আমার বোন অনলাইন আয়ে নতুন হয়েও মাত্র ১৫ দিনে ৫১ ডলার (অথবা ৪,০০০ বাংলাদেশী টাকা) ইনকাম করে ফেলল। এই টিউনে আমি তার নতুন অবস্থায় সে কিভাবে আয় করলো এর ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি অনলাইন আয়ের ওপর আগ্রহী হন আর জানতে চান যে কিভাবে শুরু করা যায় তাহলে আপনার এই লেখাটি পড়া উচিত।
গত জুন মাসের ৩-৪ তারিখে আমি আমার বোনকে অনলাইনে কাজ করার জন্য উৎসাহী করি। নতুন অবস্থায় তাকে আমি ব্লগ রাইটিং এর কাজ করতে বলি। আমি তাকে বাবলস ওয়েবসাইটে কাজ করার পরামর্শ দেই।
বাবলস একটি ব্লগ রাইটিং ওয়েবসাইট, এখানে আপনি একাউন্ট খুলে ব্লগ লিখতে পারেন। আপনার আর্টিকেলে যত ভিউ, টিউমেন্ট আর লাইক হবে, এই সাইট আপনাকে প্রতিটিতে ১ সেন্ট করে দিবে।
যখন আপনার ৫০ ডলার জমা হবে, তারা আপনাকে পে করবে।
আমি অনেক ভেবে চিন্তে আমার বোনকে এই ওয়েবসাইটে কাজের জন্য লাগালাম। এই সাইটটি নতুনদের জন্য পারফেক্ট কারন এই সাইটে ব্লগ লেখার জন্য কোন বিশেষ কোয়ালিটি কন্ট্রোল নেই। আপনি যদি ইংরেজিতে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন তাহলে আপনিও এই সাইটে কাজ শুরু করতে পারেন।
একটা বিষয়ে আমি শংকিত ছিলাম যে এই বাবলস ওয়েবসাইট পে করবে কিনা, কারন আমি ইতিমধ্যে এর ব্যপারে অনেক খারাপ রিভিউ পড়েছি। কিন্তু আমি আশাবাদি ছিলাম আর আমি আমার বোনকে এই সাইটে কাজ করতে বলি।
শেষে যদি সে পেমেন্ট নাও পায়, তাহলেও তার কিছু অনলাইন কাজের অভিজ্ঞতা হবে।
এরপর সে কাজ শুরু করে দিল আর মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ৫১ ইউ এস ডলার আয় করে ফেলল। বাবলস ওয়েবসাইটে ৫০ ডলার হলেই টাকা উঠানো যায়, আমি তার টাকা আমার পেপাল একাউন্টে (কারন ওর পেপাল নেই) আনার জন্য ক্লিক করলাম।
টাকাটা আমার পেপালে আসতে আরো প্রায় ২ সপ্তাহ লাগল। কিন্তু অবশেষে যখন আসলো, তখন আমি অনেক খুশি হই।
আমি এ পর্যন্ত অনলাইনে অনেক ডলার আয় করেছি। আমি অন্যদের অনলাইনে আয় করতে সাহায্য করেছি। কিন্তু যখন আমার নিজের বোন এই কাজটা করে দেখালো, এই অনুভূতিটি ছিল ভিন্ন।
আচ্ছা এরপর যখন সে টাকাটা হাতে পেল, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে সে নতুন হিসেবে এত কম সময়ে আয় করেছে। সে আমাকে কি কি বললো আমি তা নিচে তুলে ধরলামঃ-
শুরুতেই আমার বোন এই ওয়েবসাইটে সকল টার্মস এন্ড কন্ডিশনস পড়ে ফেলল। বাবলসে ৪০০ শব্দের এক একটা টিউন লিখতে হয়। টিউনে ইচ্ছা করলে একটা ছবি এড করা যায় তবে ছবি দিলে সাথে এই ছবির ক্রেডিট লিংক দিতে হবে। সাইটে কোন আপত্তিকর কিছু লেখা যাবে না। দিনে সর্বোচ্চ ১০টা টিউন কেউ পাবলিশ করতে পারবে।
প্রথমত সে ভেবেই পাচ্ছিল না যে এই ওয়েবসাইটে কোন বিষয়ে লিখবে। বাবলস ওয়েবসাইটে যে কোন বিষয়েই লেখা যায়। তো সে শুরুতে কয়েকটা র্যান্ডম বিষয়ে টিউন দিতে থাকলো। এরপর একটা সময় দেখল যে একটা টিউন অনেক লাইক আর ভিউ পেয়ে গেছে। আমার বোন তখনি বুঝে ফেলল যে সে এই বিষয়ে টিউন দিলে অনেক ভিউ, টিউমেন্ট আর লাইক পাওয়া যাবে। তখন সে ওই বিষয়ে টিউন দিতে থাকলো।
এরকম একটা টিউনে ৩০-৪০টা লাইক আর প্রায় শ'খানেক ভিউ হয়ে গেল। বুঝতেই পারছেন, আপনি বেশি আয় করতে হলে বেশি টিউন দিতে হবে।
সে প্রতিদিন দিনে ৫টা আর রাতে ৫টা মোট ১০টা করে লেখা লিখতে থাকলো। ৫০ ডলার হওয়া পর্যন্ত সে মোট ৯৮টা টিউন পাবলিশ করে ফেলল।
যখন আমি তাকে অনলাইনে কাজ করতে বলি তখন তাকে আমি বলি যে ৫০হাজার টাকা কামাই করা লাগবে না, শুরুতে ১হাজার টাকা কামাই করলেই হবে ইন্টারনেট বিলের জন্য। কিন্তু সে যায়গায় আমার বোন ৫১ ডলার অথবা প্রায় ৪হাজার টাকা আয় করে ফেলল তাও আবার ১৫ দিনে।
বাবলস এর পেমেন্ট পেয়ে আমি এখন বলতে পারি যে হ্যা বাবলস ওয়েবসাইটটি ভূয়া নয়, যে কেউ ইচ্ছে করলে এখান থেকে অনলাইনে আয় করতে পারে।
আমি কি বাবলস রেকমেন্ড করি?
আপনি যদি অনলাইনে নতুন হন, এবং ইংরেজীতে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন তাহলে আপনি বাবলস এ কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এটি নতুনদের জন্য ভাল, কিন্তু আমি এই ওয়েবসাইটের ওপর পুরপুরি নির্ভরশীল হতে বলবো না। আপনি যখন এই সাইট থেকে আয় করে কিছুটা পাকা হবেন, আপনাকে আরো এডভান্স অনলাইন আর্নিং সাইট এ কাজ শুরু করে দিতে হবে।
আমার বোনকে আমি এখন আরো এডভান্স লেভেলে কাজ করাচ্ছি এবং আশা করি সে শিঘ্রই আরো টাকা আয় করবে।
আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে বাবলস এ কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
আরো অনলাইন আয়ের সাইট এবং টিপসের জন্য পড়তে পারেন আমার ব্লগ, অনলাইন আর্নিং কিং
টিউনটি ফেসবুক, টুইটার, ইমেইলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
আমি তমাল আনোয়ার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 76 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
দারুন! আপনার রেফারেলে আমি একাউন্ট করেছি- রেজাবিডি৯৯