সমাজিক যোগাযোগের এই যুগে সোশ্যাল বুকমার্কিং হচ্ছে সাইট প্রমোশনের সবচেয়ে সহজ, টেকসই ও জনপ্রিয় মাধ্যম। একমাত্র সোশ্যাল বুকমারকিং এর মাধ্যমে সরাসরি লিংক মার্কেটিং করা যায় এবং সেটা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। এজন্য ওয়েব ডিজাইনাররা খুব সচেতন ভাবেই তাদের সাইটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সোশ্যাল শেয়ারিং বাটন স্থাপন করে থাকে। আজ এই পোষ্টে সোশ্যাল বুকমারকিংয়ের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
সোশ্যাল বুকমার্কিং হচ্ছে মূলতঃ ভার্চুয়াল লিংক ডায়েরী। সাধারণতঃ আমরা যখন কোন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট বা ওয়েবলিংক খুজে পাই তখন সেটা ব্রাওজারে সেইভ করে বা বুকমার্ক করে রাখি। ঠিক একই কাজ আমরা সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটেও করতে পারি। তবে এক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে লিংকটি আমরা যে কোন যায়গা থেকেই প্রবেশ করতে পারি এবং খুব সহজেই বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারি।
সোশ্যাল বুকমার্কিং এর ধারণাটি সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সালের এপ্রিল মাসে সবার সামনে নিয়ে আসে itList.com নামের একটি ওয়েবসইট। কয়েক বছরের মধ্যেই এই ধরনের বেশকিছু সাইট গড়ে ওঠে তার মধ্যে Backflip, Blink, Clip2, Hotlinks এবং Quiver বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে ঐ সময়ে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর ধারণাটি জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যার্থ হয়।
পরবর্তিতে ২০০৩ সালে Delicious (del.icio.us) নতুন আঙ্গিকে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর সেবা নিয়ে সবার সামনে উপস্থিত হয় এবং খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকে। ২০০৪ সালে Digg সোশ্যাল বুকমার্কিং ব্যাবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে। তারা এই ব্যাবস্থায় সাথে Related System, Comments System, Open Platform System, Ranking এবং Voting System এর মত সেবাসমূহ যুক্ত করে। আর বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট ব্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যেটার কথা চিন্তা করা হয় সেটা হল সোশ্যাল বুকমার্কিং।
বর্তমানে সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটগুলো শুধুমাত্র বুকমার্কিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এতে যুক্ত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের নানা সেবা। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের ফলাফল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। নিন্মে সোশ্যাল বুকমার্কিং এর প্রধান প্রধান সুবিধাগুলো তুলে ধরা হল-
অনলাইনে বাংলা Content এর ক্রমবর্ধমান প্রসারতার কথা মাথায় রেখে ২০১১ সালের শেষের দিকে আধুনিক সোশ্যাল বুকমার্কিংয়ের যাবতীয় সুযোগ সুবিধার সমন্নয়ে সম্পূন্ন বাংলা ভাষায় নির্মান করা হয় bartavubon.com। আমরা জানি যে প্রতিটি ওয়েবপেইজ বা ব্লগ পোষ্টই একটি নিদ্রিষ্ট বার্তা বহন করে, আর এই তথ্যপূর্ণ বার্তাগুলোকে সবার নিকট তুলে ধরাই বার্তা ভুবনের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে লিংক শেয়ারিং ও সংরক্ষণের মাধ্যমে ব্যাক্তিগত প্রয়োজন যেমন মিটবে, আপর দিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংগ্রহের সমন্নয়ে গড়ে উঠতে পারে একটি "সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডার"।
আমি বার্তা ভুবন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 71 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভালবাসি তথ্য-প্রযুক্তির সমূদ্রে হারিয়ে যেতে।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ