অনলাইন ব্যাটল এরিনা জাতীয় গেমসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত গেমস সিরিজ হচ্ছে এই ডটা! DOTA বা Defense of the Ancients গেমটি ২০০৩ সালে প্রথম বাজারে আসে উইচক্র্যাফ ৩ গেমটির একটি মোড হিসেবে। পরে বহু বছর পর ২০১২ সালে চলে আসে DOTA 2। আর এই বছর কিছুদিন আগে ডটা ২ নতুন করে আমাদের সামনে এসেছে DOTA 2 Reborn হয়ে!
যারা ডটা আগেই খেলেছো তাদের কাছে আজকের টিউনটি তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই দিতে পারবে না, তবে যারা এখনো ডটা খেলোনি বা অনলাইনে তেমন একটা গেমস খেলো না তাদের জন্য আমার আজকের এই টিউন।
DOTA 2 Reborn একটি Multiplayer Online Battle Arena (MOBA) ভিডিও গেম যেটি নির্মাণ করেছে Valve Corporation। গেমটি ফ্রি হিসেবে বাজারে পূর্ণরূপে আসে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে। ডটা ২ গেমটি একটি অনলাইন গেম। যেখানে ৫ জন এর ২টি টিম একটি ম্যাপে ব্যাটল করে। প্রতিটি দলের ম্যাপের দু পাশে একটি করে মেইন বেইস থাকে। আর প্রতি বেইসে একটি করে Ancient নামের বিল্ডিং থাকে। গেমটিতে যে দল প্রতিপক্ষের বেইস এর Ancient বিল্ডিংটি আগে ভাঙ্গতে পারবে যে টিম বিজয়ী হবে।
প্রতিটি প্লেয়ার একটি করে Hero কনট্রোল করে গেমটি খেলে। গেমটিতে মূলত প্রতিপক্ষের Hero, ক্রিপ, দত্য-দানবদের সাথে ফাইট করে যেতে হয়। আর গেমটিতে টিকে থাকতে হলে গোল্ড সংগ্রহ করে বিভিন্ন আইটেম ক্রয় করতে হয় এবং আইটেমগুলোর সাহায্যে হিরোদের পাওয়ার আপগ্রেড করা যায়।
অনলাইন গেম স্টোর Steam এর সবচেয়ে বহুল জনপ্রিয় গেম হচ্ছে এই ডটা ২। এখনো প্রতিদিন প্রায় ৬ লক্ষ গেমার এই গেমটি খেলে থাকে আর আগষ্ট, ২০১৫ সাল পর্যন্ত ডটা ২ গেমটিতে প্রায় ৯ কোটির উপরে গেমার নিবন্ধিত রয়েছে।
গেমটিতে প্রায় ১১০টি হিরো রয়েছে। এদেরকে প্রধানত তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে এদের ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্যের ভিক্তিতে। আর এগুলো হচ্ছে Strenght, Agility, Intelligence. প্রতিটি ম্যাচে দুটি দল থাকে। একটি দলকে Radiant এবং অপর দলের নাম হচ্ছে Dire. প্রতিটি দলে ৫ জন করে প্লেয়ার থাকে। Radiant দলের বেইস ম্যাপের দক্ষিণে এবং অপর দিকে Dire দলের বেইস ম্যাপের উত্তর দিকে থাকে। আর ম্যাপের একদম মাঝখান দিয়ে একটি নদী রয়েছে যা এই দুটি দলের সীমানা ভাগ করে দিয়েছে। আর নদীর ডান দিকের শেষে একটি বিশালাকার দৈত্য রোশান রয়েছে। এই দৈত্যকে কয়েকজন মিলে হত্যা করতে হয় এবং এই রোশান দৈত্যটি অনেক Gold এবং XP পয়েন্ট আর সাথে একটি পাওয়ারফুল আইটেম Aegis of Immortality ড্রপ করে থাকে।
গেমটিতে হিরোদের পাওয়ার আপগ্রেড এবং নতুন পাওয়ার অর্জন করার জন্য Gold দিয়ে বিভিন্ন আইটেম ক্রয় করতে হয়। গেমটি খেলার সময় অটোমেটিক ভাবে অল্প অল্প করে Gold প্রতিটি প্লেয়ার পেয়ে থাকে। আর বেশি বেশি গোল্ড পাওয়ার জন্য প্রতিপক্ষের ক্রিপ, শত্রু এবং দৈত্যদের হত্যা করতে হবে।
আর ডটা ২ সিজন অনুযায়ী স্পেশাল গেমস মোড বের করে। আর ২০১২ সাল হতে প্রতি বছর The International নামে ডটা ২ গেমের টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে, যার প্রধান এবং প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আর জুন ১২, ২০১৫ সালের ডটা ২ কে নতুন করে সাজিয়ে, নতুন Source 2 ইঞ্জিণ দিয়ে DOTA 2 Reborn গেমটি বাজারে আসে বেটা সংস্করণে। আর এই কিছুদিন আগে সেপ্টেম্বর ৯ তারিখে ডটা ২ গেমটি DOTA 2 Reborn আকারে পূর্ণাঙ্গ আকারে Steam এ চলে আসে। DOTA 2 Reborn গেমটি অরিজিনাল ডটা ২ গেমটির প্রায় অর্ধেক ডিক্স স্পেস কমিয়ে নিয়ে এসে ২৭ গিগাবাইটে আনা হয়। নতুন ইউজার ইন্টারফেস, কাস্টম গেমস খেলার অপশন এবং নতুন ইঞ্জিণ নিয়ে আসে।
যারা ডটা ২ খেলায় আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলবো, ব্রডব্যান্ড নেট ছাড়া এই গেম খেলা শুধুই মেগাবাইটের অপচয়!! কারণ প্রতিদিন হ্যাঁ প্রতিদিন গড়ে ১২০ মেগাবাইট এর আপডেট দিতে হয় এই ডটা ২ গেমটিতে। আর একই সাথে প্রতিদিন একটু একটু করে গেমটির সাইজও বাড়তে থাকে।
আজ বেশি কিছু লিখলাম না। আসলে এখন আর তেমন লেখালেখিতে আগ্রহ পাই না। তবে ডটা ২ নিয়ে বিস্তারিত চেইন টিউন করার ইচ্ছে আছে সামনে যদি তোমাদের আগ্রহ পাই তবে!!
Valve Corporation
Source 2
উইন্ডোজ, OS X এবং লিনাক্স ভিক্তিক পিসিতে
সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫ সালে
মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন ব্যাটল এরিনা
মাল্টিপ্লেয়ার
কমপক্ষেঃ
৩য় প্রজন্মের ডুয়ার কোর ২ দশমিক ৮ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর
২ গিগাবাইট র্যাম
রাডিয়ন এইচডি ৫৪৫০ কিংবা জিটিএস ৫৬০ অথবা ইন্টেল এইচডি ৪০০০ সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড
৩০ গিগাবাইট প্রাইমারী ডিক্স স্পেস
ব্রডব্যান্ড ৫১২ কেবিপিএস এর নেট কানেক্টশন
একটি Steam একাউন্ট
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
গেমওয়ালা ভাই!! নাম পাল্টাইছেন 🙂