হতে চান সফল গ্রাফিক/ ওয়েব ডিজাইনার?? [পর্ব-০২] :: কীভাবে নিজের communication skill বাড়ানো যায়

আপনাদের অনেক আগ্রহ এবং অনুপ্রেরণা দেখে আবার লিখতে বসে গেলাম। মাথার উপর যদিও কাজের বোঝা। কিন্তু নিজেই অনুভব করলাম তাড়াতাড়ি পর্ব গুলো ঠিক মত প্ল্যান করা উচিত। আশাকরি ঠিক মত সবগুলো পর্ব লিখতে পারব। দোয়া করবেন আমার জন্য।

আগেই বলে নিচ্ছি আমি একটু ডিটেল আলোচনা করব কারন আপনাদের ধারনাগুলো ক্লিয়ার করা এই পোস্ট এর মুল উদ্দেশ্য। আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করব এবং সেই সাথে শেয়ার করব আমার scratch থেকে ডিজাইনার হয়ে উথার কাহিনী যাতে করে আপনারা যারা আকাদেমিক ডিগ্রী ছাড়া ডিজাইনার হতে চান তারা যেন অনুপ্রাণিত হন । এইখানে আলোচনা করা হবে ডিজাইনার হতে হলে কীভাবে পড়াশুনা নিজে নিজে করতে হবে, কীভাবে কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই একটা ভাল মানের পোর্টফলিও বানানো যায়, কীভাবে নিজের communication skill বাড়ানো যায়, কীভাবে অনলাইনে কাজ করা যায় বিভিন্ন প্রতারনার হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ইত্যাদি।

যারা মাত্র এসএসসি বা এইচএসসি পাস করেছেন বা করবেন তারা যদি sure হন যে ডিজাইনার হবেন বা ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ের গড়তে চান তাহলে যদি সামর্থ্য থাকে গ্রাফিক ডিজাইন এ গ্রাজুয়াশন করে নিন সান্তা মারিয়ুম বা UODA থেকে। তাছারা Raffles Design of Institute আছে যেখানে Visual Communication এর উপর Higher National Diploma (HND) In Visual Communication করানো হয় ২ বছর মেয়াদে।  নিতান্তই যাদের সামর্থ্য নাই তাদের কষ্ট করে শিখা ছাড়া কোন গতি নাই। আমার এই পোস্ট সিরিজ টা তাদের জন্য ই মূলত। তো প্রোফেসনাল হবার আগে নিজেকে গরে তুলতে হবে। নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে শুধু দেশের মার্কেট এর জন্য না, গ্লোবাল মার্কেট এর জন্য। বাংলাদেশে বর্তমানে Outsourcing  এর যে প্রসার এবং সম্ভাবনা, সেটা কে কাজে লাগানর জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে।

ফটোশপ বা ইলােস্ট্রটর বা কোরাল ড্র পারেন কিন্তু সৃজনশীলতা নেই যাদের মদ্ধে তারা কি করবেন?

আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনি সফটওয়্যার গুলো মোটামুটি আয়ত্ত করতে পেরেছেন কিন্তু সৃজনশীলতার অভাবে আপনি কিছুই ডিজাইন করতে পারছেন না, তাহলে সত্যিই যে বিপদ। কিন্তু ঘাবড়ানোর কিছু নেই। অনেক রাস্তা খোলা আছে আপনার সামনে। মোটামুটি photoshop এ ইমেজ এডিট করেও আপনি আপনার ক্যারিয়ের গড়তে পারেন। এর জন্য সৃজনশীলতার চেয়ে ও বেশি প্রয়োজন হয় নিয়মিত চর্চার। ইউরোপ, আমেরিকা সহ উন্নত বিশ্ব অন্যতম একটি পেশা হল ফটোগ্রাফি যা আমাদের দেশে ও আছে। DSLR -ক্যামেরায় ছবি তুললে সেই ছবি টাকে ফটোশপে নিয়ে এডিট করা হয়। ছবির কালার, tone, ফোকাস, ইত্যাদি ঠিক করা হয় ফটোশপ এর কিছু টেকনিক ব্যাবহার করে। একে বলা হয় Professional Image Retouching. তো আপনার সৃজনশীলতা নেই আপনি চর্চা করলেই একজন ইমেজ এডিটর হয়ে বেশ ভাল ভাবেই কিন্তু নিজের কারিয়ার গড়তে পারেন।  বাজারে এই সমস্ত টিউটোরিয়াল এর ডিভিডি পাওয়া যায়। তাছারা অনলাইনে আপনি হাজার হাজার ফ্রী টিউটোরিয়াল পাবেন শিখার জন্য।

প্রতিটা ফ্রীলান্সিং সাইট এ অসংখ্য প্রোজেক্ট পোস্ট হয় প্রতিদিন শুধু মাত্র ইমেজ এডিটিং বিষয়ক। কারন আপনি দেখতে পাবেন অনলাইনে হাজার হাজার ই-কমারস সাইট আছে। প্রতিটা টা সাইট এ খুব সুন্দর করে প্রোডাক্ট ইমেজ গুলো উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু ছবি গুলো সুন্দর করে সাইট এ পোস্ট করার আগে ফটোশপ এ এডিট করার প্রয়োজন হয়। কেননা সব ইমেজ র ব্যাকগ্রাউন্ড টা কিন্তু by default সাদা থাকেনা। তাই জেই সব ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা থাকেনা সেগুলর ব্যাকগ্রাউন্ড টা ফটোশপ এ কেটে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়া হয়। এই ধরনের কাজ প্রছুর পাওা যায়। এই ধরনের কাজ যদি আপনি করতে চান, তাহলে খেয়াল রাখবেন ফিক্সড কাস্তমার ধরার। দরকার পরলে প্রথম কাজ টা অনেক কম রেটে করুন এবং কাস্তমার কে খুসি করার চেষ্টা করুন। সে যদি আপনার সার্ভিস এ খুসি হয়ই তাহলে পরবর্তী কাজ পাবার সম্ভাবনা আপনার বেরে গেল। এর বেসির আগ ক্ষেত্রে এই সমস্ত কাস্তমের এর কাজ গুলু পারমানেন্ট হয়। কেননা তার যদি নিজের এ এক বা একাধিক অনলাইন শপ থাকে তাহলে নির্দিষ্ট সময়ই পর পর তার অনেক গুলো করে ছবি এডিট করার প্রয়োজন হয়ই। তাহলে বুঝতেই পারছেন এটাও একটা ভাল রাস্তা ছবি এডিট করে টাকা উপরজন করার।

কিছু ফ্রী উপদেশ, মানা না মানা আপনার বিসয় কিন্তু যদি একটু কষ্ট করে মানতে পারেন, তাহলে বলতে পারি আপনার ডিজাইনার হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

ভাল ইংলিশ জানার কোন বিকল্প নেইঃ

আপনি নিজে নিজে পড়ে, চর্চা করে ডিজাইনার হতে চান কিন্তু মোটামুটি ভাল ইংলিশ পারেন না, তাহলে কিন্তু খুব এ বিপদ এ পরবেন। কারন আমাদের দেশে ডিজাইন সম্পর্কিত বাংলা বই বা টিউটোরিয়াল নাই বললেই চলে। আর আমাদের শিক্ষা বেবস্থা এতটাই নাজুক যে বেসির ভাগ Honors শেষ করা ছাত্র বা ছাত্রী ইংলিশ এ অনরগল বলতে বা লিখতে পারেনা। অথচ পারসবরতি দেশ ইন্ডিয়া তে দেখুন কি অবস্থা। ওরা ইংলিশ তাকে ওদের অনেক টা জাতিয় ভাষা হিসেবেই নিয়েছে হিন্দির পাসাপাশি। আমাদের শিক্ষা বেবস্থায় ইংলিশ এর উপর জর দিতে হবে অনেক বেশি।

এই সিরিজ এ আমি যে টোটাল গ্রাফিক ডিজাইন আলোচনা করব এবং কিছু Resource শেয়ার করব আপনাদের সাথে সেগুলো ১০০% কাজে লাগানর জন্য বা ভাল মত বুঝার জন্য ইংলিশ এর দরকার হবে। তো আমি বলব যদি আপনার ইংলিশ এ দুর্বলতা থাকে তাহলে নিজ দায়িত্তে ইংলিশ টা ভাল মত সিখুন। একটা নির্দিষ্ট সময়ই (৩মাস বা ৬ মাস বা ১ মাস) টার্গেট করুন আপনার ইংলিশ তাকে ভাল করার। ইন্টারনেট এ ছড়িয়ে ছিতিয়ে যে সমশ্ত Free Materials আছে সেগুলো ঠিক মত নিজের কাজে ব্যাবহার করার জন্য, গ্লোবাল কাস্তমার এর সাথে ঠিক মত যোগাযোগ করার জন্য ভাল  ইংলিশ জানার কোন বিকল্প নাই। আমি এটা আগেই আপনাদের জানিয়ে দিলাম। না হয়ই পড়ে গিয়ে কিন্তু পস্তাবেন, তখন আর হইত সময়ই না থাক্তেও পারে।

গ্রাফিক ডিজাইন রিলেটেড কিছু থিউরি আমি হয়তো পরবরতিতে আমার নিজস্ব ব্লগ এ পাবলিশ করব, কিন্তু সেটা অনেক সময়ই সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই ঝটপট শুরু করুন আপনার ইংলিশ উন্নত করার প্রক্রিয়া। আর যারা মোটামুটি ভাল ইংলিশ  জানেন তাদের চিন্তা নাই। কারন মনে করুন সারা দুনিয়া আপনার পকেট এ 🙂 🙂 🙂

নিজের মধ্যে যদি হীনমন্যতা বা ফালতু Ego থাকে তবে টা ঝেড়ে ফেলুন ঝটপটঃ

আমি যখন ডিজাইন প্র্যাকটিস শুরু করলাম ২০০৭ এ, তখন আমাকে হেল্প করারা কেও ছিল না। কেননা আমার পরিচিত কোন বড় ভাই বা ফামিলি মেম্বার বা আত্মীয় দের মধ্যে এমন কেও Web/Graphic Designer ছিলনা জার কাছ থেকে আমি কিছু টিপস পেতে পারি। তো Coral Draw 12 শিখলাম নিজে নিজে। এর পর হাত দিলাম Illustrator এ। নিজের মধ্যে হুয়ত টুকটাক সৃজনশীলতা ছিল। প্রথমে নিজে নিজে প্রোজেক্ট বানিয়ে কাজ করতাম। নিজে নিজে postar বানাতাম বা ওয়ালপেপার বানাতাম। ওয়ালপেপার জিনিশ টা আমার খুব প্রিয় ছিল। তাকিয়ে থাকতাম খুব সুন্দর সুন্দর ওয়াল পেপার গুলর দিকে এর চিন্তা করতাম, কি কি কারনে এই ওয়াল পাপের টা খুব সুন্দর। কি কি কালার ব্যাবহার করা হয়েছে ইত্যাদি। আমার নিজের কম্পিউটার ছিল না। কেননা ধাকাইই থাকি একা। আমার পরিবার এর সামর্থ্য ছিলনা আমাকে একটা কম্পিউটার কিনে দেওয়ার। আমার বন্ধু মিরায দীপ এর কম্পিউটার টাই সম্বল। দীপ পেইন্টিং করত। তো কালার বা কম্পোজিশন বিষয়ক টুকটাক কথা বারতা চলতো আমাদের মধ্যে। আমি কখন কিছু জানার থাকলে এক্তু দ্বিধাবোধ করতাম না বন্ধুর কাছে জিজ্ঞেস করতে। আজ এই লেখার মাধ্যমে আমার বন্ধু দীপ এর প্রতি অশেষ ক্রিতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সামনা সামনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারিনা অর ঝাড়ি খেতে হবে বলে। কারন আমরা ২ জনেই আমাদের মধ্যে কোন Formality মেনটেন করিনা। ওর কম্পিউটার এই আমি শিখেছি করাল ড্র, Illustrator, Photoshop । ওর গেম স খেলা ভিসন প্রিয়। তো ও যদি ওর সেই ভিসন প্রিয় গেম স খেলা বন্ধ না করে আমাকে চান্স না দিত প্র্যাকটিস করার তাহলে হয়ত আজ এই খানে আমার লেখাই হত না।

এর পর হটাত ২০০৮ এর প্রথম দিকে পেয়ে যাই আমি যা মনে মনে খুঁজছিলাম। Distorted Designers    বাংলাদেশ এর এক মাত্র অনলাইনে ডিজাইন কমিউনিটি। এই ফোরাম এ বেশ কিছ বড় ভাইয়া ছিলেন যারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। আমি কোন লজ্জা সরম Aছাড়াই নতুন নতুন ডিজাইন করে পোস্ট করতাম। ভই পেতাম না, যদি কেও হেয় করে বা হাসে আমার Amateur মার্কা ডিজাইন গুলো দেখে। তো এটা আমার ডিজাইনার হবার পিছনে টনিক এর মত কাজ করেছে। কেননা আমি ডিজাইন পোস্ট  করতাম এর ভাইয়ারা আমাকে Critique দিত। কোথাই কন ভুল টা আমি করেছি, কিভাবে সেটা  ওভার কাম করা যায়, কিভাবে ডিজাইন টা আর ভাল করা যায় ইত্তাদি। এই ব্যাপার এ সব চেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছি জার নাম না উল্লেখ করলেই নয়, উনি হলেন আসিফ ভাই। উনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ এই জন্য যে উনি আমাকে যেভাবে design Critique  দিয়াছেন, সেটা আমার ডিজাইনার হবার পথে অনেক বড় ভুমিকা রেখেছে। অনেক কিছু শিখেছি উনার কাছ থেকে। যদি আমার মধ্যে EGO problem থাকত তাহলে আমরা খুব ভাল বন্ধু হতে পারতা ম না। উনার design critique আমি নিয়াছি লারনিং প্রসেস হিসেবে।

তো আমি EGO ঝেরে ফেলতে বলেছি এই জন্য যে, আপনি যদি আপনার ডিজাইন কমিউনিটি তে শেয়ার করতে লজ্জা পান কেউ হাসবে এই ভেবে, তাহলে ডিজাইনার হবার সম্ভাবনা আপনার মধ্যে খুবি কম। কেননা আপনি যদি ডিজাইন এর কিছু না জেনে থাকেন তাহলে আপনি কিভাবে বিচার করবেন আপনার ডিজাইন ভাল না খারাপ? তো, ডিজাইনার হতে গেলে মন টা করতে হবে উদার, লজ্জা পাওা যাবেনা, হীনমন্যতা থাকা যাবেনা, কখনও কার কাছ থেকে কিছু শিখতে দ্বিধা বোধ করা যাবেনা। মনে রাখবেন, কেও  কখন ও অটোমেটিক কিছু হতে পারেনা। সত্তিকার এর ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে হতে হবে, লজ্জাহিন আপনার দুর্বলতা প্রকাস করার ক্ষেত্রে। এটা একটা সাধনার মতন। একটা বিসয়ে জোঁক এর মত লেগে থাকা। অনেক dhorjo থাকতে হবে।

খুব তারাতারি বা শর্ট কার্ট এ ডিজাইনার হবার বাসনা ঠিকনাঃ

আপনি যেহেতু নিজের উদ্যোগে ডিজাইন সিখছেন বা চেষ্টা করছেন তাহলে মনে রাখুন আপনাকে মোটামুটি অনেক কাঠখড় পরাতে হবে। কারন যেখানে ডিজাইনার হবার জন্য ৪ বছর এর অনার্স ডিগ্রি আছে সেখানে আপনি যদি মিনিমাম ১-২ বছর ধরজ ধরতে না পারেন বা  প্র্যাকটিস করতে না পারেন, তাহলে আমি বলব দয়া করে এই খানেই স্টপ হয়ে যান। আমাকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন সময়ই request করে যে তাদের ডিজাইন সিখানর জন্য। কিন্তু একটা কথা কেও ভাবে না তারা কি আসলেই প্রতুত ডিজাইনার হতে? আপনি নিজেকে জিজ্ঞেস করুন আপনি কি প্রস্তুত ডিজাইনার হতে? আপনি কি প্রস্তুত ১-২ বছর ধরে চর্চা করতে বা নিজে নিজে পরাসুনা করতে। প্রতিদিন অন্তত ২-৩ ঘণ্টা ডিজাইন এর Theory গুলো পরা এবং তারপর সফটওয়্যার গুলো (Photoshop, Illustrator, GIMP ইত্তাদি) চর্চা করা দরকার। এই প্রসেস টা মিনিমাম ১ বছর চালানো উছিত আমি মনে করি। কিন্তু ব্যক্তি বিশেষে এই সময় টা বিভিন্ন রকম হতে পারে। কারন সবার শেখার ক্ষমতা সমান না।

Browse করুন ইন্টারনেট এ...................................................... দেখুন....................................ভাবুন..........................................

অনলাইনে হাজার হাজার ডিজাইন সাইট আছে। প্রতিদিন অন্তত ১-২ ঘণ্টা করে এই সাইট গুলো browse করুন। ডিজাইন দেখুন। যত ভাল ভাল ডিজাইন দেখবেন ততই আপনার মধ্যে ডিজাইন সেন্স গ্রো করবে। কারন আপনি ছোটবেলা হতে হইত বা কখনও এই সব বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করেননি। ডিজাইনার হবার মূল জিনিস হল নিজের মধ্যে ডিজাইনার সেন্স গ্রো করানো। ভাল ভাল ডিজাইনার এর ডিজাইন গুলো লক্ষ করুন। কেন সেটা ভাল ডিজাইন চিন্তা করুন। কেন একটা ডিজাইন আপনার চোখ কে আরাম দিচ্ছে বা কোন নির্দিষ্ট কালার কেন আপনার চোখ কে যন্ত্রণা দিচ্ছে টা ভাবুন। এই ভাবে OBSERVE করতে করতে আপনার চোখ ২ টা পাকবে। সাধারন মানুষ এর চোখ এর ডিজাইনার এর চোখ সম্পুরন ভিন্ন। কেননা সাধারন মানুষ একটা billboard এর দিকে তাকাবে এম্নিতেই, বা ডিজাইন দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে। কিন্তু আপনি বিলবোর্ড টা দেখবেন বিলবোর্ড টা কেন ভাল হল বা কোন খুত আছে কিনা সেটা দেখতে। নিজের মধ্যে Observation Power টা এই ভাবে বাড়াতে হবে। খুব যখন বিরক্ত লাগবে, কোন কিছু করতে ইচ্ছে করবে না, খালি তখন বসে বসে Internet Browse করুন। কারন প্রতিদিন নতুন নতুন সাইট দেখলে, ওয়েবসাইট র বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় চোখে পরে। আস্তে আস্তে দেখবেন আপনার চোখ ডিজাইনার হিসেবে পাকতে শুরু করেছে।

যাই হক, মুল কথায় আসি। এতক্ষণ অনেক বক বক করলাম। জানিনা আপনারা মনে মনে আবার আমার ১৪ গুষ্টি উদ্ধার করছেন কিনা 🙂

কি কি বিষয় আসলেই জানা উচিত একজন ডিজাইনার এর ???

গ্রাফিক বা ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু থিওরি জানতে হবে। অবশ্য খালি জানলেই হবেনা  বুঝতে ও হবে। তবে আগে জানুন। বুঝার বেপারতা অনেক কিছুর উপর নিরভর করছে। কারন  আপনি একটা থিউরি পড়লেন কিন্তু বুঝলেন না। যদি আপনার সিনিয়র কোন ডিজাইনার এর সাথে পরিচয় থাকে তার সাথে আলাপ করুন। বা ইন্টারনেট এ ঘাটাঘাটি করুন।

গ্রাফিক ডিজাইন কি?

গ্রাফিক ডিজাইন কি আতা ভাল ভাবে বুঝার জন্য আগা জানতে হবে Visual Communication কি। কেননা গ্রাফিক ডিজাইন টা Visual Communication এর একটা পার্ট। Visual Communication হল চোখ / EYE এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা বা কোন তথ্য শেয়ার করা একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সাথে। আপনি টিভি দেখেন, ছবি তুলেন কেমরা দিয়ে, সাইন বোর্ড দিয়ে আপনার পন্নের বিজ্ঞাপন দেন, সুন্দর বিয়ের কার্ড দিয়ে প্রিয় জনকে বিয়েতে দাওয়াত করেন - এগুলো সব এ হল Visual Communication। তো Visual Communication এরি একটা পার্ট হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। গ্রাফিক ডিজাইন এর নামকরন হয়েছিল গ্রাফ থেকেই। আমরা স্কুল এ পরার সমই গ্রাফ করেছি যার প্রধানত ২ টা exis থাকে। কম্পিউটার এ আপনি যখন কোন ডিজাইন করেন কম্পিউটার আপনার ডিজাইন element এর অবস্থান হিসেব করে এই গ্রাফ আর মাধ্যমে। এই খান থেকেই  গ্রাফিক ডিজাইন এর নাম করন।

প্রিন্ট / ওয়েব মিডিয়া কি?

গ্রাফিক বা ওয়েব ডিজাইন এর ক্ষেত্রে মিডিয়া মুলত ২ প্রকার। একতা হল প্রিন্ট মিডিয়া এবং অন্য টা হল ওয়েব মিডিয়া। আপনার জেই ডিজাইন টা প্রিন্ট হবে সেটা আপনাকে অবশ্যই প্রিন্ট মিডিয়া র জন্য রেডি হতে হবে। অর্থাৎ কোন ডিজাইন প্রিন্ট দেবার জন্য একটা নিরদিস্থ কালার সেটিংস্‌ এবং রেজোলিউশান লাগে। আবার ওয়েব মিডিয়া র জন্য যখন আপনি ডিজাইন করবেন তখন ওয়েব বা স্ক্রীন মিডিয়া উপযুক্ত ডিজাইন করতে হবে যার কালার সেটিংস্‌ এবং রেজোলিউশান প্রিন্ট মিডিয়া থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওয়েব মিডিয়া তে কাজ করতে হলে আপনাকে ডিজাইন করতে হবে ৭২ ডিপিআই বা 72 Pixels/Inch তে। আর ওয়েব মিডিয়া র জন্য কালার mode হল RGB (Red, Green, Blue). অন্যদিকে প্রিন্ট মিডিয়া র জন্য আপনাকে ডিজাইন করতে হবে ৩০০ ডিপিআই বা 300 Pixels/ Inch তে। প্রিন্ট মিডিয়া র কালার mode হল CMYK (Cyan, Magenta, Yellow and Key Color) .এসব সম্পর্কে ধারনা পরিস্কার হবার জন্য Color Theory পড়তে হয়। আমি এই খানে খুব বেসিক জিনিস টা বললাম আপনাদের ধারনা দেবার জন্য।

72 DPI বা 72 Pixels/Inch কি? আবার 300 DPI বা 300 Pixels/ Inch ই বা কি?

পিক্সেল  বলতে কোন গ্রাফিক ছবির ক্ষুদ্রতম অংশ বা বিন্দুকে বোঝায়। মানব দেহ যেমন অগনিত কোষ এর দ্বারা তৈরি, একটি স্ক্রীন ডিজাইন ও অনেক গুলো পিক্সেল দ্বারা তৈরি। পিক্সেল দেখতে বরগক্ষেত্রের মত। তাহলে 72 Pixels/Inch হল ১ ইঞ্চি তে ৭২ টা পিক্সেল।অনুরুপ 300 Pixels/ Inch হল ১ ইঞ্চি তে ৩০০ টা পিক্সেল। পিক্সেল কে ডট ও বলা হয়।  DPI হল Dot Per Inch. ১ ইঞ্চি তে পিক্সেল এর ঘনত্ব যত বেশি হবে একটি ছবি বা স্ক্রীন ডিজাইন ততই ভাল কোয়ালিটির হবে।

আপনারা দেখে থাকবেন, ডিজিটাল ক্যামেরা গুলতে মেগা পিক্সেল হিসেবে ক্যামেরা এর দাম নিরধারন হয়। এই মেগা পিক্সেল হল ১*১০০০ পিক্সেল = ১ মেগাপিক্সেল এবং অনুরুপ ভাবে ১২ মেগা পিক্সেল মানে ১২০০০ পিক্সেল। অর্থাৎ কোন ১২ মেগা পিক্সেল এর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললে, ঐ ছবিটার প্রতি বর্গইঞ্চি তে ১২০০০ টা পিক্সেল থাকবে। তাহলে স্বাভাবিক কারনেই ছবিটার কোয়ালিটি ভাল হবে।

এই হল pixel এর  প্রাথমিক ধারনা যা একজন ডিজাইনার এর না জানলেই নয়। পিক্সেল সম্পর্কে না জানলে ওয়েব এ কাজ করতে পারবেন না। প্রিন্ট ডিজাইন এ সাধারনত আমাদের দেশে ইঞ্চি একক টা বেশি ব্যাবহার হয়। তাই প্রিন্ট এ কাজ করতে গেলে পিক্সেল এর ধারনা খুব একটা কাজে লাগেনা কিন্তু ওয়েব এ প্রতিটা পিক্সেল এর গুরুত্ব অনেক।

কি কি Theory জানতে হবে আপনাকে তার একটা লিস্ট আমি  দিয়ে দিচ্ছি। বিস্তারিত পরে আলাপ হবে। তার আগে মুল বিষয় গুলো জানুন।

(দয়া করে নিচের Design Theory গুলো বিষয়ক প্রশ্ন করবেন না। কারন আমি ই পরবর্তী পর্ব গুলতে আগুল সব আলোচনা করব এবং কিছু Resource Share করব।)

  • History of Design/Graphic design or History of ART.
  • Different Design/Art Movements
  • Color Theory
  • Typography
  • Principles of Design
  • Modern Graphic/Web design trends
  • Grid based design theory
  • Principles of UI (User Interface) Design or UX (User Experience Design)
  • Usability Rules

------- Theory র মধ্যে এইগুলাই আসল জিনিস। আর অনেক কিছু বিসয় আছে। সেগুল আমি এই সিরিজ এর মধ্যে উল্লেখ করে দেব।

------- আজ এই পর্যন্তই। চলতে থাকবে ...............

আমার লেখা আর্টিকেল গুলো সরাসরি আপনার মেইল এ পেতে চাইলে এই খানে আপনার মেইল এড্রেস টি দিয়ে Subscribe করে নিন।  মেইল এড্রেস দিয়ে subscribe করার পর আপনার নিজের মেইল ইনবক্স এ গিয়ে মেইল টা চেক করুন। একটা Confirmation mail পাবেন যেখানে একটা লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। আপনি যে একজন ভেরিফাইড ইউজার এটা প্রমান করার জন্য লিঙ্ক টাতে ক্লিক করুন। ব্যাস। হয়ে গেল। এখন থেকে বার বার আমার প্রোফাইল চেক করতে হবে না। আমি এই সিরিজ এ কোন লেখা প্রকাস করলে টা আপনার মেইল এ চলে যাবে। ধন্যবাদ।

Level 0

আমি Amit Mojumder। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 75 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I am a professional tech entrepreneur, designer, developer, web engineer and author. But, beside all those designations, I am more of a "Life Long Learner" or "The Searcher" as I constantly study, research on design and various web technology related topics. My top interest relating to my profession includes as...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসাধারণ!

আমি আপনার টিউনের নিয়মিত ভিজিটর। 😀 আশা করি সবগুলো পর্ব শেষ করবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

@Amit Mojumder ভাই ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করব না। তবে আপনারা পাশে আছেন বলেই অনেক কিছু করার সাহস পাচ্ছি। অসাধারন লিখেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর এবং তথ্যবহুল টিউনের জন্য। আরো পাবো এই আশায় রইলাম।

    @Optimistic_Razib: আপনাদের পাসে থাকব বলেই, লেখা শুরু করেছি…… এর শুরুই যখন করেছি carry on করব, ইনশাল্লাহ। সাথে থাকবেন 🙂 ধন্যবাদ

Level 0

ভাল হয়েছে ।

ভাই অসাধারণ হয়েছে, চালিয়ে যান। পরবর্তী টিউনের অপেক্ষায় রইলাম। ছোট্ট একটা সংশোধনী আছে, RGB(Red, Green, Blue) হবে, টিউনে Blue এর জায়গায় Black লেখা হয়েছে।

    @mahmud ferdous: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভুল তা ধরিয়ে দেবার জন্য। সংশোধন করে দিয়েছি। অনুপ্রাণিত করার জন্য আবারও ধন্যবাদ।

excellent

ভাল হয়েছে।

এক কথায় অসাধারণ! বরাবরের মত আবারও নতুন টিউনের অপেক্ষায় থাকলাম। ভাল থাকবেন।

    @sakibfreeman: অনুপ্রাণিত হলাম। ধন্যবাদ। আপ্নিও ভাল থাকবেন 🙂

Level New

If wish i were a designer! Continuing this great job. We wait for your next post.

ভাই আপনাকে ফেসবুক এবং স্কাইপে এড রিকুয়েস্ট করেছি। আপনার দেয়া তিনটা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনটা ভাল হবে? আমি BBA ছেড়ে দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনে পড়া শুনা শুরু করতে চাই। দয়া করে সাহায্য করবেন।

Very Good information amit vai. ([email protected])

২ বছর মেয়াদী কোসের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে চাই……।দয়া করে জানাবেন

@Amit mojumder vai apnar 1st lekha ta porei valo lagsilo,apne 2nd tune ta korun atai dekhte chachelam,thnk u bro apnar tune er jonne.vai ame web page graphics design,logo design nd mobile app design shekhte chai,agula jante hole amk ki ki shekhte hobe ektu bolben asha kore….

    @Rashedabdullah: ধন্যবাদ ভাইয়া। হ্যাঁ আমি সিরিজ চালিয়ে যাব। এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন। Apps ডিজাইন এর জন্য আসলে আপনাকে প্রথমত শিখতে হবে PHOTOSHOP. তারপর, Android বা iPhone apps এর জন্য আলাদা আলাদা সফটওয়্যার আছে। ধন্যবাদ।

__________________________________________________________________________________
Mr. Amit Vaiaa Khub Valo LagLo..BiSes Kore Tune Ta Pore…Kisu Color Biroktikor And Kisu Color Anando-Daiok….Ai Subject Ta Mathai Rakhar Chesta Korbo..Moner Moto Kotha Gula Tune-a Uthe Asheche.Really Now I Start To Feel a CoLor Dance.Many many thanks to share with us your practical life style…………Hope more tunes from you.
_______________________________________________________________________________

    @Nasir Hussain: আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে টিউন পরার জন্য।

Level 0

vaia apni ki janen j jahangirnogor university te ki B.A. (Hons.) in Graphic Design ase?

    @nibir3288: আমি ঠিক বলতে পারলাম না ভাইয়া। তবে দেখি যদি খোঁজ পাই তাহলে অবসসই জানাব।

Level 0

Basic is covered nicely- technically and theoritically. Nice one Amit. Looking forward to read next posts 🙂

Asif

Level 0

Thanks a lot. fantastic tune. Bro I have only got your first 2 tunes today, & subscription completed. If you disclose any more tune before my subscription. please inform me by sending email.
My email: [email protected]

খুব ভাল হয়েছে ভাই
ধন্যবাদ

বস,আসলেই আমরা কতো তারাতারি টাকা ইনকাম করব, তার জন্যে দৌড়াই।কিন্তু পরতে বা শিখতে কেইই চাইনা।আলহামদুলিল্লাহ অত্যান্ত সুন্দর হয়েছে। কিন্তু থেমে যাইয়েন না ,আমাদের রেখে