সারা পৃথিবী আমার , যেখানে প্রয়োজন সেখানে যাব, যা চাই তাই নেব। জাতি ধর্ম গোত্র নির্বিশেষে মানুষের কল্যান করব। আমরা এক মহান জাতি, আমি এক অনন্য মানুষ।
জীবনে কোন না কোন সময় সে আমাদের সামনে আসবেই। কারন আমরা মানুষ। মানুষ হয়েই পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছি। আমাদের অভিঙ্গতা আর্জনে সে এমনীতেই আমাদের সামনে আসে। সত্য... হে সত্য.... সবাই কে এর মুখোমুখী হতে হয়। আবার যখন কোন কিছু করতে না পারার হতাশা কিংবা অন্য কোন কিছু না পাওয়া বেদনায় আমরা নিজের জীবনকে তুচ্ছ করি। আমরা কি ভুলে যাই..... কি এই জবীনের মানে?
আমরা কেন পৃথিবীতে এসেছি? আমরা কি তাই করছি, যা তিনি চান। এসব প্রশ্ন আপনাকে ভাবাবেই। আমি জানি না এমন কেউ আছেন কি না, যিনি কখনো এসব ভাবেন নি। জীবন সম্পর্কে প্রত্যেকের নিজস্ব একটা ধারনা আছে। আমরা এই ধরনা আমাদের অভিঙ্গতার আলোকে অর্জন করি। একজন মানুষ আরো একজন মানুষকে তথনই পুরো বিশ্বাস করে যখন তার নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস জন্মে। আমরা এই জীবনে কি চাই? আসলে কি চাই সেটা বড় নয়, কি চাওয়া উচিত?
শান্তি.....শান্তি.....শান্তি..
আমাদের পূর্বে যারা এসেছিলেন আজ তারা কেউ নেই। সত্য মেনে নিতেই হবে... আমাকেও যেতে হবে। আপনি হয়ত আমার কথা এড়িয়ে যেতে চাইবেন... কিন্তু কেন? ভয়? হয়ত বলছেন, এ নিয়ে এতো মাথামাথি কেন? আমার প্রশ্ন, সত্যি কি এর কোন প্রয়োজন নাই।।।???
কোন মানুষ যে জীবনে হতাশায় ভুগে নি? ইতিহাসের মহাপুরূস হয়রত মহাম্মদ (স:) কে নিয়ে কিছু বলব না। তাকে নিয়ে কথা বলার সাহস ও যোগ্যতা আমার নেই নেই। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, আমাদের জীবন কতটা কেমন? আপনি কি কখনো ভেবেছেন নিজেকে নিয়ে? আসলে না ভেবে উপায় নেই। কারণ, মাঝে আল্লাহ বিবেক দিয়েছেন? এই নিয়ামতের ব্যাবহার আমরা কতটা করেছি বা করছি? আমরা আমাদের মেধার কতটা ব্যাবহার করছি? এসব বিষয় নিয়ে না ভেবে জাগতিক ব্যাস্ততায় নিজেকে সারাক্ষন হারিয়ে রাখলে ভুল করছেন? আসলে কোনটা ভুল আর কোনটা শুদ্ধ সেটা আমরা সহজে বুঝি না। অনেকে বুঝতে চাই না, বাকীরা বুঝতে পারি না। পারি না এই জন্য বলছি,
আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের মেধার ২১% সর্বোচ্ছ ব্যাবহার করেছি। এই ২১% ব্যাহারে যদি এত কিছু আবিষ্কার করতে পারি তবে সহজেই ধারনা নেয়া যায়, আমাদের জীবনে কতটা অজানা রয়ে গেছে? নামাজে যখন আমাদের প্রভুর সামনে দাড়াই, আমাদের হৃদয়ের কথাগুলো যখন তাঁর সামনে তুলে ধরি, যখন আপনা থেকেই শান্তির অশ্রু দু গাল বেয়ে নেমে আসে। আপনারা কি এর থেকে শান্তি জীবনে আর কোথাও পেয়েছেন? তিনি তখন আমাদের পাশে চলে আসেন, তাইতো এতো শান্তি....
এই শান্তির জন্য, আত্নার প্রশান্তির জন্য যুগ যুগ ধরে মানুষ ধ্যান করে আসছে।
আপনি এটাকে মেডিটেশন বলতে পারেন।
আসলে মূল কথা হচ্ছে এটাই.. আমরা সবাই শান্তি চাই। এই শান্তির কথাই শুরূতে বলেছি। কিন্তু সত্য হচ্ছে, বিভিন্ন কারণে আমরা শান্তিতে নাই। নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় নাই। এই নাই নাই য়ের মাঝে আমাদের মহামূল্য জীবনটাও নাই হয়ে যাচ্ছে।
কি করবেন?
প্রতিদিন ভাল কিছু ভাবুন। প্রকৃতির কাছে যান। স্রষ্টার সৃষ্টি কত সুন্দর কাছ থেকে দেখুন। মমতা দিয়ে স্পর্শ করূন। মন খুলে হাসুন। জীবন সম্পর্কে পজেটিব ধারনার জন্ম দিন। যা হয়েছে স্রষ্টার আশির্বাদে ভালর জন্য হয়েছে। যা করব ভালর জন্য করব। মানুষের উপকার হয় এমন কাজ করব। কেউ আঘাত দিলে বিনিময়ে তারে মমতা দেব। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ মমতার কাছে দুর্বল। সবাই মমতা পেতে চায়, কিন্তু সবাই দিতে পারে না। আপনি মমতা দিয়ে সবার থেকে আলাদা , নিজেকে অন্যন্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। কারো সাথে ভুল করলে তা স্বীকার করূন। ক্ষমা চান। ক্ষমা চাওয়ার মাঝে লজ্বার কিছু নেই। আছে মহত্ব।
ছবি যাকে দেখতে পারছেন উনাকে আমরা সবাই সবাই চিনি। শহীদ আল বোখারী মহাজাতক। তিনি ই সর্ব প্রথম বাংলা ভাষায় মেডিটেশন কে বিঙ্গানিক রূপ দিয়েছেন।
প্রশ্ন হল, মেডিটেশন কি ও কেন?
মেডিটেশন হল এমন এক প্রক্রিয়া যার সাহায্যে মানুষ বর্তমানে উপস্হিত থেকেও তার চিন্তা চেতনাকে কালের উর্ধে নিয়ে যায়।
এই প্রক্রিয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য হলেও মানুষ তার মস্তৃককে অন্য একটি চেতনার বলয়ে নিয়ে যায়।
ধীরে ধীরে নিজেকে ভিন্ন এক স্তরে নিয়ে যায়। যেখানে তার সকল কষ্ট শক্তিতে পরিনত হয়।
জাগতের রহস্য জাল চিন্ন করে সে নিজেকে অনেক উচু এক স্তরে নিয়ে যায়।
মেডিটেশন কিভাবে করতে হয়?
আপনি আরাম বোধ করেন এমন ভাবে বসে ( তবে পদ্নাশনে বসাই ভাল) নিরিবিলি স্তানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রকৃতি আথবা সুন্দর ও ভাল কিছু কল্পনা করা।
মেডিটেশন করার জন্য সব থেকে গূরূত্বপূর্ন বিষয় হল, দম নিয়ন্তন। ধীরে ধীরে এটা নির্দিষ্ট রূটে দম নিতে হবে।
তার পর, সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে। মনে যাই আসে তাই ভবতে থাকলে কিন্তু মেডিটেশন হবে না।
একাগ্র চিত্তে সকল মনোযোগ একত্রে কেন্দিভূত করতে হবে। আবার মনকে জোর করলেও চলবে না।
তাই প্রথম প্রথম সুন্দর কোন প্রাকৃতিক দৃশ্য ভাবতে পারেন।
যেমন, সাগরে টেউ উঠছে। সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য।
কয়েকদিন পর ভাবনার রূট একটু পরিবর্তন করূন। একটি গাছ নিয়ে ভাবুন। ধরূন একটা বট গাছের কথা।
কোন পাখির মুখ থেকে ছিটকে পড়ে মাটিতে। স্রষ্টার ইচ্ছায় বীজ থেকে চারা ফুটে। ধীরে ধীরে গাছ বড় হয়। পাখীর বজ্রে পরিনত হওয়া থেকে কেমন করে একটা গাছ কত প্রতিকূল পরিস্তিতির মুখোমুখী হতে হতে একসময় বিশাল গাছ হয়। সেই গাছ মরে যায়। আবার গাছ হয়। প্রকৃতির এই চেন্জ ধীরে ধীরে সময় নিয়ে ভাবুন। একসময় ভাবুন আপনি নিজেই এরকম একটা গাছ। আমার বিশ্বাস আপনি নিজেই ধরতে পারবেন, প্রকৃতির নিয়ম নীতি।
তবে অবশ্যই মেডিটেশনের সুনির্দিষ্ট নীতি আছে। যা পরবর্তীতে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
সেগুলো ফলো না করেও সুন্দর মেডিটেশন করা যায়। তবে বেসিক বিষয়গুলো জানা থাকতে হবে।
মেডিটেশন কালে আমাদের মস্তিষ্কে অনেক পরিবর্তন হয়।
আপনাদের বুঝার সুবিধার নিচে একটি লিংক দিলাম, এটি ডউনলোড করে অডিও শুনো মোডিটেশন শুরূ করতে পারেন।
এখান থেকে ডাউনলোড করূন।
আপনি নিরিবিলি বসে নিজেকে নিয়ে ভাবুন। এটাও মেডিটেশনের বড় একটা অংশ। ভাবুন....
আমরা সবাই একদিন মারা যাব, আমাদের সবাইকে আখেরাতের ময়দানে হাজির হতে হবে। মনের গভীর থেকে উপলব্দি করূন , মনের মধ্যে এর ছবি আকুন। সেই সময় চলে এলে কেমন হবে বুঝার চেষ্টা করূন। আমাদের প্রভু যখন প্রশ্ন করবেন, তাঁর নিয়ামত সমূহ কিভাবে ব্যাবহার করেছি। তখন কি উত্তর দেব? উত্তর গুলো সাজানোর চেষ্ট করূন। মনে করূন, সত্যি সত্যি তাই ঘটছে।
আমার বিশ্বাস, আমরা আমাদের জাগতিক হতাশাকে কাটিয়ে উঠতে পারব। নিজে একা বড় না হয়ে জাতিগত ভাবে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে উন্নত রাষ্ট হিসেবে তুলে ধরতে পারব। আমাদের সুনালী অতীত আমরা ফিরে পাব। জাতি গত ভাবে আমরা অবশ্যই মর্যাদার দাবিদার। বিশ্বে আমরাই একমাত্র জাতি যারা নিজেদের সব কিছুর বিনিময়ে দেশকে ভালবাসি।
এই রকম টিউন করার কোন ইচ্ছা ছিল না। সাহস করে করে ফেললাম। কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। আসলে এই টিউনটির মাধম্যে আমি জানতে চাচ্ছি, এবিষয়ে আপনাদের আগ্রহ কতটা? আপনাদের সমর্তন পেলে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করব অন্য একটি টিউনে। ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি গর্জন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 104 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Valo achi vhalo theko..
আমিও করার চেষ্টা করব । ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূন; তথ্য উপস্থাপন করার জন্য ।