জীবনের অর্ধেক ধরিয়া খুঁজেতেছি তোমায়! কই গেলা তুমি! লুল।
হাফ-লাইফ ২ একটি ফার্স্ট পারসন শুটার ফিচারের ভিডিও গেম নির্মাণ এবং প্রকাশ করেছে Valce Corporation . গেমটি হাফ-লাইফ গেমস সিরিজের ২য় সংস্করণ যা ১৯৯৮ সালের “হাফ-লাইফ” গেমটির সিকুয়্যাল। গেমটির নির্মাণ ব্যায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নির্মাণে সময় লেগেছে পাঁচ বছর। গেমটি উইন্ডোজ, এক্সবক্স, এক্সবক্স ৩৬০, প্লে-স্টেশন ৩ গেমিং কনসোলে নভেম্বর, ২০০৪ সালে মুক্তি পায়। তখনকার সময়ের নতুম ইঞ্জিণ সোর্সের দ্বারা গেমটি নির্মিত হয়েছে এবং স্ট্রিম (Steam) এর প্রথম সিঙ্গেল প্লেয়ার গেম এটি যা খেলতে হলে ইন্টারনেট কানেক্টশন এর প্রয়োজন হয়।
হাফ-লাইফ ২ গেমটির গ্রাফিক্স, এনিমেশন, সাউন্ড, ডায়ালগ সব কিছু তখনকার যুগে গেমস জগতে এনে দেয় চমৎকার বিপ্লব। গেমটি ৩৯টি “Game of The Year” এওর্য়াড অর্জন করে এবং ২০১২ সালে “Game of The Decade” এওর্য়াডও জিতে নেয়। ২০০৮ সালের শেষ পর্যন্ত গেমটির ৬.৫ মিলিয়ন কপি বিশ্বব্যাপি মুক্তি পায়। সর্বশেষ তথ্য মতে, ২০১১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত গেমটির ১২ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি করতে সক্ষম হয় এবং উল্লেখ্য যে, হাফ-লাইফ ২ গেমটি পিসি গেমস জগতে সর্বোচ্চ বিক্রিধারীর রেকর্ক ধরে রেখেছে।
নির্মাতাঃ
Valve Corporation
প্রকাশকঃ
Valve Corporation
সিয়ের ইন্টারটেইমেন্ট
ডিস্ট্রিবিউটরঃ
ইলেক্ট্রনিক আর্টস
সিরিজঃ
হাফ-লাইফ
ইঞ্জিণঃ
Source
খেলা যাবেঃ
বিভিন্ন প্লাটফর্মে
মুক্তি পেয়েছেঃ
নভেম্বর, ২০০৪ সারে
ধরণঃ
ফার্স্ট পারসন শুটার
খেলার ধরণঃ
সিঙ্গেল প্লেয়ার
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টসঃ
পেন্টিয়াম ৪ প্রসেসর,
২ গিগাবাইট র্যাম,
২৫৬ মেগাবাইটের গ্রাফিক্স কার্ড,
উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ অপারেটিং সিস্টেম
ডাইরেক্ট এক্স ৯.০সি।
সিরিজের আগের গেমটির মতোই হাফ-লাইফ ২ একটি ফার্স্ট পারসন শুটার ফিচারের গেম। যেখানে প্লেয়ার চরিত্রে রয়েছে গোরডোন ফ্রিম্যান। গেমটিতে নতুন ফিচার হিসেবে রয়েছে ফিক্সিস টাইপের পাজল, নতুন গেম ইঞ্জিণ এবং আপগ্রেডেড গ্রাফিক্স। গেমটি কয়েকটি চ্যাপ্টারে অনেকগুলো মিশনে বিভিক্ত। যা একটি স্টোরি লাইন ফলো করবে।
গেমটির পরিবেশের মধ্যে অধিকাংশ ফিচার লুকিয়ে রয়েছে। তাই প্লেয়ার কে গেমটির পরিবেশকে এক্সপ্লোর করতে হবে। তাছাড়াও গেমটির দুটি সেকশনে তোমাকে গাড়ি চালাতে হবে। আর বাকি সেকশনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ফিক্সিস টাইপের পাজল। তাছাড়াও পরিবেশমূলক পাজলও রয়েছে গেমটিতে।
হাফ-লাইফ ২ গেমটিতে রয়েছে পৃথিবীর ভবিষ্যৎতের একটি কাহিনী, যেখান পৃথিবীর সকল রিসোর্সকে নিজের দখলে নিতে তৎপর “Combine” নামক একটি মাল্টিডিমেনশনাল এম্পায়ার। গেমটির পটভূমি ফিকশনাল “City 17” কে ঘিরে। গেমটির সময় সেটিং হাফ-লাইফ গেমটির ২০ বছর পর সেট করা হয়েছে।
হাফ-লাইফ ২ গেমটির জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান Valve Corporation সম্পূর্ণ নতুন গেমিং ইঞ্জিণ “Source” তৈরি করে। যা গেমটির ভিজুয়্যাল, অডিও এবং Artificial Intelligence উপাদানসমূহকে হ্যান্ডেল করে। ইঞ্জিণটি Havok Physics Engine থেকে হেভিলি মডিফাইড করা। পরবর্তীতে Defeat: Source এবং Counter Strike: Source নামের গেমসগুলোতে এই সোর্স ইঞ্জিণ ব্যবহার করা হয়।
২০০৫ সালের ডিসেম্বরে গেমটির ৬৪বিট অপারেটিং সিস্টেমের জন্য প্যাচ বের করে। পরবর্তীতে গেমটির এপিসোড ১ এবং এপিসোড ২ নামক দুটি এক্সপেনশন প্যাকও বের করা হয়।
নির্মাতা এবং প্রকাশকঃ
Valve Corporation
ডিস্ট্রিবিউটঃ
ইলেক্ট্রনিক আর্টস
স্ট্রিম
সিরিজঃ
হাফ লাইফ
ইঞ্জিণঃ
Source
খেলা যাবেঃ
উইন্ডোজ,
এক্সবক্স ৩৬০,
প্লে-স্টেশন ৩,
লিনাক্স,
ম্যাক
মুক্তি পেয়েছেঃ
জুন, ২০০৬ সালে
ধরণঃ
ফার্স্ট পারসন শুটার
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টসঃ
পেন্টিয়াম ৪ প্রসেসর,
২ গিগাবাইট র্যাম,
২৫৬ মেগাবাইটের গ্রাফিক্স কার্ড
উইন্ডোজ এক্সপি
ডাইরেক্ট এক্স ৯.০সি
হাফ-লাইফ ২ এপিসোড ১ একটি ফার্স্ট পারসন শুটার ভিডিও গেম, যেটি ২০০৪ সালের হাফ-লাইফ ২ গেমটির “এপিসোড” সিকুয়্যালের প্রথম সংস্করণ। গেমটি নির্মাণ এবং প্রকাশ করেছে Valve Corporation । হাফ-লাইফ ২ গেমটির মতোই এপিসোড ১ গেমটিতে ব্যবহার করা হয় Source ইঞ্জিণ। তবে গেমটিতে নতুন লাইটিং ও এনিমেশন টেকনোলজি সাথে AI Sidekick প্রযু্ক্তি ব্যবহার করা হয়।
গেমটির কাহিনীচক্র হাফ-লাইফ ২ গেমটির শেষ হবার পরপরই শুরু হয়। যথাযথই গেমটির পটভূমি যুদ্ধকবলিত সিটি ১৭তে ঘিরে সাজানো হয়েছে। গেমটিতে তোমায় বিজ্ঞানী ফ্রিম্যান এর ভূমিকায় খেলতে হবে। তোমাকে সঙ্গ দিবে এলেক্স এবং তারা দুজন মিলে মানব জাতির রক্ষায় যুদ্ধ করবে ট্রান্সহিউম্যান জাতি কম্বাইন এর বিরুদ্ধে। তবে গেমটির শেষের দিকে তারা দুজন একটি ভয়াবয় দুর্ঘটনায় পড়ে এবং তাদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি ঘটলো তা জানা যাবে এপিসোড ২ গেমটিতে।
গেমটিতে লাইনার ধরণের লেভেল রয়েছে অনেকগুলো যার মধ্যে দিয়ে তোমাকে খেলে খেলে গেমটিতে এগিয়ে যেতে হবে। তোমার সঙ্গ দিবে বিভিন্ন বদ্ধু এবং সংস্থা আর লড়তে হবে অনেক শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে। গেমটিতে সিরিজের আগের গেমটি কমবাট চ্যালেঞ্জ এবং পাজল উপাদানগুলো নেই। গেমটিতে রয়েছে টিউটোরিয়াল ধাঁচের টাস্ক যা তোমাকে নতুনের স্বাদ এনে দিবে। সিরিজের আগের গেমটির মতোই এ গেমটিতেও ফ্রিম্যানের মানে তোমার মুখ্য অস্ত্র হিসেবে থাকছে ক্রোবার (Crowbar) তবে গেমটিতে তুমি প্রথম বারের মতো পাচ্ছো গ্রাভেটি গান।
গেমটি গেমওভার করতে তোমার সময় ব্যায় হবে ৪ থেকে ৬ ঘন্টার মতো, ডিফিকাল্টির উপর নির্ভর করে সময় আরো বেশি হতেও পারে।
নির্মাতা এবং প্রকাশকঃ
Valve Corporation
ডিস্ট্রিবিউটরঃ
ইলেক্ট্রনিক আর্টস,
স্ট্রিম
সিরিজঃ
হাফ-লাইফ
ইঞ্জিণঃ
Source
খেলা যাবেঃ
বহু প্লাটফর্মে
মুক্তি পেয়েছেঃ
অক্টোবর, ২০০৭
ধরণঃ
ফার্স্ট পারসন শুটার
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টসঃ
ডুয়াল কোর প্রসেসর,
২ গিগাবাইট র্যাম,
২৫৬ মেগাবাইটের গ্রাফিক্স কার্ড অথবা ৫১২ মেগাবাইটের ইন্টারনাল ভিজিএ,
উইন্ডোজ এক্সপি (সার্ভিস প্যাক ২)
ডাইরেক্ট এক্স ৯.০সি
হাফ লাইফ ২ এপিসোড ২ একটি ফার্স্ট পারসন শুটার ভিডিও গেম এবং ২০০৪ সালের হাফ লাইফ ২ গেমটির এপিসোড সিকুয়্যালের ২য় সংস্করণ। নির্মাণ এবং প্রকাশ করেছে Valve Corporation । গেমটি শুধুমাত্র স্ট্রিম এর মাধ্যমেই মুক্তি দেওয়া হয়।
এপিসোড ২ গেমটিতে পরিবেশকে আরো এক্সপেন্ড করা হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে লাইনার গেম-প্লে। গেমটিতে ফ্রিম্যান এবং অন্যরা সিটি ১৭ কে পরিত্যাক্ত করে গ্রামাঞ্চলের দিকে চলে যায়।
গেমটিতে আবারো পাজল উপাদানটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। নতুন ফিচার হিসেবে থাকছে বিভিন্ন যানবাহন এক স্থান হতে অন্য স্থানে ট্রাভেলের জন্য (যেহেতু ম্যাপটি বড়) ।
গেমটিতে রয়েছে সিরিজের সবচেয়ে বড় এবং মাথা ঘুরিয়ে দেবার মতো পাজল। গেমটিতে এক নতুন প্রজাতির শত্রু রয়েছে। যা হান্টার নামে পরিচিত। এরা কম্বাইনের চাইতে বহুগুণে শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমতি। এদের উচ্চতা ৮ ফিট । তবে এরা সব জায়গাতেই চলে আসতে পারে যেখানে প্লেয়ার মানে তুমি যেতে পারো।
http://thepiratebay.se/torrent/5040138/
এপিসোড ১:
http://thepiratebay.se/torrent/3492004/Half.Life.2.Episode.One-PROViSiON
এপিসোড ২:
http://thepiratebay.se/torrent/3848139/%5BPC%5D_Half_Life_2_Episode_Two_%5BRIP%5D_%5Bdopeman%5D
কম্বো এপিসোড প্যাক:
http://thepiratebay.se/torrent/4792925/Half-Life_2__Episode_Pack_-_Standalone
অথবা, গেমসগুলো সুলভ মূল্যে ঘরে বসেই পেতে চাইলে চলে আসো গেমস জোনের অনলাইন ডিভিডি শপেঃ http://www.facebook.com/games.zone.bd
> গেমস জোন শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর উপাদান সমূহের দ্বারা কেউ মনে কষ্ট কিংবা আঘাত পেলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
> গেমস জোনে ব্যবহৃত বাংলা কভার, ওয়ালপেপারসমূহ সর্ম্পূণ ভাবে লেখকের নিজস্ব সৃস্টি। এর সাথে আসল গেমটির কোনো সর্ম্পক নেই
> গেমস জোন এর সাথে উক্ত গেমসগুলোর কোনো সরাসরি সম্পৃত্ত নেই এবং থাকবে না।
> গেমস জোন এর গেমসগুলোর রিলিজ তারিখ, নির্মাতা, প্রকাশক, মুক্তির তারিখ, সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস এবং চিটকোড তথ্য গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে সংগৃহকৃত। লেখক এখানে শুধুমাত্র বাংলায় লিখেছেন।
> ডাউনলোড লিংক এবং এর ফাইলসমূহ সর্ম্পূণ ভাবে অন্য সাইট হতে কপিকৃত। লেখকের সাথে ডাউনলোড লিংক এর কোনো সম্পৃত্ততা নেই।
> সর্বপরি গেমস জোন লেখক গেমওয়ালার ব্যক্তিগত কর্ম মাত্র। এর সাথে এই ব্লগের কোনো সর্ম্পক নেই এবং গেমস জোনের সকল তথ্য (ডাউনলোড লিংক ব্যাতিত) এর জন্য শুধুমাত্র লেখক গেমওয়ালা দায়ী থাকবে।
> গেমস জোন একটি সর্ম্পূণ ফ্রি গেমস রিভিউ এবং প্রিভিউ টিউন। তাই এর যেকোনো উপদান স্বাধীনভাবে “ব্যক্তিগত” উদ্দেশ্যে যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। তবে গেমস জোন কে “করপোরেট” ভাবে কখনোই ব্যবহার করা যাবে না।
> বর্তমানে গেমস জোন লেখক এর দ্বারা নিচের ব্লগ সমূহে টিউন করা হচ্ছে:
> অনলাইন ডিভিডি সার্ভিসটি অনলাইন ডিভিডি শপ “পপকর্ণ” এর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং এই বিষয়ের কোনো প্রকারের দায়িত্ব গেমস জোন নিবে না।
> গেমস জোন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা, পরামর্শ, অভিযোগ এবং অন্যান্য যে কোনো বিষয়ের জন্য গেমস জোন এর ফেসুবক পেইজ http://www.facebook.com/games.zone.bd তে যোগাযোগ করুন অথবা সরাসরি লেখক গেমওয়ালার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন http://www.facebook.com/talented.fahad
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
সব গেম ওভার #BestGame 😀