ইদানিং আশ্চর্য তথ্যগুলো নিয়ে অনেক উঠে পরে লেগেছি। আশাকরি।
গুগল কি সেটা বলার প্রয়োজন নেই মনে হয়, মামাকে সবাই চেনেন এবং মামার সম্পর্কে বেশ ভালো ধারনাই আছে আপনাদের সবার। কিন্তু কিছু জিনিষ আছে যা অনেকেই জানেন না সেগুলো আজকে জেনে নিন।
১) গুগল এর হোমে পেজটা তো সবাই দেখেছেন, সেখানে অনেক ফাকা জায়গা আছে কিন্তু এগুলোকে কাজে লাগাতে পারে না গুগল? গুগল অনুমান করেছে তার হোমে পেজে একটা বিজ্ঞাপণ দিতে গেলে ১০ মিলিয়ন ডলার লাগবে! কিন্তু এই জায়গাটা বিক্রির জন্য নয়।
২) গুগলের নামটা Googol থেকে এসেছে। এই জিনিষটা হয়তো অনেকেই জানেন যে Googol বানানটা ভুল করে লিখার ফলে Google এর উধভাবন। Googol একটি গাণিতিক টার্ম যার মানে হল ১ এর সাথে একশত শূন্য।
৩) Google Doodle কি টা হয়তো অনেকেই জানেন, নির্দিষ্ট অকেশনে গুগল তার লোগো পরিবর্তন করে। প্রথম Google Doodle চালো হয় ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্টে। আমেরিকায় শ্রমিকদের জন্য Burning Man নামের একটি উৎসব আছে যা এক সপ্তাহ ধরে হয়। গুগলের বয়স যখন ২ বছর তখন Larry Page এবং Sergey Brin (গুগলের দুই পিতা :P) সেই উৎসবে অংশগ্রহণ করে এবং এটা সবাইকে জানানোর জন্য প্রথমবারের মতো Google Doodle চালো করে। প্রথম Doodle টি দেখতে এরকম-
৪) এই তথ্যটা আসলেই আশ্চর্য, ঘাস কেটে সমান করার জন্য যে মেশিনটি ব্যবহার করা হয় সেটাকে Lawnmower বলে। গুগলের হেড অফিসে যেসব ঘাস আছে তা খেয়ে সমান করার জন্য গুগল ২০০৯ সালে ২০০ টি ছাগল ভাড়া করেছিলো Lawnmower এর বদলে। গুগল মামা আসলেই জিনিষ একখান 😛
৫) গুগলের হোম পেজ ৮০ টি ভাষায় দেখা যায়। অর্থাৎ পৃথিবীর ৮০ টি দেশের মানুষের নিজস্ব মাতৃভাষায় গুগল দেখা যাবে। কিন্তু না, একটু বেতিক্রম আছে ৮০ টা ভাষার মধ্যে একটি ভাষার নাম হল Klingon যারা Star Trek সিরিজের মুভি দেখেছেন তারা হয়তো জানবেন। ভবিষ্যতে পৃথিবীতে এলিয়েনের আগমন হতে পারে, এরকম ভেবেই উপন্যাস থেকে নেওয়া এই Klingon ভাষায় গুগলের হোম পেজ রয়েছে।
ভাষাটি পরতে গিয়ে আমার ২ টা দাত ভেঙেছে এখন আমি পানি খাব কি করে সে চিন্তায় আছি 😛 সাহস থাকলে আপনিও দেখে আসুন এখানে ক্লিক করুন। (বিঃ দ্রঃ দাত ভাঙলে আমি দায়ি না :P)
৬) গুগল হচ্ছে এমন একটা কোম্পানি যেটা সবসময় অন্যদের থেকে ভিন্ন। ক্যালিফোর্নিয়াতে গুগলের যে Head-Quarter আছে সেখানে তাদের একটা নিজস্ব Dinosaur! আছে যার নাম হল Stan, এটা কিন্তু মরা জেন্ত নাহ :D। গুগলের পোষা Dinosaur টির প্রজাতির নাম হল T-Rex (Tyrannosaurus-Rex) তবে এটা কি সত্যিকারের কঙ্কাল নাকি হাতে বানানো সেটা এখনো জানা জানা যায়নি।
৭) গুগলের দুই পিতা Larry Page এবং Sergey Brin তাদের সার্চ ইঞ্জিনকে কোন কোম্পানিতে পরিনিত করার স্বপ্ন দেখেননি। সার্চ ইঞ্জিনকে বানানোর পর তারা সেটা বিক্রি করার জন্য ঘুরছিল। Yahoo! 'র কাছে ১ মিলিয়ন ডলার দামে গুগলকে বেচে দেওয়ার কথা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। কিন্তু Yahoo! সেটা কিনল না। এখন সেই গুগলের দাম হল অনুমানিক ২০০ বিলিয়ন ডলার আর Yahoo! এর দাম হল মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলার। এই কথা জানার পর Yahoo এর মালিক কেন যে সুইসাইড খাইলো না সেটা আমার বোধগম্য নয়। 😛
৮) টুইটারে অনেকেই অনেক কিছু টুইট করে। কিন্তু গুগলের প্রথম টুইটটি ছিল এরকম।
I’m 01100110 01100101 01100101 01101100 01101001 01101110 01100111 00100000 01101100 01110101 01100011 01101011 01111001 00001010.
এগুলো বাইনারি ডিজিট, এদেরকে কনভার্ট করলে আসে "I'm Feeling Lucky"। মেশিনের ভাষা যে 1 আর 0 সেটা সবারই জানার কথা।
৯) গুগলের হোমে পেজে গেলে সবাই হয়তো লক্ষ্য করেছেন সেই I'm Feeling Lucky বাটনটা। এই জিনিষটার জন্য গুগলের প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়। এই বাটনটার কাজ সম্পর্কে অনেকেই জানে না। বলা হয়ে থাকে যে এটা ইউজারদের আরাম বা স্বস্তি দেয়। ইদানিং I'm Feeling Lucky তে মাউস রাখলে I'm Feeling Wonderful, Puzzled, Doodled, Stellar এরকম আসে। কিন্তু এর সঠিক কাজটা আমি নিজেও জানি না।
১০) এত বড় একটা সার্চ ইঞ্জিনের সার্ভার সংখ্যা কয়টা? দুনিয়ার সকল সার্ভারের ২ ভাগ সার্ভার শুধু গুগলের। জানা গেছে গুগলের সার্ভার সংখ্যা ১ মিলিয়নের উপরে। আর এসব সার্ভারে রোজ ১ বিলিয়ন করে সার্চ রিকুয়েস্ট আসে। এই তথ্যটা আমার আগের টিউনেও দিয়েছিলাম।
শেষ কথা, যতগুলো তথ্য আপনাদেরকে দিলাম সবগুলো গুগল থেকেই নেওয়া, গুগল নিজের ঢোল নিজেই পেটায় 😛 হেহেহেহেহে.! আমরা চাই গুগল চলুক এভাবেই আর বড় হউক।
পোস্টটি যদি ভালো লাগলে তাহলে জানালে খুশী হব আর যদি ভালো না লাগে তাহলে আমার আগের টিউন গুলো পড়ুন. 😛
সময় পেলে ঘুরে আসবেন আমার ব্লগে।
ফেসবুকে আমি।
আমি সোহাগ মিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 82 টি টিউন ও 694 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 32 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমার নাম সোহাগ। টেকনোলজির প্রতি চরম আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও পড়েছি বিজনেস নিয়ে। একটু একটু গাইতেও পারি, মাঝে মাঝে গীটার বাজাই। এক কথায়, টেকনোলজির সাথে প্রেম করি আর গানকে বিয়ে করেছি :D । আমার ইউটিউব চ্যানেল। আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমার ব্লগে। আমার গাওয়া গানগুলো শুনতে ভিসিট করুন: গানের ইউটিউব...
আবার একটা চরম টিউন সোহাগ ভাই এটাও প্রিয়তে নিলাম। আপনাকে এক হাড়ি রসগোল্লা। আরো চাই