IGN গেমটিকে ১০/১০ পয়েন্ট দিয়েছে!!! এ পর্যন্ত এ বছরের সর্ববৃহৎ লাঞ্চিং স্কোরড গেম এটি। রিলিজের প্রথম সপ্তাহেই গেমটির ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। তবে দুঃখের কথা গেমটি শুধুমাত্র প্লে-স্টেশন ৩ গেমস কনসোলের জন্য বানানো হয়েছে। হ্যাঁ! আজকের গেম দ্যা লাস্ট অফ আস।
দ্যা লাস্ট অফ আস একটি সুরভাইবাল হরর একশন-এডভেঞ্চার ভিডিও গেম নির্মাণ করেছে নটি ডগ এবং প্রকাশ করেছে সনি কম্পিউটার এন্টারটেইমেন্ট। গেমটি জুন ১৩, ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছে।
গেমটির পটভূমি ২০৩৩ সালের আমেরিকায়। যেখানে একজন পিতা একটি তরুণী মেয়েকে একটি সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নেয়, জুম্বিলি –সদৃশ্য প্রাণীদের হাত থেকে বাঁচিয়ে। পিতার নাম জুয়েল এবং মেয়ের নাম ইলি। জুম্বিলিগুলো করডাইসেপ্টস ফানগাস দ্বারা আক্রান্ত।
দ্যা লাস্ট অফ আস
নির্মাতা:
নটি ডগ
প্রকাশক:
সনি কম্পিউটার এন্টারটেইমেন্ট
ইঞ্জিণ:
ইন – হাউস ইঞ্জিণ,
হ্যাভোক
খেলা যাবে:
প্লে-স্টেশন ৩ গেমস কনসোলে
মুক্তি পেয়েছে:
জুন ১৪, ২০১৩
ধরণ:
একশন-এডভেঞ্চার,
সুরভাইবাল হরর,
থার্ড পারসন
খেলার ধরণ:
সিঙ্গেল এবং মাল্টিপ্লেয়ার
ট্রেইলার ভিডিও:
www.youtube.com/watch?v=RGY9uXAoI-8
www.youtube.com/watch?v=OQpdSVF_k_w
www.youtube.com/watch?v=XKcwNIPiGKc
Full GamePlay Trailer:
www.youtube.com/watch?v=0wLljngvrpw
www.youtube.com/watch?v=TINASKjjNfw
www.youtube.com/watch?v=rzU_fLcxIN0
www.youtube.com/watch?v=9IINOQXl-6Q
www.youtube.com/watch?v=AgG7oiKRE_k
www.youtube.com/watch?v=A_QWWjzUbsw
www.youtube.com/watch?v=y8RQzzmNZy0
www.youtube.com/watch?v=0rD43Fs__CY
www.youtube.com/watch?v=ljXgQ6nFVuY
www.youtube.com/watch?v=P7JbwWLN4x
www.youtube.com/watch?v=TkSXtzzFCXU
www.youtube.com/watch?v=afMqsOZb0ks
গেম-প্লে:
দ্যা লাস্ট অফ আস গেমটি থার্ড পারসন ভিউতে খেলা যাবে এবং তোমাকে জুয়েল এর ভূমিকায় খেলতে হবে। ওদিকে ইলি নিজে নিজে কনট্রোল্ড হবে। তবে গেমটিতে ইলির ভূমিকায়ও তোমায় খেলতে হবে। গেমটিতে অস্ত্র যুদ্ধ, মিলি কমবাট এবং কভার সিস্টেম উপাদান রয়েছে। গেমটিতে প্লেয়ারকে জুম্বিলি এবং অন্যান্য বেঁচে থাকা মানুষের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। গেমটিতে “ডাইনামিক স্টেলথ” নামক একটি নতুন গেমপ্লে সিস্টেম ফিচার করা হয়েছে যার সাহায্যে গেমটিতে প্লেয়ার বিভিন্ন উপায়ে টেকনিক এবং স্টেলথ এর প্ল্যান করতে পারবে।
গেমটির নির্মাতা নটি ডগ গেমটির জন্য এআই সিস্টেম আপগ্রেড করেছে যার নাম “ব্যালেন্স অফ পাওয়ার”। এটির মাধ্যমে শত্রুর ব্যবহার জীবন্ত হবে, মানে রিয়েক্ট করবে তোমার মুভমেন্ট এর উপর, আহত হলে বাকি সদস্যদের ডাকবে ইত্যাদি। গেমটিতে একটি অবজেক্টটিভ বিভিন্ন উপায়ে কমপ্লিট করা যাবে। তাছাড়া গেমটির দুনিয়ার পড়ে থাকা বিভিন্ন আইটেম একত্র করে বিভিন্ন অস্ত্র এবং মেডিকিট বানানো যাবে। যেমন এ্যালকোহল এবং র্যাগ সংগ্রহ করে মেডিকিট অথবা মলোটভ ককটেইল বানানো যাবে। এর জন্যই গেমটির জনপ্রিয়তা এত তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কাহিনীচক্র:
গেমটি শুরু হয় একজন পিতার পরিচয় প্লেয়ারকে দিয়ে, নাম জুয়েল, যে অস্টিন, টেক্সাসের কাছাকাছিতেই থাকে তার মেয়ে সারাহ সাথে। জুয়েলের জন্মদিনে একটি করডাইসেপ্টস ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে পুরো আমেরিকায়। এই ইনফেকশন মানুষকে র্যাবিড, দৈত্যানুরুপ করে তোলে। জুয়েল, তার ভাই টমি এবং সারাহ এই ইনফেকশন এর চক্রে পড়ে যায়। সারাহকে একজন সৈন্য গুলি করে এবং জুয়েলের কোলে সারাহ মৃত্যু হয়।
২০ বছর পর . . . . . .
বিশ বছর পর পৃথিবীর অধিকাংশ সিভিলাইজেশন এখন ওই ইনফেকশন দ্বারা আক্রান্ত এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত। অল্প সংখ্যক পরিস্কার মানুষরা এখনও বেঁচে আছে। ভিআইপি মানুষেরা পুলিশের হেভি পাহাড়ায় রয়েছে, বাকিরা পরিত্যাক্ত বাড়িতে কিংবা ছোট ছোট গ্রুপ হয়ে রয়েছে।
জুয়েল এখন একটি কোয়ারেন্টাইন জোনে থাকে যা বোস্টোনে অবস্থিত। জুয়েল এবং তার সহযোগী টেস, তারা বস্তিবাসির মতো জীবন কাটায় এখন।
জুয়েল এবং টেস একজন লোকাল গ্যাংস্টার রবার্টকে খুন করে তার অস্ত্র ভান্ডার লুট করে। রবার্টের মৃত্যুর আগে তারা জানতে পারে যে সে ফায়ারফাইলস নামক একটি গ্রুপে তার যাবতীয় অস্ত্র বিক্রি করে থাকে।
জুয়েল এবং টেস ফায়ারফাইলস এর লিডার মার্লিনের সাথে দেখা করে। মার্লিন তাদেরকে দিগুণ অস্ত্র ভান্ডারের অফার দেয়, বিনিময়ে একটি তরুণীকে পাচার করে দিতে হবে, ইলি। ইলিকে শহরের গভীরে অবস্তিত ফায়ারফাইলসের একটি ছোট গ্রুপে পাচার করতে হবে তাদের। জুয়েল, টেস এবং ইলি রাতের আঁধারে বেরিয়ে পড়ে।
পথে একটি গুন্ডা গ্রুপের সাথে যুদ্ধের সময় টেস দেখতে পায় যে ইলির হালে ইনফেকশনের কামড়। এবং এটা দেখা মাত্র টেস জুয়েলকে বলে যে ইলিকে হত্যা করতে হবে ইলির দৈত্য হয়ে যাবার আগেই। ইলি বাঁচার জন্য মিনতি করে এবং বলে যে এই ক্ষতটি ৩ সপ্তাহের পুরোনো। যেখানে কামড়ের ২ দিনের মধ্যেই মানুষ জুম্বিলিতে পরিণত হয়।
শহরের গভীরে যেখানে তাদের যাবার কথা সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পায় যে গ্রুপটির উপর মিলিটারীর হামলা হয়েছে এবং সবাইকে মেরে ফেলেছে। সেখানে গিয়ে টেস দেখতে পায় যে আগের যুদ্ধে টেস কামড় খেয়েছে জুম্বিলির। বাধ্য হয়ে টেস নিজেকে গ্রুপ থেকে আলাদা করে ফেলে। যাবার আগে টেস বলে যায় যে, ইলিকে টমির কাছে পৌছে দিতে।
টেসকে আক্রান্ত অবস্থায় বাধ্য হয়ে সেখানে ফেলে রেখে জুয়েল এবং ইলি চলে আসে। তারা দেশের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে ভ্রমণ করে, পথে কিছু বন্ধুদের সাথে দেখা হয় এবং অন্যন্য ইনফেকটেক এরিয়ায় যুদ্ধ করে। অবশেষে টমির সাথে তাদের দেখা হয় উয়োমিং য়ে। টমি এখন স্নেক রিভারের পরিত্যাক্ত ড্যামে তার স্ত্রী মারিয়ার সাথে বসবাস করে। মারিয়া ইলিকে জুয়েলের অতীতের ব্যাপারে সবকিছু বলে।
টমি তাদেরকে ইউনিভারসিটি অফ ইর্স্টান কলোরাডো তে যেতে বলে, যেখানে ফায়ারফাইলসের হেডকোয়াটার অবস্থিত। জুয়েল এবং ইলি বেরিয়ে পড়ে সেখান থেকে।
ইউনিভারসিটি অফ ইর্স্টান কলোরাডো তে তারা গিয়ে দেখে যে এরিয়াটি পরিত্যাক্ত তবে এও জানতে পারে যে ফায়ারফাইলসের হেডকোয়াটারটি সল্ট লেক সিটির একটি হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান হতে বেরিয়ে যাবার সময় একটি গুন্ডার দল তাদের উপর আক্রমণ করে এবং জুয়েল জখম করে ফেলে ।
জুয়েল এবং ইলি পাহাড়ে উপরে একটি পরিত্যাক্ত বাসায় আশ্রয় নেয়। জুয়েল জখম থেকে অসুস্থ তাকে সেবা করছে ইলি। ইলি খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে এবং একটি বড় হরিণ শিকার করে। পথে ইলির সাথে ডেভিট এবং জেমস এর দেখা হয়। ডেভিট এবং জেমস হরিণের মাংসের বিনিময়ে ওষুধ দেবে বলে প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে ইলি রাজি হবেই কারণ জুয়েলের জন্য ওষুধ দরকার।
প্রায় ছয় মাসের ভ্রমণে তারা অবশেষে সল্ট লেক সিটিতে পৌছায়। তারা বন্যা প্লাবিত হাইওয়েতে দিয়ে যাবার সময় জুম্বিলিদের সাথে যুদ্ধ বাঁধে এবং ইলি বন্যায় তলিয়ে যেতে থাকে। ইলিকে উদ্ধার করতে গিয়ে জুয়েলকে আটক করে ফেলে একদল ফায়ারফাইটারসের গ্রুপ।
জুয়েলের জ্ঞান ফেরে একটি হাসপাতালে মার্লিনের সামনে। মার্লিন জুয়েল কে জানায় যে, ইলি সার্জারির জন্য প্রস্তুত। ফায়ারফাইলস এর ডাক্তাররা ইলির ব্রেইন সরিয়ে ফেলবে এবং তার শরীল নিয়ে গবেষণা করবে এই ইনফেকশন এর প্রতিকার পাবার জন্য। জুয়েল তার রুম থেকে পালিয়ে আসে এবং ফায়ারফাইলসের সাথে যুদ্ধ করে অচেতন ইলিকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসে গাড়িতে করে।ইলির জ্ঞান ফিরলে, জুয়েল হাসপাতালের ঘটনায় মিথ্যা বলে ইলিকে, যে ফায়ারফাইলসের ডাক্তারা আর এই ইনফেকশনের প্রতিরোধ খুঁজবেন না মানে আশা ছেঁড়ে দিয়েছেন।
গেমটির শেষ হয় টমির বাসার সামনে গাড়ি থামিয়ে, ইলিকে বিশ্বাস করাতে যে ফায়ারফাইলসরা আর কিউর খুঁজবে না।
আমার লেখা গেমস জোন শুধুমাত্র ফেসবুকে আমার নিজস্ব এবং গেমস জোনের আসল পেজ http://www.facebook.com/games.zone.bd এই পেজটাতে আমি শেয়ার করে থাকি। বাকি কোনো পেজে আমার গেমস জোনের পোষ্ট শেয়ার করা হয় না। যদি করে থাকে তাহলে তারা আমার পারমিশন ছাড়াই এ কাজ টি করেছে। আপনারা যদি ফেসবুকে আমার গেমস জোনের পোষ্ট সমূহ অন্যান্য পেজে পেয়ে থাকেন তাহলে একটু কষ্ট করে আমাকে জানিয়ে দেবেন প্লিজ। বহু কষ্ট করে বহু সময় খরচ করে গেমস জোনের এক একটি পর্ব লিখি আমি।
গেমস জোন মুলত টিউনারপেজ (www.tunerpage.com) ব্লগে আমি নিয়মিত এবং প্রথম থেকে লেখা আরম্ভ করেছিলাম। সেখানে গেমস জোনের মোট পর্বের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৮০টি। আমি নিজে টিউনারপেজ, টেকটিউনস এবং বাংলা ফ্যামিলি ব্লগে গেমস জোন টিউন করে থাকি। আগে পিসি হেল্পলাইনে করতাম এখন করি না। তাই আপনারা যদি নিচের ৪ টি ব্লগের বাইরে অন্য কোনো ব্লগে আমার গেমস জোনের কপি দেখে থাকেন তাহলে দয়া করে কমেন্টে জানান অথবা ফেসবুকেও আমাকে জানাতে পারেন (fb.com/talented.fahad)
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>><<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
আপনি কি PewDiePie এর ভিডিও দেখেন নাকি ,If you do
……………….__
…………./´¯/’…’/´¯¯`·¸
………./’/…/…./……./¨¯\
……..(‘(…´…´…. ¯~/’…’)
………\……………..’…../
……….”…\………. _.·´
…………\…………..(
BROFIST ………..