চাকরিজীবীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় প্রতিষ্ঠান গুগল। এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার ইচ্ছা বহু মানুষেরই থাকে। কিন্তু গুগলে নিয়োগের প্রক্রিয়াটি মোটেও সহজ নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে প্রতিবছর বহু কর্মী নিয়োগ করে গুগল। এ কর্মীদের মাঝে সাধারণত বেশ কিছু গুণের খোঁজ করে প্রতিষ্ঠানটি। আর এ গুণগুলো আপনার মধ্যে যদি থাকে তাহলে গুগলে নিয়োগ পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, গুগল একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। আর প্রযুক্তিক্ষেত্রে আপনি যদি খুব ভালো করেন তাহলে এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে আপনার ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন নেই। এমনকি গুগল কখনো কখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্টের চেয়েও গুরুত্ব দেয় অন্যান্য যোগ্যতাকে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. পেশাদারি অভিজ্ঞতা অর্জন করুন: গুগলের হ্যামবার্গ অফিসের লুর্টজ এনকে এ বিষয়ে বলেন, আপনার যদি সঠিক মাত্রায় পেশাদারি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি না থাকলেও চলবে। তবে আপনার ভালো একটি ডিগ্রি থাকলে তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।
২. কোডিং স্কিল বাড়ান: ইন্টারনেট জায়ান্ট হিসেবে প্রোগ্রামারদের প্রয়োজনীয়তা সব সময়ই রয়েছে গুগলে। আর এ চাহিদা মেটাতে আপনিও চেষ্টা করতে পারেন। এ জন্য আপনার প্রোগ্রামিংয়ের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
৩. এক্সটার্নাল আবেদন নয়: গুগলে আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার যদি অসাধারণ কোনো যোগ্যতা না থাকে তাহলে এক্সটার্নাল আবেদন না করাই ভালো। কারণ সেভাবে খুব কমই নিয়োগ করা হয়। নিয়োগের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আপনার বাদ পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই তার বদলে আপনি ইন্টার্নশিপ, ক্যাম্পাস রিক্রুটিং ও রেফারেলস এ আবেদন করতে পারেন। এগুলোর মাধ্যমে সহজেই গুগলে কাজ শুরু করা যায়।
৪. সরাসরি যোগাযোগ করুন: গুগলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি সরাসরি একটি প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করতে পারেন তাহলে জটিলতা কম হবে।
৫. টি-শেপড পার্সন হোন: টি-শেপড পার্সন বা একটি বিষয়ে দক্ষ মানুষের চাহিদা গুগলে সর্বাধিক। অর্থাৎ আপনার অসংখ্য বিষয়ে যোগ্যতার কোনো দরকার নেই। যেকোনো একটি বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষ হলেই আপনি গুগলে চান্স পাবেন।
৬. রিজুমিতে রেজাল্ট লিখতে সাবধান: আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে যদি জিপিএ খুবই কম থাকে তাহলে তা রিজুমিতে লেখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে তা লেখার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে হবে। অন্যথায় তা আপনার অবস্থান জটিল করবে।
৭. গ্র্যাজুয়েশনের পর তিন বছর: আপনি যদি সদ্য গ্যাজুয়েশন করে থাকেন এবং আপনার রেজাল্ট খারাপ হয় তাহলে তিন বছর অপেক্ষা করুন। এরপর গুগলে আবেদন করলেও আপনার রেজাল্ট জানতে চাইবে না গুগল।
৮. রিজুমি বর্ণিল করুন: আপনার রিজুমিতে শুধু যে কাজের কথা লিখবেন তা নয়। গুগলের চাকরির আবেদনে আপনি আপনার অন্যান্য যোগ্যতা কিংবা গুণের কথা লিখতেও ভুলবেন না।
৯. ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা প্রকাশ করুন: আপনি যদি কোনো ক্ষেত্রে দক্ষ হন তাহলে গুগলের কাছে সে দক্ষতার কথা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করুন। এতে চাকরির সম্ভাবনা বাড়বে।
১০. ওপেন সোর্স প্রজেক্টে অভিজ্ঞ হোন: ওপেন সোর্স প্রজেক্ট গুগলের খুবই প্রয়োজনীয়। আর আপনার যদি ওপেন সোর্স প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ থাকে তাহলে এতে হাত পাকান। গুগলে চাকরির জন্য এতে সুবিধা হবে।
১১. প্রযুক্তি ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আগ্রহ: আপনি যদি নানা ধরনের প্রযুক্তির ফ্যান হন তাহলে তা প্রকাশ করুন। এ ছাড়া গুগলের প্রতি আপনার আগ্রহ থাকলে সে আগ্রহও প্রকাশ করুন রিজুমিতে।
১২. কিভাবে প্রতিষ্ঠানটির কাজে আসবেন: আপনার জানাতে হবে যে, প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ পেলে আপনি কিভাবে কাজে আসবেন। আর এ জন্য আপনার আগ্রহের বিষয়, সৃজনশীলতা ও যোগ্যতাকে ভালোভাবে লিখতে হবে রিজুমিতে।
মূলতথ্য: কালের কন্ঠ
আমি মো: গোলাম ছাকলাইন। Manager, HR, BRAC-Aarong, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষের মধ্যে মানবতাবোধ ফিরে আসুক...... মানুষ অন্ধকার আর আলোর পর্থক্য বুঝতে পারুক...... আর অন্ধকার থেকে আলোর পথে সামনে এগিয়ে যাক সবাই
Nice Post