কেমন আছেন বন্ধুরা? নতুন এই লেখাটিতে আমি শেয়ার করব অনলাইনে আয়ের ৩টি কার্যকর পন্থা। অনলাইনে আয়ের কথা বলতে গেলেই যতগুলো উপায়ের কথা উল্লেখ করা হয় সেগুলো হলো পিটিসি, এডসেন্স, ফ্রিল্যান্সিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি। এসকল মাধ্যমগুলো কাজ করে বলেই বারবার এর কথা আলোচনায় আনা হয়। এসকল পদ্ধতি ছাড়াও অনলাইনে আরো অনেকগুলো উপায়ে আপনি আর্ন করতে পারেন, তাদের মধ্যে ৩টি কার্যকর উপায়ের কথা এই লেখাটিতে প্রকাশ করব।
আমি যে সকল উপায়ের কথা উল্লেখ করব সেগুলো কিন্তু মোটেও কোন সহজ আয়ের উপায় নয়, বরং আপনাকে আগে কিছু মজবুত অনলাইন ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে।
এব্যাপারে আমি শেষে লেখব, কিন্তু তার আগে জেনে নেয়া যাক অনলাইন আয়ের উপায়গুলোঃ-
আপনার ওয়েবসাইটে লিঙ্ক বা এড বিক্রী করে আপনি অনেক ডলার আয় করতে পারেন। আমি আমার ব্লগে প্রচুর এড/লিঙ্ক বিক্রী করে অনেক টাকা আয় করেছি। আপনি যদি টেকটিউন্সকে দেখেন, তারা অনেক বিজ্ঞ্যাপন সেল করে থাকে। আপনার একটা এড পেজ তৈরী করতে হবে আর সকল বিজ্ঞাপনের লিস্ট আর রেট সেখানে উল্লেখ করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে যদি কোন এড পেজ না থাকে, তাহলেও অনেক এডভারটাইজার আপনাকে ইমেইল করে এড দিতে চাইবে। অনেক ছোট বড় কোম্পানী/ব্লগ/ওয়েবসাইট মালিকেরা প্রতিনিয়ত লিঙ্ক বিল্ডিং অথবা প্রমোশনের জন্য লিঙ্ক/এড কিনে থাকে। আমার ব্লগে সর্বপ্রথম আমি ১০ ডলারে একটি এড সেল করেছিলাম। এপর্যন্ত আমি আমার সাইটগুলো থেকে শত শত ডলার মূল্যের এক একটি লিঙ্ক বা এড সেল করেছি।
ইবুক বা ইলেকট্রনিক বই সেল করে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারেন। আমি আমার ব্লগের জন্য অনেক ইবুক লিখেছি যা আমি বিনামূল্যে দিয়েছি। একটা সময় আমি এই ইবুকগুলো বিক্রী করার ব্যাবস্থা করি এবং তা থেকে আমি অনেক ডলার আয় করেছি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আমি ইবুক লেখি একবার আর সেটা অনেকবার বিক্রী করতে পারি। আপনি যে কোন বিষয়ের ওপর লেখতে পারেন কিন্তু যে তথ্য মানুষের কাজে আসবে বা কোন সমস্যার সমাধান দেবে, সে বই বেশি বিক্রী হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমার ব্লগের লেখাগুলোকে আমি ইবুক আকারে পাবলিশ করেছিলাম। আমার প্রথম ইবুকটি ছিল ১০ পৃষ্ঠার যেটা কপি প্রতি ৯ ডলারে আমি সেল করেছি। আমার এক বন্ধু ৭৯ ডলারের ইবুক সেল করে। আপনি যদি সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারেন তাহলে আপনি যে কোন মূল্যে এই বইগুলো বেচতে পারবেন। লক্ষ করুন, এক অর্থে আপনি শুধুমাত্র বাতাস সেল করছেন।
আপনি অনলাইনে এককালীন অনেক টাকা আয় করতে পারবেন যদি আপনি পুরো ওয়েবসাইটটিই সেল করে দেন। আমি এর আগে অনেকগুলো ওয়েবসাইট সেল করেছি। আমার প্রথম যে সাইটটি সেল করেছিলাম, সেখান থেকে আমি ৩০০ ডলার আয় করি। বিভিন্ন ওয়েবসাইট মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি ওয়েবসাইট সেল করতে পারবেন। আপনি কিছু ওয়েবসাইট তৈরী করুন এরপর সেটাকে জনপ্রিয় করে তুলুন। এরপর সেল করে দিন। ব্যাপারটা অনেকটা গরু মোটাতাজা করন আর কোরবানীর সময় বিক্রী করার মত। আমি নিজেরই না বরং অন্যের সাইট সেল করেও অনলাইনে আয় করেছই।
শুরুতেই বলেছিলাম এসকল পন্থায় আয় করা সহজ কোন কাজ না। এর জন্য অন্তত ভাল মানের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। বড় বড় এমাউন্টে আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজী একটা সাইট বানাতে হবে। শুরু করতে হবে ভাল মানের কনটেন্ট দিয়ে। এরপর আপনাকে ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে সাইটটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। ক্রমাগতভাবে লেগে থাকলে আপনি ভাল মানের একটি সাইট এবং তারই সাথে একটি কমিউনিটি বিল্ডআপ করতে পারবেন। এরপরই শুরু হবে আয়।
আমি যেসকল আয়ের কথা উল্লেখ করলাম সেখানে আমি আমার ব্র্যান্ড পাওয়ার সেল করে ডলার আয় করেছি। এতে আমার তেমন কোন কষ্টই হয়নি। যাকে বলে পায়ের ওপর পা-তুলে কামাই করা। সকল পরিশ্রম শুরুর দিকে ব্র্যান্ড আর কমিউনিটি বিল্ডিং এ হয়েছে।
তাই আপনার জন্য আমার পরামর্শঃ
আমি তমাল আনোয়ার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 76 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
হুম…ভালই কিখেছেন ।