বর্তমানে টেকনোলজিতে সব যায়গায় আমরা ডিজাইন এর ছোঁয়া দেখেতে পাই। দিস্লাই এর বক্স থেকে শুরু করে ওয়েব সাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশান, লোগো, পোস্টার সব যায়গায় ডিজাইন দিয়ে ভরপুর অবস্থা। এই ডিজাইন গুল কিভাবে করা হয় বা এর বেসিক এলিমেন্ট কি এই বিষয় নিয়ে আমি আজ আলোচনা করবো।
আরও একটু ক্লিয়ার করে বলি। আমি আমার এই টিউনে কনো সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশান নিয়ে আলোচনা করছি না। আমি খালি ডিজাইন সম্বন্ধে কিছু ধারনা দিব যা দিয়ে একটা সফল ডিজাইন কিভাবে করা যায়। তো-কথা না বারিয়ে আমরা মূল আলচনায় চলে যাই।
ডিজাইন এর প্রথম বিষয় হল এর Alignment । উপরের যে ছবি টা আপ্নারা দেখতে পারছেন এখানে চারটা পয়েন্ট আছে। ধরুন আপনি ফটো তুলছেন তো আম্নি ক্লিক করলাম আর ফটো উঠে গেল। হা আপনি ফটো ঠিকি তুলতে পারছেন কিন্তু এই ফটোটার কনো ডিজাইন কোয়ালিটি বা প্রফেশনাল কোয়ালিটি থাকবে না। যদি আপনি এই Alignment টা ঠিক করে একটা ফটো তলেন তাহলে দেখবেন আপনারি ভাল লাগবে ফটো টা দেখে। আমি এখানে যেই ৪ টা পয়েন্ট দেখিয়েছি আসলে এই ৪ টা পয়েন্ট হল আমাদের ফোকাস পয়েন্ট। এখন আবার সেই ফটো তলায় আসি, উপরের ডান দিকের পয়েন্ট কে ধরে যার ফটো তুলবেন তার মাথা একটু সাইড করে ফটো টা তুলে দেখুন। একটু হলেও আগের থেকে আপনার ভাল লাগবে ফটো টা। ঠিক তেমনি পোস্টার ডিজাইন, ব্যানার, বিল-বোর্ড, ভিডিও ইত্যাদি এইসব ডিজাইন এ এই Alignment টা দিয়ে ফোকাস করতে হবে। তাহলে দেখবেন ডিজাইন টা আগের থেকে অনেক সুন্দর লাগবে। আসলে আমাদের চোখ এই ৪ টা যায়গায় আগে ফোকাস করে তাই আমরা প্রথমেই এই ৪ টা পয়েন্ট এ থাকা জিনিস গুল আগে দেখব। তাই ডিজাইনাররা তাদের মূল সাবজেক্ট কে এই ৪ যায়গায় ফেলে ডিজাইন টা করে থাকে। এখানে ভিডিও এবং ফটোগ্রাফ্য ও এই ডিজাইন এর একটি অংশ।
উপরের বিষয় টা যদি আপনি ঠিক ভাবে বুঝে থাকেন তাহলে এর পরের পার্ট হবে কালার নিয়ে কিছু কথা। কালার অনেক গুরুত্ব পূর্ণ একটি অংশ ডিজাইন এর জন্য। একটা সফল ডিজাইন করতে গেলে আপনাকে কালার সম্বন্ধে অনেক ভাল ধারনা থাকতে হবে। তো বেসিক কালার পৃথিবীতে মুলত ৩ প্রকারঃ- ১.লাল, ২. নীল, ৩. হলুদ। এই ৩ টা কালার দিয়েই পৃথিবীতে অন্য সব ধরনের কালার তৈরি হয়। আপনি যদি সঠিক কালার মিশ্রণ জানেন তাহলে আপনিও পারবেন সব ধরনের কালার তৈরি করতে। ৩ টা বেসিক কালার হুইল নিয়ে আজ আলোচনা করবো। প্রথমে Primary Color Wheel।
৩ টা বেসিক কালার (লাল, নীল, হলুদ) কেই মুলত আমারা Primary Color Wheel বলছি। এর পর Secondary Color Wheel।
এখানে Secondary Color Wheel বলতে যা বুঝাচ্ছে সেটা হল, লাল আর হলুদ মিশানোর ফলে তৈরি হচ্ছে কমলা, তারপর লাল আর নীল মিশানোর ফলে তৈরি হচ্ছে বেগুনী, আবার নীল আর হলুদ মিশানোর ফলে তৈরি হচ্ছে সবুজ। আর শেষ কালার হুইল হল Tertiary Color Wheel।
এখানে মুলত Primary আর Secondary, Secondary আর Secondary মিশানোর ফলে যেই কালার তৈরি হচ্ছে সেটাকেই Tertiary কালার বলছি আমরা। আপনারা একটু নেট এ সার্চ করে দেখে নিবেন আরও ভাল করে এই কালার হুইল এর সম্বন্ধে। এর পর নিচে ২ টা ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক দেয়া আছে, এই লিঙ্ক গুল একটু ঘেঁটে Color Scheme সম্বন্ধে একটু ভাল ধারনা নিবেন।
আরও কিছু কথা বলে নেয়া ভালো, সাদা এবং কালো কালার নিয়ে। সাদা কালার মুলত আমাদের অন্য কালার গুলকে উজ্জলতা (tint) দিয়ে থাকে অপর দিকে কালো কালার প্রতিচ্ছায়া (shadow) তৈরি করে থাকে। উধারন হিসেবে Photoshop এর কালার প্লেট টা দেখতে পারেন।
আজ তাহলে আলোচনা এই পর্যন্তই থাক, পরবর্তীতে এগুলর ভিতরে আরও অনেক বিষয় নিয়ে হাজির হব।
টেকটিউনসে বলতে গেলে এটা আমার প্রথম টিউন, যদি এই টিউনে কোন ভূল করে থাকি তাহলে ক্ষমা করে দিবেন। আর আপনাদের মতামত অবশ্যই কমেন্ট এ জানাবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে এটা পরার জন্য।
আমি Monster Demos। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 16 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নতুন কিছু জানলাম কিন্তু আরো বিস্তারিত জানলে বেশি উপকার হত