এসইও বিষয়ক কিছু প্রশ্ন এবং যথারীতি আমার উত্তর!

সম্প্রতি ফেসবুকের অন্যতম জনপ্রিয় একটি গ্রুপে আমার পরিচিত এক ফেসবুক ফ্রেন্ড এসইও সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করে। আমি যথারীতি সেগুলোর উত্তর দিয়েছিলাম। যারা এসইও নিয়ে কাজ করছেন আশা করি তাদের উত্তর গুলো কাজে লাগবে। এই বিষয়টি বিবেচনা করেই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো একত্র করে টেক টিউনসে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম। সুতরাং আসুন দেখে নেই সেই প্রশ্ন এবং উত্তর গুলো।

প্রথম প্রশ্ন : পেঙ্গুইন আপডেটের পর এখন একটা সাইটের ফুল অফ পেজ এসইও করতে হলে কিভাবে এবং ডেইলি কি কি করতে হবে?

উত্তর : পেঙ্গুইন পরবর্তী লিংকবিল্ডিং সম্পর্কে বলার আগে বুঝতে হবে কেন এই আপডেট করলো গুগল। এটার প্রাথমিক কারন হচ্ছে অটোমেটেড ব্ল্যাকহ্যাট ট্রিক্স সম্বলিত স্প্যামি লিংকবিল্ডিং প্রসেসকে এনকাউন্টার করা এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন ন্যাচারাল ও ফ্রেস লিংক গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া। আরেকটা কথা নিশ্চই মনে আছে সবার, quality matters more than quantity। সুতরাং লিংক বিল্ডিং প্রসেস কোন মতেই যেন আনন্যাচারাল নয়, গুগলের জন্য লিংক হবে ন্যাচারাললিংক। যাই হোক, পেঙ্গুইন এর যুগে যেই বিষয়গুলো এভোয়েড করবেনঃ

  • লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংকস
  • ইরিলেভেন্ট সাইটে লিংকিং
  • সেম ডোমেইন থেকে লিংক নেওয়া পরিহার করা
  • ইরিলেভেন্ট পেজে অতিরিক্ত ইন্টারনাল লিংকিং।
  • ডুফলো এর পাশাপাসি নোফলো লিংকিং ও করতে হবে
  • শুধু হোম পেজকেই নয় ইনার পেজকেও লিংকিং করতে হবে মানে ডিপ লিংকিং
  • ইরিলেভেন্ট সাইটে ফুটার বা সাইডবারে লিংকিং (যেটা সব পেজেই থাকে) অ্যান্ড ব্লগরল লিংকস
  • লিংক ডাইভার্সিফাই করুন (শুধু মাত্র ১টা উৎস থেকে ব্যাকলিংক না করে বিভিন্ন উৎসে লিংকিং করুন)

আরও গুরুত্বপূর্ন দুটি ব্যাপার যা অবশ্যই এভোয়েড করে চলতে হবে

(ক) র‍্যাপিড লিংকবিল্ডিং পরিহার করা (link velocity – দ্রুত লিংকবিল্ডিং করা যাবেনা, আস্তে আস্তে করতে হবে। দিনে সর্বোচ্চ ৪/৫টার বেশি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে তা না হলে পেনাল্টি খাওয়ার সম্ভভবনা বেশি থাকবে যা হিতে বিপরীত হওয়ার সামিল, বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে যারা এসইও'র কাজ করে তাদের দেখা যায় তারা ১দিনেই ১০০/১৫০ লিংক বিল্ডিং করে, তারা জানেনা এর পরিণাম কি!)

(খ) লিংক বিল্ডিং এর সময় এক্সাক্ট মেচ কিওয়ার্ড ইউজ না করা (মানে হচ্ছে Anchor Texts কে যথা সম্ভব ডাইভার্সিফাই করতে হবে যাতে করে এটা ন্যাচারাল লাগে গুগল যাতে কোন ক্রমেই না বুঝতে পারে এটা আনন্যাচারাল, এক্ষেত্রে শুধু ইউআররেল বা প্রেসাল কিওয়ার্ড অথবা আপনার ব্রান্ডনেম ইউজ করলেই চলবে অথবা আপনি চাইলে শুধুমাত্র আপনার নামই ইউজ করতে পারেন)।

*** গুগল পেঙ্গুইন এর পেনাল্টির হাত থেকে বাঁচতে চাইলে পাশাপাশি এই কাজগুলোকেও এভোয়েড করবেন Content Marketing /Article Marketing with spun articles, Forum Profile Link building, Link Exchanges, low Quality Press Release & social bookmarking Submissions, Mass Directory Submissions (except niche based specific directories)।

গুগল অনেক আগেই ওয়েব সাইট রেংক করানোর ক্ষেত্রে ঘোষণা দিয়েছে “Social Signals” এর ব্যাপারে তাই সোশ্যাল মিডিয়া এখন খুবি গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং অন্যান্য লিংকবিল্ডিং প্রসেস চালু রাখার পাশাপাশি সাইটের কন্টেন্টকে নিয়ম করে গুগল প্লাস, ফেসবুক/লাইক, টুইটার, পীন্টারেস্ট এ শেয়ার করবেন যাতে ২/৩টা করে লাইক শেয়ার হয় দৈনিক। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সাইটে ভাইরাল কন্টেন্ট লিখার কোন জুড়িই নাই, যা ইউজারই নিজের ইচ্ছায় শেয়ার করে দিবে। এইতো, তবে আমি পার্সোনালি আরেকটা কথা বলতে চাই উপরোক্ত নিয়ম মেনে ইথিকাল ওয়েতে সব ধরনের লিংক বিল্ডিং চালিয়ে যেতে পারবেন আপনি, তাহলেই আসবে সফলতা।

দ্বিতীয় প্রশ্ন : একটা সাইটের কিওয়ার্ড যদি বায়ার না ঠিক করে দিয়ে থাকে তবে কি ঐ সাইটের প্রতিটি পেজের কিওয়ার্ড রিসার্স করে তারপর এস ই ও করতে হবে? নাকি জাস্ট হোম পেজ এর কিওয়ার্ড গুলো থেকে বাছাই করে কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলেই হবে?

উত্তর : কিওয়ার্ড রিসার্স ছাড়া একটা সাইটের পরিপূর্ন এসইও প্লান করা যায় না। কিওয়ার্ড রিসার্স করার হয় সাইটের জন্য উপযুক্ত টার্গেটেড কিওয়ার্ড খুঁজে পেতে পাশাপাশি এ টু জেড এসইও স্ট্রেটেজি ঠিক করতে। টার্গেটেড কিওয়ার্ড ছাড়া ওয়েবসাইট পালবিহীন নৌকার মত। আর আপনার গোল/উদ্দ্যেশ্য (প্রডাক্ট বিক্রি করবেন নাকি সার্ভিস দিবেন নাকি অন্য কিছু) কি সেটার উপর ভিত্তি করেই কিওয়ার্ড রিসার্স করা হয়। এখন কথা হচ্ছে বায়ার যদি কিওয়ার্ড ছাড়াই আপনাকে সাইট দিয়ে বলে এসইও করতে/বায়ারের যদি টার্গেটেড কিওয়ার্ড না থাকে, তখন আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে ওর গোলটা জেনে বা ভালো মত বুঝে নিয়ে – ওর নির্দিষ্ট পেজ অনুযায়ী কিওয়ার্ড রিসার্স করে দেওয়া (এখানেও আপনার অনেক ডাটার প্রয়োজন পরবে, যেমন তার এই সাইট থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার চাহিদা কেমন! আরও অনেক কিছু) যাতে ঐ সাইটের জন্য উপযুক্ত বা পারফেক্ট কিওয়ার্ড পাওয়া যায়। এরপর আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ড নিয়েই প্লান করতে হবে অনপেজ এবং অফপেজ এসইও স্ট্রেটেজি।

তৃতীয় প্রশ্ন : মিনিমাম কত দিন লাগতে পারে একটা ট্রাভেল সাইট রেংক করাতে?

উত্তর : একটা সাইটকে রেংক করতে হলে মুখস্ত বলা যায় না যে এটা কত সময় লাগবে রেংক করতে। আসলে এটার জন্য অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে, তাও এক্সাক্ট বলা যায় না জাস্ট গেস করতে হয়। এটা হচ্ছে একটা প্রতিযোগিতার মত। ওয়েট উদাহরণ দিচ্ছি… আপনি যদি কিছু সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেছে এমন রেসে জিততে চান তাহলে বলুন কি করতে হবে আপনাকে? ক) আপনাকে আগে বুঝতে হবে কতজন এই রেসে অংশ গ্রহণ করেছে জুস্ট বুঝার জন্য এক্সাক্ট কতজন আপনার প্রতিদ্বন্দি এবং পাশাপাশি কারা তারা? খ) তারা কে কেমন শক্তিশালী, কেমন গতিতে দৌড়াচ্ছে, এবং এত গতিতে দৌড়ানোর জন্য কি কি করছে? গ) অবশেষে ওদের গতিবিধি বুঝে নিয়ে আপনার কর্মপদ্ধতি ঠিক করা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে যাওয়া। তাহলেই সম্ভব রেসে জেতা। ডেটস ইট… ত কি বুঝলেন এই উদারহণ থেকে? আশা করি আর ভেঙে বলতে হবে না, বুঝে নিতে পারবেন…

চতুর্থ প্রশ্ন : আমাকে পার্টিকুলার কোন দেশের ভিজিটর আনতে হলে কি লিখে সার্চ দিলে জাস্ট ঐ দেশ রিলেটেড সাইট, ব্লগ বা ফোরাম আসবে?

উত্তর : এই প্রশ্নটা যদিও আমার কাছে ক্লিয়ার না। কারন আপনার প্রশ্নের প্রথম অংশে বুঝা গেলো যে আপনি কোণ নির্দিষ্ট দেশ থেকে আপনার সাইটের ট্রাফিক আনতে চান, আবার শেষের অংশে বুঝা যাচ্ছে আপনি লিংক বিল্ডিং করার জন্য নির্দিষ্ট দেশের সাইট খুঁজার স্টাইল জানতে চাচ্ছেন। এখন কি উত্তর দিবো, আমি কনফিউসড। তারপরও উত্তর দিচ্ছি… যদি আপনার প্রথম অংশটা প্রশ্ন হয় তবে, এক্ষেত্রে আপনি প্রথম যে কাজটা করতে পারেন তা হচ্ছে জিওগ্রাফিক কিওয়ার্ড (যেমন Atlanta divorce lawyer) টার্গেট করতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী অনপেজ অপটিমাইজেশন করতে পারেন, তারপর কান্ট্রিওয়াইজ (যেমন বাংলাদেশের জন্য .bd এক্সটেনশন) সাইট খুঁজে বের করে যেসব যেসব ওয়ে আছে ওগুলো ইউজ করে লিংকবিল্ডিং করুন, আরেকটা কথা লিংকবিল্ডিং এরক্ষেত্রে ভালো সুফল পেতে দেশভিত্তিক ডোমেইন আইপি এবং হোস্টিং সার্ভার এর কথা মাথায় রাখা জরুরী। যদি আপনার দ্বিতীয় অংশটা প্রশ্ন হয় তবে, উত্তর হচ্ছে কিওয়ার্ড সংযোজন করে ডোমেইন এক্সটেনশন শেষে দিয়ে সার্চ করুন তাহলেই পেয়ে যাবেন (আরও বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের গ্রুপের ডক গুলো দেখুন)

মূল লিংকঃ http://goo.gl/YHrB4

Level 0

আমি আবু তাহের সুমন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 1212 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি তাহের অনলাইন উদ্যোক্তা এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং স্ট্রেটেজিস্ট হিসাবে কাজ করছি দীর্ঘ ১দশক যাবত। ২০১৭'তে প্রতিষ্ঠা করি ' আওয়ামাহ টেকনোলজিস লিমিটেড ' বর্তমানে এর প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইংরেজি ব্লগ 'ক্লিক করুন' । ধন্যবাদ।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

সুমন ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এমন একটা পোস্ট ই দরকার ছিল আমার গুগল পাণ্ডা এর ব্যাপারে জানার জন্য। ধন্যবাদ

    @Rubel: ভাই এটা ত পেঙ্গুইন নিয়ে পোস্ট! 😀 পান্ডা নিয়ে সামনে লিখবো আশা করছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ধন্যবাদ

    @rasel japan: রাসেল ভাই অনেক দিন পর আপনাকে কাছে পেলাম। কেমন আছেন আপনি? মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপ্নাকেও।

টিটিতে এক্সপার্টদের টিউন খুব একটা পাইনা ! দীর্ঘদিন পর আপনাকে পেলাম সুমন ভাই !
যদিও seo সম্পর্কে আমি তেমন কিছু বুঝিনা , শুধুমাত্র ১টা দাবি ও ধন্যবাদ দেওয়ার জন্যে লগঅন করছি 🙂

নিয়মিত টিউন চাই

    @প্রিন্স মাহমুদ: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই। শুনে ভালো লাগলো। আমার টিউন লেখাটা সার্থক। ইনশাআল্লাহ আমি চেষ্টা করবো নিয়মিত লিখতে। ভালো থাকবেন।

সুমন ভাই, সময় থাকলে আপনার ধারাবাহিক টিউন চাই… ধন্যবাদ।

    @মুহিব: মুহিব ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। ভাইয়া আসলে ব্যস্ততার কারনে হয়ে উঠছে না, তবে আমি কথা দিতে পারছিনা, ইনশাআল্লাহ আমি চেষ্টা করবো।

প্রিয়তে নিলাম।

খুব ভালো লাগলো।অনেক কিছু জানতে পারলাম।আমার ব্লগ এর জন্য অনেক কাজ এ দিবে।

আমার ব্লগ এর বাউন্স রেট অঙ্কে বেশি।এটা কে কমানো যায় কিভাবে সুমন ভাই?

    অনেক ধন্যবাদ মুকুল ভাই। শুনে অনেক ভালো লাগলো।

    কিভাবে বাউন্সরেট ক্যালকুলেশন করতে হয়ঃ
    বাউন্সরেট ক্যালকুলেশনের বেস্ট অপশনটি হচ্ছে…
    বাউন্সরেট= ১ পেজ পড়েই বের হয়ে যায় তার সংখ্যা/মোট ভিজিট * ১০০
    আরেকটু বুঝিয়ে বলছি, ধরুন আপনার সাইটে প্রতি মাসে মোট ২০,০০০ ভিজিটর আসে। আর এর মধ্যে ১০,০০০ ভিজিটর যদি প্রথম পেজ পড়েই সাইট থেকে বের হয়ে যায়। তবে আপনার সাইটের বাউন্সরেট ক্যালকুলেশন হবে এভাবে ১০,০০০/২০,০০০*১০০=৫০%। সুতরাং আপনার সাইটের বাউন্সরেট হচ্ছে ৫০%।

    এখানে মনে রাখা জরুরি যে, লোয়ার বাউন্স রেট= আপনার সাইট ভালো পার্ফোমেন্স করছে। আর হায়ার বাউন্স রেট=আপনার সাইট থেকে দ্রুত ট্রাফিক চলে যাচ্ছে যা আপনার সাইটের জন্য কখনোই কাম্য নয়।এজন্য হয়তো আপনাকে চরমমূল্য দিতে হতে পারে, সার্পে পজিশনও হারাবেন এক সময়।

    নিচে Google Analytics এ এভারেজ স্টান্ডার্ড বাউন্সরেট এর পরিসংখ্যান দেখান হল…

    ১০-৩০% সার্ভিস সাইট
    ২০-৪০% রিটেইল সাইট
    ৩০-৫০% লিড জেনারেশন সাইট
    ৪০-৬০% কন্টেন্ট বেসড ওয়েবসাইট
    ৭০-৯০% ল্যান্ডিং পেজ
    ৭০-৯৮% ব্লগ

    ৩০% বাউন্সরেট যে কোন সাইটের জন্যই স্বাভাবিক তবে আমার মতে এর সহনীয় এভারেজ হার হচ্ছে ৫৫%। কিন্তু যদি এই বাউন্সরেট ৬০% এর উপরে চলে যায় তবে আপনাকে এই বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। আর যদি এটা ৮০% প্লাস হয় তবে ত আপনার জন্য আলার্মিং রেট 😀 (মিয়াঁ ভাইরা এই ডাটা কিন্তু অবশ্যই সাইট অনুযায়ী ভেরি করবে)

     
    সাটের বাউন্স রেট স্বাভাবিক রাখতে/কমিয়ে রাখতে হলে বেশ কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো ঠিক মত পালন করতে পারলে বাউন্স রেট স্বাভাবিক থাকবে। নিচে আমি এই নিয়ে বিস্তারিত একটা লেখা শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের কাজে আসবে। আসুন তাহলে শুরু করি।

    বাউন্স রেট নিয়ন্ত্রনে ওয়েবমাস্টারদের করণীয়:
    ১. সাইটকে আগোছালো রাখা যাবে না। সিএসএস (CSS) দিয়ে অতিরিক্ত কালারফুল করে ফেলা যাবেনা। মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা উচিৎ নয় এতে করে ভিজিটররা বিরক্ত হতে পারে, সুতরাং এই বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া বাঞ্ছনীয়। এসব কারনে ভিজিটর সাইটে ঢুকেই বিরক্ত হয়ে যায়। সর্বোপরি সাইটের ডিজাইন সিম্পল রাখতে হবে।

    ২. অবশ্যই সাইট ইজি নেগিশিয়েবল হওয়া বাঞ্ছনীয় (ক্যাটাগরি বা মেনু যুক্ত করা)। মূল কথা হচ্ছে প্রফেশনাল একটা লুক দিতে হবে। সর্বোপরি সাইটের লেয়াউটটা রেস্পনসিভ হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে ডেস্কটপ, মোবাইল, এমনকি টেব্লেট এও কম্পিটেবল হয়। এই বিষয়টা বর্তমানে খুবি গুরুত্বপূর্ন একটা ব্যাপার।

    ৩. সাইটের লোডিং টাইমের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিৎ। সাইটটা যাতে খুব দ্রুত ওপেন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাইট লোড হওয়ার জন্য বেশি সময় নিলে ভিজিটর বিরক্ত হয়ে ব্রাউজারের ব্যাক বাটন ক্লিক করে পুনরায় সার্চ ইঞ্জিন এর রেজাল্ট পেজে চলে যাবে। অথবা আপনার সাইট ওপেন করা ট্যাব কেটে দেবে।

    ৪. ইরিলিভেন্ট কিওয়ার্ড ইউজ করা যাবেনা। কেননা এতে করে ঐ ইরিলিভেন্ট কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করা ভিজিটর সাইটে গিয়ে তার রিলেভেন্ট কন্টেন্ট খুঁজে পাবেনা। আর অবশ্যই সঠিক টাইটেল এবং ডেসক্রিপশনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

    ৫. এই পয়েন্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, সাইটে ভিজিটর কেন আসে? অবশ্যই সাইটে ভিজিটর আসে তার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে। যাকে আমরা ওয়েবমাস্টারিং ভাষায় কন্টেন্ট/পোষ্ট বলি। তাই কন্টেন্ট লেখার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। পর্যাপ্ত রিলেভেন্ট এবং নির্ভুল কন্টেন্ট দিয়ে পোস্ট করতে হবে, যাতে তার ঐ বিষয়ে সকল জিজ্ঞাসা আপনার পোস্ট পড়েই পূর্ণতা পায়। তা না হলে তারা ব্রাউজারের ব্যাক বাটন ক্লিক করে পুনরায় সার্চ ইঞ্জিন এর রেজাল্ট পেজে চলে যাবে। এজন্যই রিলেভেন্ট কোয়ালিটি সম্পন্ন নির্ভুল পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে কন্টেন্ট/পোষ্ট করা বাঞ্ছনীয়।

    ৬. আরেকটা পয়েন্ট হচ্ছে, পোষ্টের ভিতর রিলেভেন্ট ওয়ার্ডের উপর ইন্টারনাল লিংকিং করতে হবে। এতে করে এই পোষ্ট পড়ার পর ভিজিটররা এই বিষয় রিলেটেড আরও পোষ্ট পড়তে আগ্রহী হবে। যার মাধ্যমে আপনার সাইটের পেজভিউ এর হার দ্বিগুণ হয়ে যাবে। যা বাউন্স রেট কমাতে সক্ষম। এমন কি এর মাধ্যমে আপনার সাইটে বিজ্ঞাপনে ক্লিকের সংখ্যা কিংবা প্রোডাক্ট সেলের হার বেড়ে যাবে। কারন নিশ্চই বুঝতেই পারছেন, সেটা হল পেজ ভিউ বৃদ্ধি। এছাড়াও পেজে এক্সটারনাল লিংক ব্যাবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে।

    ৭. আরও কিছু কাজও আছে। যেমন পোষ্টের নিচে রিলেটেড পোষ্ট স্থাপন এবং সাইড বারে রিসেন্ট পোষ্ট-মোস্ট পপুলার পোষ্ট ইত্যাদি উইজেট/গ্যাজেট অ্যাড করতে পারেন। এভাবে বিভিন্ন পুল কন্টেস্ট ও আয়োজন করা যেতে পারে। এছাড়াও এক্সটারনাল লিংক ইউজ করার ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। সর্বোপরি গুগল অ্যানালিটিকস আপনার সাইটের ডাটা গুলো নজরে রাখতে হবে।

    আশা করি , সবাই বুঝতে পেরেছেন 😀

      @তাহের চৌধুরী (সুমন): বাউন্সরেট সম্পর্কিত উত্তরের মূল লিংক http://earntricks.com/?p=4506

      @তাহের চৌধুরী (সুমন): অসংখ্য ধন্যবাদ এত গুরুত্তপুর্ন তথ্য শেয়ার করার জন্য।তবে আমার নামের বানান ভুল করার জন্য একটু মন খারাপ হচ্ছে।

      আমার সাইট এর এনালিটিক্স এর কিছু তথ্য দেয়া হলো।দেখে নিন।আমার সাইট ব্লগস্পট দিয়ে করা।

      Visits: 17,407
      Unique Visitors: 16,417
      Pageviews: 34,707
      Pages / Visit: 1.99
      Avg. Visit Duration: 00:01:41
      Bounce Rate: 61.04%
      % New Visits: 93.60%

      আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

        @মুকুট: দুঃখিত মুকুট ভাই আপনার নামের বানানটা ভুল করে লিখার জন্য। আসলে এটা একটা টাইপো। যাই হোক তবে নিচের ডাটা গুলো কেন দিলেন সেটাই বুঝলাম না। কোন কিছু কি চেক করতে হবে! জানাবেন। আবারো ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। 😛

বাহ এতো দেখি সুমন ভাই এর পোস্ট … টেকটিউন্সে আপনাকে দেখে অনেক ভাল লাগলো, আর টিউনটি ও যথারীতি ফাটাফাটি 🙂

Level 0

vai post stumbleupon,digg,reddit a share korle problem ase??
dine kotogulo post share kota jai?
ak post sob site share kora jai?

Khub valo bondhu. Stay tuned 🙂

Chorom hoyeche boss. Thanks for sharing 🙂

বসদের বসের মত পোস্ট!

তবে একটা প্রশ্ন সুমন ভাই,
পার্সোনাল বাংলা এবং ইংরেজি ব্লগ সাইটের মেটা কিওয়ার্ড কি হওয়া উচিত?

Level 0

ভাই ফ্রিলান্স সাইট গুলোতে অনেক ফোরাম পোস্টিং-এর কাজ পাওয়া যায় কিন্তু এর একেকটা এক এক ক্যাটাগরির ।আমি আপনার কাছে জানতে চাই কয়টা ক্যাটাগরির ফোরামে রেজিষ্টেশন করলে ফ্রিলান্স সাইট গুলোতে পাওয়া ফোরাম পোস্টিং-এর সকল কাজ গুলো করা যাবে। আর ক্যাটাগরি ভিত্তিক ফোরাম লিষ্ট থাকলে প্লীজ আমাকে দেন. আমার মেইল হল [email protected]