২ মিনিট সময় দিন- বদলে যাবে আপনার জ্ঞানের জগৎ

মনটাকে কোন বিষয়ে স্থির করতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না। মন এক চিন্তা থেকে আরেক চিন্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। হয়ত ভাবতে চাচ্ছেন  লেখার নতুন কোন বিষয় নিয়ে কিন্তু কিছুতেই মাথা কাজ করছে না, মনে পড়ে যাচ্ছে এ সংশ্লিষ্ট আরো অনেক কথা। এক সময় হাল ছেড়ে দিলেন। নামাজ পড়তে গেলেন, নামাজ থেকে মন বন্ধুদের আড্ডায় চলে যাচ্ছে। কেন এমন হয়?

মন কী?: মন এমন এক বস্তু যা দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না, ল্যবরেটরীতে টেস্টটিউবে ভরে পরীক্ষাও করা যায় না, তবে অনুভব করা যায়। একে আমরা আমাদের কম্পিউটারের সাথে তুলনা করে দেখতে পারি। কম্পিউটারের দুটো অংশ- হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার ধরা যায়, দেখা যায়, ছোঁয়া যায় কিন্তু সফটওয়্যার ? এর অস্তিত্ব আছে তবে ধরা ছোঁয়া যায় না। এটা না হলে কম্পিউটার চালানো ও যায় না। ঠিক তেমনি মন ও মানুষের সব কিছুর নিয়ন্তা। মনের ৩ টি অংশ আছে- ১. সচেতন মন ২. অবচেতন মন ৩. অচেতন মন।

মন কিভাবে কাজ করে?: আমরা সব সময় সচেতন মনের দ্বারা চালিত হই। এটি আমাদের সব কাজকে মনিটরিং করে যাতে কোন ভুল না হয়। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী হল অবচেতন মন। সচরাচর এর কাজ আমরা অনুভব করতে পারি না। কিন্তু আমরা যত কাজ করছি, যা কিছু দেখছি, যা বোঝার বা শেখার চেষ্টা করছি সব কিছু ব্যকআপ হয়ে থাকছে আমাদের মস্তিষ্কে এবং এ কাজটাই করে আমাদের অবচেতন মন। আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ি অবচেতন মন জেগে ওঠে এবং তার কর্ম তৎপরতা শুরু করে। ব্যকআপে থাকা সকল তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে কাজের প্রেরণা দান করে, তথ্যগুলোকে মস্তিষ্কের স্থায়ী মেমেরিতে জমা করে। এভাবে আমরা যা দেখি বা যা কিছু চিন্তা করি সবই ঘুমের ঘোরে অবচেতন মন আমাদের মেমোরিতে ঢুকিয়ে দেয়। ফলে এগুলোর উপস্থিতি আমরা টের না পেলেও এগুলো আমাদের ব্যকগ্রাউন্ডে কাজ করতে থাকে। আর আমরা এভাবেই এলোপাথাড়ি চিন্তায় আচ্ছন্ন হই। একজন মনোবিচজ্ঞানী বলেছেন " তোমার স্মৃতিকে গোডাউনের মত যা তা দিয়ে ঠেসে রেখো না, কাজের গুলো জমা কর, অপ্রয়োজনীয় গুলো ফেলে দাও। আমরা যদি আমাদের অবচেতন মনকে নিয়ন্ত্রন করতে পারি তবে আমরা বুঝতে পারব মনের গভীরে কী ঘটছে।

কিভাবে করা যাবে?: এর জন্যে প্রয়োজন একাগ্রতা সৃষ্টি করা। একাগ্র মনোযোগ আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে, কাজে সঠিক মনোযোগ প্রদানো সাহায্য করে। একাগ্র মনোযোগ সৃষ্টি করা তেমন সহজ কাজ নয়, এর জন্যে প্রয়োজন মানসিক অনুশীলন। এখানে আমি একটি ছোট কিন্তু কার্যকর অনুশীলনের নিয়ম বলব। এটির আবিষ্কর্তা বিখ্যাত মৌনি সাধু।

নিয়ম: ১.আপনার রুমে গিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসুন।

২. বেশি শব্দ হলে দরজা জানালা বন্ধ করে দিন।

৩. ঘরে ঝোলানো দেয়াল ঘড়ির সেকেন্ডের কাটার দিকে মনোযোগ দিন।

৪. পাকা ২ মিনিট ঘড়ির সেকেন্ডের কাটার দিকে তাকিয়ে থাকুন।

এ সময় এমন ভাবে থাকবেন যেন পৃথিবীতে শুধু ওই ঘড়ির কাঁটা ব্যতীত আর কিছু নেই। মনোযোগ যদি ঘড়ির কাঁটা থেকে সরে যায় তবে আলতো ভাবে মনোযোগ আবার ঘড়ির কাঁটায় ফিরিয়ে আনুন। আবার ২ মিনিট পূর্ণ করুন। প্রথম প্রথম মনোযোগ থাকতে চাইবে না তবে টানা অনুশীলন চালিয়ে গেলে সহজ হয়ে যাবে। আপনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করবেন আপনার স্মৃতিশক্তির ব্যপক উন্নতি হয়েছে। যাতে খুশি একাগ্র মনোযোগ দিতে পারছেন। কাব্য, সাহিত্য, গান, প্রযুক্তি যে বিষয়ে ইচ্ছা গভীর মনোযোগ প্রদান করতে পারছেন।

এটা যদি কষ্টকর হয় অর্থাৎ দেয়াল ঘড়ি না থাকলে বা রুমে সে সুযোগ না পাওয়া গেলে তবে আপনার প্রিয় কম্পিউটার ব্যবহার করেও করতে পারেন। একজন সাইট নির্মাতা এমন একটি সাইট তৈরী করেছেন যা আপনাকে ২ মিনিটের জন্যে পৃথিবী আলাদা করে দেবে। বারবার চর্চা করুন, আপনার স্মৃতি দেখে নিজেই অবাক হবেন।

সাইট লিংক: http://www.donothingfor2minutes.com/

Level 0

আমি শরীফুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 12 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

I N T E R E S T I N G !

Level 0

পড়ে এতটুকু পড়েই খুব ভালো লাগলো। মন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কাজ। অনেক বছর আগে একবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলাম। তবে প্রচন্ড আগ্রহ এখনো আছে। আপনার এই পোষ্ট পড়ে আবারো আশাহ্নিত হলাম। কিন্তু যে ওয়েবের ঠিকানা দিয়েছেন তাতে শুধু দুই মিনিটের অনুশীলন ছাড়া তো কিছু নাই। দয়া করে বলবেন কি এমন কোন সাইট যেখানে আরো অনুশীলন থাকবে।

নির্বাক হয়ে গেলাম…সাইট টা দা রু ন

Nurul Azim আপনারা চাইলে নিয়মিত এ বিষয়ে লিখব। আপনার আগ্রহের জন্যে ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ@একজন”স্বপ্নচারী”

Level New

অনেক ধন্যবাদ

আপনাকেও ধন্যবাদ tomiz

Level 0

nice thanx

Level 0

nice thanks

you most welcome rhriyad

Level 0

ভাই অনেক ভাল লাগল 🙂

আপনার কমেন্টস আমারও ভালো লাগল@ SENAT1831. ধন্যবাদ।

ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, মনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং কাজে মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য এ পদ্ধতি কিঞ্চিত সহযোগিতা করবে, মেডিটেশন এর সাথে এ প্রক্রিয়ার কিছুটা মিল রয়েছে, এমন আরো কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেকে খুব গভীরে নিয়ে যেতে পারলে মস্তিষ্কে নতুন অনুভুতির সঞ্চার ঘটবে, সৃষ্টি হবে অন্ত অনুরণন, মনে জাগবে প্রশান্তি… তবে ২ মিনিট এর চেয়ে আরেকটু বেশি সময় দেয়াটা সমিচীন হতে পারে…

ভাই obaid ullah aiman আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্যে ধর্যবাদ। মেডিটেশনের ফল ভালোভাবে পেতে হলে গভীর মনোযোগ প্রয়োজন। আর এ দুই মিনিট মনোযোগ এবং স্মৃতি বৃদ্ধির জন্যে।

Level 0

এত ভালো লাগলো ! এই কিছুক্ষণ আগে এই সাইট এ গিয়ে ২ মিনিট চুপচাপ বসে ছিলাম 🙂 অসংখ্য ধন্যবাদ

most welcome@voltrome