বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত 2.75 জিতে যে এজ সার্ভিস দেয়া হচ্ছে সেটাতে দেখা যায় ম্যাক্সিমাম চ্যানেল ক্যাপাসিটি সাপোর্ট করে 230.4 কেবিপিএসের মতো।প্রতিটা চ্যানেলে থিওরেটিক্যালি 64 কেবিপিএস এর মতো সামর্থ্য থাকলেও আসলে 45 থেকে 52 কেবিপিএস এর বেশী পাওয়া যায় না। তবে জিপিআরএস এর সাথে এজের ইউনিক একটা পার্থক্য আছে। সেটা এক্সিসটিং জিপিআরএস হার্ডওয়্যারে কিছু সফটোওয়্যারে ডেভেলপ আর পিসিএমের কিছু আপগ্রেডেড ভার্সন আর সাথে ইন্টাফেস লিংকে ডাটা স্পিড বা রিসোর্সটাকে হাই করে দিলেই হাই ভলিউম ডাটা ট্রান্সপোর্ট হতে পারে। তবে যে আরবিএস বা বিটিএস শুধু জিপিআরএস সাপোর্ট করে সেক্ষেত্রে সমস্যা হলো জিপিআরএস শুধু মাত্র একটা চ্যানেল ব্যাবহার করে ডাটার আদানপ্রদানের জন্য এবং যে চ্যানেলটা ডাটার জন্য ব্যাবহ্রত হয় তাকে বিসিসিএইচ বলা হয়। কিন্তু এজ প্রয়োজন সাপেক্ষে এ্যাভেইলেবল সব কয়টা ফ্রী চ্যানেল দিয়েই ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে। তাই বলা যায় জিপিআরএস থেকে কয়েকগুন বেশী ডাটা ট্রান্সফারের সুযোগ থাকে EDGE solution এর মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় গ্রামে গন্জ্ঞে খুব ভালো স্পিড পেলেও গুলশানে এলে তার ছিটেফোটাও থাকে না।এরও কিন্তু একটা সলিউশন আছে।
যাই হোক, এজের বিদ্যমান রিসোর্স কন্সট্রেইনের কথা মাথায় রেখে এনএসএন (নোকিয়া সিমেন্স নেটওয়ার্ক) বিদ্যমান নেটওয়ার্কে সামন্জস্য করা যায় এরকম একটা সলিউশন দিচ্ছে যেটাকে মূলত ডাউনলিংক ডুয়াল কেরিয়ার এজ সফটওয়্যার হিসেবে অবহিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যমান 2.75জি তে ব্যাবহ্রত নেটওয়ার্ক কাঠামোতে বর্তমান স্পিডের ডাবল প্রায় 600 কেবিপিএস পর্যন্ত দিতে পারে।এটা এ বছরের তৃতীয় কোয়র্টারে বাজারে আসবে যেটাকে সত্যিকারে ব্রডব্যান্ডের সাথে তুলনা করছে এই ভেন্ডর কোম্পানী।তবে আরো যেটা বলা হচ্ছে যে সামনে এই টেকনোলজিকে ইজিপিআরএস2 তে উন্নীত করা হবে যেখানে একজন ইউজার ডাউনলিংকে 1.2 এমবিপিএস এবং 473 কেবিপিএস আপলিংকে পেতে পারে। এই এজ ইভিউল্যুশন হচ্ছে আসলে 3জিপিপি স্ট্যান্ডার্ডের 7 ভার্সন।
সত্যিকারার্থে আমরা যদি টেকনিক্যাল দিক থেকে চিন্তা করতে যাই সেল টেকনোলজির মাধ্যমে নির্দিস্ট ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডকে শতভাগ উপায়ে ফ্রিকোয়েন্সি রিইউজের মাধ্যমে খুব ভালো ভাবে ডাটা বা ভয়েস ট্রান্সমিশন এবং রিসিভিং এর কাজে লাগানো যায়। মোবাইল বা সেল টেকনোলজী এজন্যই টেলিকমিউনিকেশনে সুপেরিয়র।এটাকে আরো সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর জন্য এর মড্যিউলেশন স্কিম বা এমসিএস ও আরএনএ সাইডে এ কিছু বেসিক চেন্জ্ঞ এনে আরো সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াগুলোকে আমরা বিভিন্ন নামে অলরেডী চিনি। জিএসএম সেরকম একটা ইউজার ফ্রেন্ডলি টেকনোলজি এবং এখনও পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয়তম প্রযুক্তি যেটা গ্রাহকদের কাছে খুব দ্রুত পৌছে গেছে। তবে এর ডাটা কমিউনিকেশন খুব রিসোর্স হাংগ্রী যেহেতু এর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা খুব দ্রুত স্যাচুরেশনে পৌছে যায়।এটা ভয়েসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য তবে এর জন্য দেখা যায় সেল স্প্লিট করে ফেলে সোজা বাংলায় নতুন বিটিএস বা মাইক্রো বিটিএস বসানোর মাধ্যমে পরিস্হিতি সামাল দেয়া হয়, তবে এটা একটু সময়সাপেক্ষ এবং ব্যায় বহুল!
এখনো যেহেতু দেখা যায় ভয়েস ট্রাফিক খুবই প্রোফিটেবল এবং জনপ্রিয় ডাটা কমিউনিকেশনের চাইতে তাই ডাটার থেকে ভয়েসকেই প্রায়োরিটি করে দেয়া থাকে। একটা কথা একটু জানা দরকার: ইন্টারনেটের জন্য যেরকম সিগন্যাল স্ট্রেন্হের দরকার তারচেয়েও শক্তিশালী স্ট্রেন্হের দরকার ভয়েসের জন্য, তাই ভয়েসের জন্য একটা স্ট্যান্ডার্ড সিগন্যাল স্ট্রেন্হ এবং সফিসটিকেটেড নেটওয়ার্ক দরকার যেটাতে মোটামুটি ইরোর মিনিমাইজ (BER) করা থাকে। তবে ইন্টারনেট হাই স্পিডের জন্য অবশ্যই সিগন্যাল স্ট্রেন্হ একটা বড় ফ্যাক্টর! এখানে মূল সমস্য হচ্ছে চ্যানেল ক্যাপাসিটি। অনেকেই তখন Gi ব্যান্ডউইডথের দিকে নজর দেন। আসলে বাংলাদেশের জন্য এরকম বিলাসিতা করা যেতেই পারে এজন্য যে আমরা এখন সিমিউই 4 এর সাথে যুক্ত আবার সিমিউই 3 এর সাথেও যুক্ত হতে চাচ্ছি রিডানডেন্ট ব্যাক আপ হিসেবে। তবে সাবস্ক্রাইবার বেড়ে গেলে আসলে এতেও খুব একটা কাজ দেয় না।
কিন্তু সিডিএমএ তে এরকম টানাটানি নাই। কারন এটা পুরোপুরি ব্যান্ডউইডথ ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর ফলে ফ্রিকোয়েন্সি চ্যানেল বা চ্যানেল ব্যান্ড এবং ব্যান্ডউইডথের পুরোপুরি সদ্ব্যব্যাবহার সাবস্ক্রাইবারের দিক থেকেই শুরু হয়ে যায়। তাই সাবস্ক্রাইবার বা থ্রোপুট বাড়লেও এখানে স্পিডের খুব একটা তফাৎ দেখা যায় না। তাই চ্যানেল ক্যাপাসিটি খুব বড় একটা ফ্যাক্টরও নয়! এখানে মেইন যেটা ডিপেন্ড করে বিএসসি টু এমএসসি ইন্টারফেস আর Gi ব্যান্ডউইডথ! সিডিএমএতে ল্যাটেন্সি টাইম কম থাকায় (গুগল এ্যাভারেজ টাইম এ্যাপ্রক্সিমেট 500-600 এমএস) এজের চেয়ে অনেক দ্রুত পেজ খোলে।ফলে ব্যাবহারকারী বেশ একটা স্মুথ ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারে।তবে থিওরেটিক্যালি কনজেশন একটা বড় প্রবলেম CDMA 2000 এ যেটা CDMA 2000 1x EV/Do তে পুরোপুরি ইলিমিনেট করা হয়েছে। আর এই সিডিএমএতে প্রচুর ব্যান্ডউইডথ দরকার এরকম 24 ঘন্টা ইন্টারনেট বা ডাটা সার্ভিস দেবার জন্য তাই এটা তুলনামূলক দামী এবং এর জন্য সেরকম ডেডিকেটেড সেট থাকা দরকার। এর আরেকটা সৌন্দর্য আছে।জিএসএমের সেট দিয়ে যদি ইন্টারনেট ব্রাউস করা যায় তাহলে দেখা যায় ডাটা ট্রান্সমিশনের সময় এটায় কোনো ফোন আসতে পারে না। কিন্তু সিডিএমএ র সেটগুলোতে এই সমস্যাটা নেই। ব্রাউজ করার সময় ফোন আসতে পারে, রিসিভ করা যায়। আরেকটা ব্যাপার, বর্তমান এজ দিয়ে যদি কেউ এসএমটিপি বা পপআপ সার্ভিস নিতে চায় তাহলে সে খুব স্লো স্পিডের শিকার হবে। এবং দেখা যাবে আউটলুকে এর পারফরমেন্স বেশ হতাশাজনক। কিন্তু সিডিএমএতে এটা খুব একটা নেই। শেয়ারড ব্যান্ডউইডথে এই একটা সমস্যা!
আমরা কমিউনিকেশন নিয়ে যারা পড়ালেখা করেছি তারা হয়তা সবাই হাফপ্লেক্স, সিমপ্লেক্স, ডুপ্লেক্স ওয়ার্ডগুলোর সাথে পরিচিত। একজন সাধারন ইউজার এই প্রবলেমটা খুব একটা ফেস করবে না।তবে কেউ যদি ভয়েস চ্যাট ইউজ করতে যায় তখন দেখা যাবে এক সাইড দিয়ে শোনা যায় কিন্তু আরেক সাইড দিয়ে কিছুই শুনতে পাচ্ছে না, তখন বুঝতে হবে এটা হাফপ্লেক্স। তখন উচিত মোডেমটা বা হ্যান্ড স্যাট এই সুবিধাটা দিতে পারবে না। একসময় সাউন্ড কার্ডগুলো এরকম থাকলেও এখন সব কম্পিউটারই এ সুবিধা দিতে সক্ষম। তবে স্পিড বা ইন্টারনেট এক্সেস এর ব্যাপারে মোডেম বা হ্যান্ডসেট হিসেবে ব্যাবহ্রত মোডেম অবশ্যই কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখে।সেক্ষেত্রে আমার ব্যাক্তিগত পরামর্শ কেউ যদি হ্যান্ডসেট কিনতে যান এমন একটা কিনবেন আশা করি যার মাধ্যমে আপনি কথাও বলতে পারবেন এবং ভালো ইন্টারনেটও ব্রাউজ করতে পারেন সেক্ষেত্রে দ্বারে দ্বারে অপারেটর কে জিজ্ঞেস না করে সরাসরি চলে যান http://www.gsmarena.com/ এ। ওখানে গিয়ে আপনি হ্যান্ডসেটের মডেল অনুযায়ী খুজে এটার মধ্যে কি কি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। আমি কিছু প্যারামিটারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে তাহলে যে কারো বুঝতে সুবিধা হবে সে কি রকম ডাটা সার্ভিস পেতে পারে। যেমন নোকিয়া 3110 ক্লাসিক এর প্যারামিটার।ওখানে ডাটা সম্বলিত লেখায় দেখা যাবে এটা EDGE এর Class 10 সাপোর্ট করছে যার ডাটা স্পিড হচ্ছে 236.8 kbps। এখানে ক্লাস স্ট্যান্ডার্ড যত বেশী হবে ততভালো ডাটা সার্ভিস পাওয়া যাবে। আর সেটা আপনি বুঝতে পারবেন সাথে থাকা ডাটা স্পীড দেখে।আপনি হায়েস্ট পেতে পারেন Class 12 স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে যেমন জনপ্রিয় মোটোরেজরগুলো এই স্পীড দিতে সক্ষম। এর সাথে আরো কিছু প্যারামিটার আছে যেমন 3জি বা HSCSD যেগুলো আরো উন্নততর প্রযুক্তি যেটা বাংলাদেশে এখনও আসেনি। আমি যতদূর জানি বাংলাদেশের ওয়ারিদ এখনও 2.5 জি ব্যাবহার করছে এনজিএন বা নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্ক সাধারনত 3 জি এর উপযোগীতার জন্য ডিজাইন করা সেক্ষেত্রে টেকনোলজি চেন্জ্ঞ করতে হলে বিটিএস ও তার ইন্টারফেস, বিএসএস এবং তার ইন্টারফেস চেন্জ্ঞ আনতে হবে। তবে তারা GSM1800 ব্যাবহার করছে। যাই হোক, এখন আমরা হ্যান্ডসেট কিনতে গেলে এসব ব্যাপার গুলো খেয়াল রাখতে পারবো।
তবে বাজারে যেসব মোডেম পাওয়া যায় তাদের বেশীর ভাগ চাইনিজ সেট ফলে দেখা যায় কেউ কেউ খুব ভালো সেট কিনে লো পারফরম্যান্স পাচ্ছে আবার কম বাজেটেরটা কিনেও ঠকছে।একবার দেখলাম অফিসে একজন HSCSD এর মোবিডাটা মোডেম কিনে এনে বলছে এটার যে স্পিড এজের মোডেমও সেই স্পীড, লাভ কি হলো বেশী দামে কিনে? তখন তাকে বোঝানো হলো আসলে যে প্রযুক্তির মোডেম কেনা হয়েছে সেটা এখনো বাংলাদেশে কেউ ইম্পিলিমেন্ট করেনি। আরো একটা কথা যে মোডেমই কেনা হোক না, সবার আগে দেখা উচিত এটা যেনো হাফপ্লেক্স না হয় আর যেনো এজের (এ্যাটলিস্ট) MCS 10 পর্যন্ত এজ সাপোর্ট করে। তাহলে জিপিআরএস কিনে এজকে গালি দিতে হবে না। আর এটা জানার জন্য আমাদের একমাত্র ভরসা ওয়েবসাইট। ঐকোম্পানীর অরিজিনাল ওয়েবসাইট দেখে বুঝতে হবে কোনটা আপনি কিনবেন এবং কোনটায় আপনার এলাকায় বেশ ভালো সার্ভিস পেতে পারেন।
একবার আমাকে একজন বললো আপনার সব কথাই মানলাম, কিন্তু স্পীড নাই কেনো। আমি সবকিছুই ভালোটা কিনেছি, সব ফ্রেশ রেখেছি, তবুও স্পীড নাই, পেজ দেরীতে খোলে, তবু কেন কাজ করে না?
আমি তখন এটাই বলি, দেখেন আপনের বাসার পানির পাইপ যদি চিকন থাকে তাহলে ওয়াসা আপনাকে যতই পানি দিক আপনি ঐ পাইপের সেই ব্যাসার্ধের মধ্যে থেকেই পানি পাবেন। এখানে বালতি বড়ো বলে লাভ নেই।
তাহলে এর মানে দাড়াচ্ছে আমাদের জিএসএম বেজড অপারেটররা যারা সাবস্ক্রাইবার স্যাচুরেশনে ভুগছে তারা তাদের চ্যানেল ক্যাপাসিটির কারনে মার খাচ্ছে আর জয়জয়কার শোনা যায় সিডিএমএর যদিও দামটা একটু বেশি, তাতে কি? বাঙ্গালী 7 টাকা প্রতি মিনিট কথা বলছে এখন একটু বেশী দিয়ে ইন্টারনেট স্পীড নিক, এটাই বা কম কিসের অজোপাড়াগায়ের মতো এলাকায়।
তবে এটা ঠিক একদিন আমাদের আইএসপিগুলো সত্যিই ভুলে যাবে যে তারা ব্যান্ডউইডথের ব্যাবসা করতো!
আমি অশ্রুগুলো রিনকে দেয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 104 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ছেলেটি পথে নেমেছিলো একদিন নীল মায়ার হাতছানিতে। নিঃসঙ্গতায় হেটে যেতে আবিস্কার করে নিঃশব্দ চাদ তার একান্ত সঙ্গী। এখন সে হাতড়ে বেড়ায় পুরোনো সুখস্মৃতি, ঘোলা চোখে খুজে ফেরে একটি হাসি মুখ!
রিন ভাই, আপনার লেখা গুলোতে বেশ প্রফেশনাল একটা ভাব আছে। আপনি কোন পেশায় আছেন তা কী জানতে পারি।
অনেক কিছু জানতে পারলাম তবে কিছু কিছু বুঝতে বেগ পেতে হয়েছে। সবমিলিয়ে চৎমকার একটা লেখা উপহার দেওয়ার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।তবে এটা ঠিক একদিন আমাদের আইএসপিগুলো সত্যিই ভুলে যাবে যে তারা ব্যান্ডউইডথের ব্যাবসা করতো!
আল্লাহ যেন তাই করে। বহুত ভুগাইতাছে।
আরও একটি চমৎকার লেখা পেলাম রিন ভাইয়ার কাছ থেকে। আশা করি আরো ভালো ভালো লেখা পাবো। ভাইয়া, গ্রামীনফোনের এজ সার্ভিস নিয়ে কিছু লিখুন।