আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমরা ৪ টি এমন স্কিল সম্পর্কে জানব যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও এই স্কিল গুলো শিখতে পারলে আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে না, যে কাজ করে নিতে চাইবে সে নিজেই আপনাকে খুঁজে বের করবে। এছাড়াও আপনি এই স্কিলগুলো খুব সহজেই কয়েক মাসের মধ্যেই নিজের আয়ত্তে আনতে পারবেন। তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এবার চলে যাওয়া যাক মেইন টপিকে এবং জেনে নেওয়া যাক এমন ৪ টি স্কিল সম্পর্কে যেগুলো শেখা শেষ হওয়ার সাথে সাথে আপনি কাজে নেমে যেতে পারবেন।

1. Social Media Marketing

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কিছু অংশ হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং, এজেন্সি, নিজস্ব ব্যবসা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর। এক্ষেত্রে আপনি একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যোগ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর একটি বিভাগ অর্থাৎ, সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন। এজেন্সি এর ক্ষেত্রে আপনি কোন একটি নির্দিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সিতে যোগ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি এই এজেন্সি এর দেওয়া কাজগুলো সম্পন্ন করে টাকা আয় করতে পারবেন।

আবার আপনি আপনার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবসাও শুরু করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি নিজের ব্যবসায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর একটি বিভাগ অর্থাৎ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি কোনো ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে পারেন এবং তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রচার করতে পারেন। এর জন্য আপনি সেই নির্দিষ্ট ব্যান্ডের থেকে টাকা নিতে পারবেন।

2. Link Building

আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে লিংক বিল্ডিং করতে পারেন। এটি করার জন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করতে হবে। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ এবং ফোরামেও যোগদান করতে পারেন এবং সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। এভাবে আপনি লিঙ্ক বিল্ডিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করার কিছু জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে, ব্যাকলিংক বিক্রি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, গেস্ট টিউনিং, ডিরেক্টরি সাবমিশন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি। লিংক-বিল্ডিং এর এই কয়েকটি সেক্টর এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন।

3. WordPress Design And Customization

ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইন এবং কাস্টমাইজেশন দক্ষতা ব্যবহার করে টাকা আয় করার অনেকগুলো উপায় আছে। এটি বর্তমানে অত্যন্ত চাহিদাযুক্ত একটি কাজ। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যক্তির জন্য ফ্রিল্যান্স ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইনার এবং কাস্টমাইজার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থিম এবং প্লাগইন তৈরি এবং বিক্রি, ওয়ার্ডপ্রেস মেইন্টেন্যান্স সার্ভিস প্রদান, ওয়ার্ডপ্রেস প্রশিক্ষণ কোর্স তৈরি এবং বিক্রি, ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ তৈরি এবং মনিটাইজেশন ইত্যাদি কাজ করে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন।

4. Graphical Template Design

আপনি যদি একবার গ্রাফিক্যাল টেমপ্লেট ডিজাইন এ পারদর্শী হয়ে যেতে পারেন অর্থাৎ, আপনি খুব সহজেই সুন্দর সুন্দর গ্রাফিক্যাল টেমপ্লেট ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই এই গ্রাফিক্যাল টেমপ্লেট গুলো বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্যাল টেমপ্লেট সেলিং ওয়েবসাইট এ বিক্রয় করার মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি টাকা আয় করার জন্য এই ধরনের গ্রাফিক্যাল ডিজাইন গুলো বিক্রয় করার জন্য নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং নিজের এই ওয়েবসাইটে আপনি এই ধরনের গ্রাফিক্যাল ডিজাইনগুলো বিক্রয় করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এ আপনি এগুলো বিক্রয় করতে পারেন। গ্রাফিক্যাল ডিজাইন গুলোর বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনি বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার অর্জন করতে পারেন। আপনি অনলাইন কোর্স বা ওয়ার্কশপ তৈরি করে গ্রাফিক্যাল টেমপ্লেট ডিজাইন শেখাতে পারেন। এটি আপনার জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার এবং একই সাথে অর্থ উপার্জন করার একটি দুর্দান্ত উপায়।

আজকের টিউনটি এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আজকের টিউনে থাকা এই ৪ টি স্কিল সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এ স্কিলগুলো সম্পর্কে আপনারা যদি বেসিক ধারণা অর্জন করতে চান তাহলে আপনারা এই বিষয়ে কোর্সগুলো খুব সহজেই ইউটিউবে পেয়ে যাবেন। এই কোর্সগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনারা কয়েক মাসের মধ্যেই খুব সহজেই এই ৪ টি স্কিলের অধিকারী হতে পারবেন। আর একবার যদি আপনি সম্পূর্ণভাবে এই ৪ টি স্কিলের অধিকারী হতে পারেন তাহলে মাসে একটি পারফেক্ট অ্যামাউন্ট এর টাকা আয় করা আপনার কাছে তেমন একটা বিষয় হয়ে দাঁড়াবে না।