গ্রাফিক্স ডিজাইন কী?
আমি আমার ভাষায় সহজে বুঝি গ্রাফিক্ শব্দটির অর্থ হচ্ছে ড্রইং বা রেখা (আঁকা) আর যদি ডিজাইন শব্দের অর্থ বুঝি তাহলে দাড়ায় নকশা বা পরিকল্পনা। আমরা আরো জানি যে, গ্রাফিক অর্থের নানা অর্থ যেমন চিত্র গ্রাফিক শব্দটি জার্মান শব্দ থেকে এসেছে। আমরা খুব সহজে জানতে চাই যে, চিত্র দ্বারা নকশা তৈরি করাকে বুঝায় গ্রাফিক্স ডিজাইন।
প্রথমেই বলে নেই গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে অনলাইন জগতের এক বিশাল সম্ভাবনাময় ভান্ডার। প্রতিনিয়ত এর চাহিদা বাড়তে চলেছে.ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে অন্যতম টাইটেল গ্রাফিক্স ডিজাইন। বাদ দেন অনলাইনের কথা অফলাইনে যে কাজ করা যায় তা একটু ভাবুন আমরা নানা ধরনের সাইনবোড, ব্যানার, বিলবোড, ভিজিটিং কার্ড, বিয়ের কার্ড, হালখাতার কার্ড, মেমো, ভাইচার, স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা/ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সকল কাজ করার আগে গ্রাফিক্স করতে হয় এই সকল কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ৩০ হাজারও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন। এখন শুধু তাই নয় ওয়েব ডেপলোমেন্টর জন্য ওয়েব ডিজাইনের প্রয়োজন হয়ে থাকে তখন আপনি এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন হয়ে থাকে যেমন লোগো, ব্যানার, অ্যাড, ইত্যাদি কাজ গুলো আপনাকে শিখে নিতে হবে এবং পিসডি টু ওয়াডপ্রেস এর কাজ আপনি শিখে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনারা অনলাইনে সার্চ দিলে আরো বিস্তারিজ জানতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কি হয়।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার কিছু কৌশল জেনে নিন।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র কোথায় হতে পারে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-▼
→ ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া:কয়জন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজের সঠিক মূল্যায়ন ও ভাগ্যকে পরিবর্তন করার যে ক্ষেত্রটি পান সেটি হলো ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া। এখানে বিশেষত টেক্সট, গ্রাফিক্স, ভিডিও, অ্যানিমেশন, অডিওসহ যেকেনো কিছু এবং এ সম্পর্কিত সব কিছুই নিয়ে কাজ হয়। আমার মতে ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া হলো তেমনই একটি ভালো নিশ যেখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন।
→ প্রমোশনাল ডিসপ্লে:সাধারণত যারা বড় ধরনের বা বড় আকারের কাজ করতে চান বা কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন তাদের জন্য এটি একটি ভালো মাধ্যম। এ কাজগুলো মূলত বিভিণœ অ্যাডমিডিয়াতে পাওয়া যায়। এখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে বিভিন্ন ধরনের বিলবোর্ড ডিজাইন এবং একই ধরনের প্রোমোশনার ডিসপ্লে ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে হয়।
→ জার্নাল:বিভিন্ন ধরনের জার্নালগুলো (বিষয়ভিত্তিক বা ব্যাঙ্গাত্বক) ক্রিয়েটিভ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এখানে সাধারণত পাঠককে আকৃষ্ট করার কাজটি করতে হয়। এখানে আপনাকে ছোটখাটো লোগো, ইমোটিকন থেকে শুরু করে কমপ্লিট কাভার ডিজাইন করতে হতে পারে।
→ কর্পোরেট রিপোর্টস:এটি রেগুলার জব না হলেও কম নয়! একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন কোম্পানির কর্পোরেট রিপোর্ট তৈরি করে ভালোমানের আয় করতে পারেন। এটা অনেকটাই প্রফেশনাল কিন্তু মোটেই বোরিং কাজ নয়। কাজের মধ্যে অনেক স্বাচ্ছদ্য বোধ করা যায়।
→ মার্কেটিং ব্রোশিউর:এটিও অনেকটাই প্রোমোশনাল ডিসপ্লের কাজের মতো। এখানে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবা নিয়ে ডিজাইনের কাজটি করতে হবে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া যেহেতু কাজটি সম্ভব নয়, তাই এখানেও আপনার কাজের ক্ষেত্রটি হতে পারে।
→ সংবাদপত্র:গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া সংবাদপত্র! মোটেই সম্ভব নয়। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার একটি সংবাদপত্রকে ঠিকই সংবাদপত্রেরই মতো করে তোলেন। ফাইনাল লেআউট দেওয়ার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার অবশ্যই জরুরী। এখানে আপনার পেশার সন্মানটাও বেশি। তাই সংবাদপত্র একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য একটি সাফল্যজনক কাজের ক্ষেত্র।
ডোমেইন কেনা-বেচা করে আয় করতে পারেন অনেক টাকা।
→ ম্যাগাজিন:এটাও মূলত সংবাদপত্র ও জার্নালের মতো। তবে ম্যাগাজিনে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের পরিমান অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। কারণ ম্যাগাজিনে ভিজ্যুয়াল লেআউট বেশি থাকে। তাই ম্যাগাজিনের প্রত্যেকটা প্রকাশনার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার, অবশ্যই আবশ্যক। এটাও আপনার যথোপযুক্ত কাজের ক্ষেত্র হতে পারে।
→ লোগো ডিজাইন:একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হলো লোগো ডিজাইন। এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করতে বেশি সময় লাগে না। আপনার ক্রিয়েটিভিই হলো লোগো ডিজাইনের মূল কথা। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তার প্রতিষ্ঠানের লোগো তৈরির জন্য একজন ফ্রিল্যান্স লোগো ডিজাইনার অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইনারে খোঁজ করেন। তাই আপনি সহজেই কাজ পাবেন এবং ভালো করতে পারলে তাদেরকেই আপনার রেগুলার বায়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
→ ওয়েবসাইট ডিজাইন:সবশেষে বললেও একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজের ক্ষেত্র ওয়েবসাইট ডিজাইন। লোকাল মার্কেট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটাই বলি না কেনো প্রতিনিয়ত ওয়েব ডিজাইনের কাজের পরিমাণ বাড়ছে। তাই ওয়েবসাইট ডিজাইন করেও আপনা গ্রাফিক্স ডিজাইনার পেশাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন নিদ্দিষ্ট লক্ষ্যে।
কি ধরনের ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করা ভালো হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে গেলে যে বিশেষ সফটওয়্যার গুলো প্রয়োজন তা নিম্নে দেওয়া হল:
learning the graphics design
এখান থেকে আপনি সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
ডিজাইনার এর কি কি বিষয় আসলেই জানা উচিত একজন?
গ্রাফিক বা ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু থিওরি জানতে হবে। অবশ্য খালি জানলেই হবেনা বুঝতে ও হবে। তবে আগে জানুন। কারন আপনি একটা থিউরি পড়লেন কিন্তু বুঝলেন না। যদি আপনার সিনিয়র কোন ডিজাইনার এর সাথে পরিচয় থাকে তার সাথে আলাপ করুন। বা ইন্টারনেট এ ঘাটাঘাটি করুন।
প্রিন্ট / ওয়েব মিডিয়া কি?
গ্রাফিক বা ওয়েব ডিজাইন এর ক্ষেত্রে মিডিয়া মুলত ২ প্রকার। একতা হল প্রিন্ট মিডিয়া এবং অন্য টা হল ওয়েব মিডিয়া। আপনার জেই ডিজাইন টা প্রিন্ট হবে সেটা আপনাকে অবশ্যই প্রিন্ট মিডিয়া র জন্য রেডি হতে হবে। অর্থাৎ কোন ডিজাইন প্রিন্ট দেবার জন্য একটা নিরদিস্থ কালার সেটিংস্ এবং রেজোলিউশান লাগে। আবার ওয়েব মিডিয়া র জন্য যখন আপনি ডিজাইন করবেন তখন ওয়েব বা স্ক্রীন মিডিয়া উপযুক্ত ডিজাইন করতে হবে যার কালার সেটিংস্ এবং রেজোলিউশান প্রিন্ট মিডিয়া থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওয়েব মিডিয়া তে কাজ করতে হলে আপনাকে ডিজাইন করতে হবে ৭২ ডিপিআই বা 72 Pixels/Inch তে। আর ওয়েব মিডিয়া র জন্য কালার mode হল RGB (Red, Green, Blue). অন্যদিকে প্রিন্ট মিডিয়া র জন্য আপনাকে ডিজাইন করতে হবে ৩০০ ডিপিআই বা 300 Pixels/ Inch তে। প্রিন্ট মিডিয়া র কালার mode হল CMYK (Cyan, Magenta, Yellow and Key Color).এসব সম্পর্কে ধারনা পরিস্কার হবার জন্য Color Theory পড়তে হয়।
72 DPI বা 72 Pixels/Inch কি? আবার 300 DPI বা 300 Pixels/ Inch ই বা কি?
ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশি নারীদের নিয়ে কিছু কথা এবং টিপস।
আমি চয়ন মোল্লা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 28 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 16 টিউনারকে ফলো করি।