে পারে না।

কিছু থার্ড পার্টি অ্যাপ

৮) একের অধিক অ্যাপঃ

গ্যালাক্সি এস ৬ এবং গ্যালাক্সি এস ৬ Edge  এ আপনি ইচ্ছা করলে একের অধিক অ্যাপ চালু রাখতে পারবেন।

একের অধিক অ্যাপ চালাতে পারবেন

যেখানে আইফোন আপনাকে এক সময়ে একের অধিক অ্যাপ কখনোই চালু রাখতে পারবেন না।

একের অধিক অ্যাপ চালাতে পারবেন না

৯) আধুনিক অ্যাপ সংযোজনঃ

গ্যালাক্সি এস ৬ এবং গ্যালাক্সি এস ৬ Edge  এ আপনি হার্ট রেট মাপতে পারবেন।

হার্ট রেট পরিমাপক

যেখানে অ্যাপেলের আইফোনে কিছু হেলথ রিলেটেড সেবা থাকলেও হার্ট রেট পরিমাপ করার মতো আধুনিক অ্যাপ নাই।

এক্সট্রা কিছু স্বাস্থ্য অ্যাপ

১০) টাইম ডেট সমাচারঃ

সম্পূর্ণ স্ক্রিন বন্ধ থাকলেও গ্যালাক্সি এস ৬ Edge এ আপনি টাইম এবং ডেট দেখতে পাবেন।

টাইম ডেট স্যামসাং

যেখানে আইফোনে আপনি এমন কোন সুযোগই পাবেন না।

আইফোন বন্ধ স্ক্রিনের সময়

আমার টিউনের প্রায় শেষ পর্যায়ে। আপনাদের কি এমন আর কোন ভিন্নতা জানা আছে নতুন এই গ্যালাক্সি এস ৬ এবং গ্যালাক্সি এস ৬ এবং আইফোনের মধ্যে, টিউমেন্টের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না।

ধন্যবাদ সবাইকে। 🙂

আরও কিছু মেগা এবং ফিচারড টিউনঃ

Level 2

আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

যথেষ্ট তথ্যবহুল টিউন…ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

সুন্দর টিউন করার জন্য
ধন্যবাদ।

ইহা অতিমাত্রায় রসালো আর তৃপ্তিদায়ক নাস্তা হইয়াছে…..লোভে পড়িয়া গিয়াছি ইহার অন্তর্গত উপাদানগুলির উপর…..এই দুই আইটেমের ব্যবচ্ছেদ দেখিলে সর্বদা আপনিই জিভ সংযমের বাঁধ ভাঙিয়া বানের জলে প্লাবিত হইয়া পড়ে- সত্যই কহিতেছি, এমন জিনিস মুঠিতে পাইলে আমি তো আমি, আজিকে কুবেরও কপিলাকে ছাড়িতে পারিত…..ধইন্যার বন্যা 🙂

    নিওফাইট নিটোল -ভাই, কবি গুরুর কথা মনে হচ্ছে। আসলে আমি মুগ্ধ। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। শুধু বলবো সাথে থাকলে ধন্য হবো।

আইফোন চালিয়ে আসলে তেমন কোন মজা নেই, এন্ড্রয়েড ফোন চালিয়ে যেরকম মজা পাই। আইফোনে আছে কেবল ভাব!! আর হ্যা নেট স্পীড একটু ভাল পাওয়া যায় এন্ড্রয়েড এর তুলনায় আর ক্যামেরার জন্য ভাল লাগে। ফিচারের দিক থেকে এন্ড্রয়েড এর সাথে এপেল পারবে না। @ইমরান ভাই@ আপনার পোস্ট গুলো পড়ে অনেক ভাল লাগে।

হুম বুজলাম আইফোন শুধু দামেই সেরা কামে না

Level 0

khub valo hoise

ভালো লাগলো,তবুও আইফোন ব্যবহার করার ইচ্ছা আছে !!

Doya kore samsung castomar care jan taholei bujben ke sera. iphone bisshe only dhoni lokder jonno mobile kore kintu a maser report onujaye bikrir dik die 1 no sthan dokhol kore niese.
tai tunar ke bole manush ke rongin kore na bujie teksoi abong user freindly set tai kinte utsahito korun.apps valo ba sundor ata kono mobile set ke teksoi o mkbut ba biesasaito korena.
dhonnoda

    @Anishur Rahman: আমি জাস্ট নতুন গ্যালাক্সি ফোনের সাথে আইফোনের পার্থক্য উঠালাম। কিন্তু পাঠক কি করবে সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। সে কেনার আগে অবশ্যই আরও ভালোভাবে জেনে তারপর ফোন কিনবেন আশা করি। ধন্যবাদ। 🙂

Level 0

আইফোন ইউজ করার ইচ্ছা আছে। সেটা ভাল হোক আর খারাপ। সব কোম্পানির নিজস্ব কিছু ইউনিক ফিচার থাকে যা একে অন্যের থেকে আলাদা করে।

Level 2

গবেষণাধর্মী টিউন। দারুন হয়েছে।
আইফোন আর কয়েকহাজার টাকা দামের চায়না সেট আমার কাছে একই লাগে। কারন আমার আ্যাপল আইডি নাই। পার্থক্যটা ক্যামেরা আর প্রযুক্তিগত গুণগত মানেই। আমার কথায় হয়তো অনেকে একমত হবে না জানি। কিন্তু যার কাছে আ্যাপল আইডি নাই সে আমার কথাটা অবশ্যই আরেকবার ভেবে দেখবে।

একটা জিনিস বুঝি না, আইফোনের কথা উঠলেই দামের কথা উঠে কেন? Galaxy S2, S3, S4, S5 কি কম দামে দিছে? সবগুলার প্রাইজ ই ছিল ৬০ হাজার টাকার উপরে। আমি এন্ড্রয়েড/আইফোন দুইটাই ব্যাবহার করি। এন্ড্রয়েড এর সবথেকে বড় সমস্যা ল্যাগ হয়ে যাওয়া। কয়েকটা অ্যাপলিকেশন একসাথে রান করলেই সেট স্লো হয়ে যায়। আইফোন এ এই টাইপের সমস্যা নাই। সো পারফরমেন্সের জন্যই আমি আইফোন নিব।

    @সুমির: দা তবে নতুন গ্যালাক্সি অনেক চেঞ্জ আনছে যতোটুকো রিভিউ পাইলাম। হয়তো এবার আইফনকে একটু হলেও টনক নড়াবে। তবে…. !! ধন্যবাদ।
    🙂

Level 0

Good Tune… U didn’t tell us that what samsung copied from iPhone. Just try to find it and u will get it. Price is not low to get samsung also…and its also not for Poor People. by the way just wait for few days…then all of us will know which is the peoples first choice…