ব্লগ এবং ট্রাফিক [পর্ব-৩] :: ব্লগিং এ আমরা সহজেই কেন ব্যর্থ হই এবং ব্যর্থ না হওয়ার জন্য কি করা উচিত

টিউন বিভাগ গুগল
প্রকাশিত

প্রথমেই বলে নেই ব্লগিং কে আমি দুভাবে দেখছি। প্রথমত কমিউনিটি ব্লগিং। যেটা সামহোয়ারইনব্লগ, আমার ব্লগ ইত্যাদি তে আমরা করছি। বাংলাদেশে এটাই ব্লগিং এর মূলধারা। আমরা এখানে ব্লগিং বলতে তাই বুঝি। এসব কমিউনিটি ব্লগিং এ অনলাইন এক্টিভিজম মূলত প্রাধান্য পায়। অসাধারণ এক বিকাশ ঘটেছে এই ব্লগিং এর এখানে।

আর দ্বিতীয়ত যে ব্লগিং সেটা হচ্ছে ইংরেজিতে। প্রধাণত এডসেন্স কে উদ্দেশ্য করে। টেকটিউন্স বা জিন্নাত উল হাসানের ব্লগ পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে এডসেন্স এড বসিয়ে ব্লগ থেকে উপার্জনের জন্য এই ব্লগ খোলে থাকেন। এটি সারাবিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়। আমার এই লেখাটি এই দ্বিতীয় প্রকারের ব্লগিং নিয়ে।

প্রো ব্লগারঃ

কিছু প্রফেশনাল ব্লগার আছেন। যারা প্রফেশনালি ব্লগিং ই করেন। এটাই তাদের পেশা। যেহেতু পেশা বলছি তাই নিশ্চিত টাকার ব্যাপারটা আসছে। হ্যা। তাদের উপার্জিত টাকার অংকটাও কম না।

যেমন ড্যারেন রোজ - প্রো ব্লগার ডট নেট এর যার প্রতিদিনের ব্লগ থেকে আসছে - $ 1,121 USD

তেমনি কপিব্লগারের প্রতিদিন - $ 902 USD

(উৎস- টপ টেন হাইয়েস্ট আর্নিং ব্লগ।)

এদের নিয়েই অনেক পোস্ট করা হচ্ছে বাংলা অনেক ব্লগ গুলোতে। ফলে এই টাইপের ব্লগিং এর প্রতি অনেকে আকৃষ্ট হন। তাদের প্রথমদিকে ধারনা জন্মায় ব্যাপারটা সহজ।

কয়েকটা ভাগে তারা মুল বিষয়টাকে সহজে ভাগ করেনঃ

--ব্লগ তৈরী

--লেখা পোস্ট

-- এডসেন্সের জন্য আবেদন

--এডসেন্স কোড বসানো

সব গুলোই প্রাথমিকভাবে ঠিক আছে। তবে এইভাবে অনেকে শুরু করেও কোন কিছুই করতে পারেন। প্রো ব্লগার বা কপি ব্লগারের মত সাইট তারা বানাতে পারেন না। ৯৮% এর ক্ষেত্রে এরকম হয়।

এরকম হওয়ার কারণ কি?


একজন যখন ব্লগিং করতে আকৃষ্ট হয় তখনি নেটে সার্চ দেন। ব্লগ বিষয়ক সার্চ দেয়ার সাথে সাথেই এ বিষয়ক টিপসের সাইট গুলো আসে। সেই সাইট গুলো থেকে টিপস পড়ে তিনি প্রায় মুগ্ধ হয়ে পড়েন। সেই সাইটের ভিজিটর দেখে হয়ে পড়েন বাকরুদ্ধ। তাই তিনি ঠিক করে ফেলেন তিনি এ জাতীয় সাইট বানাবেন। ঠিক এ বিষয়ে। একই রকম টিপসের।

ফলে কি হয়? তিনি যতই ঐ পোস্ট গুলো পড়ে নিজের ভাষায় তার ব্লগে লিখুন না কেন হি উইল নট গেট ভিজিটর। কারণ সার্চ ইঞ্জিনে এ বিষয়ক এই পোস্টের চেয়ে ভালো পোস্ট আছে। কিওয়ার্ড গুলোর প্রতিযোগীতা অনেক। তাই অনেক লিখেও ভিজিটর পাওয়া যাবে না। নতুন একটা ব্লগ দিয়ে তো আর প্রো ব্লগারের সাথে প্রতিযোগীতা করা যায় না।

এ অবস্থায় না পড়ার জন্য কি করা দরকার?


১।  ব্লগের বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন বিষয় নির্বাচন করুন যেখানে প্রতিযোগীতা কম।

২। টেক বিষয়ে, এডসেন্স টিপস,ব্লগিং টিপস এ বিষয়ে প্রচুর প্রচুর ভালো মানের ব্লগ আছে। এ সংস্লিষ্ট কিওয়ার্ডের প্রতিযোগীতা অনেক বেশী। তাই এই কিওয়ার্ডগুলো পরিহার করা ভালো। আরেকটি কারণ আপনি যেহেতু নতুন ব্লগ শুরু করছেন তার মানে ব্লগিং এর অনেক কিছুই আপনি জানেন না। তাই ব্লগ টিপস বা এডসেন্স টিপসের ব্লগ খোলে, অন্য ব্লগ পড়ে সেগুলো নিজের ভাষায় লিখে ভালো কিছু করতেও পারবেন না।

৩। এমন একটি বিষয় নির্বাচন করুন যে সম্পর্কে আপনি ভালো ধারণা রাখেন। আপনি এ বিষয়ে লিখতে পারেন। যার প্রতিযোগীতা কম। ধরা যাক, আপনি ভালো ক্রিকেট খেলেন। ক্রিকেট ব্যাট সম্পর্কে আপনি অনেক জানেন। আপনার ব্লগ টপিকস এই ক্রিকেট ব্যাট হতে পারে। যদি প্রতিযোগীতা কম থাকে এবং এ বিষয়ে আপনি ভালো পোস্ট করতে পারেন তাহলে এ থেকেই প্রচুর টাকা আসতে পারে।

৪।  এমাজন এর প্রোডাক্ট এফিলিয়েট সাইট বানাতে পারেন কিওয়ার্ড টার্গেট করে। আমি একজন এফিলিয়েট ব্লগার কে জানি যে নারকেল তেল নিয়ে ব্লগিং করে। শুধুই নারকেল তেল নিয়ে লেখে তার ব্লগে। ব্লগ কে সাজিয়েছে এমাজন এফিলিয়েট প্রোডাক্ট লিংক দিয়ে। এডসেন্স ব্যবহার ই করছে না।

৫। একশো টা ছোট ছোট ফাউল পোস্টের চেয়ে একটা ভালো তথ্য নির্ভর বড় পোস্ট ভালো। চেষ্টা করবেন সময় নিয়ে পোস্ট লেখতে। ইউ ক্যান টেক ১৫ ডেইজ। আপনি ১৫/১৫ দিনে একটা পোস্ট লিখুন। পর্যাপ্ত রিসার্চ করে। তথ্য উপাত্ত ছবি যুক্ত করে। এরকম কিছু পোস্ট আপনার নির্ধারিত বিষয়ে পাবলিশ করার পর এ বিষয়ে আপনার ব্লগ ই হয়ে উঠবে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নির্ভরযোগ্য।

৬। এক ব্লগে বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট না দিয়ে এক বিষয়ের জন্য এক ব্লগ বানান। মিক্সড ব্লগের চেয়ে বিষয়ভিত্তিক ব্লগে এফিলিয়েট ভালো কাজ করে। এডসেন্স ও।

৭। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছুর নাম শুনবেন। এগুলো নিয়ে অত বেশী মাথা ঘামানোর কিছু নেই। বেসিক কিছু অপ্টিমাইজেশন করে ব্লগ চালাতে থাকুন। ভালো কন্টেন্ট ই  মুল কথা।

৮। আপনার ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন টাই যেন মুল উদ্দেশ্য না হয়। আরো বড় কিছু করার চেষ্টা করবেন সব সময়। নিজের আইডিয়া কাজে লাগিয়ে যেকোন ধরণের সাইট  আপনি বানাতে পারেন।  আইডিয়াই সবচে বড় কথা।  আপনার লক্ষ্য যেন হয় ইন্টারনেটে বিশাল কিছু করে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা 😀

শেষকথা ডোন্ট গিভ আপ।  হাল ছেড়োনা...

সব কিছু শুরু হয় ছোট থেকে ই। অনেক চেষ্টা শ্রম অধ্যবসায়ের ফলে হয় বড় কিছু। গুগলের প্রথম টিমের ছবিটা দেখুনঃ

Level 0

আমি মুরাদ ইচ্ছামানুষ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 85 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

ব্লগার।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

অসাধারন পোস্ট

Tune ti pore khuv valo laglo. notun vabe prerona pelam. ey jinista amr moddheo hoyeche. ashakori apnar Tune ti amar jonno helpful hobe.

Level New

jouktik post, onuparanito holam…

Level 0

valo laglo….

Level 0

awesome……..

Level 0

Aami blog a akta proble face korchi, amar blog open korle akta mesege show kore.. A username and password are being requested by http://scriptabufarhan.googlecode.com. The site says: “Google Code Subversion Repository” pls keu help korben. kivabe ai mesege bondho kora jabe.

অসাধারণ লেখা । এই ধরণের লেখাগুলি মাঝে মাঝে হতাশার অন্ধকারে প্রেরণির উৎস হয়ে আসে ।লেখককে অনেক ধন্যবাদ ।

Level 0

অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য ও সুন্দর পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্নবাদ।
ফাটাফাটি,ফাটাফাটি, ফাটাফাটি, ফাটাফাটি, ফাটাফাটি, ফাটাফাটি, ফাটাফাটি, ফাটাফাটি, ফাটাফাটি, ফাটাফাটি হইসে……

দিগনির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অসাধারণ লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনলাইন আর্নিং সম্পর্কে সবারই জানার ইচ্ছা প্রচুর, কিন্তু কিভাবে আর্নিং করব, কোথা থেকে শুরু করব, এ নিয়ে যেন জল্পনা কল্পনার শেষ নেই । তবু অনলাইন আর্নিং বিষয়ে জানার আগ্রহ সবসময়ই কম বেশি সবারই থাকে, শুধু উপযুক্ত নির্দেশনার অভাবে কাজের আগ্রহ হারাচ্ছে নতুন করে আগত ফ্রি লেন্সাররা । তাদের জন্য আমার এ সাইটটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র । http://e-aiman.blogspot.com/ এখানে অনলাইন আর্নিং এর বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে, যা অনেকের কাজে আসতে পারে ।