সালাম নিবেন , কেমন আছেন ?? নিশ্চয়ই ভাল ??
আজকের পোস্ট ব্রাউজারকে ঘিরে
তাই ,এ পোস্টে ব্রাউজার নিয়ে হাল্কা পাতলা আলোচনা করবো ।
স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্রাউজার নির্মাতা ও কোম্পানিগুলো সুনাম বেড়েছে, বেড়েছে তাদের আধিপত্য । নানাবিধ প্লাগ-ইন ,অ্যাডঅন্স , এক্সটেন্সান ,ফ্ল্যাশ , জে.এস ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে জয় করে নিয়েছে
ব্যবহারকারীর মন । এক কথায় তারা সাফল্যের তুঙ্গে ।
সাফল্যের কথা যখন চলেই আসলো তবে যার নাম আগে নিতে হয় তা হচ্ছে " ক্রোম" অতি অল্প সময়ে টপ লিস্টে নিজের জায়গা করে নেয় । ১ সেপ্টম্বার ২০০৮ তে রিলিজ পেলেও বাজারের মোট ৫০ভাগ তার নিয়ন্ত্রনে ।
তারপর রয়েছে "ফায়ারফক্স" র । ডিসেম্বার ২০০৩ রিলিজ হলেও নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ইনি । কিছু দিন পর পর নতুন ফিচার অ্যাড করে বাজারে ছাড়ছে নতুন নতুন ভার্শন । সম্প্রিতি গুগোলের সাথে টেক্কা দেবার জন্য + নিজের অবস্থান শক্ত করার পাশাপাশি সুনাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে বের করতে যাচ্ছে
"Firefox os" এই বছরে নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম সম্বলিত ২টি স্মার্টফোন ছাড়ার ঘোষণাও দিয়েছে । দেখা যাক কি হয় । 🙂
তারপর যার অবস্থান তিনি হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত "ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার" সেই ১৯৫২ সাল থেকে সাফল্যের সাথে কাজ করে আসলেও , দুঃখিত ১৯৫২ সাল না আগাস্ট ১৬, ১৯৯৫ সাল হবে 😀 দর বাজারে অন্যান্য প্রতিযোগীদের ভিড়ে নিজে বিলীন হয়ে যাচ্ছে 🙁 । মাত্র ১৩.৫% লোক এটা ব্যবহার করছে ।
মধ্যেপ্রাচ্য ছাড়া এদের তেমন ব্যবহার আছে বলে আমার মনে হয় না ।
যাই হক আসা যাক মুল কথায় ,
আপনি কি জানেন আপনার ব্রাউজার দ্বারা কি কি করা সম্ভব ???
আমার এই আর্টিকেলটি নতুন ওয়েব টেকনোলজিগুলোকে আলোকপাত করছে যে ,আপনি যাতে আজ থেকে একচুয়াল ওয়েবপেজের ব্যবহার করতে পারেন । আমি সিউর অনেকেই বিষয়গুলো জানেন তবুও অজানাদের জন্যে তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র ।
অনেক ওয়েবসাইট এখন আপনাকে কাজের গতি বাড়াতে বা অব্যাহত রাখতে Drag and Drop এর মাধমে ফাইল আপলোড করার সবিধা দিচ্ছে । এতে করে অল্প সময়ে দ্রুত ফাইল আপলোড করে শেয়ার করার সুযোগ দিচ্ছে । যেমনঃ Gmail-এ দ্রুত ফাইল এটাচ করতে পারছেন, imgur.com মত সাইটে Drag n Drop মাধ্যমে ছবি আপলোড করে দ্রুত শেয়ার করতে পারছেন ।
ফায়ারফক্স , ক্রমের মত ব্রাউজারে WebGL সাপোর্ট করে । যা আপানকে 3D Graphics দেখার সুযোগ দিচ্ছে কোন প্রকার plugins ছাড়াই । 😀 । সাধারনত WebGL 3D মুভি বা গেম তৈরিতে ব্যবহার করা হয় । মোস্ট পপুলার ওয়েবসাইট "Google Maps"-এ ব্যবহার করা হয় । ক্রম দিয়ে Google Maps ওপেন করে MapsGL চালু (enable)করে নিতে পারেন ।
যার ফলে Google Maps আপনাকে 'OpenGL' মুডে দেখাবে । অনেক পরিষ্কার ,ইসমুথ এ্যানিমেশান দেখতে পাবেন । যুম করলে রাস্তার এ্যানিমেশান দেখতে পাবেন কোন প্রকার Adobe Flash ছাড়াই ।
যদি Google Maps আপনাকে ইমপ্রেস করতে না পারে তবে এটা দেখতে পারেন ।
HTML কে কখনই এমন ডিজাইন দেওয়া হয়নি যা ওয়েবসার্ভারের সামেন পিছনের ওয়েবপেজের সাথে কমিউনিকেট করবে ।HTML বানানো হয়েছে স্থির ওয়েবপেজের জন্য । কিন্তু সম্প্রীতি বেশির ভাগ ওয়েব পেজে ব্যবহার করা হয় Hacky polling পদ্ধতি যাতে সার্ভারের সাথে কমিউনিকেট করা যায় । TCP কানেকশানের মাধমে ওয়েবস্টোকগুলো ওয়েবপেজকে সম্পূর্ণ কমিউনিকেশান চ্যানেল তৈরি করে দিচ্ছে ।
যখন ওয়েবপেজ গুলোর ডেটা প্রেরণের জন্য সামেন পিছনে নেটওয়ার্ক ট্রাফিকের দরকার তখন তা নাটকীয় ভাবে কমে যায় । Mozilla’s BrowserQuest গেমের জন্য ওয়েবস্টোক ব্যবহার করা হয় । গেমগুলো ব্রাউজারে রান করার জন্য সামনে পিছনের ওই সার্ভারগুলোকে ইভেন্ট দেওয়া হয় । ওয়েবস্টোক আরো নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে যেমনঃ IRC client তৈরিরে ,জাভাস্ক্রিপ টরেন্ট ক্লায়েন্ট তৈরিতে ।
ক্রোম ওস ব্যবহারকারীদের নেটিভ টরেন্ট ক্লাইন্ট দিচ্ছে , যদিও JSTorrent সম্পূর্ণরুপে এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি ,তবে এটাও খারাপ না ।
HTML5 ভিডিও গোল টেবিলের আলোচ্য বিষয়ে পরিনত হয়েছে ,অনেকেই জানে ফ্ল্যাশ ইন্সটল ছাড়া প্লে বেল ভিডিও H.264 (MP4), WebM, and Ogg Theora ফরমেটের ভিডিও প্লে করা সম্ভব । এখন অনেক ভিডিও সাইট - ইউটিব সহ- HTML5 এর উপর বেস করে ভিডিওপ্লে বেক-এর সুবিধা দিচ্ছে । দুঃখের বিষয় অনেক ওয়েবসাইট DRM এর জন্য হাঙ্গামা করছে যা কিনা ইউটিব কেন এখন পর্যন্ত ভিডিও ও বিজ্ঞাপনের'র জন্য ফ্ল্যাশ ব্যবহার করছে ।
যেখানে Netflix এখনো Silverlight ব্যবহার করছে তাদের ভিডিও'র জন্য । HTML5-এর "video tag" দেখতে অনেকটা ফ্ল্যাশ বেস ভিডিও প্লেয়ারের মত । তাই আপনিও হয়তো নোটিশ করেন নি যে ওয়বসাইটটি কি ব্যবহার করেছ । এটা ব্যবহারে যেমন ঝামেলা কম পোহাতে হবে তেমনি মোবাইলে আরো বেটার পারফ্রম দিবে ।
ওয়েবঅ্যাপসকে অফ লাইনে কাজ করার ন্যস্ত করেছে ব্রাউজার । লোকাল ডেটাবেস স্টোরেজকে এমন একটা অফার দেওয়া হয়েছে অফলাইনে ডেটা অ্যাক্সেস করার জন্য । গুগোলের এমন অনেক অ্যাপস রয়েছে যা অফলাইনে কাজ করতে পারে যেমনঃ Gmail, Docs ও Calendar কিন্তু তা শুধু ক্রোমের জন্য ।তবে Amazon’s Kindle Cloud Reader অফলাইনে ইউস করা যায় অন্যান্য ব্রাউজার ফায়ারফক্সের মত । Kindle Cloud Reader আপনাকে ই-বুক ডাউনলোড করার সুবিধা দিচ্ছে যা আপনি অফলাইনে ব্রাউজারে পড়তে পারবেন এমনকি ইন্টেরনেট কানেকশান না থাকলেও ।
ওয়েবপেজ আপনার পারমিশনের মাধ্যমে ওয়েবক্যামকে অ্যাক্সেস করতে পারে ।অবশ্যই একটা ওয়েবপেজ এই ফিচার ইউস করে ওয়েবক্যামের মাধ্যমে আপনার ছবি ক্যাপচার করা সহ ভিডিও রেকর্ড করতে পারে ।যাইহোক এটা ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্স বিভিন্ন ব্রাউজারের মধ্যে । এই ফিচারে Google’র Hangouts কোন প্লাগইন লাগবে না পাশাপাশি Skype ও রান করতে পারবেন আপনার ব্রাউজারে ।
ব্রাউজারে এখন এমন একটি ফিচার অ্যাড হয়েছে যা ওয়েবপেজে ডেস্কটপের সব নোটিফিকেশন দেখাবে । যেমনঃ Google Calendar-এ আপনার ক্রিয়েট করা আপকামিং ইভেন্ট pop-up নোটিফিকেশন হিসেবে শো করবে । Chat এবং email ওয়েবসাইটে আসা নতুন মেসেজ ও pop-up এলার্ট হিসেবে ডিসপ্লেতে শো করবে ।
ওয়েবপেজ আপনার পারমিশনের মাধ্যমে আপনার কারেন্ট লোকেশান অ্যাক্সেস করতে পারে । আপনি যদি কোন ট্যাবলেট বা স্মার্ট ফোন থাকে যাতে ডেডিকেটেট GPS চিপ আছে তবে এই ব্রাউজার আপনার GPS হার্ডওয়্যার ইউস করে কারেন্ট লোকেশান বলতে পারবে । যাদের ফোনে GPS সুবিধা নেই তাদের জন্য বলছি , এই ব্রাউজার আপনার ISP ইউস করে ( approximate) কারেন্ট লোকেশান বলে দিবে ।
ব্রাউজার এখন ওয়েবঅ্যাপসকে ডিফল্ট অ্যাপ্লিকেশান করার সুযোগ করে দিয়েছে । তাই আপনি Gmail ইউস করতে পারেন আপনার ব্রাউজারে ইমেল সেন্ড করার জন্য মাত্র একটি ক্লিক করে। আপনার কম্পিউটারের যেকোন জায়গায় , এমনকি ব্রাউজারের বাইরেও । (customize n control Google Chrome>Tools>Create appilication shortcuts)
এ বিষয়টা কিছুটা বিতর্কিত বটে !! ক্রোম Google’র Native Client কে ইনক্লুড করেছে । Native Client-এ অবশ্য ওয়েব পেজে নেটিব কোড যা C বা C++ ল্যাঙ্গুয়েজে লেখা রান করতে দেয় । যদিও এটি স্যান্ডবক্সের সিকিউরিটির জন্য তারপরেও এটি অনেকটা নেটিভ স্পীডে কাজ করে । সাধারন নেটিভ ক্লাইন্ট ওয়েব পেজে রান করা হয় হাই পারফরমেন্স জিনিস যেমনঃ গেম ইঞ্জিন ও ভিডিও এনকোডিং করার জন্য ।
ক্রোম ওয়েব স্টোরে বিভিন্ন রকম গেমে ভরপুর যা নেটিভ ক্লাইন্টে লেখা এবং সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত ।Bastion
ব্রাউজার দিন দিন অতি দ্রুত গতিতে নতুন ওয়েব ফিচার নিয়ে হাজির হচ্ছে আমাদের সামনে । আজ এ পর্যন্তই ।
আমি Heart Blue। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 72 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
http://ourlolology.blogspot.com/ my blog……….