বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনেকের দামী ফটো এডিটিং সফটওয়্যারগুলো কেনার সাধ্য থাকেনা। ফলশ্রুতিতে অনেকেই সফটওয়ারের পাইরেটেড কপির সংগ্রহের দিকে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু ফটো এডিটিং এর জন্য অনেক ফ্রি এবং ওপেনসোর্স সফটওয়্যার আছে যেগুলো দিয়ে ছোট-খাট এডিটিং থেকে শুরু করে অনেক বড় মানের এডিটিংও আপনি করতে পারবেন। আজকে সেইরকম ১১ টি ফ্রি সফটওয়্যার এর ঠিকানা জানাব আপনাদের। সবগুলো সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারবেন একবারে ফ্রিতে। লেখাটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না আশাকরি।
অনেকগুলো ফটো এডিটর এর মাঝে এই ফটো এডিটরটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে। এই সফটওয়্যার এর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল, এটিতে বেশ কিছু দারুন কাজের টুলস আছে। যেমন, ভিউয়ার, এডিটর, ব্যাচ প্রসেসর, ফট কনভার্টার, ফটো রিনেম টুলস, প্রিন্ট লেয়াউট টুলস, স্ক্রিন ক্যাপচার টুলস, কালার পিক টুলসসহ দারুন কিছু টুলস।
লিনাক্স এ এডোবী ফটোশপের বিকল্প সফটওয়্যার হিসেবে গিম্পকে তুলনা করা যায় যদিও এটি ফটোশপের মত এত ফিচার সমৃদ্ধ নয়। তারপরেও তুলনামূলক ফ্রি এবং ওপেনসোর্স হিসেবে এটিতে অনেক ফিচারেই আছে। লিনাক্স এর পাশাপাশি উইন্ডজের জন্য এর আলাদা ভার্সন রয়েছে।
ছোটখাট ফটো এডীটিং এর জন্য এই সফটওয়্যারটি অত্যান্ত কার্যকরী একটা সফটওয়্যার। এই সফটওয়ারটি বানায় ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি মাইক্রোসফট এর সহায়তায়। প্রথমে উইন্ডোজ এক্সপির জন্য রিলিজ হলেও বর্তমানে এর অনেকগুলো ভার্সনেই পাওয়া যায়।
ল্যাজপেইন্ট সম্পুর্ণ ফ্রি এবং ওপেনসোর্স ইমেজ এডেটিং সফট যেটা গিম্প এর চেয়ে অনেক বেশী সহজভাবে চালানো যায়। যারা খুব বেশী উঁচুমানের ফটো এডিটিং এ যেতে চান না তাদের জন্য ল্যাজপেইন্ট হতে পারে মোক্ষম একটি সফটওয়্যার।
ফটো এডিটিং সফট ফটো প্লাস সেরিফ কোম্পানীর যেটি কিছুদিন আগেও কিনে ব্যবহার করা লাগত কিন্তু বর্তমান ভার্সন তারা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে বিনামুল্যে ব্যবহারের জন্য। যদি এটি লিমিটেড ভার্সন তবুও এর এক্সপোর্ট অপ্টিমাইজার, টেক্সট এডিটর, লেয়ার ইফেক্ট , স্পেশাল ইফেক্ট, রেড আই রিমুভার সহ অনেক টুলসই অনেক কার্যকরী ফটো এডিট এর জন্য।
অন্যগুলোর মত ফটোপোসও দারুন একটি ফ্রি ইমেজ এডিটর যেটির সাহায্যে দারূন কিছু ইফেক্টসহ ইমেজ সুন্দরকরে এডিট করা যায়। নতুনদের জন্য এই সফটওয়্যারটির আছে বিশেষ কিছু সুবিধা।
পিক্সিয়া অনেক জনপ্রিয় একটি জাপানী সফটওয়্যার যেটি সাহায্যে ছবি আঁকা এবং ছবি রিটাচিং করা যায়। এর অনবদ্য কিছু ফিচারের মধ্যে ব্রাশ, মাল্টিপল লেয়ার, মাস্কিং, লাইট এডজাষ্টমেন্ট অন্যতম। এগুলো ছাড়া আরো বেশ কিছু টুলস আছে যেগুলো দিয়ে দারুন সব কাজ করা যায়।
পুরুষ্কারপ্রাপ্ত এই ফ্রি ভিকম্যান’স ফটো এডিটর সফটওয়ারটি দিতে পেইন্টিং এবং চমৎকার ফটো এডিট করা যায়। টেক্সট এডিটিং , স্পেশাল ইফেক্ট, কালার রিপ্লেসমেন্ট সহ দারুন কিছু কাজ করা যায় এই সফটওয়্যারটি দিয়ে।
ফটোফিল্টার সফটওয়্যারটি ফটো এডিটিং এর জন্য খুবেই সিম্পল একটা সফট কিন্তু এর ইউজার ইন্টারফেস এবং অনেকগুলো টুলস ফটো এডিটিং এর জন্য দারূন কার্যকরী। সফটওয়্যারটিতে বিল্ট-ইন ইমেজ এক্সপ্লোডার ছাড়াও, ফাইল নেভিগেশান, পেইন্টিং সহ অনেক কাজ সহজে করা যায়।
যদি পিকাসাকে টেকনিক্যালি ফটো এডিটর এর কাতারে ফেলা যায় না তবুও কিছু আকষর্নীয় ফিচারের কারনে এটি ফটো এডিটর হিসেবে আমার অনেক পছন্দের।
আল্টিমেট পেইন্ট এর দুটো ভার্সন (শেয়ারওয়্যার এবং ফ্রি ) বাজারে পাওয়া যায়। টেক্সট এডিটিং , স্পেশাল ইফেক্ট, কালার রিপ্লেসমেন্ট সহ দারুন কিছু কাজ করা যায় এই সফটওয়্যারটি দিয়ে।
আমি এসআইআইটি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 30 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
চট্টগ্রামে স্বল্পমূল্যে আন্তর্জাতিকমানের আইটি প্রশিক্ষণের জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এসআইআইটি। ব্যবসা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, আমাদের উদ্দেশ্য প্রযুক্তিকে দক্ষ সমাজ গড়ার। আমাদের ফ্যান পেইজঃ http://fb.me/siitbd এবং আমাদের ওয়েবসাইটঃ http://sadiit.com
ভালো লাগলো তবে এতগুলো সফ্টয়্যার একসাথে না দিয়ে দুই তিন বারে দিতেন, সাথে সফ্টয়্যারের কিছু কিছু কাজ দেখিয়ে দিতেন। সেটাই মনেহয় বেশি ভালো হতো।