কেমন আছেন সবাই? অনেক দিন পর ফিরে এলাম। টিউন করার মত যোগ্যতা না থাকলে যা হয় আর কি! আজ গেম হ্যাকিং সম্পর্কে আরও কিছু কথা হবে। আপনাদের যদি কোথাও কোন সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন। আপনি যদি এর আগের পর্বটি না পড়ে থাকেন তাহলে এখুনি পড়ে আসতে পারেন।
যেহেতু, দ্বিতীয় পর্বটি অনেক দিন পরে করা হচ্ছে তাই আমি সংক্ষেপে গেম হ্যাকিং সম্পর্কে আলোচনা করব।
ধরুন, আপনি এখন Call of Duty: Advanced Warfare খেলছেন। অনেক সুন্দর এবং মজার একটি গেম। শত্রুকে মারার জন্য বেশি বুলেট খরচ করা আপনার অভ্যাস। আবার, ঘন ঘন রিলোড করা আপনার সহ্য হয় না। এখন কেমন হয় যদি আর কখনো রিলোড করা না লাগে? আপনি গুলি করেই যাচ্ছেন কিন্তু আপনার বুলেটের সংখ্যা আর কমছে না। হ্যাঁ, এটাই মূলত গেম হ্যাকিং এর কাজ। আমরা এখানে গেম যে ডাটা সংরক্ষণ করে রাখছে তা নিজের মত করে পরিবর্তন করে দিচ্ছি। কোন টুলস বা অন্য যে কোনভাবে গেমের স্বাভাবিক নিয়মটা বদলে দেয়াই হচ্ছে গেম হ্যাকিং
এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে, গেম হ্যাকিং আমি কেন করব? এমন একটি গেমের কথা ধরুন যেখানে আপনাকে অনেক কষ্ট করে Money/Gold অথবা এ জাতীয় কিছু বাড়াতে হয়। এতে কষ্টও হয় এবং অনেক সময়ও লাগে। এখানেই আপনাকে গেম হ্যাকিং সাহায্য করতে পারে। আপনি গেমটি হ্যাক করে Money অনেক বাড়িয়ে দিলেন আর কষ্ট করতে হল না। ব্যাস হয়ে গেল গেম হ্যাকিং 🙂 এভাবে আপনি গেমের অনেক কিছুই নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন। যেমন ধরুন, Health. এই জিনিসটা গেমের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটাও যদি আনলিমিটেড হয়ে যায় তাহলে? 😛 গেম হ্যাকিং করবেন কিনা তা আপনার নিতান্তই ব্যক্তিগত ইচ্ছা। তবে প্রায়ই গেম হ্যাকিং বিভিন্নভাবে কাজে লাগে!
গেম হ্যাকিং করতে হলে নিজেকে মেমোরি মোডিফায়ারের মত কিছু টুলসের সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। গেম হ্যাকিং এর সবচাইতে জনপ্রিয় টুল হল Cheat Engine. পূর্বের টিউনে এ সম্পর্কে বেশ অনেকটাই বলা আছে। আমাদের কাজ এই Cheat Engine কেন্দ্রিক হবে। ডাউনলোড এবং আনুষঙ্গিক কিছু লিঙ্ক আগের টিউনে দেয়া আছে
হুম, আপনি অনেক ধরণের সমস্যায় পড়তে পারেন। এর মধে সবচেয়ে কমন সমস্যা হল গেম ক্র্যাশ করা। গেম হ্যাকিং করতে গেলে এই সমস্যাটির মুখোমুখি হবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তবে এতে থেমে গেলে চলবে না। আপনি যত সমস্যায় পড়বেন তত অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং ততই আপনি সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তাছাড়া আরও একটি ছোট সমস্যায় পড়তে পারেন। বড় গেমগুলো হ্যাক করতে গেলে চিট ইঞ্জিন আরও বেশি কাজ করা শুরু করে। তাই স্বল্প সময়ের জন্য আপনার পিসি স্লো হয়ে যেতে পারে। ভয় পাবেন না, এটি খুবই সাধারণ ব্যাপার আর এমনিতে আপনার পিসির কোন ক্ষতি হবেনা। গেম হ্যাকিং এর আরেকটি সমস্যার কথা বলা যায়। ঠিক সমস্যাও না! গেম হ্যাক করে খেললে আপনি সাধারণ নিয়মে খেলার মজাটা পাবেন না। আসলে, নিজের কষ্টের ফলটা ভোগ করাতেই বেশি আনন্দ। কিন্তু ঠিকভাবে গেম হ্যাকিং করতে পারলে এসব কিছুই আর মাথায় থাকবে না! 😀
এখন আমাদের সব কিছুই প্রস্তুত আশা করি। শুধু গেম হ্যাক করা বাকি। আর হ্যাঁ, আপনারা যদি ভেবে থাকেন গেম হ্যাকিং অনেক ঝামেলার বিষয় তাহলে সেটা আপনার ভুল ধারণা। বুঝে গেলে ব্যাপারটা এত কঠিনও না কাজের সময়ই সব দেখতে পাবেন।
এবার কিছু সাধারণ প্রশ্নের জবাব
না, আমার পক্ষে চাইলেই গেমটা হ্যাক করে দেয়া সম্ভব না। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনি Cheat Tables এ আপনার গেমের Cheat Table অর্থাৎ অন্য কেউ হ্যাক করে মেমোরি অ্যাড্রেস সহ যে টেবিলটা আছে সেটা আপলোড করেছে কিনা দেখতে পারেন। না পেলে সেই গেমটার ট্রেইনার গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন। ট্রেইনার কি সেটা আমি আগের টিউনে বলেছি। আপনি এভাবে সার্চ করতে পারেন, Assassin's Creed Black Flag Trainer.
না, কিছু গেম আছে যা হ্যাক করা যায় না। স্পোর্টস গেমগুলোর ক্ষেত্রেই বেশীরভাগ সময় এমন হয়ে থাকে। কারণ টা হল, ধরুন আপনি একটা ক্রিকেট গেম খেলছেন যেখানে আপনি উইকেট ফ্রিজ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ, উইকেট আর পড়বেনা। কিন্তু এখানে গেম গেমের নিয়মেই চলবে। গেম যদি দেখে সৌম্য সরকার আউট হয়ে গিয়েছে তাহলে সে আউট। এখানে, সৌম্য আবার কিভাবে নামবে? স্পোর্টস গেম একই টাইপের ডাটা অনেক ভাবে সংরক্ষণ করে রাখে, এক্ষেত্রে দেখা যাবে হয় গেম ক্র্যাশ করেছে আর না হয় যেভাবে চলার সেভাবেই চলছে। অন্য কিছু হলেও হতে পারে!
আমার মতে, ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই অনলাইন গেম হ্যাক করা যায় না। কারণ, অনলাইন গেমগুলো আপনাকে যে ডাটা দেখাচ্ছে একই ডাটা ওই গেমের সার্ভারেই রেখে দিচ্ছে। এখানে আপনি গেমের ডাটা পরিবর্তন করলেও সার্ভারে থাকা ডাটা পরিবর্তন করতে পারছেন না। এ কারণে, অনলাইন গেম হ্যাক করা যায় না। তবে কিছু ব্যাতিক্রম হয়ত থাকতে পারে।
গেম হ্যাক করে খেললে আপনি গেমার হয়ে যাবেন না, এর জন্য আপনার সাধারণ নিয়মেই খেলা উচিৎ!
তো আজ এটুকুই থাক। পরবর্তীতে দেখাবো কিভাবে গেম হ্যাকিং করতে হয়। আশা করি সে পর্যন্ত সাথে থাকবেন আর ভালো থাকবেন। সমস্যা হলে আমি ফেসবুকে আছি। সহযোগিতা করার যথাসাধ্য চেস্টা করব। অনেক সময় সম্ভব না ও হতে পারে। কারণ, আমি এখনো শিখে যাচ্ছি এবং যা শিখছি তা এখানে বলছি। টিউনটিতে স্বভাবতই অনেক ভুল থাকতে পারে তার জন্য দুঃখিত।
আর যারা Ctrl+C Ctrl+V করেন, তাদের বলছি, এটা আপনাকে Writer বানাবে না। কেউ একটা টিউন কয়েক ঘণ্টা নিয়ে কষ্ট করে লিখে যদি দেখে যে তার লিখাটা অন্য কোথাও অন্য কেউ নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছে তখন তার খারাপ অনুভূতি হওয়াটাই স্বাভাবিক এতে তার লিখার আগ্রহ ও হারিয়ে যেতে পারে। তাই কপি করবেন না, আর কপি যদি করতেই হয় তাহলে অন্তত মূল লেখকের নাম Source সহ দিয়ে দিবেন, তাও কিছু সান্ত্বনা পাওয়া যাবে!
আমি শাহরিয়ার হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 145 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Ba Very good.