আগের টিউন দেখার জণ্য এখানে ক্লিক করুন।
প্রিয় টেকটিউনবাসী খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনাদের জন্য আর একটা টিউন তৈরী করলাম।আপনারা যদি শিখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং আমার টিউনের মাধ্যমে অল্প কিছু হলেও শিখতে পারেন তাহলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।
গত টিউনে আমি 3D এবং 3ds Max সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। এই টিউনে আমরা 3ds Max 2011 এর ইন্টারফেস এবং ভিউপোর্ট সম্পর্কে আলোচনা করব। সবাই জানেন এভাবে লিখে লিখে কোন কিছু শিখানো এবং পড়ে পড়ে শেখা খুবই কষ্টকর। বিশেষ করে মেক্স এর জন্য। তাই আপনাদের কোথাও যদি বুঝতে কোন প্রকার অসুবিধা হয়, তাহলে তা আমাকে জানাবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী আমি ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরী করে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তো চলুন আমরা মূল আলোচনায় ফিরে যাই। প্রত্যেকটি Software এর Interface ঐ Software এর কাজের উপযোগী করে তৈরী করা হয়। তেমনিভাবে 3ds Max এর Interface ও সহজে কাজের উপযোগী করে তৈরী করা হয়েছে।
প্রথমে আমরা Max এর Interface এর আলোচনায় আসি।নিচের ফিগারটি ভালভাবে লক্ষ্য করূন এবং নম্বরগুলো সনাক্তকরুন এবং এরপরে সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত আলোচনা ফলো করুন।
Max Interface সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা:
১।কুইক একসেস টুলবার- এটা মোটামুটিভাবে বলা যায় টুলবারেরই অংশ। এখান থেকে আপনি নতুন মেক্স ফাইল তৈরী এবং সেভ করতে পারবেন। এছাড়া আনডু রিডু করা সহ আরও অনেক টুল আছে।এছাড়া আপনি নিজের ইচ্ছামত টুল সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারবেন। বিস্তারিত আলোচনায় এ সম্পর্কে বলা হবে।
২। মেনুবার- ২নং এরিয়ায় আপনারা মেনুবার দেখতে পাচ্ছেন। অন্য সকল প্রগ্রামের মত মেক্সেও মেনুবার আছে। মেনুবারের মেনু থেকে মেক্সের প্রায় সকলপ্রকার কাজ করতে পারবেন। কোন object create করা Animate করা রেন্ডার করা সহ প্রায় সকল প্রকার কাজ এর বিভিন্ন মেনুর মাধ্যমে করা যায়।
৩। মেইন টুলবার- গুরূত্বপূর্ন কাজের জন্য যে সকল টুলের প্রয়োজন হয় তা মেইন টুলবারে সংযোজন করা আছে। যেমন-কোন অজেক্টকে ট্রান্সফর্ম করার জন্য Move tool, Rotate tool, Scale tool রেন্ডার করার জন্য Render setup, Quick Render ইত্যাদি টুল রয়েছে।
৪। মডেলিং রিবন- মডেলিং রিবন 3ds max এর সম্পূর্ন নতুন একটি ফিচার। এটি Max 2010, 2011, 2012 তিনটি ভার্সনেই সংযোগ করা হয়েছে। মডেলিং রিবন সাধারনত polygonal Modeling এর ক্ষেএে ব্যবহৃত হয়।
৫। ভিউপোর্ট- উপরের চিএে ৫নং অংশে ভালভাবে লক্ষ্য করে দেখুন Interface এর মধ্যের স্থানটি ৪টি ভাগে ভাগ করা। এর প্রত্যেকটিকে একসাথে ভিউপোর্ট বলে। আলাদা আলাদা করে এর এক একটি নাম আছে। যেমন- Top Viewport ,Font Viewport ইত্যাদি।এগুলো দিয়ে আপনি আপনার মডেল বা অবজেক্টকে বিভিন্ন এ্যঙ্গেলে দেখতে পাবেন।
৬। কার্ভ এডিটর- ৬নং অংশে আপনি যে বাটনটি দেখতে পাচ্ছেন ওখানে ক্লিক করলে কার্ভ এডিটর উইন্ডোটি আসবে। কার্ভ এডিটর দিয়ে কার্ভের দ্বারা কাজ করা যায়। এর মাধ্যমে কোন অবজেক্টকে Smoothly Animate করা যাবে। এনিমেশন কে কন্ট্রোল করার জন্য কার্ভ এডিটর ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কার্ভ এডিটর দিয়ে কোন অবজেক্টকে Modify করা, Transform করা Renaming করা সহ বিভিন্ন প্রকার কাজ করা যায়।
৭। Max Script- আপনি যখন প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করবেন তখন আপনাকে অল্প সময়ে কমান্ডের মাধ্যমে Max Script দিয়ে অনেক জটিল এবং Advance কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে Max Script ভালোভাবে শিখতে হবে।
৮। কিফ্রেম এড়িয়া- আপনি যখন কোন স্থির বস্তুকে চলমান করবেন তখন কিফ্রেম এড়িয়ায় ফ্রেম সংখ্যা অনুযায়ী কি (Key) বসবে। কিফ্রেমের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কত নং ফ্রেম থেকে অন্য কত নং ফ্রেম পরযন্ত আপনার মডেলটি এনিমেট হবে। এর উপরে আপনি Time Slider দেখতে পাবেন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার এনিমেশনকে চালিয়ে দেখতে পারবেন।পরে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
৯। ট্রান্সফরমেশন এড়িয়া- এখানে ভেলু ইনপুটের মাধ্যমে কোন অবজেক্টকে তিনটা ডাইরেকশনে Move, Rotate কিংবা Scaling করতে পারবেন।
১০। Keying- এখান থেকে আপনি কোন মডেলকে এনিমেট করার জন্য Key সেট করতে পারবেন।
১১। Key frame এবং time controller-এখান থেকে আপনি ফ্রেম বাই ফ্রেম Slide করতে পারবেন। এছাড়া Time Configure করতে এখানের Time Configuration বাটনটি ব্যবহার করতে পারবেন।
১২। ভিউপোর্ট নেভিগেশনবার- বিভিন্ন ভিউপোর্ট নেভিগেশন করার জন্য এখানের অনেক টুল আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। যেমন-জুম করার জন্য zoom tool ব্যবহার করতে হবে।
১৩। View Cube-এটি ২০১০,২০১১,২০১২ ভার্সনে সংযোজিত একটি নতুন ফিচার। এর মাধমে ভিউপোর্টে থাকা অবজেক্টকে বিভিন্ন এ্যঙ্গলে দেখা যাবে। যেমন font view তে কোন অবজেক্টকে দেখতে চান তাহলে View Cube এর Font বাটনটি চাপলেই আপনার অবজেক্ট এর Font সাইড ভিউপোর্টে প্রদর্শিত হবে।
১৪। অবজেক্ট রোলআউট প্যানেল-এখান খেকে কোন অবজেক্টকে বিভিন্ন কমান্ডের মাধ্যমে মডিফাই করা হয়।
১৫। Object Type- কোন কিছুর মডেল তৈরী করতে হলে এখান থেকেই তার ভিত্তি স্থাপন করতে হয়। মূলত এখান থেকে কোন অবজেক্ট Create করার মাধ্যমে তাকে মডিফাই করা হয়।
১৬। Create ও কমান্ড প্যানেল- কোন অবজেক্ট Create করা, মডিফাই করা সহ প্রায় সকল প্রকার ভেলু ও ইনপুট এখান থেকে দিতে হবে।
১৭। টুলবার-টুলবার সম্পর্কে ৩নং অংশে আগেই আলোচনা করা হয়েছে।
১৮। হেল্প এবং সারসবার-এখান থেকে 3ds max এর হেল্প দেখে নিতে পারবেন। এছাড়া কোন বিষয় টিপস খোজার জন্য Search করতে পারবেন।
১৯। টাইটেলবার- আপনি যে প্রজেক্টটিতে কাজ করবেন এবং যে নামে আপনি Max ফাইলটি(.max) সেভ করবেন তা এখানে প্রদর্শিত হবে।
এই ছিল Max এর Interface নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এর পরে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। পরবর্তী টিউন পড়ার জন্য আমন্ত্রন রইল।
থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স ২০১২ ভার্সনটি ডাউনলোড করার জন্য প্রবাসী ভাই এর এই টিউনটি দেখতে পারেন। (Autodesk 3Ds Max 2012 ফুল ভার্সন।বিশাল সফটওয়্যারটি ডাউনলোডে অকুতভয় মানুষদের জন্য। (মিডিয়াফায়ার লিংক) ( ডাউনলোড সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন)
থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স ২০১২ ভার্সনের Keygen ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন। (মিডিয়াফায়ার লিংক)(কিভাবে ইনস্টল করতে হবে সাথে দেয়া আছে)
আমি মুসা আকন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 68 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আজকেই আরো একটি টিউন উপহার দিলাম।