গুগল প্লাসের কিছু চমৎকার বিশিষ্ট্য Some interesting features of google plus:

গুগল প্লাসের কিছু চমৎকার বিশিষ্ট্য (Some interesting features of google plus):

আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন। আজকে আমি গুগল প্লাস সম্পর্কে দু-একটি কথা বলব। আমাদের দেশে ফেসবুক যত জনপ্রিয়, গুগল প্লাস তত জনপ্রিয় নয় তবে গুগল প্লাসের কিছু চমৎকার বৈশিষ্ট আছে যা ফেসবুকের মধ্যে নেই। আমার কাছে তাই গুগল প্লাস ফেসবুকের চেয়ে অনেক ভাল লাগে। আপনারাও গুগল প্লাসকে ফেসবুকের চেয়ে অধিক ভালবাসতে পারেন আমার মত। ফেসবুকের জন্ম 2004 এবং আর গুগল প্লাসের জন্ম 2011 সালে। তবে আমার প্রথম ভালবাসা গুগল প্লাস, দ্বিতীয় ভালবাসা ফেসবুক আর শেষ ভালবাসা বলে কিছু নেই। কেউ কেড়ে নিতে পারে গুগল প্লাসের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসাটাকে; নিবে নিক তবে কার কি আসে যায়!

১।গুগল প্লাসে কোন স্ট্যাটাসকে শেয়ার বা টিউমেন্ট করাকে ডিজ্যাবল করে রাখা যায় অর্থাৎ কোন স্ট্যাটাসকে কেউ টিউমেন্ট বা শেয়ার করত পারবে না। এটা সুবিধা ফেসবুকে নাই।
২।গুগল প্লাসের দেয়ালকে (টাইমলাইনকে) একক কলাম বা ডাবল কলামে দেখানো যায়।
৩।গুগল+ এ কোন ছবি বা ভিডিও বা অডিও এর ডিটেইলস এ তথ্য ঠিকঠাক দিয়ে পাবলিকলি শেয়ার করলে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে তা ইনডেক্স করবে। পরবর্তীতে তা সার্চ ইঞ্জিনে করলে খুঁজে পাওয়া যাবে।
৪।গুগল প্লাসের সাথে ফেসবুকের অনেক মিল আছে। গুগল প্লাসের হোমপেজ ও প্রোফাইল পেজ; ফেসবুকের হোমপেজ ও প্রোফাইল পেজ একই ধরনের। ফেসবুকের দেয়ালকে টাইমলাইন এবং গুগল প্লাসের দেয়ালকে স্ট্রিম বলে।
৫।গুগল প্লাসের পিপল, কালেকশনস, কমিউনিটি বিষয়গুলি ফেসবুকে ফ্রেন্ডস, পেজ ও গ্রুপস নামে পরিচিত। গুগল প্লাসের কমিউনিটি বা ফেসবুকের গ্রুপে জয়েন করতে হয় আবার ফেসবুকের পেজে লাইক দিয়ে রাখলে ঐ পেজের স্ট্যাটাসগুলি নিজের টাইমলাইনে চলে আসে কিন্তু গুগল প্লাসের কালেকশনে ফলোয়িং করে রাখলে ঐ কালেকশনরে স্ট্যাটাসগুলি নিজের টাইমলাইনে (স্ট্রিমে) চলে আসে।
৬।গুগল প্লাসে সার্কেল স্ট্রিমকে (পিপলদেরকে) ফ্রেন্ডস, ফ্যামিলি, একুয়ানটেন্স, ফলোয়িং ও টেকনোলজি ভাগে ভাগ করা যায়।
৭।ফেসবুকে কোন পেজের জন্য থাকে: দি পেজ ইউ মে লাইক; গুগল প্লাসে কোন কালেকশনের জন্য থাকে: ফিচার অপশন।

ফেসবুকের গ্রুপ এবং গুগল প্লাসের কমিউনিটি একই ধরনের।

৮।ফেসবুকের ইভেন্টস্ ও নোটিফিকেশনস্ গুগল প্লাসের ইভেন্টস্ ও নোটিফিকেশনস্ একই ধরনের, তবে ফেসবুকের মত রিঅ্যাকশন বাটন এখানে নেই।
৯।সর্বোপরি গুগল প্লাস গুগলের একটি প্রোডাক্ট যেখানে আলাদা করে একাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। তার মানে আপনি একটি জিমেইল একাউন্ট খুললে বা থাকলে তা দিয়ে গুগল প্লাস, ইউটিউব, ম্যাপ, প্লে স্টোর, ক্যালেন্ডার তথা সব গুগল প্রোডাক্ট ব্যবহার করত পারবেন। (ওয়ান একাউন্ট, অল অফ গুগল)। ফেসবুকের মত লোকেশন শেয়ার করা যায়, বন্ধুদের ট্যাগ করা যায়।
১০।গুগল প্লাসে ভিডিও আপলোড করা যায় না তবে সেটা ইউটিউবে আপলোড করে শেয়ার করা যায়।

ফেসবুকের মতই কোন স্ট্যাটাস ডিলিট, এডিট করা যায়।

১১।গুগল প্লাসের স্ট্যাটাস গুগল প্লাস ছাড়াও অন্যান্য সামাজিক সাইট যেমন ফেসবুক, টুইটারে শেয়ার করা যায় যা ফেসবুকে সম্ভব নয়।
১২।গুগল প্লাসের স্ট্যাটাস যেমন ছবি বা ভিডিও গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হয় যা ফেসবুকের কোনকিছু  ইনডেক্স হবে না।

ধন্যবাদ বন্ধুরা। আজ এ পর্যন্তই (এই টিউনটি নতুন রিডিজাইনকৃত গুগল প্লাসের ক্ষেত্রে-2015); আমার ইমেইলঃ  [email protected]. আমার প্রথম টিউন তাই ভুল হতে পারে। ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ হাফেজ।

Level 1

আমি মোঃ মোখলেসুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস