এবার নিজেই হোন ম্যাকানিক ও হার্ডডিস্কের ব্যাডসেক্টর দূর করুন! সাথে থাকছে হার্ডডিস্কের যত্নআত্তি বিষয়ক মেগা টিপস!!

السلام عليكم  আসসালামু আলাইকুম।

আশা করি খোদা-তায়ালার অশেষ মেহেরবাণীতে এক প্রকার কুশলেই আছেন। সবাইকে বাংলা বছরের বৈশাখী শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের টিউন । মূলত টিউনে থাকবে হার্ডডিস্কের ব্যাড সেক্টর নিয়ে A-Z তথ্যাদি এবং বেশ কিছু ইউটিলির সাথে পরিচয় ও কাজের বিবরণী।


হার্ডডিস্ক কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মূলত আমরা পিসিতে যা কিছু সংরক্ষন করি ও দেখি সেগুলো সবই হার্ডডিস্কে সেইভ হয়। ক্রয়কৃত নতুন হার্ডডিস্কে সেইরকম কোন গুরুতর সমস্যা দেখা দেয় না। কিন্তু সমস্যা হয় ৬ মাস বা ১ বছর ব্যবহারের মাথায়। আর সেই সমস্যাটি হল হার্ড ডিস্কে ব্যাড সেক্টর পড়া। এটি একটি মূখ্য সমস্যা।

 

ব্যাড সেক্টর কি?

ব্যাড সেকটর হলো কিছু মেমোরি নষ্ট হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ হার্ডডিস্কের যেখানে ব্যাড সেকটর পড়ে,সেখানে কোনো তথ্য সংরক্ষিত হয় না। হার্ড ডিস্কের মেমোরির যে অংশটুকু দীর্ঘ সময় ধরে ফাঁকা বা অব্যবহৃত থাকে,সেখানে ব্যাড সেকটর পড়ে। উদাহরন স্বরুপ বলা যায়, আপনি বাজার থেকে একটি নতুন টেবিল ক্রয় করে আনলেন টেবিলের উপর কিছু রাখলেন না। কিন্তু আপরার অগোচরে কেউ একজন সেখানে কিছু রাখল। তাতে নিশ্চয় টেবিলের ফাকা জায়গা পূরন হল। তেমনি হার্ডডিস্কে ঐ ভাবেই ব্যাডসেক্টর পড়ে। মূলত ঘন ঘন বিদুৎ চলে যাওয়া, ইউপিএস ব্যবহার না করার কারনে কিংবা হার্ডডিস্ক ড্রাইভ গুলো ডিফ্রাগমেন্ট কিংবা SFC না করার ফলে ব্যাড সেক্টর পড়ে

প্রধানত হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর ব্যবহারকারীর সংখ্যাই বেশী হবে। আর হবেই না কেন? দেশের যে বিদ্যুৎতের পরিস্থিতি। হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর পড়ে তা আমরা শুনেছি ও শুনলাম। কিন্তু এই ব্যাড সেক্টর রিপেয়ার করা যায় তা বোধ হয় কম সংখ্যক ব্যক্তিই জানি। আসলে কথাটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, এমন কিছু  আধুনিক সফটওয়্যার আছে যার দ্বারা হার্ডডিস্কের ব্যাড সেক্টর রিপেয়ার করা যায়। আমি নিজেও এই রকম বেশ কয়েকটি ফ্রী সফট পূর্বে ব্যবহার করেছি। কিন্তু ফলাফল সন্তোষজনক ছিল না। যে গুলো ভাল সফটওয়্যার সেই গুলো অর্থ দিয়ে ক্রয় করতে হবে। কাজেই সুয়োগের অপেক্ষায় ছিলাম। মূলত রাজধানী ঢাকা শহর সহ অনেক বিভাগীয় শহরগুলোতে অনেক টেকনিশিয়ান বলে থাকেন, তারা হার্ডডিস্ক রিপেয়ার করে থাকেন। প্রতি হার্ডিডিস্ক রিপেয়ার সার্ভিস ফী ২৫০-৫০০৳ । এটা কতটুকু তারা সার্ভিস দিবেন বা কোন সফওয়্যার ব্যবহার করেন তা আমি নিজেও জানি না।

ব্যাড সেক্টর কি কারনে হয়?

হার্ডডিস্কে বড় ধরনের আঘাত লাগলে। হার্ডডিস্কে সঠিকভাবে পাওয়ার সাপ্লাই হতে না পারা। হার্ডডিস্ক অতিরিক্ত গরম হলে। একই সেক্তরে বার বার কোন ফাইল Replace/Overwrite হলে। ফাইল Fragmentation এর কারণে ও ব্যাড সেক্টর পড়তে পারে। ভাইরাস ও ব্যাড সেক্টর করতে পারে। HDD platter- এ আঘাত জনিত কারনে ব্যাড সেক্টর সমস্যা হতে পারে।

কিভাবে বুঝবেন আপনার হার্ডডিস্কে ব্যাডসেক্টর আছে?

কম্পিউটার ধীর গতির হয়ে গেছে বা প্রায় সময় হ্যাং করছে। পিসি চলতে চলতে হঠাৎ BSOD (Blue Screen of Death) আসতে পারে। কম্পিউটার বুট না করতে পারে উইন্ডোজ সেটআপ এর সময় হার্ডডিস্ক পাওয়া না গেলে এবং Detection আর সময় BSOD দেখা দিলে বা পিসি রিস্টার্ট করলে। ব্যাড সেক্টর জনিত কারনে Partition Create বা Format করতে দেরী হতে পারে। ফিজিকাল ব্যাড সেক্টরের পরিমান বেশি হলে খুব কাছে থেকে হার্ডডিস্কের ভিতরে আঘাতের শব্দ শোনা যেতে পারে।

বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার আছে যেমন: যাহা দ্বারা পরীক্ষা করলে বুঝা যাবে আপনার হার্ডডিস্কের স্বাস্থ্য কেমন আছে!

1. HDDScan

2. CrystalDiskInfo

CrystalDiskInfo আমিও এটি ব্যবহার করি। এটি পিসিতে ইনস্টল করে Basic info, SMART info, Temperature Graph, Scan disk, Even log ইত্যাদি ক্লিক করে আপনার হার্ডডিস্কের যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। হার্ডডিস্কের সিরিয়াল নম্বর, মডেল নম্বর, ধারণ ক্ষমতা, সিলিন্ডার সব কিছু জানতে পারবেন। হার্ডডিস্কে কোনো ব্যাড সেক্টর আছে কি না, হার্ডডিস্কের তাপমাত্রাই বা কত (!) তাও জানতে পারবেন। কোন সময় কত তাপমাত্রা ছিলো তাও জানতে পারবেন Temperature Graph এর মাধ্যমে।

হার্ডডিস্ক ব্যাডসেক্টর রিপেয়ার করার ইউটিলিটি:

হার্ডডিস্ক ব্যাডস্কেটর রিপেয়ার করার বিভিন্ন ইউটিলিটি রয়েছে তবে সেইগুলো সবই পেইড ভার্সন যাহা অনেক টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হয়। ফলে অনেকের জন্য একটা দূ:সাধ্য ব্যাপার। যাইহোক তারপরেও বেশ কিছু ফ্রি ইউটিলিটি রয়েছে যে গুলো দ্বারা সাধারন ঘরোনার কাজ করা যাবে। তবে এতটুকু বলতে পারি যে নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল। ফ্রি ইউটিলিটরি মধ্যে বেশ কিছু নাম এসে যায় (তবুও এই গুলো ট্রায়াল) যেমন:

1.HDD Regenerator

  1. Ariolic Disk Scanner
  2. Flobo Hard Disk Repair
  3. Salvation DATA Bad Sectors Repair
  4. DiskPatch

তবে এর মধ্যে হতে ১ম টিই অন্যতম। আমি নিজেও ব্যবহার করি। সুতরাং HDD Regenerator এর ব্যবহার কৌশল নিচে আলোচনা করছি।

আমি HDD Re generator নামে  সফটওয়্যার দেব। এটিই হল সেই সফটওয়্যার যার সাহায্য ব্যাড সেক্টর রিপেয়ার করা সম্ভব। হার্ডডিস্ক ব্যাড সেক্টর রিপেয়ার করার মত যত সফটওয়্যার আছে । এটি জনপ্রিয়তার দিক খেকে সকলের শীর্ষ পর্যায়ে ও একটি বিশ্বস্ততম ইউটিলিটি সফট। সফট ওয়্যারটি ডাউনলোড করতে আমার দেওয়া লিংক অনুসরন করলেই চলবে।
১। সফট ওয়্যারটি ডাউনলোড করে যখন ইনষ্টল করবেন তখন ইনষ্টলের শেষ পর্যায়ে নিম্নোক্ত চিত্রনুয়ায়ী Launch the program থেকে টিক উঠিয়ে দিয়ে Finish করুন। ভূলেও প্রোগ্রামটি রান করবেন না।

২। এবার উক্ত ডাউনলোড করা ফাইল থেকে HDD Regenerator.exe এবং hddreg.exe ফাইল দুটি কপি করে C:Program FilesHDD Regenerator
ফোল্ডারে copy & Paste করে Replace করুন

৩। এখন HDD Regenerator ফাইলটি রান করুন/চালু করুন। দেখা যাবে সফটওয়্যারটির রেজিষ্টার্ড ভার্সন হয়ে গেছে

৪। এবার কাজের পালা। আপনি যদি বুটেবল সিডি তৈরী করতে চান তাহলে Bootable CD/DVD তে ক্লিক করুন। Choose Recorder থেকে আপনার সিডিরমটি সিলেক্ট করুন। এবং সিডি রমে একটি ব্লাংক সিডি প্রবেশ করাতে হবে।

৫। Recording Speed হতে যে কোন স্পীড সিলেক্ট করে Burn CD তে ক্লিক করুন। ৩/৪ মিনিট সময় নিবে। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল Bootable CD

৬। আর যারা সিডি তৈরী করতে পারেন না। তাদের চিন্তিত হবার কিছুই নাই।

Click here to repair physical bad sectors on damaged drive surface directly under windows (XP/Vista/7) এ ক্লিক করুন

৭। হার্ড ডিস্কটি সিলেক্ট করে Start Process এ ক্লিক করুন-

৮। একটি কালো স্কীন আসবে। সেখানে Enter Choice-এ (যেখানে Scan & Repair লেখা Option টি আছে)  সেখানে 1 দিয়ে এন্টার করুন। আর যদি এরুপ না দেখায় তাহলে Enter Choice-এ (যেখানে Normal Scan (With/Without Repair লেখা Option টি আছে)

সেখানে 2 দিয়ে এন্টার করুন। নিম্নরুপ স্কীনের মত।

৯। ব্যাস কাজ শুরু হয়ে গেছে। স্কীনে কাজের বিভিন্ন ধাপ দেখতে থাকুন। সম্পূর্ণ কাজের ধারা শেষ হতে প্রায় ১/২ ঘন্টা সময় নিতে পারে। উদাহরনভাবে বলা যায় যে,আমার ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক ব্যাড সেক্টর রিপেয়ার করতে প্রায় ৩.০০ ঘন্টা সময় নিয়ে ছিলো।

১০। এইভাবে কাজের প্রক্রিয়া যখন শেষ পর্যায়ে ১০০% দেখাবে তখন একটি Drive Map দেখাবে সেখানে যাবতীয় তথ্য থাকবে যেমন-

কতটি কতটি ডিটেক্ট/রিমুভ করতে পেরেছে, হার্ড ডিস্কে অন্য কোন সমস্যা অআছে কিনা ইত্যাদি। উক্ত স্কীন থেকে বাহির হওয়ার জন্য ESC কী প্রেস করুন।

১১। এবার উপভোগ করতে থাকুন ব্যাড সেক্টর মুক্ত একটি স্বাস্থ্য সম্পন্ন হার্ডডিস্ক। অবশ্য এই কাজটি করার ফলে আপনার  পিসিরও পূর্বের তুলনায় অনেক পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পাবে।

আর যারা Bootable CD তৈরি করেছেন তাদের কাজও আমার উপরোক্ত আলোটনার অনুরুপ সম্পুর্ণ কার্বন কপি। এখানে প্রধান কাজটা হচ্ছে Bootable CD থেকে কাজটি করতে হলে আপনার Bios অপশন থেকে প্রথমে First বুট হিসাবে সিডি রমকে দেখাতে হবে। অতপর Bootable CD টি সিডি রমে প্রবেশ করিয়ে বুট অপশনে যখন দেখাবে Press Any key to Continue …………. তখন যে কোন কী প্রেস করে কাজের প্রক্রিয়া শুরু করুন। আশা করি সমস্যা হবার কথা নয়।

নির্দেশনা-

1। হার্ডডিস্ক পার্টিশন করলে কিন্তু পূনরায় ব্যাড সেক্টর ফিরে আসবে। আমার এই কথাতে হয়ত অনেকে প্রশ্ন করবেন তাহলে ব্যাড সেক্টর রিপেয়ারিং করে কি লাভ হল? হ্যা লাভ হয়েছে। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহারে আপনার সমগ্র হার্ডডিস্ক ড্রাইভের যতগুলো ব্যাড সেক্টর ছড়ানো ছিল তা সাজিয়ে গুছিয়ে একটি নিদিষ্ট স্থানে নিয়ে গিয়ে ব্লক করে রাখবে। ফলে পিসিতে কাজ করতে গেলে হার্ডডিস্ক ক্রাশ করবে না, হার্ডডিস্কের RPM সঠিকভাবে কাজ করবে। এবং হার্ডডিস্কের অযথা জায়গা নষ্ট হওয়া থেকে সুরাক্ষা দিবে।

2। আর আপনি যদি বিশেষ কারনে পার্টিশন করেই ফেলেন। তাহলে পূনরায় HDD Regenerator সফটওয়্যারটি চালু করে নিলেই হবে।
3। হার্ডডিস্ক সুস্থ রাখতে তো দোষ নেই। তাই হার্ডডিস্কটি সুস্থ রাখতে ও ব্যাডসেক্টর ব্লক করে রাখতে ও কার্যকারীতা ধরে রাখতে  HDD Regenerator টি অত্যন্ত কার্যকারী। আমি নিজে ব্যবহার করে এর ভাল ফল পাচ্ছি।

 

যারা এই সফট ওয়্যারটি নিয়ে কাজ করতে চান তারা আমার দেয়া এই লিংক হতে ডাউনলোড করুন-

হার্ডডিস্ক ভালো রাখার কিছু দারুণ টিপস:

আসলে কম্পিউটারের অন্যান্য হার্ডওয়্যার অংশের মতই হার্ডডিস্কও হার্ডওয়্যারের অন্তভূক্ত। যথন  কোন হার্ডওয়্যার তথারুপ নতুন হার্ডডিস্ক ক্রয় করা হয় তখন নিদিষ্ট ওয়ারেন্টি থাকে। এই ওয়ারেন্টির মধ্যে আমরা যদি যত্নশীল হই বা নিম্নরুপ টিপস গুলো অনুসরন করি তাহলে হার্ডডিস্ক স্বাভাবিকভাবে অনেকদিনই ব্যবহার করা যায়। এমনিতেই যে কোন বিষয়ের ক্ষয় আছে। তেমনি হার্ডডিস্কও একদিন নষ্ট হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটি যদি নিদিষ্ট ব্যবহারের আগেই কিংবা অসতর্কতার কারেন নষ্ট হয় তাহলে কেমন লাগে?

► প্রতি পার্টিশনে অন্তত ২০% ফাকা জায়গা রাখুন।
► নিয়মিত ডিফ্র্যাগ করুন।
► সপ্তাহে একবার বুট টাইম ডিফ্র্যাগ করুন। অর্থাৎ পেজফাইল, হিবারফিল ইত্যাদি সহ সিস্টেম ফাইল ডিফ্র্যাগ করুন।
► হার্ডডিস্ক এর তাপমাত্রা মনিটর করুন। দরকার হলে ক্রিটিকাল তাপমাত্রা সেট করে দিন যেন বেশি গরম হয়ে গেলে আপনি নোটিফিকেশান পান।
► হার্ডডিস্ককে ধুলাবালি থেকে দূরে রাখুন। মনে রাখবেন ছোট্ট একটা কণা যা আপনার মাথার চুলের দশভাগের একভাগ সেটা আপনার ডিস্ক হেডকে নষ্ট করে দিতে পারে।
► ইউপিএস ব্যবহার করুন।
► ব্যাকআপের জন্য রেইড বানিয়ে ফেলুন।
► ছয়মাস বা একবছর পর পর সুযোগ পেলে হার্ডডিস্ক এর সকল ডাটা ব্যাকআপ নিয়ে ডিস্ক লো লেভেল ফরম্যাট করে নিন। এতে ব্যাড সেক্টর সহ কোন সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যাবে।
► উইন্ডোজ এর ইনডেক্সিং বন্ধ করে দিন। ইনডেক্সিং এর মাধ্যমে উইন্ডোজ হার্ডডিস্ক এর সকল ফাইল এর লিস্ট তৈরি করে এবং সার্চ করলে দ্রুত ফলাফল দেখায়। কিন্তু ইনডেক্স এর কারণে অযথাই ডিস্ক ঘুরতে থাকে এবং শক্তি বা ব্যাটারি ক্ষয় হয়।
► হার্ডডিস্ক এর এটিএ কেবল ও পাওয়া যায়।

হার্ডডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট ইউটিলিটি:

উইন্ডোজে যে ডিফ্রাগমেন্ট ইউটিলিটি রয়েছে তা অনেকটাই নমনীয়। তাই এই ক্ষেত্রে আপনি যে কোন একটি থার্ডপার্টি ডিফ্রাগমেন্ট ইউটিলিটি ব্যবহার করতে পারেন

1. MyDefrag

2. Norton Utilities

3. Defraggler

4. O&O Defrag

5.Diskeeper

6. Smart Defrag

সর্তকতা:

তেমন কোন সতর্কতা নাই। তবে কথায় আছে সাবধানের মার নাই। তাই যে কোন কাজ করার পূর্বে একটু সাবধানী হওয়া ভাল। হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর এর কাজের সময় ইউপিএস ব্যবহার করা ভাল। যাতে কারেন্ট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে পিসিতে সকল কাজ বন্ধ করে শার্টডাউন করা যায়। কেননা, এমন কিছু কোম্পানীর হার্ডডিস্ক আছে যেগুলো ব্যাড সেক্টর রিপেয়ার কাজের সময় বিদ্যুত সংযোগ মাঝপথে থেমে গেলে পার্টিশন ভেঙ্গে যেতে পারে কিংবা কিছু ডাটা লস হতে পারে। আবার কোন হার্ডডিস্কের তেমন কোন পরিবর্তন নাও ঘটতে পারে। এটা মূলত হার্ডডিস্কের ফার্মওয়্যার ভার্সনের উপর ডিফেন্ড করে।

শেষ কথা

একটা কথা অবশ্যই মনে রাখা দরকার হার্ডডিস্ক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আপনার হার্ডডিস্ককে যেভাবে সেটাপ করে দেয়।তা পরবর্তীতে ব্যবহারের পর পূর্বের কার্যকারীতা কখনোই ফিরে পাবেন না। এখানে পৃথিবীর যতবড় ইউটিলিটি ব্যবহার করেন না কেন? কেননা, হার্ডডিস্কের ভিতর একটি ফার্মওয়্যার যুক্ত থাকে তার প্রধান কাজ হল- হার্ডডিস্কটি কতবার চালু হয়েছে, কত ঘন্টা চলেছে, বর্তমান অবস্থা কিরুপ ইত্যাদি যাবতীয় খবর রাখা। অবশ্য এই রকম সফটওয়্যারও পাওয়া যায় যেখানে হার্ডডিস্কের যাবতীয় তদারকি করে।  যাইহোক টিউনটি করতে দীর্ঘ সময় পার করতে হয়েছে। এর মধ্য কোন ত্রুটি থাকলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান করছি।

Level 2

আমি এএমডি আব্দুল্লাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 157 টি টিউন ও 1046 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

সম্মানীয় ভিজিটর বন্ধুগন! সবাইকে আন্তরিক সালাম ও ভালবাসা। আশা করি ভাল আছেন। পর সংবাদ যে, আমরা একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেছি। সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম শিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি, শিক্ষা, কম্পিউটার বিষয়ক যেমনঃ অনলাইন ইনকাম, ফ্রিল্যান্স, টিউটোরিয়াল, মুভি, গেমস, সফটওয়্যার, ভ্রমন, ইতিহাস, ভূগোল, কার্টুন, ধর্ম, টেক সংবাদ, এবং সংবাদপত্র ফিউচার...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

thanks bahi share korar jonno.
link kaj kore na…………….

উইন্ডোজ এর ইনডেক্সিং বন্ধ করে দিন। kivabe bondho korbo jodi bolten

    @লিমন: ধন্যবাদ। উইন্ডোজ ইনডেক্সিং বিভিন্ন ভাবে বন্ধ করা যায়। আসলে এটি অনেকটা প্রাকটিক্যাল তাই টিউমেন্টে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব নই। যদিও সংক্ষেপে বলছি-
    ১। প্রথমে আপনার কম্পিউটারের ড্রাইভে যান তথা মাই কম্পিউটারে প্রবেশ করুন> যে কোন একটি ড্রাইভ নির্বাচন করুন>মাউসের ডান বাটসে ক্লিক করে propertise এ-যান।
    ২। General Tab এ-যান > সেখান হতে Allow files on …………file propertise এর টিক মার্ক উঠিয়ে দিন> Apply/ok করুন।
    ৩। একটি বার্তা আসবে > সবার উপরের অপশন নির্বাচন করে ওকে করুন।

HDD Regenerator দিয়ে Bad Sector Remove অত্যন্ত সংবেশনশীল প্রক্রিয়া এবং বেশ ঝুকিপূর্ণ।
Scan চলাকালীন কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা কাজ বন্ধ করলে হার্ডডিস্ক এর স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
আমার ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটেছে এবং আমার ৫০০ জিবি হার্ডডিস্ক বর্তমানে নষ্ট হয়ে গেছে।
লো লেভেল ফরম্যাট দিয়েও তেমন একটা সুবিধা হয়নি।

সুতরাং সবাই সাবধান থাকবেন কখনো ব্যাড সেক্টর রিপেয়ারিং করতে চান।

আর একটা কথা খুব বেশী Bad Sector থাকলে সম্পূর্ণ স্ক্যান করতে ১০-১২ ঘন্টাও লাগতে পারে।

    @সিফাত মুরসালিন: অসাধারন টিউমেন্ট। হ্যা অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে, এই ক্ষেত্রে হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়াটা নিভৃর করে ফার্মওয়্যারের উপর। দেখা যাচ্ছে একটি ব্যান্ড কোম্পানীর সমস্যা হয়, কিন্তু অন্যটির হয়না। যেমন: আমি নিজেও মাঝেমধ্যে স্ক্যান করি এর মধ্যে ২ বার কারেন্ট চলে গিয়েছিল। কিন্তু হয়ত ভাগ্য ভাল তেমন সমস্যা হয়নি। তারপরও সর্তকতা জরুরী। পরিশষে সুন্দর টিউমেন্টের জন্য আপনাকে অসংখ্যক ধন্যবাদ।

      @ফেরী ওয়ালা: আমার ৫০০ জিবি স্যামসাং হার্ডডিক্স ছানাবড়া হয়ে গেছে। 🙁

        @সিফাত মুরসালিন: যাইহোক ঘটনাটা শুনে আমিও হতবাক। এই ক্ষেত্রে ছানাবড়া বলতে কি বুঝাচ্ছেন ঠিক বুঝলাম না। যদি পার্টিশন ভেঙ্গে যায় তাহলে কোন পার্টিশন রিকভারি সফট: এর সাহায্য নিতে পারেন। অতপর তারপরেও যদি কাজ না হয় তাহলে ফুল পার্টিশন ভেঙ্গে নতুন করে পার্টিশন তৈরি করে উইন্ডোজ দিলে আশা করা যায় ঠিক হবে। আপনি উল্লেখ করেছেন স্যামস্যাং হার্ডডিস্ক। আমিও ১ টেবির স্যামস্যাং ব্যবহার করছি বিগত ২ বছরের বেশী সময় ধরে। কিন্তু এই রকম ছানাবড়া অবস্থাতে পড়িনি। হয়ত কোন ভার্সনের ফার্মওয়্যারের পার্থক্য থাকতে পারে।

        @সিফাত মুরসালিন: মর্মাহত হইলাম! আমিও তো স্যামস্যাং হার্ডডিস্ক ব্যবহার করছি। উপরোক্ত টিউনের তথ্যাদি অনুযায়ী অনেকবার কাজ করেছি। ২/১ বার কারেন্ট চলে গিয়েছিল। বাট কোন সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি।

1. kisu prosno baya…..

2. windows set up dile ki পূনরায় ব্যাড সেক্টর ফিরে আসবে ?

3. kibabe বুট টাইম ডিফ্র্যাগ, অর্থাৎ পেজফাইল, হিবারফিল ইত্যাদি সহ সিস্টেম ফাইল ডিফ্র্যাগ kora…!

4. kibaba ক্রিটিকাল তাপমাত্রা সেট করে দিন?

5. kibaba লো লেভেল ফরম্যাট করে?

6. এটিএ কেবল ki….?

    @চোরা….বালি: ২। আপাতত ফিরে আসবে না (যদি পার্টিশন গড়মিল না করেন) ৩। Smart Defrag ইউটিলি ব্যবহার করলে ফল পাবেন। ৪। দূ:খিত হার্ডডিস্কে ক্রিটিকাল তাপমাত্রা সেট করার কোন পদ্ধতি আমার জানা নাই ৫। সফট: কিংবা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করা যায় এই ক্ষেত্রে মাই কম্পিউটার সিলেক্ট করে ডান বাটনে ক্লিক করে ম্যানেজ এ-ক্লিক করুন > সেখান হতে ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট অপশন নির্বাচন করুন > যে কোন একটি ড্রাইভ নির্বাচন করে ফরম্যাট এ-ক্লিক করুন > ওকে করুন (বি:দ্র: এই ক্ষেত্রে আপনার হার্ডডিস্ক ড্রাইভের সকল তথ্য মুছে যাবে) ৬। এটিএ ক্যাবল হল বর্তমানে হার্ডডিস্ক প্রযুক্তিতে নতুন সাটা ক্যাবল অনুরুপ। পূর্বে এটি পাটা ক্যাবল বুঝাত। পরিশেষে টিউমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

হার্ডডিস্কের কুশলাদি সম্পর্কে একটু কমই খোজ নেয়া হয়…..টিউনের পর এখন একটু নড়েচড়ে বসব ভাবছি…..প্রিয়তে নিলাম….টিউনের জন্য ধন্যবাদ 🙂

আমিও তো স্যামস্যাং হার্ডডিস্ক ব্যবহার করছি। উপরোক্ত টিউনের তথ্যাদি অনুযায়ী অনেকবার কাজ করেছি। ২/১ বার কারেন্ট চলে গিয়েছিল। বাট কোন সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি।

আচ্ছা. . . আপনাকে o ধন্যবাদ. . .

@ফেরী ওয়ালা: আপনি যা বলছেন হয়তোবা তাই। ভার্সনের ফ্যার্মওয়্যার এর কারণে ঘটতে পারে। আর আমার হার্ডডিক্স টা ছিল ATA Type এর।
ছানাবড়া বলতে বুঝিয়েছি, কম্পিউটার চালানো হলে 2/3 মিনিট পরপরই ওয়ার্নিং আসে যে হার্ডডিক্সে সমস্যা। সম্পূর্ণ পার্টিশন ভেঙে নতুন করে পার্টিশন করেও লাভ হয়নি। লো লেভেল ফরম্যাট দিয়েও কাজ হয়নি।

তাছাড়াও হার্ডডিক্সের সমস্যার কারণে কম্পিউটার শুধুমাত্র অন করে রাখলে Ram এর USAGE হয় 65% (আগে 28%-30%) ফলে কোনো একটি প্রোগ্রাম চালু করলে কম্পিউটার হ্যাং করে, প্রোগ্রাম ল্যাগ করে এবং অনেক Slow কাজ করে।

তবে ভাগ্য ভালো হার্ডডিক্সের এখনো Warranty আছে বিধায় সার্ভিসিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে।

    @সিফাত মুরসালিন: ধন্যবাদ। টিউমেন্টের বিবরনাদি দেখেই বুঝতেই পারছি আপনার হার্ডডিস্কের আয়ু বলতে প্রায় শেষ। আসলে হার্ডওয়্যার ও ফার্মওয়্যার জনিত ক্ষতি হলে সেটা রিপ্লেস করা ব্যতিত আর কিছুই নাই। এখন দেখুন, ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান আপনাকে কতটুকু সহযোগীতা করে! পরিশেষে Best of luck!

      @ফেরী ওয়ালা: আপাতত র্যাম এর সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে কিন্তু হার্ডডিক্সের ওয়্যার্নিং টা আগের মতই আছে। ওটা ম্যানুয়্যালি অফ করে যতদিন চালানো যায় ততদিন চালিয়ে নেই।

      পরিশেষে, আপনাকেও ধন্যবাদ।

Thanks for the tune

যা জানতে এসেছিলাম তার থেকেও অনেক বেশি জানতে পারলাম, কমেন্ট কারীদের সবাইকেই ধন্যবাদ, ফেরীওয়ালা কেও দিলাম ধন্যবাদ স্কয়ার ।

    টিউমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্যক ধন্যবাদ।