সবাই কে সালাম এইটা আমার প্রথম পোস্ট ভুল হলে মাফ করবেন
amd এর গ্রাফিক্স কার্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব
ত কথা না বাড়িয়ে শুরু করি
ATi ( Aero Technologies incorporate ) হচ্ছে গ্রাফিক্স জগতের এক নতুন জাদুকর। কানাডিয়ান এই প্রতিষ্ঠানটি লি কা লউ, বেনি লউ, কেঅয়াইহ এর হাত ধরে ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিকভাবে এরা কম্পিউটার এর জন্য চিপ উৎপাদন করলেও পরে এরা গ্রাফিক্স এর চিপ উৎপাদন শুরু করে। ২০০০ সালের দিকে বেশকিছু গ্রাফিক্স কার্ড বাজারে ছাড়লেও NVIDIA এর কাছে চরমভাবে পরাস্ত হয়। তারপর ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় ২০০৬ সালে এএমডি কিনে নেয় এই জিপিউ ও মাদারবোর্ডের চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে। তখন নাম পাল্টে রাখা হয় ” এএমডি গ্রাফিক্স প্রোডাক্ট গ্রুপ ” । কিন্তু তারা ATi কে তাদের প্রোডাক্ট নাম হিসাবে এতদিন ব্যাবহার করে আসলেও বর্তমানে ৬০০০ সিরিজ থেকে তাদের নাম পরিবর্তন করে AMD Radeon নামে বাজারজাত করা শুরু করে। ২০০৭ সালের দিকেই সম্পূর্ণ পাল্টে যেতে থাকে এই কোম্পানিটি। এএমডি এর অধীনে প্রান ফিরে পায় কোম্পানিটি। তার ধারাবাহিকতায় একে একে ৩০০০, ও ৪০০০ সিরিজ বাজারে এনে শক্তির আভাস দিতে শুরু করে ATi । তারপর ২০০৯ সালে ৫০০০ সিরিজ বাজারে আনে ATi যা গ্রাফিক্স জগতে এক নতুন সম্রাট এর আগমনী বার্তা জানান দেয়। খুবই কম বিদ্যুৎ খরচ করে, কম দাম এবং NVIDIA এর জিটিএক্স ২০০ সিরিজ থেকে ভাল পারফমেন্স এর কারনে বাজারের সেরা এবং প্রথম পছন্দের কার্ড হয়ে উঠে এটি যা NVIDIA কে মোটামুটি ভালই ধাক্কা দেয়। আর এই সিরিজে চমকপ্রদ সব ফিচার একে আরও উচ্চতায় নিয়ে যায়। ওই বছরের সেরা গ্রাফিক্স সিরিজ হিসাবে ৫০০০ সিরিজ নির্বাচিত হয়। আর তারপর থেকেই একের পর এক ধাক্কা দিতে থাকে এই কোম্পানিটি। মূলত কমদামে ভালমানের পণ্য সরবরাহ করায় ATi এর কাছে NVIDIA এর জনপ্রিয়তা দিন দিন কমতে থাকে। আর নতুন নতুন সব গ্রাফিক্স কার্ড ও বিশ্বসেরা সব প্রযুক্তি, কম বিদ্যুতে ভাল পারফমেন্স, ও কম মূল্যের হওয়াতে ২০১০-২০১১ সালটি পুরাটাই ATi এর দখলে থাকে। ২০১০-২০১১ সালে ATi এর কাছে NVIDIA ০৮% বাজার হারায়। আর জনপ্রিয়তা, তার কথা নাহয় নাই বা বললাম। আসুন দেখে নেই ATi এর কিছু চমকপ্রদ ফিচার যা একে অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তুলেছে।
:: টেরাস্কেল ঈঞ্জিন ::
এটি সর্বপ্রথম ৪০০০ সিরিজে যোগ করা হয় যার কোডনেম ছিল ” সাইপ্রাস “। ৫০০০ সিরিজে ব্যাবহার করা হয় 2nd Generation টেরাস্কেল ঈঞ্জিন যার ক্ষমতা ছিল প্রায় দ্বিগুণ। আর ৬০০০ সিরিজে 3rd Generation টেরাস্কেল ঈঞ্জিন ব্যাবহার করা হয় যা মাল্টি-প্রসেসসিং এ এক নতুন সুচনা আরম্ব করে। এই ইঞ্জিনটি মূলত অন্যসব গ্রাফিক্স কার্ড থেকে একে আলাদা করে তুলে। এতে প্রায় ৮০০ প্রসেসসিং স্ট্রিম আছে। ৫০০০ সিরিজে এর কোর সংখ্যা দ্বিগুণ ৬০০০ সিরিজে তিনগুন করা হয়েছে। এর কারনে HD Gameing আর Blu-Ray ভিডিও হয়ে গেছে “ হাতের ময়লা “।
:: ATi স্ট্রিম টেকনোলজি ::
যদিও NVIDIA এই প্রযুক্তিটি সর্বপ্রথম বাজারজাত করে, কিন্তু ATi এর স্ট্রিমিং প্রযুক্তিটি সত্তিই NVIDIA থেকে ভাল পারফমেন্স প্রদান করে। এই প্রযুক্তির কল্যাণে যে কোন কম্পিউটার প্রসেসসরের সাথে গ্রাফিক্স প্রসেসসর মিলিত হয়ে একত্রে কাজ করে যা আপনাকে দিবে অসাধারন কার্যক্ষমতা। বিশেষত এএমডি প্রসেসসরের সাথে একত্রে এটি আপনাকে দিবে HD Gameing, Smooth Video, 3D এর আসল মজা। এই স্ট্রিমিং এর কারনে কম্পিউটার এর প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষমতা মোটামুটি ভালই বৃদ্ধি পায়। ইন্টেল বা এএমডির সাথে NVIDIA এর গ্রাফিক্স প্রসেসসর একই প্রযুক্তিতে কাজ করলেও খুব বেশি সুবিধা পাওয়া যায় না। কিন্তু এই স্ট্রিমিং এর কারণে ATi, ইন্টেল প্রসেসসর এর সাথে খুব ভাল এবং এএমডি প্রসেসসর এর সাথে অসাধারন পারফমেন্স প্রদান করতে পারে। আসলে এটি জিপিউ, এবং সিপিউ কে একে প্লাটফর্মে কাজ করার সুযোগ করে দেয়।
:: ATi আইফিনিটি টেকনোলজি ::
৫০০০ সিরিজে সর্বপ্রথম এই প্রযুক্তিটি ব্যাবহার করা হয়। এর সাহায্যে একত্রে ৩-৬ টি মনিটরকে একত্রে সংযোগ দেয়া যায়। আসলে আইফিনিটি টেকনোলজি একাধিক মনিটরকে একটি গ্রুপ হিসাবে বিবেচনা করে একটি হাই রেজুলেশনের মনিটর হিসাবে ব্যাবহার করার সুযোগ করে দেয়। ৫০০০ সিরিজে ৩ টি। ৫৮৭০ তে ৬ টি ও ৬০০০ সিরিজে ৮ টি মনিটরকে এই প্রযুক্তির সাহায্যে একত্রে সংযোগ দেয়া যায়। খুব হাই রেসুলেশনের ভিডিও যারা বানাতে বা এডিট করতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ।
:: এএমডি EyeSpeed টেকনোলজি ::
৬০০০ সিরিজে এই টেকনোলজি সর্বপ্রথম ব্যাবহার করা হয়। এটি আসলে APP ( Accelerated Parallel Processing ) টেকনোলজি যা HD Gameing, Blu-Ray ভিডিও এডিটিং, 3D মুভি এডিটিং, এর গতিকে প্রয়োজনীয় সময় প্রায় দ্বিগুণ করে তুলতে পারে। এর ফলে আরও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন Blu-Ray ভিডিও, 3D মুভি, Game তৈরি করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
:: এএমডি HD3D টেকনোলজি ::
এই প্রযুক্তিটিও ৬০০০ সিরিজে সর্বপ্রথম যুক্ত করা হয়। এর সাহায্যে হাই ডেফিনেসন 3D মুভি এডিটিং, ট্রান্সকোডিং, এনকোডিং, আপস্কেলিং ও উপভোগ করা যাবে। তাছাড়া এটি গেম, মুভি এর মাঝে Stereoscopic 3D সাপোর্ট এনে দিতে সক্ষম যা আপনার 3D লাইফকে আরও জীবন্ত ও উপভোগ্য করে তুলবে।
:: ATi AVIVO টেকনোলজি ::
এটি Blu-Ray ভিডিও প্লেব্যাক, হোম থিয়েটার, HDMI ( High Defination Multimedia Interface ), পোর্টেবল মিডিয়া ডিভাইস, OpenGL, GDDR-5, EyeSpeed, HD3D, আইফিনিটি, পিক্সেল শ্রেডার ৫.০ এর মত নতুন প্রযুক্তি কে সরাসরি গ্রাফিক্স কার্ডের মাধ্যমে ব্যাবহার করার সুযোগ করে দেয়।
:: ATi CrossFire X ::
খুবসম্ভভত এই প্রযুক্তিটি ATi কে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। যদিও NVIDIA এই প্রযুক্তিটি সর্বপ্রথম বাজারজাত করা শুরু করে SLI নামে, কিন্তু তাতে ২ টির বেশি গ্রাফিক্স কার্ড সংযুক্ত করার সুযোগ ছিল না। ATi এর কিছুদিন পরেই CrossFire বের করে যাতে ২ টি ও CrossFireX এ ৪ টি গ্রাফিক্স কার্ডকে একত্রে সংযোগ দেয়া যেত। আর তখন SLI এর জন্য প্রায় ৮০০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই লাগতো যা অনেক ব্যয়বহুল। কিন্তু CrossFire X এ মাত্র ৬০০-৬৫০ ওয়াট বিদ্যুৎ লাগতো যা ছিল CrossFire X এর জনপ্রিয়তার মুল কারন। CrossFire X ও SLI প্রায় কাছাকাছি পারফমেন্স দিত কিন্তু দামে সাশ্রয়ী, কম বিদ্যুৎ খরচ করার কারনে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়ে উঠে। বর্তমানে ৫৭% মাদারবোর্ড শুধু CrossFire X সাপোর্ট করে যা বর্তমানে এর জনপ্রিয়তাকে আরও একধাপ উপরে নিয়ে গেছে। আরও একটা গোপন তথ্য দেই। ATi নামি দামি সব মাদারবোর্ড কোম্পানির সাথে চুক্তি করে আগেভাগেই SLI কে বোল্ড আউট করে দিচ্ছে। এই চুক্তির কারনে বেশিরভাগ মাদারবোর্ডে শুধু CrossFire X সাপোর্ট কিন্তু SLI সাপোর্ট করে না।
পরের বিষয়
আমি আমার বন্ধুদের স্লো গ্রাফিক্স কার্ড(Ati Radeon HD 5450 1GB DDR3)কেনার অনেক ভৌতিক কাহিনী শুনেছি,যদিও কেনার সময় ফাস্ট মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড মনে করে কিনছে মনে করে কিনেছে।.......:0
সাধারনত,অধিকাংশ লোকজন কিছু সাধারন ভুল করে গ্রাফিক্স কার্ড কেনার সময়।এখন কেও যদি আমাকে বলে যে সে একটা গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে মনস্থির করেছে গেম খেলা বা গ্রাফিক্স এর কাজের জন্য,আমি তাকে কিছু কমন ভুল এভোয়েড করার পরামর্শ দিব।[অবশ্য আমিও একসময় অতটা গ্রাফিক্স কার্ড সম্পর্কে বুঝতাম না,তবে নেটের সাহায্যে আমি এগুলো জেনেছি।নিজে এসব বিবেচনা করে গ্রাফিক্স কার্ড ক্রয় করি ও আমার এলাকায় যারা গ্রাফিক্স কার্ড কিনবে অথচ এ বিষয়ে অজ্ঞ আমি তাদের বাজেট অনুযায়ী এসব বিবেচনা রেখে গ্রাফিক্স কার্ড সাজেস্ট করি]:
১.মেমরি কে প্রাধান্য দিয়ে গ্রাফিক্স কার্ড কেনা(A major mistake):
বেশিই ভাল,তাই নয় কি?
[অবশ্য এটা তাদের কমন এক্সকিউজ যারা তাদের এ বিষয়ে জান্তা বন্ধুদের সামনে নিজের পছন্দ যাচাই করতে চান।]
একটা উদাহরনঃ
ওহ হো,আপনি ভুল করে ফেললেন!আপনি হয়ত বলবেন "মানে?"।
তবে বুঝে নিনঃ
গ্রাফিক্স কার্ডের মেমরিই এর পারফর্মেন্সের মূল ফ্যাক্টর নয়।গ্রাফিক্স কার্ডের আরো অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে যেমন জিপিইউ চিপ,জিপিইউ ফ্রিকোয়েন্সি,কোর স্পিড,সেডার স্পিড,মেমরি টাইপ,মেমরি ব্যান্ডউইথ,মেমরি বাস উইডথ,মেমরি স্পিড,টেক্সেল রেট,পিক্সেল রেট,ডিরেক্ট এক্স ভার্সন প্রভৃতি।
মেমরি কম হলেও Ati Radeon HD 4870 1GB থেকে Ati Radeon HD6570 2GB:থেকে ভাল।কেন?
[ভাই একটু কষ্ট করে গুগলিং করে দেখুন।]
আপনারতো বেশি মেমরি লাগছে না যদি না আপনি খুব উচু রেসোল্যুশন এর গেম খেলেন(১৯২০X১০৮০) বাAA/AFফিল্টারিং না করেন।
এখানে যান
২.হায়ার এন্ডের পুরোনো জেনারেশনের মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড এর বদলে লো এন্ডের নতুন জেনারেশনের মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড কেনাঃ
অনেকের ধারনা,
এটা নতুন এসেছে তাই এটা নিশ্চই দ্রুততর হবে।থামুন!
[যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা সত্য কিন্তু সর্বদা নয়।]
দোকানদারেরা মূলত নতুন গ্রাফিক্স কার্ড কে জায়গা দেবার জন্য পুরোতন গ্রাফিক্স কার্ড এর দাম কমান বেচে ফেলার জন্য।
একই সাথে আমরা যেটা জানি,"জিনিস যেটা ভাল দাম তার একটু বেশি"।
তাই আমরা নতুন ও কম ভাল গ্রাফিক্স কার্ড তুলনামূলক বেশি দামে কিনে ফেলি।
অথচ পুরোনো ও ভাল গ্রাফিক্স কার্ড কম দামে(কেন কম সেটা তো বললাম ই)কিনলে পয়সা যেমন বাচত,পারফর্মেন্সেও সন্তুষ্ট হওয়া যেত...........:D
এটিআই এর ক্ষেত্রেঃ
এখানে আমরা সচরাচর যে ভুল করি তা হল জেনারেশন নম্বর দেখে কিনি,যেমন আমরা মনে করি এটিআই এর4xxx মডেলের(4450,4650 etc.) গ্রাফিক্স কার্ড নিঃসন্দেহে এটিআই এর3xxxমডেলের(3870,3550 etc.) গ্রাফিক্স কার্ড থেকে ফাস্টার হবে।অখচ আপনি যদি একটাATI Radeon 3870এর গ্রাফিক্স কার্ড নিন,দেখবেন এটাATI Radeon 4650থেকে অনেক ফাস্টার।
প্রমাণ চান?
part
2
এখানে যান
আমি এখন বলব কিভাবে মডেল নম্বর কাজ করে,ATI Radeon 4850 কে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করে।
4850:প্রথম নম্বরটা কার্ডের জেনারেশন বুঝায়।এটা যত বেশি হবে,বোঝা যাবে কার্ডটা ততটা নতুন মানে পুরোনো জেনারেশন থেকে এক ধাপ ইম্প্রুভড!
4850:দ্বিতীয় নম্বর টা কার্ডের রেন্জ নির্দেশ করে।এখানেও,"Higher is better".এভাবে হিসেব করা হয়ঃ
1-4:নিচু রেন্জ(এটা ইউস না করাই ভাল)
5-7:মাঝারি রেন্জ[নো প্রবলেম,ইউস করেন]
8-9:হাই রেন্জ[রিকমান্ডেড]
4850:এখানেও,"Higher is better".
গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য কেসিং এর কতটুকু স্পেস বাকি আছে তা মাপুন(কেসিং এর পেছনের প্রান্ত থেকে হার্ডডিস্ক কেইজ পর্যন্ত)এবং দু দু বার আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের সাইজ মাপবেন কেনার সময়।
বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্লগ/ফোরামে গ্রাফিক্স কার্ডের রিভিউ দেখুন অথবা শোরুমে যোগাযোগ করুন যদি নিজে নিজে কোন ঝুকি (!) না নিতে পারেন/চান।দরকার পড়লে নতুন একটা ATX কেসিং কিনতে কিপটামো করবেন না।
---------------------------------------------
আশাকরি শেষপর্যন্ত যাচাই বাছাই করে গ্রাফিক্স কার্ড কিনলেন।কেসিং এ ও ফিট হল।
কিন্তু আবার নতুন সমস্যা ফেস করা শুরু করলেনঃ
১.আপনার পিসি বুট হচ্ছে না,
২.পিসি বুট হলেও গেম অন করতে না করতেই পিসি হ্যাং হচ্ছে(কি যন্ত্রনা!)
আমার মনে হয় পর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই আপনার পিসিতে নেই।আপনি
শোরুমে গিয়ে আপনার পিসি কনফিগারেশন বলেন তারাই সঠিক পরিমাণ পাওয়ার সাপ্লাই সাজেস্ট করবেন।এ নিয়ে আসলে চিন্তা করার দরকার নেই!
৪.গ্রাফিক্স কার্ড ফাস্ট কিন্তু প্রসেসর স্লোঃ
শিরোনাম দেখে অবাক হয়ে গেলেন!ভাবছেন গ্রাফিক্স কার্ড এর সাথে প্রসেসর এর কি সম্পর্ক?
হুম,আমি ঠিকই লিখেছি আর আপনি ঠিকই পরেছেন।
আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে কি,যতই গ্রাফিক্স কার্ড শক্তিশালী হোক না কেন,স্লো প্রসেসর এর কারণে গেমে ভাল ফ্রেমরেট পাবেন না।
ফ্রেমরেট সম্পর্কে জেনে নিন-
Framerate
স্লো প্রসেসর ফাস্ট গ্রাফিক্স কার্ডের পারফর্মেন্স বটলনেক(Bottleneck) করবে[মানে হল গ্রাফিক্স কার্ড এর সাথে প্রসেসর এর পারফর্মেন্সগত অসমতা,গ্রাফিক্স কার্ড দ্রুত কমান্ড করলেও স্লো প্রসেসর কুলিয়ে ওঠতে পারবে না]
তাই সর্বদা গ্রাফিক্স কার্ডের সাথে প্রসেসর এর সামন্জস্য রাখার চেষ্টা রাখুন।বুঝতে পারছেন না কিভাবে সমতা রাখবেন?
আচ্ছা মিনিমাল সাজেস্ট করলাম।[আমি এএমডি প্রসেসর সাজেস্ট করলাম না কারণ আমি এটা সম্পর্কে জানি না]
lowRange card-,Core i3 3.00
Midiam range card-corei5
High Range card-Core i5 3.10,Core i7 3.20
-------------------------------------------SLI/Crossfireএর ক্ষেত্রে একটু বেশি নিড পড়তে পারে।ঐ ক্ষেত্রে কোর আই সেভেন লাগবে সুপার এক্সট্রিম সাপোর্ট এর জন্য।
৫.একজনের কথা শোনে বিবেচনা করাঃ
কখনো যেকোনো একজনের পরামর্শ বিবেচনা করবেন না।কারণ দেখা গেল যে সে এনভিডিয়া এর ফ্যান বর।তাকে বললে সে নির্দিষ্ট বাজেটের ক্ষেত্রে কেবল এনভিডিয়া কার্ড সাজেস্ট করবে কিন্তু এক্ষেত্রে এএমডির সেই দামের কার্ড আরো ভালো হতে পারত।
জানি না কেমন লিখলাম।কমেন্ট করে ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিতে বা পরামর্শ দিতে পারেন।
এইতো আর কি,ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন ও সর্বোপরি টেক টিউন এন্ড প্রযুক্তির সাথে থাকুন।
------------------------------------------
আর আমাকে সাহায্য ও support করেন
iron maiden
https://www.techtunes.io/tuner/iron-maiden
ধন্যবাদ iron maiden ভাইয়া ও
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি অ্যান্ড্রয়েড গেমওয়ালা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 183 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
hmmmm