গেমস জোন [পর্ব-১৮০] :: আউটলাস্ট (২০১৩)

টিউন বিভাগ গেমস
প্রকাশিত

গেমস জোন

হলিউডের ভৌতিক ছবি “গ্রেইভ এনকাউন্টারস” দেখার সময় যতটুকু ভয় এবং মজা পেয়েছি ঠিক ততটুকুই মজা এবং ভয় পেয়েছি এই আউটলাস্ট গেমটি খেলার পর! চমৎকার ভয়ংকর একটি গেম এটি! ব্যতিক্রমও বটে!

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের গেমস জোন।

হ্যালো! কেমন আছো তোমরা? নিয়ে এলাম গেমস জোনের আরেকটি নতুন এপিসোড। আজকের পর্বে থাকছে একটি সুরভাইবাল হরর ভিডিও গেম “আউটলাস্ট”।

“আউটলাস্ট” একটি ফাস্ট পারসন সুরভাইবাল হরর ভিডিও গেম যা নির্মাণ এবং প্রকাশ করেছে “রেড ব্যারেলস গেমস”। রেড ব্যারেলস গেমস কোম্পানিকে তৈরি করেছে প্রিন্স অফ পার্সিয়া, এসাসিন্স ক্রিড এবং স্পিন্টার সেল গেমস সিরিজের কিছু সাবেক কর্মকর্তা মিলে। গেমটি শুধুমাত্র মাইক্রোসফট উইন্ডোজের জন্য সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৩ সালে স্ট্রিম এর মাধ্যমে রিলিজ দেওয়া হয়। গেমটি ২০১৪ সালের শুরুর দিকে প্লে-স্টেশন ৪ গেমস কনসোলের জন্য বাজারে আসার কথা রয়েছে।

নির্মাতা এবং প্রকাশকঃ

রেড ব্যারেলস

লিখেছেনঃ

জেটি পেটি

ইঞ্জিণঃ

আনরিয়েল ইঞ্জিণ

খেলা যাবেঃ

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ,

প্লে-স্টেশন ৪

মুক্তি পেয়েছে:

সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ধরণঃ

সুরভাইবাল হরর

খেলার ধরণঃ

সিঙ্গেল প্লেয়ার

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টসঃ

কমপক্ষেঃ

সেলেরন ডুয়াল কোর ২.২ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর,

জিফোর্স ৯৮০০ জিটিএক্স অথবা রাডিয়ন এইচডি ৩৮৭০ গ্রাফিক্স কার্ড,

২ গিগাবাইট র‌্যাম,

৫ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স স্পেস,

উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ৩ অপারেটিং সিস্টেম,

ডাইরেক্ট এক্স ৯ সাথে শেডার মডেল ৩.০

অফিসিয়ালঃ

কোর ২ ডুয়ো ৩.০ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর,

জিফোর্স জিটিএস ৪৫০ অথবা রাডিয়ন এইচডি ৪৮৬০ গ্রাফিক্স কার্ড,

৩ গিগাবাইট র‌্যাম,

৫ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স স্পেস,

উইন্ডোজ সেভেন (৬৪বিট) অপারেটিং সিস্টেম,

ডাইরেক্ট এক্স ১০

ভালোভাবে খেলতে হলেঃ

কোর আই ৫ প্রসেসর,

জিফোর্স জিটিএক্স ৪৬০ কিংবা রাডিয়ন এইচডি ৬৮৫০ গ্রাফিক্স কার্ড,

৪ গিগাবাইট র‌্যাম,

৫ গিগাবাইট ফ্রি হার্ডডিক্স স্পেস,

উইন্ডোজ এইট (৬৪বিট) অপারেটিং সিস্টেম,

ডাইরেক্ট এক্স ১১

এটা গেম না হরর ফিল্ম? বুঝলাম না! গেমটির প্রধাণ চরিত্র এবং প্লেয়ার ক্যারেক্টার মাইলস, সে কমবাট এর যোগ্য নয়। মানে গেমটিতে সরাসরি গুলাগুলি, ফাইট-টাইট এগুলো নেই। শুধুমাত্র ভূতগুলো মাইলসকে আক্রমণ করে তখন মাইলস সেগুলোকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে পারে ব্যাস এইটুকুই! গেমটি ফাস্ট পারসন ভিউতে খেলতে হয়। পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতেই নাকি ক্যারেক্টারের এই অবস্থা! গেমটি আমার কাছে অনেকটা “গ্রেইভ এনকাউন্টারস” ছবিটির মতো লেগেছে!

গেমটিতে তোমাকে সুরভাইব করতে হবে। এটাই তোমার গোল! শুনতে সহজ মনে হলেও খেলতে সহজ নয় !

গেমটির পরিবেশের বেশিরভাগ অংশই অন্ধকার দিয়ে সাজানো। তাই মাইলসকে তার ভিডিও ক্যামেরার আলোর সাহায্য নিতে হয়। ক্যামেরার নাইট ভিশন ফাংশন রয়েছে তাই। তবে, ক্যামেরাটি ব্যাটারি চালিত তাই, ব্যাটারি নির্দিষ্ট সময় পর শেষ হয়ে যাবে। এবং ব্যাটারি রিচার্জের বিভিন্ন উপাদার গেমটির পরিবেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

আর মাইলস আহত হয়ে তাকে অবশ্যই লুকাতে হবে মানে আর বেশি আহত হওয়া চলবে না। কিছুক্ষণের মধ্যে আস্তে আস্তে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। অনেকটা কল অফ ডিউটি ৪ গেমটির মতো।

মাইলস আপসুর, একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। সম্প্রতি সে এক রহস্যময় সোর্সের কাছ থেকে একটি বিরাট মানসিক হাসপাতাল ভ্রমণের সুযোগ পায়। হাসপাতালটি মার্কঅফ কোরপোরেশন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। অনেক সাংবাদিক ওই হাসপাতালটির উপর প্রতিবেদন করতে চাচ্ছে কিন্তু সুযোগ পাচ্ছে না, কিন্তু মাইলস এই সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় সে আর এটাকে হাতছাড়া করলো না।

হাসপাতালে প্রবেশ করে মাইলস দেখতে পায় যে হাসপাতাল কর্মীদের লাশ এদিক ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আর হাসপাতালের যাবতীয় মানসিক রোগীরা নিজেদের সেল ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছে।

হাতপাতালটির উপরের তলায় যাবার সময় মাইলস একজন SWAT অফিসারের সাথে দেখা হয় যিনি মারাত্বক আহত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিলেন। অফিসারটি মাইলসকে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বলেন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

সেখান থেকে পালাবার সময় ক্রিস ওয়াল্কার নামক একজন শক্তিশালী রোগী মাইলস কে ধাক্কা মেরে জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। মাইলস অজ্ঞান হয়ে পরে।

মাইলস এর হাল্কা জ্ঞান ফিরে এলে সে দেখতে পায় যে তার সামনে “ফাদার” (খৃস্টীয় ধর্মীয় গুরু) মার্টিন এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মার্টিন মাইলসকে ফেরেশতা বলে আখ্যায়িত করে এবং তাকে হাসপাতালে থেকে যেতে বলে। মাইলস আবারো জ্ঞান হারায়।

পুণরায় জ্ঞান ফিরে পাবার পর মাইলস সেই মানসিক হাসপাতালটি থেকে পালিয়ে যাবার পথ খুঁজতে থাকে। এভাবেই গেমটির কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে। গেমটির কাহিনী সর্ম্পকে আরো কিছু বললে গেমটি খেলে তোমরা মজা পাবে না। সুতরাং এখনি বসে পড়ো চমৎকার এই ভূতুরে গেমটি খেলতে। অবশ্যই মধ্য রাত্রে একলা ঘরে গেমটি খেলবে কিন্তু!!

গেমটির একটি ডাউনলোডেবল কনটেন্স “Outlast: Whistleblower” ইতিমধ্যে এনাউন্স করা হয়ে গেছে। এটি গেমটির প্রিকুয়্যেল স্টোরিলাইন ফিচার করবে।

বাঁচাও!
জাহান্নামে পুড়ে মর!
চোখে বালু পড়ছে নাকি মামু?!
এহহ!
কি খবর!
বিড়ালের মতো চোখ জ্বলে রে!
দরজার ওপাশে কি করো মোটু!
খাঁড়ায়ে খাঁড়ায়ে মুতা ঠিক না!

ফিচার এবং বৈশিষ্ট্যসমূহঃ

> গেমটির  ভৌতিক বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে পাহাড়ের উপর নির্মিত একটি মানসিক হাসপাতাল (খাঁটি বাংলায় যাকে পাগলাগাড়দ বলা হয়!) রয়েছে অন্ধকারাছন্ন সেটিং এবং রয়েছে হাইড এন্ড সিক গেমপ্লে!

> গেমটিতে সবসমই নিজেই ইচ্ছাতে লুকাতে পারবে না! কোনো সময় লুকাতে পারবে অথবা কোনো সময় তোমাকে নিজের প্রাণ নিয়ে ভাগতে হবে আবার কোনো সময় তোমাকে লড়তেও হবে!

> গেমটির গেম-প্লে তে কোনো কমবাট সিস্টেম নেই এবং এটিই গেমটির গেমপ্লের প্রধান বৈশিষ্ট্য!

> গেমটির পটভূমির হাসপাতালটি ফিকশনাল বা কল্পিত হলেও যে পাহাড়ের উপর হাসপাতালটি অবস্থিত তা Aspen শহরের ২০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত রকি মাউন্টেস এর “মাউন ম্যাসিভ” এর উপর ভিক্তি করে নির্মিণ হয়েছে!

> গেমটির স্টোরিলাইন নির্মাণে ১৯৫০, ১৯৬০ এবং ১৯৭০ দশকের MKULtra Experiments এর সাহায্য নেওয়া হয়েছে। যা একটি নিষিদ্ধ গবেষনা এবং এগুলো CIA দ্বারা কেসবদ্ধ করে রাখা হয়। উল্লেখ্য যে এই ঘটনাগুলো আমেরিকা এবং কানাডায় ঘটেছিল।  বিস্তারিত জানতে : http://en.wikipedia.org/wiki/Project_MKUltra

> গেমটির ফিচারকৃত হাসপাতালটির বহু বড় কাহিনী রয়েছে। গেমটিতে হাসপাতালটি কিছুবছর আগেই পরিত্যাক্ত হয় এবং এটিকে পুণরায় একটি প্রাইভেট কোম্পানি গোপনীয়ভাবে চালু করে।

> গেমটিতে কোনো কাটসিন নেই।

> গেমটিতে তোমার আসল লক্ষ্য হলো হাসপাতালটি হতে বেড়িয়ে আসা। তবে কাহিনী শেষ পর্যন্ত কোথায় যায় তা তোমাকে গেমটি খেলেই জানতে হবে!

> পুরো গেমটিতে তোমাকে একটি নাইট ভিশন ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে খেলতে হবে!

> ক্যামেরায় রয়েছে AA ব্যাটারি যা রিচার্জবেল।

> গেমটির সাউন্ড, পরিবেশ ডিজাইন এবং ভয়াভয়তা তোমাকে অবশ্যই “মজা” দিবে!

ডাউনলোডঃ

http://kickass.to/outlast-pc-full-game-nosteam-t7820602.html

জ্ঞাতব্য:

> গেমস জোন শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর উপাদান সমূহের দ্বারা কেউ মনে কষ্ট কিংবা আঘাত পেলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।

> গেমস জোনে ব্যবহৃত বাংলা কভার, ওয়ালপেপারসমূহ সর্ম্পূণ ভাবে লেখকের নিজস্ব সৃস্টি। এর সাথে আসল গেমটির কোনো সর্ম্পক নেই

> গেমস জোন এর সাথে উক্ত গেমসগুলোর কোনো সরাসরি সম্পৃত্ত নেই এবং থাকবে না।

> গেমস জোন এর গেমসগুলোর রিলিজ তারিখ, নির্মাতা, প্রকাশক, মুক্তির তারিখ, সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস এবং চিটকোড  তথ্য গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে সংগৃহকৃত। লেখক এখানে শুধুমাত্র বাংলায় লিখেছেন।

> ডাউনলোড লিংক এবং এর ফাইলসমূহ সর্ম্পূণ ভাবে অন্য সাইট হতে কপিকৃত। লেখকের সাথে ডাউনলোড লিংক এর কোনো সম্পৃত্ততা নেই।

> সর্বপরি গেমস জোন লেখক গেমওয়ালার ব্যক্তিগত কর্ম মাত্র। এর সাথে এই ব্লগের কোনো সর্ম্পক নেই এবং গেমস জোনের সকল তথ্য (ডাউনলোড লিংক ব্যাতিত) এর জন্য শুধুমাত্র লেখক গেমওয়ালা দায়ী থাকবে।

> গেমস জোন একটি সর্ম্পূণ ফ্রি গেমস রিভিউ এবং প্রিভিউ টিউন। তাই এর যেকোনো উপদান স্বাধীনভাবে “ব্যক্তিগত” উদ্দেশ্যে যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। তবে গেমস জোন কে “করপোরেট” ভাবে কখনোই ব্যবহার করা যাবে না।

> বর্তমানে গেমস জোন  লেখক এর দ্বারা নিচের ব্লগ সমূহে টিউন করা হচ্ছে:

http://www.tunerpage.com

http://www.techtunes.io

> গেমস জোন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা, পরামর্শ, অভিযোগ এবং অন্যান্য যে কোনো বিষয়ের জন্য গেমস জোন এর ফেসুবক পেইজ http://www.facebook.com/games.zone.bd তে যোগাযোগ করুন অথবা সরাসরি লেখক গেমওয়ালার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন fb.com/talented.fahad

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস