রক্ত কৃত্তিমভাবে তৈরী করা যায় না, শুধুমাত্র একজন মানুষই পারে আরেকজন মানুষকে বাঁচাতে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার, প্রতিবছর বহুসংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে জরুরি মুহুর্তে প্রয়োজনীয় রক্তের অভাবে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছর রক্তের প্রয়োজন মাত্র ৯ লাখ ব্যাগ। রক্তের এই চাহিদা খুব সহজেই পূরণ করা সম্ভব যদি আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১% মানুষও বছরে একটিবার স্বেচ্ছায় রক্তদান করে।
কেন রক্তদান করবেন?
১. প্রথম এবং প্রধান কারণ, আপনার দানকৃত রক্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচাবে। রক্তদানের জন্য এর থেকে বড় কারণ আর কি হতে পারে ! ২. হয়তো একদিন আপনার নিজের প্রয়োজনে/বিপদে অন্য কেউ এগিয়ে আসবে। ৩. নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে বলে হৃদপিন্ড বিশেজ্ঞরা মনে করেন। ৪. স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্তবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি, এইডস, সিফিলিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা। ৫. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়। ৬. নিজের মাঝে একধরনের আত্মতৃপ্তি উপলব্ধি করতে পারবেন । "আমাদের ছোট পরিসরের এই জীবনে কিছু একটা করলাম" এই অনুভুতি আপনার মনে জাগ্রত হবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত করছি
কারা রক্তদান করতে পারবেন?
১. ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের যেকোনো সুস্থদেহের মানুষ রক্ত দান করতে পারবেন। ২. আপনার ওজন অবশ্যই ৫০ কিলোগ্রাম কিংবা তার বেশি হতে হবে। ৩. প্রতি ৪ মাস অন্তর অন্তর আপনি রক্ত দান করতে পারবেন। ৪. রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে। ৫. আপনাকে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ, চর্মরোগ এবং রক্তবাহিত রোগ মুক্ত হতে হবে। ৬. আপনাকে অবশ্যই হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, এইডস, ক্যান্সার, যক্ষা, সিজোফ্রেনিয়া এবং ম্যালেরিয়া রোগমুক্ত হতে হবে। তবে কিছু রোগ আগে যেগুলোতে আক্রান্ত রোগীরা নির্দিষ্ট সময় পর রক্ত দিতে পারেন। যেমন, টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগী-১২ মাস, ম্যালেরিয়ার রোগী-তিন মাস পর রক্ত দিতে পারবেন।
কিছু ভুল ধারনা:-
১. রক্ত দান করার সময় মোটেও ব্যথা লাগে না। শুধূমাত্র সূচ ফোটানোর সময় অল্প একটু অস্বস্তি লাগে। ২. রক্তদানের পর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাবে - এটি ভুল ধারণা। আসলে রক্তদান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং দেহে মাত্রাতিরিক্ত আয়রন বা লৌহ সঞ্চয় প্রতিরোধ করে। ৩. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবে না - এটিও ভুল ধারণা। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত হলে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি ততক্ষণ রক্ত দান করতে পারবেন, যতক্ষণ ওই ব্যক্তির রক্তের গ্লুকোজ লেভেল স্বীকৃত সীমার মধ্যে থাকবে। ৪. উচ্চরক্তচাপের কারণে রক্তদান করা যায় না - এটিও ভুল ধারণা। রক্তদানের সময় ব্লাডপ্রেসার ১৮০সিষ্টোলিক ও ১০০ডায়াষ্টোলিকের মাঝে থাকলে রক্ত দেওয়া যায়। ৫. রক্তদানের পর আপনি কোনো প্রকার অসস্থি বোধ করবেন না কিংবা অজ্ঞান হয়ে যাবেন না। এই ব্যাপারে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে।
আমি hridoy33। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু কিভাবে সাহায্য করতে পারি? যদি কোনো সহযোগিতা লাগে তো অবশ্যই জানাবেন। আরেকটি কথা helpfulhub.com/humanism-help এখানে প্রায়ই রক্তের প্রয়োজনে অনেকেই সাহায্য চেয়ে থাকেন। আপনারা যারা এই ধরণের কার্যক্রমের সাথে জড়িত আছেন তারা একটু ওখানে নজর রাখবেন। ধন্যবাদ।
অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু কিভাবে সাহায্য করতে পারি? যদি কোনো সহযোগিতা লাগে তো অবশ্যই জানাবেন। আরেকটি কথা helpfulhub.com/humanism-help এখানে প্রায়ই রক্তের প্রয়োজনে অনেকেই সাহায্য চেয়ে থাকেন। আপনারা যারা এই ধরণের কার্যক্রমের সাথে জড়িত আছেন তারা একটু ওখানে নজর রাখবেন।
ধন্যবাদ।