বাড়ি থেকে বেরুলেন অফিসের উদ্দেশে। আপনার চালক অনুপস্থিত। গাড়িটিই আপনাকে পৌঁছে দিল গন্তব্যে। এমনটা হলে কেমন লাগবে ভাবুন তো? 'চালকবিহীন গাড়ি' কল্পবিজ্ঞানের বস্তু বলে মনে হলেও, বাস্তবে এর কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। চলছে পরীক্ষামূলক ব্যবহার। আর এই প্রজেক্ট 'গুগল কার' নিয়ে মাঠে নেমেছে গুগল। সহযোগিতায় রয়েছে টয়োটা।
গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বোতাম টিপে গন্তব্য ঠিক করে দিলে এই গাড়িটিই পৌঁছে দেবে গন্তব্যে। কীভাবে? সেটাই তো এই গাড়ির অভিনবত্ব। গাড়ির ওপরে লাগানো থাকে একটি জাঁদরেল ক্যামেরা-সেন্সর। ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ৬৪বিম লেসার নজরদারি চালাবে। সামনের গাড়িটি কত স্পিডে চলছে, রাস্তায় হঠাৎ পাগলা কুকুর চলে এলো কি-না, কোথায় বাঁক রয়েছে, কোথায় ডেড এন্ড_ এ সবই গাড়ির যন্ত্রমস্তিষ্কে থ্রিডি ইমেজ হিসেবে স্টোর হতে থাকবে। গাড়ির চাকাতেও থাকবে হুইল মোশন সেন্সর। আর থাকবে জিপিএস। এই সব ক'টি মিলিয়ে চলবে গুগল কার। গাড়ির মেমোরিতে থাকবে ট্রাফিক লাইটের কোনটার মানে কী, কোন রোড সাইনে কী করা উচিত, সে সব।
গুগলের এই গাড়ির লাইসেন্স প্লেট লাল রঙের। এর কারণ হচ্ছে, গাড়িটিকে যেন আলাদাভাবে শনাক্ত করা যায় এবং গাড়ির নাম্বারও একটু ভিন্ন। 'ইনফিনিটি সাইন'সহ ০০১।
গুগল-টয়োটার বাইরেও চালকহীন গাড়ি নিয়ে যথেষ্ট জোরকদমে গবেষণা চলছে। যাদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি ফোক্সভাগেন আর অডিও স্বয়ংক্রিয় গাড়ির মডেল তৈরির দৌড়ে আছে।
মার্কিন মুলুকে নেভাডা এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় ড্রাইভারলেস কারের জন্য প্রয়োজনীয় পারমিট দেওয়া হয়েছে। সেখানে পরীক্ষামূলক ড্রাইভিংও চলছে অবিরত। নেভাদার মোটর ভেহিক্যালস বিভাগের পরিচালক ব্রস ব্রেসলো মনে করেন, চালকবিহীন গাড়ি হচ্ছে ভবিষ্যতের গাড়ি। রাস্তায় চালকবিহীন গাড়ি চলাচলের অনুমতি প্রদান করতে গত মার্চ মাসে আইন পরিবর্তন করে নেভাদা রাজ্য।
পরীক্ষায় সাফল্য এলেও নিরাপত্তা উদ্বেগটা পুরোপুরি যাচ্ছে না। দিনের ব্যস্ততম সময়ে রাস্তায় দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় পুরোদস্তুর প্রযুক্তিনির্ভর এই গাড়ির ড্রাইভিং ব্যবস্থায় ছোট্ট একটা ম্যালফাংশনও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে। হতে পারে প্রাণহানি। তখন দায়িত্ব কে নেবে?
উত্তরটা তাই সময়ই দেবে!
nice
http://coolfreeapk.blogspot.com/